নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
একজন সাধারণ পাঠক হলেও দেশী-বিদেশী আমার প্রিয় লেখক সাহিত্যিকদের তালিকা বেশ দীর্ঘ! বনফুল, যার আসল নাম- বলাই চাঁদ মুখোপাধ্যায়। শখের বশে তিনি কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও কবি। পেশায় চিকিৎসক ছিলেন।
বলাই চাঁদ মুখোপাধ্যায় যখন আই এস সি পড়তেন তখনকার কথা। একদিন বিজ্ঞান পড়ার ক্লাসে এলেন বাংলার অধ্যাপক চারুচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। অফ পিরীয়ড। এসেই বললেন- 'রচনা লেখো'।
ছাত্রদের প্রশ্ন, ‘কি লিখব স্যার? ’
স্যার বললেন, “গরুর রচনা লেখো”।
শুনেই সবার মাথায় হাত। স্যার বলছেন কী? সেই ছেলে বেলায় নিচের ক্লাসে যে গরুর রচনা লিখেছিলাম এখন উঁচু ক্লাসে, বুড়ো বয়সে গরু রচনা লিখতে হবে! কেউ কেউ মুখ টিপে হাসতেও লাগলো।
হাসলো না শুধু একটি ছাত্র। সে বললো, “স্যার, রচনা মানে গদ্য হতে হবে এমন মানে আছে কি?
স্যার বললেন, “সেরকম তো কথা নেই।”
খানিক বাদে ছাত্রটি গরুর রচনা লিখে স্যারের কাছে দিলো। ক্লাসে বসে বাকিরা তখনও ভাবছে স্যার বুঝি তাদের সাথে ঠাট্টা তামাশা করছেন। স্যার লেখাটা নিরবে পড়ে বললেন, “শোনো শোনো, কী লিখেছে তোমাদের বন্ধু...”
“মানুষ তোমায় বেজায় খাটায়
টানায় তোমায় লাঙ্গল গাড়ি,
একটু যদি দোষ করেছ
অমনি পড়ে লাঠির বাড়ি।
আপন জিনিস বলতে তোমার
নেই কিছু এই বিশ্বেতে,
তোমার বাঁটের দুধটুকু তা-ও
বাছুর তোমার পায়না খেতে।
মানুষ তোমার মাংস খাবে,
অস্থি দেবে জমির সারে,
চামড়া দিয়ে পরবে জুতো বারণ কে তায় করতে পারে?
তোমার পরেই এই অত্যাচার হে মর্তের কল্পতরু।
কারণ ? নহ সিংহ কি বাঘ,
কারন তুমি নেহাৎ গরু। ”
স্যার ছাত্রটির মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছিলেন, “অনেক বড় হও বাবা।”
বড় হয়েও ছিল সেই ছেলেটা ডাক্তার হয়েছিল- হয়েছিলেন বড়ো সাহিত্যিকও।
বাংলা ছোটগল্পের প্রানপুরুষ ‘ডা: বলাই চাঁদ মুখোপাধ্যায়’ ওরফে ‘বনফুল’।
বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ ‘গরুর রচনা'গুলোর মধ্যে আজও অবস্থান করছে এই রচনাটি....
(কয়েক বছর আগে এই ঘটনা ফেসবুকে পড়ে লিখেছিলাম)
২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: নিঃসন্দেহে।
২| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৩
জটিল ভাই বলেছেন:
ঘটনাটি সত্যিই অসাধারণ ♥♥♥
২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার লাগলো।
বনফুলের ছোটো আকারের ছোটোগল্পগুলো বাংলা সাহিত্যে অনন্য বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল। আমি তার অতিবড়ো একজন ভক্ত।
২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা আমিও ওনার ভক্ত।
৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: বনফুল আমারও প্রিয় লেখক। খুব ভোজন রসিক ছিলেন নাকি শুনেছি।
কি দুর্দান্ত মানবিক এক কাব্য- ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। কবিতা লিখলে প্যান প্যান না করে এমন লিখতে হয়।
২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত। কবিতা হতে হবে জীবনমুখী, যাতে থাকবে প্রেম প্রীতি, প্রকৃতি, দ্রোহ, মানবতা, সামাজিক রাজনৈতিক পারিবারিক, ব্যক্তি একটা মেসেজ। কতোগুলো কঠিন শব্দ পরপর বসিয়ে দিয়েই কেউ কেউ কবি বলে যান- যাবে মাথামুণ্ডু কিছুই বোধগম্য হয়না। ইচ্ছে করে ওইসব কবি নামক ছাগল গুলোকে ধরে কিলাই।
৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: গরুর রচনা আমার মুখস্ত।
২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: মুখস্ত বিদ্যা তেমন একটা কাজে লাগে না, যদি মর্মার্থ উপলব্ধি করা না যায়।
৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এইচ এস সির বিদায় অনুষ্ঠানে কয়েকটা বইয়ের মধ্যে বনফুলের (বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়) একটা বই পেয়েছিলাম। ওনার নাম হয় মনে তার আগেও শুনেছিলাম। বইটা পড়েছিলাম। কিন্তু এখন আর কিছু মনে নেই। উনি অল্প সময়ে গরু নিয়ে যে কবিতা লিখেছেন তাতেই ওনার প্রতিভার মাত্রাটা বোঝা যায়। প্রতিভাবানরা কম বয়সেই প্রতিভার ছাপ রাখেন।
২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি বনফুল কতটা ভক্ত তার প্রভাব এই ব্লগেই ওনার লেখা নিয়ে একাধিক পোস্ট!
৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩২
মেহবুবা বলেছেন: মেধাবী বটে! কত গল্প পড়েছি, এখন মনে করতে পারছি না।
২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: যেকোনো লেখকের লেখা পড়তে এবং অনুসরণ করতে অর্থাৎ মাঝেমধ্যে পড়তে হবে দীর্ঘ মেয়াদি.... তাহলে সেই লেখাগুলো হৃদয়ে স্থায়ী হবে.... তবে চিকিৎসকদের পেশাগত পড়াশোনা অত্যাধিক পরিমাণে করতে হয় বলে- অন্যকিছুর স্থায়িত্ব কম হয়। তবে বনফুল সত্যিই মেধাবী বলেই চিকিৎসা পেশা এবং সাহিত্য চর্চা সমানভাবে চালিয়ে গিয়েছিলেন।
৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৭
এসো চিন্তা করি বলেছেন: ভাই আমি নতুন। আমার লেখা পড়বেন আর সাপোর্ট দিবেন
২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ভালো লেখা অবশ্যই পড়বো।
৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আপনি বলাই থেকে ভালো লিখবেন গরুর রচনা।
২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন:
১০| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪
শায়মা বলেছেন: বাহ !!! আমিও মুগ্ধ!!!
২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
১১| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রতিভাবানরা জীবনের সব ক্ষেত্রেই অনন্য।
২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
১২| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫
সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: চমৎকার রচনা খুব ভালো লাগলো
২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: পড়া হয়নি এই কবিতা আগে। ভাল লাগল
২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: উচ্চমানের গোরু বিষয়ক কবিতা