নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন দ্য শর্টনেস অভ লাইফ.....

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:১৬

অন দ্য শর্টনেস অভ লাইফ.....

জীবনের বিভিন্ন সময় আমরা প্রায়ই এ ধরনের কথা বলে বা শুনে থাকি, 'জীবন খুব ছোট' বা 'সময় খুব দ্রুতই চলে যায়', কিংবা 'পরে জীবন উপভোগ করব, এখন কাজ করার সময়'।

সমাজের সকল স্তরের মানুষের কথা চিন্তা করলে দেখা যাবে যে, এই কথাগুলো কোনো একটি শ্রেণির মানুষের মুখের কথা নয়। ধনী থেকে গরিব, শিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিত সবাই যেন জীবনের এই বৃত্তের কাছে এসে নিজেকে নিরুপায় মনে করে। সময় বদলেছে, বদলাচ্ছে; জ্ঞান-বিজ্ঞানের জগতে আসছে নতুন নতুন পরিবর্তন ও পরিবর্ধন। সমাজ বদলেছে, ইতিহাস বদলেছে, বদলেছে আমাদের জীবনধারা। কিন্তু বদলায়নি জীবনের ধ্রুব বাস্তবতা। আর তাইতো জীবনের ক্ষুদ্রতা, সময়ের গতি নিয়ে মানুষের এত অভিযোগ।

আজ থেকে দু' হাজার বছর আগে গ্রিক দার্শনিক সেনেকা 'অন দ্য শর্টনেস অভ লাইফ' বই লিখেছিলেন। মজার বিষয় হলো তিনি তার বইয়ে সে সময়ের মানুষের জীবন উপলব্ধি নিয়ে যে কথাগুলো বলেছেন, মানুষের যে মনের কথাগুলো বলেছেন, তার সাথে দু' হাজার বছর পর এসেও আমাদের বর্তমান সময়ের চিন্তাধারার কোনো পার্থক্য দেখা যায় না।

রোমান দার্শনিক সেনেকা বলেন- "মানুষ অভিযোগ করে 'জীবন খুব ছোট'; কথাটি ভিত্তিহীন। এমন নয় আমরা বেঁচে থাকার জন্য ক্ষুদ্র সময় পাই বরং জীবনের অধিকাংশ সময় আমরা নষ্ট করি।"

সেনেকার মতে বলা যায়, আমরা এমন সব কাজ করি যার কোনো মূল্য নেই। অধিকাংশ মানুষই নিজেদের বন্ধু-বান্ধবের সাথে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা তাদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনি। এমন মানুষের সাথে মিশি, যারা জীবনে কোনো নতুন মাত্রা দিতে পারে না। কে কী করেছে, তা নিয়ে ব্যস্ত থাকি। গুজবে কান দিই।

আধুনিক যুগে এসে আমরা একই কাজ করি কিন্তু ভিন্নভাবে। মোবাইল ফোনে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দিই। সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যের জীবন কেমন যাচ্ছে, তা স্ক্রল করতে করতে পার করে দিই সময়। সেনেকার মতে, আমরা এমন সব কাজ করে সারা জীবন পার করি যা নিজেরাই পছন্দ করি না।

ছাত্র অবস্থায় ভাবি চাকরি জীবন সুখের হবে এখন কষ্ট করি, চাকরি জীবনে এলে ভাবি প্রমোশন পেলে বাড়ি গাড়ি হলে সুখী হব এখন কষ্ট করি। এভাবে ভবিষ্যতের পেছনে ছুটতে ছুটতে একসময় এসে জীবনের শেষ প্রান্তে চলে যাই। এরপর উপলব্ধি সারা জীবন ব্যস্ত ছিলাম, জীবন খুব ছোট।

