নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাকুরির বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি....

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:২০

চাকুরির বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি....

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময় সীমা ছেলেদের জন্য ৩৫ ও মেয়েদের জন্য ৩৭ করার সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ হতে চলছে। বিনয়ের সঙ্গে ভিন্নমত প্রকাশ করে কয়েকটি কথা বলতে চাই।

৩৫ বছরে চাকরিতে ঢুকলে একটা ছেলে বিয়ে করবে কখন? সাধারণত চাকরিতে ঢুকেই এদেশে ছেলেরা বিয়ে করে। বেকার ছেলের কাছে কোনো অভিভাবক মেয়ে বিয়ে দেন না। আমাদের দেশের মানুষের গড় আয়ু যদি ৭০ বছর হয়, তাহলে ৩৫ বছরে তো যৌবনই প্রায় শেষ। আর ৩৫ বছর বয়সে চাকরিতে ঢুকে দেশকে তারা কি সার্ভিস দেবেন? ৪০ বছরে চুল দাড়ি পেকে যায়। ৪০ বছরের পর জীবনীশক্তিও হ্রাস পায়। কাজ করার শারীরিক মানসিক সামর্থ্য কমে যায়। বেশীরভাগ খেলোয়াড়েরা ৩৫ বছরের মধ্যেই অবসরে যেতে বাধ্য হয়। অনেক পেশায় ৪৫/৫০ বছরের মধ্যেই অবসর গ্রহণ করে। ইউরোপ আমেরিকায় ২৫/২৬ বছর বয়সে ছেলেমেয়েরা পিএইচডি করে।

ছাত্ররা সেশন জ্যাম বন্ধ করার দাবি না তুলে চাকরির বয়স সীমা বৃদ্ধির দাবি তুলেছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়। এই দেশে ৫ বছর বয়সে একটা ছেলে বা মেয়ে স্কুলে ভর্তি হয়। ১৫/১৬ বছর বয়সে এসএসসি পাস করে। ১৮/১৯ বছরে এইচএসসি পাস করে। ৪ বছর অনার্স আর ১ বছর মাস্টার্স। সর্বোচ্চ ২৫ বছর বয়সে আরও বেশি করে ধরলে ২৬ বছর বয়সে একজন শিক্ষার্থী মাস্টার্স কমপ্লিট করার কথা।

সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানোর চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স-মাস্টার্স সঠিক সময়ে সম্পন্ন করার নিশ্চয়তা বেশি জরুরি। সেশন জ্যামের কারণে শিক্ষার্থীরা তাদের জীবনের মূল্যবান অনেক সময় জীবন থেকে হারিয়ে ফেলে। এ ক্ষতি কোনো কিছু দিয়ে পোষানো যায় না।

কাজেই চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি না তুলে সেশন জ্যামের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। ২৫/২৬ বছর বয়সে যেনো মাস্টার্স শেষ করা যায় তা নিয়ে শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের এখনি সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ। বিপ্লবোত্তর নতুন বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় এই পরিবর্তন হোক সবকিছুর আগে

(আমার ফেসবুক আইডি থেকে)

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৩৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



চাকরি পাবার পর বিয়ে করতে হবে এই ধারণার অবসান করা দরকার।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:২১

জুল ভার্ন বলেছেন: বিয়ের সাথে চাকরির সম্পর্ক এক অর্থে নাই সত্য, তবে আর্থিক স্বচ্ছলতা আবশ্যিক। যারা চাকরি করেনা তারা কি বিয়ে করে না? আমি নিজেই বিয়ে করেছি প্রায় ছাত্রাবস্থায়। তবে নিজে স্বচ্ছল না হয়ে বিয়ে করলে পরিবারের ভরনপোষণ করতে অন্যের উপর নির্ভরশীল হতে হবে।

২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৩৭

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: ১৬ বছর বয়সে ইন্টারপাশ করেছিলাম । এদেশে অনেকেই আছে যাদের উচ্চমাধ্যমিক ১৬ বছর বয়সে কমপ্লিট হয়ে যায়। এদের অধিকাংশই সেনা অফিসার হবার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায় মাত্র ১৬ বছর বয়সে। আজকের সফল জেনারেল/ এয়ার মার্শাল / এডমিরালদের বড় অংশ মাত্র ১৬ বছর বয়সে সেনা অফিসার হয়েছিলেন। বাংলাদেশে যেহেতু আমেরিকা/ভারত/জার্মানি/ইজরাইল/ইউরোপের মত এত দারুণ ব্যবস্থা আছে সেহেতু সিভিলিয়ান ব্যবস্থার জন্য এতটা মরিয়া হওয়া অযৌক্তিক।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:২৯

জুল ভার্ন বলেছেন: ১৬ বছরের এইচএসসি পাস করা ছাত্রদের পার্সেন্টেজ খুবই কম। অন্যদিকে এইচএসসি পাস ছাড়স সেনাবাহিনী ছাড়া ১৬ বছরের সরকারি চাকুরীতে ঢোকা ছাড়া অন্য কোথাও এই সুযোগ নাই। সেনাবাহিনীর দুই বছরের সামরিক প্রশিক্ষণে উত্তীর্ণরা গ্রাজুয়েশন ডিগ্রীও লাভ করে এবং সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের বিয়ের জন্যও একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। যোগ্যতা থাকলেও সবাইতো সেনাবাহিনীতে জব করতে পারবেনা। কারণ, প্রতিটি ব্যাচে আসনসংখ্যা নির্দিষ্ট।

৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৮

চারু তনুজ বলেছেন: জেনারেশন সুপারস্টার
এখন কেউ ১৬ বছরে এইচএসসি পাশ করে না। সিভিলিয়ানদের প্রতি এত ক্ষোভ কেন। আমরা অনেক সফল জেনারেল যেমন দেখেছি ঠিক তেমন অনেক জেনারেলের ক্ষমতালোভও দেখেছি।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮

জুল ভার্ন বলেছেন: এই কারণেই বেশীরভাগ বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্ম তারিখ দুইটা। একটা অরিজিনাল (যা ৮০ ভাগ মানুষ সঠিক জন্ম তারিখ লিপিবদ্ধ না করার কারণ) আর একটা চাকুরির জন্য। আমাদের দেশে শহর ছাড়া গ্রামাঞ্চলে এখনো জন্মের তারিখ স্কুলের কেরানী অথবা ইউনিয়ন পরিষদের কেরানী যেটা লিখে দেয়- সেটাই!

৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:০০

চারু তনুজ বলেছেন: চাকরির বয়স ৩৫ কিংবা ৩৭ বড় অযৌক্তিক। বড়জোর ৩২ করা যেতে পারে। ছেলে আর মেয়ে সবার একই হওয়া উচিত।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৬

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে একমত। চাকুরির জন্য নারী পুরুষের বয়সের বৈষম্য একেবারেই কাম্য নয়।

সেই সাথে যোগ করতে চাই- পেশাগত কাজে অভিজ্ঞতার গুরুত্ব অনেক। সেই অভিজ্ঞতা অর্জিত হয় বেশী বয়স পর্যন্ত পেশাদারিত্বতায়। একজন রাজনীতিবিদ, একজন ব্যাবসায়ীর যেমন পেশায় বয়স ফ্যাক্টর নয়, তেমন চাকরির ক্ষেত্রেও সেটা প্রযোজ্য। তাই চাকরির বয়সও ২/৩ বছর অনায়াসে বাড়ানো জরুরী।

৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২

আজব লিংকন বলেছেন: সরকারি চাকরি সোনার হরিণ। সবাই সে হরিণ ধরতে চায়। একবার ধরা গেলেই ঘুসের কামাইয়ে জীবনে সুখ আর সুখ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮

জুল ভার্ন বলেছেন: রাইট।

৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:১৮

Sayed Kutub বলেছেন: যারা চাকুরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার জন্য আন্দোলন করছে তাদের কারণে বিভিন্ন সারকুলারের এক্সাম পরীক্ষা স্থগিত আছে।এমন মহান দেশে বাস করি যেখানে সরকার চেঞ্জ হলে রেগুলার সারকুলার অফ থাকে এবং মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর এক্সাম নেয়া বন্ধ করে দেয়। ৩৫ প্রত্যাশীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফোন এবং ইমেইল করছে শত শত যাতে এক্সাম না নেয়। আগে বয়স বাড়াবে তারপর নাকি রিসারকুলার দিতে হবে! মানে মামার বাড়ির আবদার। আমি নিজেই চাকুরির পরিক্ষার্থী!করোনার সময় অনার্স কম্পলিট করে চোখে মুখে সর্ষে ফুল দেখি। তখন অনলাইন এ ব্যাচ পড়াতাম।একটি কলেজে জব হয় টিচার হিসাবে কিন্তু বাংলাদেশে আশংকাজনক ভাবে কমার্স বেকগ্রাউন্ড স্টুডেন্ট কমে যাওয়ার কারণে আমার সেই কলেজে কমার্স শাখা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। এখন যেসব স্টুডেন্ট পড়াশোনা করে না তারাও সাইন্স নেয়।সেই চাকুরিটা গেলো।এবার ২০২২ সালে সরকারি চাকুরির প্রিপারেশন নেয়া শুরু করি। বিসিএস দেই প্রিলি টিকেছি রিটেন ফেইল।সরকারি ব্যাংকে আবেদন করি কিন্তু বিভিন্ন জটিলতা এবং করোনার কারণে ব্যাংকের পরীক্ষা শুরু হয়ে ২০২৩ সালে জানুয়ারিতে।করোনার পর মোটাদাগে বিসিএস এবং ব্যাংক ছাড়া তেমন সারকুলার নাই। বাকি সব অধিদপ্তর এবং মমন্ত্রণালয়ে সারকুলার হয় ১০/২০ পদের। ২০২২ সালের ব্যাংকের সারকুলারের ফাইনাল নিয়োগ কম্পলিট হয় সিনিয়র অফিসার ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। জেনারেল অফিসার মার্চ ২০২৪,অফিসার ক্যাশ জুন ২০২৪ সালে। অফিসার ক্যাশে আমার জীবনের প্রথম সরকারি চাকুরি হয়। সারকুলার হতে নিয়োগ ফাইনাল হতে ব্যাংকে দুই বছর এবং বিসিএসে ৩/৪ বছর লাগে।৩৫ বছর বয়সে এক্সাম দিলে নিয়োগ পাইতে পাইতে ৩৮/৩৯/৪০!মানে মাথাই নষ্ট।বেসরকারি সেক্টরে বয়স উন্মুক্ত করে দিতে পারে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: এহেন কুসংস্কৃতি থেকে বের হতেই গণবিপ্লব দরকার.... অথচ এবারের গণবিপ্লব হচ্ছে সকলের অনৈতিক দাবী পূরণের হাতিয়ার!

৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৬

রাজীব বলেছেন: জীবনের প্রথম চাকরীটা সরকারীই হতে হবে এমন কেন? আমি অনেককে দেখেছি যার ৩ বা ৪ নাম্বার চাকরী হচ্ছে সরকারী চাকরী। এর আগে তারা অন্য চাকরী করতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.