নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতির সেই পথে আজও......

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪২

স্মৃতির সেই পথে আজও......

আজ একটা কাজে ধানমণ্ডি গিয়েছিলাম....
ধানমণ্ডি ছয় নম্বর রোডে ধানমণ্ডি মডেল থানা....এখন আর একতলা ভবন নাই। চারতলা সুদৃশ্য ভবন। তার পশ্চিম পাশের বহুতল আবাসিক ভবন- আমার স্মৃতিতে আজও অম্লান!
একটা সময় যে জায়গাটা যে মানুষটা আর যে অভ্যাসগুলো ছাড়া জীবনটাকে ভাবাই যেতো না, বলতে গেলে প্রায় অসম্ভবই ছিলো
এখন কিন্তু সেইসবকিছু ছাড়াই দিব্যি চলে যায়। সময়ের সাথে সাথে কি অদ্ভুতভাবে সম্পর্কগুলো চোখের সামনে দিয়ে শেষ হয়ে যায়.....

মনে হয় এইতো সেদিন- আমার খুব কাছের একজন আমাকে বলেছিলো, মানুষ কি কারনে অন্যসব প্রানী থেকে আপডেট- জানো,কারন সে মিথ্যা বলতে পারে, গল্প বানাতে পারে, যদিও কথাটা প্রথম প্রথম মেনে নিতে আমার খুব কষ্ট হয়েছিল,
তবে সেটা বড় অপ্রিয় সত্য।

"তুমি শুধুমাত্র একটা সিদ্ধান্ত দূরে
একটা ভিন্ন জীবন থেকে।"- Mark Batterson

তাই একটা সিদ্ধান্ত নিও এবং ভিন্ন একটা জীবনে চলে যেও।
দুঃখে থাকলে দুঃখী অবস্থায় সুখ প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে শুধুমাত্র একটা সিদ্ধান্ত নিও এবং সুখী জীবনে চলে যেও।
ভালো থেকো, ভালো রেখো।
পজিটিভ থেকো এবং পজিটিভ মানুষদের সাথে থেকো।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ- নেগেটিভ মানুষদের থেকে দূরে থেকো এবং তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজেকে নেগেটিভ মানুষ হতে না দেওয়া।
মনে রেখো- সবাই আমি না।

"BE HAPPY AND SPREAD HAPPINESS THROUGHOUT."
আর তার সাথে এটাও একটা তিতা সত্য যে মানুষ খুব সহজেই সব ভুলে যায়, পাল্লা দিয়ে সময়ের সাথে জীবনের প্রয়োজনে সবকিছুই মুছে ফেলে...বদলে ফেলে সেলফোন নম্বর, বাড়ির ঠিকানা কিন্তু সব স্মৃতিই কি মুছে ফেলা যায়?


(যাহার জন্য প্রযোজ্য)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মানুষ কী কারণে অন্যসব প্রাণী থেকে আলাদা? সত্যিই, খুব ভাববার বিষয়। তবে আমার এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে, মানুষের মধ্যে সব ধরনের বৈশিষ্ট্যই পাওয়া যাবে, যা অন্যসব প্রাণীর মধ্যেও আছে - হিংস্রতা বা নমনীয়তা, উভয় অর্থেই।

তুমি শুধু একটা সিদ্ধান্ত দূরে, একটা ভিন্ন জীবন থেকে। এটাও ভাবাচ্ছে।

তাই একটা সিদ্ধান্ত নিও এবং ভিন্ন একটা জগতে চলে যেও। এ কথাটা অনেক বিষণ্ণ ও নস্টালজিক করলো আমাকে। মনে হচ্ছে, কেউ একজন আমাকে এ কথাটা বলার জন্য অনেক অনেক ব্যাকুল হয়ে উঠেছিল, কিন্তু বলার সুযোগ পায় নি, আজও পায় নি, অথচ আমি একটা ভিন্ন জগতে চলে এসেছি, আর সেও একতা অন্য জগতেই পড়ে আছে। এখনো নদীপাড়ে ঝড় বয়ে যায়।

'যাহার জন্য প্রযোজ্য।' জানি না কার জন্য প্রযোজ্য, তিনি এ ব্লগে আছেন কিনা। এও জানি না, সারফেস মিনিঙের গভীরে অন্য কিছু বোঝাতে চেয়েছেন কিনা। তা হয়ে থাকলে সেটি ধরতে পারি নি।

