নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
"আমি কে?"
মাত্র কয়েক দিন আগে লিখে ছিলাম- কে আমি? আজ লিখছি- 'আমি কে? দুটোর মধ্যে পার্থক্য দুস্তর। কে আমি হচ্ছে- আমার আমিত্ববোধ। আর 'আমি কে' হচ্ছে- পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র এবং জগৎ সংসারে আমার কি অবদান। আমার অবস্থান।
আসলে আমি কেউ নই, নীতিজ্ঞান হীন, অস্তিত্বহীন এক রক্ত মাংসের কাঠামো! যতক্ষণ 'আমি' শব্দটা নিজের মধ্যে থেকে মুছে না ফেলা যায় ততক্ষণ 'আমি' শব্দটা একটা সত্তার ধ্বংসের বীজ বপন করতেই থাকবে। অতএব, প্রশ্নটা করা উচিত ছিল- "আমরা কে?"
আমরা নিজেদের পরিচয় দিতে গেলে সারা দিন লেগে যাবে, তবুও সম্পূর্ণভাবে নিজেদের পরিচয় দিয়ে যেতে পারবো না। আর এই আমাদের মধ্যে থেকে আমরা আমাদের নিজস্ব পরিচয় বহন করলেও এত ভীড়ের মাঝে অন্যরকম হয়ে উঠতে হলে নিজেদের ভাবনা এবং বোধের পরিবর্তন আনতেই হবে। জীবনে যশ খ্যাতি প্রাপ্তি বড় কথা নয়। বড় কথা- অনুকুল এবং প্রতিকুল পরিস্থিতিতে নিজেদের সঠিক অবস্থান কে বজায় রাখা। আর সেরকমই কিছু একটা আজ আবার করলাম। অতীতেও করেছি, ভবিষ্যতেও করবো।
কারণ, আমি এই সমাজের প্রতিকী বুদ্ধিজীবি দেখতে দেখতে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছি। যারা নীতির বুলি আওড়ে যায়, অথচ নিজেরা উদাহরণ হয়ে উঠতে পারেনা। যারা ট্রাফিকে দুধের শিশুকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলাকে সাহায্যের হাত না বাড়িয়ে তাকে নিয়ে কবিতা লিখে তুমুল ঝড় তোলেন, যারা হোটেলের লাউঞ্জে ড্যান্স করে ডিনার সেরে ফিরবেন অথচ উদ্বৃত্ত পয়সায় সারা জীবনে একজন ক্ষুধার্তকেও এক বেলা ভাত খাওয়ান না, যারা অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে নিজেরা ম্যান কাইন্ড কোম্পানির সাহায্য নিয়ে STD রোগ থেকে দূরে থেকে ফার্স্ট ডিসেম্বরে বিশ্ব এইডস দিবস পালনে বড় বড় লেকচার মারে, যারা রাস্তা ঘাটে ভীড় দেখে অতিমারীর প্রকোপের কথা ভেবে চিন্তিত অথচ ব্যবস্থা শিথিল হওয়ার পশ্চাদের আসল দিকটিকে নিয়ে জোরালো আওয়াজ তুলতে চান না তাদের বুদ্ধিজীবী হিসেবে মেনে নিতে আমার ঘৃণা হয়। এমন উদাহরণ দিতে গেলে লেখা দীর্ঘ হয়ে যাবে। আসলে এনারা আলোর পৃথিবীর লোক, এনারা উঁচু ডায়াসে একটা সংরক্ষিত আসনের প্রত্যাশী। এনারা আর যাই করুন না কেন নিজের জামার কলারে দাগ লাগাতে দেন না। ভুলে যান যে উনার জামার ভেতরের দিকে কোনদিনও আলো পৌঁছায় না, সেদিকটা চিরায়ত অন্ধকারময়। যেখানে অন্ধকার সেখানে না পৌঁছাতে পারলে আপনি জানবেন কী করে যে অন্ধকার কে দূর করতে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
