নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
যা মনে করতে চাই, তা মনে পড়ে না.....
আমি আমার জীবনের নিষ্ঠুরতম অধ্যায়/ ঘটনা অর্থাৎ গুম এবং জেল জীবন নিয়ে 'দ্যা আনটোল্ড স্টোরি' নামে একটা বই লিখেছি। আগ্রহী প্রকাশক সামহোয়্যারইন ব্লগের ব্লগার স্বরে 'অ' প্রকাশনীর মালিক স্নেহাস্পদ Abu Bokor Siddique Raju কে পান্ডুলিপি হস্তান্তরের আগে ফাইনাল এডিট এন্ড প্রুফ চলছে.... মজার ব্যাপার হচ্ছে- ২৮ অক্টোবর ২০১৮ থেকে ৭ নভেম্বর ২০১৮ কালীন সকল নির্মমতার কথা মনে আছে। মনে আছে দানব বাহিনীর সব ডায়লগও, অথচ জেলখানার বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং ফানি বিষয় মনে করতে পারছি না!
বেশ কিছুদিন না, বেশ কয়েক বছর যাবত আমার এই রকমটা হচ্ছে- যখন যে বিষয়টা মনে করতে চাই, তখন সেটা কিছুতেই মনে আসে না। অথচ যখন সেই বিষয়টার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় তখন সেটা এসে হাজির। একা নয়- এক্কেবারে দলে দলে, সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে- দাড়ি কমা সেমিকোলনও বাদ যায়না। একটু পরে আবার বিলকুল হাওয়া হয়ে যায়। তাই আমার এখন কাজ হচ্ছে- যক্ষুনি যেটা মনে আসবে সেটা লিখে ফেলা। অন্যের লেখা হলে টুকে ফেলা। এই দেখুন না, অপ্রাসঙ্গিক ভাবে এখন সত্যেন্দ্র নাথ দত্তের এই কবিতাটা- পুরোটাই হুড় হুড় করে মনে পড়ে গেল। সেই কবে যখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়তাম তখন মুখস্থ করেছিলাম। কতদিন কবিতাটার কথা মনেই ছিলো না। মনে পাড়ারও তো একটা কারণ থাকবে। আজ এই সকাল বেলা- কাউকে কুকুর কামড়ানো তো দূরের কথা রাস্তাঘাটে কোনো কুকুরের ঘেউঘেউও শুনিনি- অথচ আমার মনে পড়লো-
"কুকুর আসিয়া এমন কামড়
দিল পথিকের পায়
কামড়ের চোটে বিষদাঁত ফুটে
বিষ লেগে গেল তায়।
ঘরে ফিরে এসে রাত্রে বেচারা
বিষম ব্যথায় জাগে,
মেয়েটি তাহার তারি সাথে হায়
জাগে শিয়রের আগে।
বাপেরে সে বলে ভর্ৎসনা- ছলে
কপালে রাখিয়া হাত,
“তুমি কেন বাবা, ছেড়ে দিলে তারে
তোমার কি নেই দাঁত !”
কষ্টে হাসিয়া আর্ত কহিল
“তুই রে হাসালি মোরে,
দাঁত আছে বলে কুকুরের পায়
দংশি কেমন করে!
কুকুরের কাজ কুকুর করেছে
কামড় দিয়েছে পায়,
তা ব’লে কুকুরে কামড়ানো কি রে
মানুষের শোভা পায়?”
কবিতার নাম-
'উত্তম ও অধম'
অনুবাদ - সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
মূল লেখকঃ শেখ সাদী।
শুধু এই কবিতাই নয়, ছেলে বেলায়- যোগীন্দ্রনাথ সরকার এর "কাজের ছেলে" কবিতা মুখস্ত বলতে গিয়ে বারবার উল্টাপাল্টা করে ফেলতাম এবং উপেন্দ্রনাথ পণ্ডিতের কানমলা খেতাম.... সেই "দাদখানি চাল, মুসুরির ডাল, চিনি-পাতা দৈ, দু'টা পাকা বেল, সরিষার তেল, ডিমভরা কৈ। পথে হেঁটে চলি, মনে মনে বলি....."- নির্ভুলভাবে মনে পড়ছে!