শুভেচ্ছা রইল প্রিয় জুল ভার্ন ভাই।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২১

জুল ভার্ন বলেছেন: সোনা ভাই, জগতে প্রত্যেকেই তার স্বার্থ বোঝে। প্রাণী জগতে প্রত্যেকেরই এমন আচরণ।
তবে মানুষের বেলায় এই স্বার্থপরতার বহিঃপ্রকাশ ভীষণ উগ্র। আসলে মানুষের তো চিন্তাশক্তি প্রখর । সে কম্পিউটারে প্রোগ্রামিং বানাতে জানে। সে কম্পিউটারকে নিজের মতো করে চালাতে জানে। তাই সে মনে করে আমার জীবনেও কেন পছন্দমত আমি চালাতে পারব না? আমার ভালোলাগা, আমার পছন্দ সবকিছুতেই আমি আর আমি। আর এই আমিত্ব এক অন্ধ স্বার্থপরতার জন্ম দেয়।

এই স্বার্থপরতা মানুষের আচরণকে কখনো কখনো পশুর চেয়েও নিচে নামিয়ে আনে। কারণ পশুরা শুধুমাত্র তার খাদ্য আশ্রয় কেন্দ্র করেই বেঁচে আছে। তাদের লড়াইও সীমাবদ্ধ শুধুমাত্র এই দুইটি বিষয়কে কেন্দ্র করে। কিন্তু সীমাহীন লালসা আর আকাশ ছোঁয়া লোভ মানুষকে এমন এক মানসিক আবর্তে আবদ্ধ করে ফেলেছে যে তার আত্মকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনার বাইরে বেরিয়ে অন্য কোন চিন্তার যেন অবকাশ নেই। আপনি যদি প্রতিদিনের অফিস যাত্রীদের লোকাল বাসে ওঠার সময়ের যে আচরণ তা একটু দূর থেকে খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন, ছোট্ট একটু স্বার্থের জন্য আমরা মানুষরা কত হীন কাজ করে ফেলি। সহযাত্রীদের সঙ্গে বসার সিট নিয়ে এমন আচরণ করে বসি, যে মনে হয় আমরা যেন কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি যেন হাতছাড়া না হয়ে যায় তার জন্য লড়াই চালাচ্ছি। ছোট্ট একটা ঘটনা মাত্র দেড় দু'ঘণ্টার যাত্রা পথ তার জন্য আমরা এমন কাজ করি যে পরবর্তীতে যদি সত্যিই কোনদিন ঠান্ডা মাথায় আমাদের কাজের বিশ্লেষণ করার অবকাশ হয়, তাহলে মনে হবে সত্যিই কি আমি স্বার্থপরতার ঊর্ধ্বে? যারা এমন কাজ করেন তাদেরও এক অদ্ভুত যুক্তি আছে। তারা বিশ্বাস করেন যে তাদের এমন স্বার্থপরতা আচরণ তার নিজের অধিকার রক্ষা করার জন্য। তারা তখন বলেন অধিকার রক্ষার লড়াইকে স্বার্থপরতার সঙ্গে তুলনা করা চলে না। নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য আমি অন্য একজনকে ঠকাতে পারি। বঞ্চিত করতে পারি। কৌশলে প্রতারণা করতে পারি অথচ এই আমিই যদি কোনদিন সুযোগ পাই, চায়ের দোকানে বা পাড়ার কোন গোলটেবিল বৈঠকে তাহলে মানুষের যে স্বার্থ ত্যাগ করা উচিত তার স্বপক্ষে কত যে জ্ঞানগর্ভ যুক্তি খাড়া করতে পারব তার ইয়াত্তা নেই। স্বার্থ শেষ হয়ে গেলেই নিজেকে বেমালুম বদলে ফেলি....আসেপাশের সবার সাথে ভালো সম্পর্ক রেখে নিজেকে মহিমান্বিত করি, ভালো মানুষের ভান করে চলি...কিন্তু যে মানুষটাকে কেন্দ্র করে কতোই না স্বপ্ন দেখিয়েছে তাকে স্বভয়ে, সজ্ঞানে এড়িয়ে চলে... কতো বড়ো মোনাফেক হলেই তা করা সম্ভব! আসলে আমরা মানুষ তো!


এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলিব্রিটি সেজে সক্রিয় আমরা সবাই.... শুধু নিজের কদর্যতা ঢেকে রাখা.....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.