আসুন সাহেব, আসুন বিবি গাড়ি থেকে নেমে রাস্তায় আসুন, হাঁটুন দুই কিলোমিটার, কথা দিচ্ছি দুই কিলোমিটারে জীবনের সব ধ্যান ধারণা আপনার পাল্টে যাবে। লিঙ্গুইসটিক বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতি চার কিলোমিটারে যেমন ভাষার মধ্যে পরিবর্তন ঘটে ঠিক তেমন ভাবেই প্রতি দুই কিলোমিটারে আপনি সমাজের একটা সম্যক চিত্র কিভাবে পাল্টে যাচ্ছে সেটা বুঝে যাবেন। ফালতু স্ট্যাটাস বাজি করে ব্লগে, ফেসবুকে সময় নষ্ট করবেন না। ওগুলো আমাদের মত দুই পয়সার ভাট মার্কা বাঁচাল লোকজনদের করতে দিন, কারণ আমাদের সময় আমাদের কাছে মূল্যবান নয়, সমাজেরও কোনো কাজে আসবো না। আমরা হলাম সেই প্রজাতির লোকজন যারা আছে আর নেই এর মধ্যবর্তী স্থানে নিজেদের অস্তিত্ব নিরুপণ করতে করতে একটা ছয় সাত দশকের জীবন কাটিয়ে দেয়। কিন্তু আপনাদের কাছে আপনাদের সময় বেশ মূল্যবান, আপনারা সমাজের মূল্যবান মনি মাণিক্য, কর্ণধার, আর সমাজের আমাদের মত সহজ সাধারণ মানুষেরাই আপনাদের এই স্থানে পৌঁছে দিয়েছে। তাই আপনারা আপনাদের সময়ের সঠিক ব্যবহার করুন এবং সেটা সঠিক ভাবে করুন। নৈতিকতা, মানবতা, সহানুভূতিশীল, সর্বপরি দৃঢ় চেতা হয়েই করুন। উদাহরণ হয়ে দেখান, সমস্যা তুলে ধরার দায়িত্ব যদি নিয়েই থাকেন তবে আপনার দৃষ্টির প্রতিফলন সার্বিকভাবে হোক, নচেত সেটা অনেক খেলো হয়ে যাবে। সমস্যা দেখানোর সাথে সাথে সমস্যা নিবারণের কাজে এগিয়ে আসুন।
নচেত সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব স্ট্যাটাস আমার কাছে ইয়ে মার্কা স্ট্যাটাস হয়ে ওঠে I আর তখনই আমি ঐসব বুদ্ধিজীবিদের সিম্বলিক স্ট্যাটাস কে নস্যাৎ করে দিতেও পিছপা হইনা ,কারণ যে কথা শুধু কিছু শব্দের সমষ্টিগত রূপ হয়েই থেকে যায় সেই কথা ভিত্তিহীন না হলেও সেই কথা মূল্যহীনI মূল্যহীন কথার সাথে সহমত হয়ে বুদ্ধিজীবিদের সাহচর্য লাভ করে ওই চুম্বকীয় তত্ত্ব অনুযায়ী নিজেকে বুদ্ধিজীবীদের ব্লক হিসেবে গড়ে তুলতে আমি ঘৃণা বোধ করিI এর চেয়ে বরং আমি সমাজের সেইসব কান্ডজ্ঞানহীন মানুষের দলেই সামিল থাকবো- যারা আমার মতো সাধারণ মানুষ।
২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: পরে সময় করে পড়বো।
২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ওকে।
৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: আপনি এক কিসিমের ভন্ডদের কথা বললেন আমি আরেক কিসিমের ভন্ডদের কথা বলতে চাই। এত বড় একটা বিপ্লব হয়ে গেল। কিন্তু ফেসবুকে পরিচিত অনেক মানুষকে একটা টূ শব্দ করতে দেখি নাই সেই সময়ে । কিন্ত এরাই আবার সারাক্ষন ঘুরে বেড়ানোর ছবি দেয়!! জীবনে কত উন্নতি করেছে , কি অর্জন করেছে তা দিনরাত শো অফ করছেে !! মনে হয় যেন দেশ, জনগন তাদের চিন্তা চেতনার কোথাও নাই। এতটা নিস্পৃহ হয় কি করে মানুষ ?