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ইন শা আল্লাহ।
২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বয়সের সাথে স্মৃতি শক্তি কমে যাচ্ছে আমারও
বইটি বের হলে ব্লগে জানাবেন-২
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ইন শা আল্লাহ।
৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০২
ধুলো মেঘ বলেছেন: আপনাদের মত অত বয়েসে পৌছিনি, তারপরেও মাঝে মাঝে স্মৃতি বিট্রে করে।
বইটি বের হলে কিন্তু জানাবেন-৩
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: বয়সের তুলনায় বেশি কাবু হয়ে গিয়েছি টানা এগারো দিন চোখ বেঁধে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে শারীরিক মানসিক নির্যাতনে.....আমার শুধু স্মৃতি ভ্রম হচ্ছেনা, দৃষ্টি ভ্রমও হচ্ছে..৷
জ্বি জানতে পারবেন।
৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: স্মৃতি অনেক সময় আপনাকে পরিত্যাগ করতে পারে ('বিশ্বাসঘাতকতা' কথাটা সচেতনভাবেই পরিহার করলাম), নোটবই আর কলম করবে না। অতএব, টুকে রাখাটাই শ্রেয়ঃ।
নতুন বই এর জন্য আগাম শুভকামনা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাখলাম।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকালালীন,'সাপ্তাহিক মতামত' নামে একটা পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে নাম লিখিয়েছিলাম। নামে সাংবাদিক, মূল কাজ ছিলো সেই পত্রিকার জন্য বিজ্ঞাপন জোগাড় করা। তবে সাংবাদিক হবার আশায় তখন নীলক্ষেত ফুটপাত থেকে শর্ট হ্যান্ড শেখার একটা বই কিনেছিলাম....নিজের চেষ্টায় যতসামান্য শিখেছিলা। জেলখানায় যেহেতু আমি সাধারণ আসামি হিসেবে লেখালেখির সুযোগ পেতামনা। তবু্ও লুকিয়ে-চুরিয়ে সেই শর্ট হ্যান্ড বিদ্যা কাজে লাগিয়ে কিছু ঘটনা লিখে রেখেছিলাম। যা দ্যা আনটোল্ড স্টোরি লিখতে খুব কাজে এসেছে।
আপনার শুভ কামনা আমার প্রেরণা।
৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪
বাকপ্রবাস বলেছেন: এবার দেশে গিয়ে জানতে পারলাম আমার থায়রয়েড সমস্যা। সেটার কারনে আমিও কিছু মনে করতে সময় লেগে যায়, এমনও হয়যে আমার প্রতিদিনকার দেখা মানুষ কিন্তু নামটা মনে পড়ছেনা, বলতে গিয়ে নাম আর আসেনা, একটু পর মনে পড়ে
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ফি আমানিল্লাহ। আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন আপনাকে সুস্থতা দান করবেন।
৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৯
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: একেই বলে স্মৃতি বিভ্রাট । আশাকরি সামনের বইমেলায় আপনার বই প্রকাশিত হবে।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ইন শা আল্লাহ।
৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার স্মরণশক্তির খ্যাতি ছিল খুব। এখন অনেক পরিচিত মানুষের নামও মনে রাখতে পারি না, তাদের মুখোমুখি হলে বিব্রত হই। আমার নানাবিধ রোগভোগই এর কারণ হতে পারে, তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে হয়ত স্মরণশক্তিও দুর্বল হতে থাকে।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন আপনার হেফাজত করুন।
৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আশাকরি সামনের বইমেলায় আপনার বই হাতে পাবো।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: ইন শা আল্লাহ।
৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৫
মেহবুবা বলেছেন: জীবনে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা আপনার হয়েছে বা নিজ ইচ্ছায় অর্জন করেছেন! ১৮ অক্টোবর থেকে ৭ই নভেম্বর পর্যন্ত যে ঘটনা এটা একটু বাড়াবাড়ি পর্যায়ের অভিজ্ঞতা, তবে আল্লাহ ভাল জানেন কেন আপনাকে এর মধ্যে দিয়ে যেতে হোল?
আচ্ছা উত্তম ও অধম কবিতার মূল লেখক যে শেখ সাদী জানতাম না, সংগ্রহে থাকলে দেবেন। তবে কোন ভাষায় কে জানে!
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন আমার ভাগ্যে যা কিছু নির্ধারণ করে দিয়েছেন তা যে কোনো কারণ বা অকারণ ঘটবেই। তবে মানব সৃষ্ট অপরাধের বিচার ইহকাল পরকালের দুই যায়গাই প্রত্যাশা করি। একইভাবে আমি যদি জেনে বুঝে পরিকল্পিত ভাবে কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকি তার জন্যও আমার শাস্তি ভোগ করতে হবে।
'উত্তম অধম' কবিতাটি শেখ সাদী ফার্সি ভাষায় রচনা করেছিলেন তা অনেক কবি সাহিত্যিক গবেষকদের লেখায় পড়েছি। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় পেয়েছি। লিংক- https://www.facebook.com/share/p/1EQooGVJ63/
গুগল সার্চ দিলেও অনেক লিংক পাবেন।
১০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩০
জটিল ভাই বলেছেন:
বইটির জন্যে শুভ কামনা ♥♥♥
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বইটি বের হলে অবশ্যই ব্লগে জানাবেন।