নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
প্রহসনের বিচার ১৬০০ সাল থেকে ২০১৮ সাল.....
রোমের পবিত্র হোলি অফিসে হাত বাঁধা অবস্থায় বসেছিলেন বছর সত্তরের বৃদ্ধ গ্যালিলিও। ক্লান্তিতে মাথা ঝুঁকে পড়েছে। অনেকবার পানি চেয়েও পাননি। কিছুক্ষণের মধ্যে গীর্জা সংলগ্ন বিচার প্রাংগণ ভরে উঠল মানুষে।
বিচার শুরু হলো.... দোষ, গ্যালিলিও বলেছেন- "কোপারনিকাসের কথাই ঠিক। সূর্য স্থির, পৃথিবী ঘুরছে তাঁর চারপাশে।"
কিন্তু তা কি করে সম্ভব! বাইবেল তো যুগ যুগ ধরে অন্য কথাই শিখিয়ে এসেছে। বুড়োটা যা বলছে, তা এক কথায় ঈশ্বরের বিরোধিতা, লোকটা ধর্মদ্রোহী। লোকটার শাস্তি চাই।
গ্যালিলিও নিজেও দূরবীন দিয়ে রাতের পর রাত দেখেছেন তারাদের চলাফেরা। এখন তিনি ক্লান্ত। লড়াই করার শক্তিটুকু অবশিষ্ট নেই। শাসক দলের নেতারা বলেছে- তিনি একবার স্বীকারোক্তি দিলেই তাঁকে ছেড়ে দেবে...।
গ্যালিলিও বাড়ি যেতে চান। অনেক কাজ বাকি। কাঁপা কাঁপা গলায় বললেন বৃদ্ধ গ্যালিলিও, "আমি, গ্যালিলিও গ্যালিলি, ঈশ্বরের নামে শপথ নিয়ে বলছি, আমি চিরকাল এবং আজও চার্চ ও তাঁর মহান শিক্ষায় বিশ্বাসী। সূর্য নয়, পৃথিবী স্থির। সূর্য তার চারপাশে ঘুরছে।"
বিচার শেষ। ঠিক হল বাকি জীবন তাঁকে বন্দি দশায় কাটাতে হবে। তাঁর মত বিপদজনক অপরাধীকে বাইরে রাখা যায় না। কি জানি, কখন আবার কি প্রচার শুরু করবেন। আর বাড়ি ফেরা হল না গ্যালিলিওর।
হাঁটু মোড়া অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে তিনি শুধু বললেন- "তবু পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরে যাবে"।
সুদূর রোমে গ্যালিলিওর বিচারের নামে এই প্রহসন হয়েছিল ১৬৩৩ সনে, তবে ১৬০০ সনে জর্দানো ব্রুনোকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা শুরু হয়েছিল প্রহসনের বিচার। এমন বিচার আরও হয়েছে- ইরাকে সাদ্দাম হোসেনের, মিশরের মুরসির এবং বাংলাদেশে শেখ হাসিনার অপশাসনে ....
(২০১৮ সালে ম্যাডাম জিয়াকে জেল দণ্ড দেওয়ার পর ফেসবুকে লিখেছিলাম....)
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: অনেকগুলো কারণের মধ্যে এটাও একটা কারণ।
২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: গ্যলিলিওর ঘটনাটা জানতাম। কিন্ত আপনি খুব সুন্দর করে লিখেছেন। যদি আইনের শাষন প্রতিষ্ঠিত হয় এই দেশে , তবে শেখ হাসিনার অপশাষন বাংলাদেশের ইতিহাসে কলংকজনক এক অধ্যায় হিসেবেই লিখিত হবে। আয়নাঘর , বিচারহীনতার সংস্কৃতি , সেনাবাহিনীতে বর্বর হত্যাকান্ড, শাপলা চত্বরে মাদ্রাসার ছাত্রদের হত্যা, মন্ত্রীদের হাজার কোটি টাকা পাচারের কাহানী এবং এসবের পরিপ্রেক্ষিতে বারুদের মত জ্বলে উঠা শিক্ষার্থীদের জুলাই অগাস্টের বিপ্লব গাথা হয়ত লেখা হবে পাঠ্য পুস্তকে। সেই দিন দেখে যাওয়ার সৌভাগ্য যেন হয় আমাদের সবার।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪
জুল ভার্ন বলেছেন: "যে যায় লংকা, সেই হয় হনুমান"- এটা শুধু প্রবাফ নয়, আমাদের জাতীয় চরিত্র। আমাদের সংবিধানের অনুচ্ছেদ-৭ সুস্পষ্ট ভাবে লেখা আছে- গণতন্ত্রে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য হচ্ছে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে সব নাগরিক আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার তথা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচারের নিশ্চয়তা পাবে। সংবিধান বলি অথবা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বলি- শোষণমুক্ত সমাজ, আইনের শাসন, মানবাধিকার, রাজনীতি, সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার-উচ্চারিত ওই শব্দমালাগুলো স্বাধীনতার অর্ধশতক বছর পরেও আমাদের কাছে অধরাই থেকে গেল।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় জনগণকে ঘিরেই রাষ্ট্রক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়; কিন্তু আমাদের রাজনীতিতে ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে জনগণের দূরত্ব ক্রমেই বাড়ছে। জনগণের টেকসই ক্ষমতা মানে টেকসই গণতন্ত্র, টেকসই গণতন্ত্র মানে টেকসই উন্নয়ন। টেকসই গণতন্ত্রে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের মধ্যে একটি ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় থাকে। সেখানে উন্নয়নের গতি শ্লথ হলেও প্রকৃতপক্ষে সে উন্নয়ন জনগণের বৃহত্তর কল্যাণেই হয়ে থাকে ও সেখানে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। কাজেই জনগণকেই নিজেদের অধিকার রক্ষা করতে হবে, অধিকার আদায় করে নিতে হবে।
৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১০
জটিল ভাই বলেছেন:
এর শেষ কোথায়???
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: এর শেষ নাই!
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪৪
কামাল১৮ বলেছেন: ফেসবুকে এটা লিখেই কি নির্যাতনের শিকার হয়ে ছিলেন।