২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: এতো লুটপাট করেও, এতো মানুষ হত্যা করেও আপনাদের অনুশোচনা হয় না, সেখানে ব্যক্তি পর্যায়ে কেউ শো অফ করে সেটা একান্তই ব্যক্তিগত অনৈতিকতা, অপরাধ নয়।
৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: কথা ঠিক- আমারও সেমত
২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০১
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২২
সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: ঠিক কথা বলেছেন আমিও আপনার সাথে একমত
২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০১
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৭
কামাল১৮ বলেছেন: যৌবনে সারা বাংলাদেশই হেঁটেছি।এখন এই আশির কাছাকাছি এসেও রোজ চার চার কিলোমিটার হাটছি একটা সুন্দর পার্কে।কোন উপকারই পাচ্ছি না।
সমাজ রাষ্ট্র সম্পর্কে কিছুই জানি না।হেটে হেটে আর কবে জানবো।মরার পরে।
২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ (আমি আমার বিশ্বাসে শুকরিয়া আদায় করেছি, তাতে আপনার কোনো ক্ষতি হবেনা) ৮০ বছর! "সুস্থ থাকার জন্য হাঁটুন, বেশী দিন বাঁচতে দৌড়ান"- প্রবাদটা আপনার জীবনের উদাহরণ। তারপরও বলছেন- হেঁটে কিছুই পেলেন না।
কবি জীবনানন্দ দাশ হাজার বছর হেটেও গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি। আর আপনি চার কিলোমিটার হেটেই উপকার আশা করেন। আমার কাছে মনে হয়, হাজার বছর ধরে এমন একজনকে আমরা খুজে বেড়াই যাকে পেলে পৃথিবীর সব কিছু অন্ধকার হলেও সে জলজল করে জলবে বনলতা সেনের মতো। আসুন, কবি জীবনানন্দ দাশের এমন মগ্নতায় হারিয়ে যাই।
৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাই থটের ব্যাখ্যা দিয়ে শুরু করেছেন। আমি কী লিখবো বুঝতে পারছি না।
আমার চাচা একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। সারাজীবন দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে গেছেন। আমি আরো অনেক মুক্তিযোদ্ধা দেখেছি, যাদের অবস্থা খুবই শোচনীয় ছিল। আমরা কাগজপত্রেও অনেক মুক্তিযোদ্ধার কথা শুনেছি, যাদের জীবন ছিল দুর্বিষহ দুঃখকষ্টে ভরপুর। একদিন কোনো এক প্যাথলজিতে ব্লাড দিতে গেছি। আমরা কয়েকজন পরিচিত ছিলাম, কথা বলছিলাম, বিষয় ছিল মুক্তিযোদ্ধা। হঠাৎ এক ব্যক্তি সহাস্যে এগিয়ে এসে পরিচয় দিলেন, তিনি সদ্য অবসরে যাওয়া একজন সিনিয়র সচিব এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমি হাত বাড়িয়ে তার সাথে হ্যান্ডশেক করে বলি, জেনে খুবই ভালো লাগলো স্যার, আপনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। কথায় সামান্য পজ দিয়া জিজ্ঞাসা করি, স্যার, আপনি কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন? তার উত্তরে আমি নিজেই লজ্জা পেতে শুরু করলাম। তিনি প্রায় আমতা আমতা করে বলতে লাগলেন, অনেক পুরোনো কথা তো, সঠিক মনে নাই কোন সেক্টরে ছিলাম। আমি জানি না, একজন মুক্তিযোদ্ধা ভুলে যেতে পারেন কিনা, কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন। তার সার্টিফিকেট থাকার কথা, সেখানে সব ডিটেইল থাকার কথা। আমার এক মুক্তিযোদ্ধা মামার সাথে আমি কয়েকদিন ঘুরেছি সিএমএইচে তার চিকিৎসার সময়ে। সেই মামা গড়গড় করে যুদ্ধের কাহিনি বলতে থাকেন (যেমন আমার চাচাও বলতেন)। তার বিভিন্ন সার্টিফিকেট সুন্দর করে গুছিয়ে রেখেছেন, যেখানে যাবতীয় তথ্য সন্নিবেশ করা আছে। মামা কবে, কোন জায়গায় সৈনিক হিসাবে যোগ দিলেন, কীভাবে কার সাথে আগড়তলায় গেলেন, কতদিন ট্রেনিং করে কোথায় বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দিলেন, সব তার ঠোঁটস্থ। অথচ এই সিনিয়র সচিব মহোদয় সেক্টরের কথাটা বলতে পারলেন না! আমি বিশ্বাস করতে চাই যে, তিনি একজন সত্যিকারেই মুক্তিযোদ্ধা। তবে, যে-কথাটা বলার জন্য এত বড়ো কমেন্ট তা হলো, আমাদের একটা বড়ো শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন এর মতো, যারা হয়ত কোনোদিন ব্যাটেল ফিল্ডেই যান নাই, ভারতে বসে ট্রেনিং নিয়েছেন, যুদ্ধ শেষে দেশে এসে বড়ো মুক্তিযোদ্ধা বনে গেছেন, আর সেই অজুহাতে প্রথম সারির নেতা বনে গেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তিও হয়ে গেছেন।
যারা বেশি জ্ঞান জাহির করেন, পাণ্ডিত্য দেখান, অনেক ক্ষেত্রেই তাদের গ্রাউন্ড নলেজ খুব সীমিত দেখা যায়। মাঠের মানুষ আর পাঠের মানুষের অভিজ্ঞতায় বিস্তর ফারাক।
অনেক সুন্দর একটা পোস্ট।
২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি ভাবতেই পারিনা, কোনো মুক্তিযোদ্ধা ভুলে যেতে পারে- কোথায় কোন সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন! আমি অনেক কিছুই ভুলে গেলেও মুক্তিযুদ্ধের খুটিনাটি সব আমার অন্তরে গেঁথে আছে।
ধন্যবাদ সোনা ভাই।
৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪
জটিল ভাই বলেছেন:
♥♥♥
২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৩
এসো চিন্তা করি বলেছেন: ভালো লিখেছেন ভাই
আমার লেখা পড়ার আমন্ত্রণ রইলো ☺️