আসলে জীবন ছোট নয় বরং নিজেদের অদরকারি কথাবার্তা, অপছন্দের কাজ, আসক্তির পেছনে সময় ব্যয়, অন্যের স্বপ্নের পেছনে সময় ব্যয় করার পরিমাণ মিলে জীবনের বড় এক অংশ চলে যায়। বাঁচা আর অস্তিত্ব টিকে থাকা এক নয়। একটি ১০০ ওয়াটের বাল্ব যে পরিমাণ আলো দেয় আর বাল্বটিকে কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে দিলে যে আলো পাওয়া যাবে তা সমান নয়। কিন্তু বাল্বটি দুই অবস্থাতেই সমান শক্তি খরচ করবে। মানুষের জীবন ক্ষুদ্র নয়। বরং জীবনভর করে চালিয়ে যাওয়া অপ্রয়োজনীয় আড্ডা, আসক্তির পেছনে সময় ব্যয় করা কিংবা নিজের অপছন্দের কাজটি করেই জীবন পার করে দিলে যে পরিমাণ সময় যোগ হয় সেই সময় ফিরে পাবার নয়।

সেনেকার মতে, আমরা টাকার খরচ করার সময় কৃপণ কিন্তু সময় নষ্ট করার সময় উদার। বন্ধুকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে অনীহা প্রকাশ করলেও কখনো সময় দিতে কার্পণ্য করি না। কিন্তু নিজ জীবনের এই সময় নষ্ট করলে যে তা আর ফেরত পাওয়া যাবে না এই মৌলিক উপলব্ধিতে সমস্যা। এই কারণে সেনেকা বলেছেন, "জীবনকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে জানলে জীবন যথেষ্ট লম্বা।"

স্বপ্ন বনাম জীবনঃ
মানব জীবনের বড় একটা দিক হল স্বপ্ন। সেনেকার মতে, মানুষ সময়কে বস্তুর মত করে দেখতে পারে না। যার ফলে সময়কে পরিমাপ করা বা এর গতির সম্বন্ধে অনুমান করার ক্ষেত্রে অনেকেই অপটু। অনেক উচ্চ-পদস্থ, বিজ্ঞ লোকও জীবন নিয়ে হতাশ হয়ে থাকে।

আমাদের চারপাশে তাকালে এমন উদাহরণ অহরহ দেখা যাবে। সারা জীবন পরিশ্রম করেছেন বড় কিছু পাবার আশায়। কিন্তু শেষ বয়সে এসে নিজের উপার্জিত সম্পদ ভোগ করার আগেই মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়ে পড়েন। চীনে কিছুদিন আগে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে মধ্যবিত্ত ও গরিবদের থেকে ধনী ব্যক্তিদের জীবনে হতাশা আর অশান্তি বেশি। গ্রিসের রাজা অগাস্টিন দেশটির সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতেন। অথচ নিজে সবসময় একটু অবসর পাবার জন্য আফসোস করতেন। ফরাসি নেপোলিয়ন ইউরোপ জয়ের স্বপ্নে মগ্ন থেকে তার জীবনের শেষ অংশ কেটেছিল কষ্টে।

এই প্রসঙ্গে সেনেকার মত হলো, মানুষের তার জীবন নিয়ে বাস্তবসম্মত চিন্তা করা উচিত যা সে অর্জন করতে পারবে। নিজের সামর্থ্য আর ক্ষুদ্রতার বিষয় মাথায় রেখে কাজ করা উচিত। জীবন নিয়ে উচ্চাকাংখা দোষের কিছু না, কিন্তু যে স্বপ্ন বা যে কাজ আপনাকে স্বস্তি দেয় না, শান্তি দেয় না সেই স্বপ্নের পেছনে ছোটা অবশ্যই পরিত্যাগ করা উচিত। তার মতে, আমরা বড় স্বপ্নের পেছনে ছুটতে গিয়ে মৃত্যুর কথা ভুলে যাই, এমন সব অলিক লক্ষ্যের পেছনে ছুটি যা একজীবনে অর্জন করা কখনই সম্ভব নয়।

বর্তমান মুহূর্তে বাঁচাঃ
সেনেকার মতে, আমাদের জীবনে রয়েছে তিনটি ধাপ। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। অতিতে যা হয়েছে তা পরিষ্কার। ভবিষ্যতে কী হবে তা অনিশ্চিত। মানুষ শুধু বেঁচে থাকে বর্তমান সময়ে।

অতীত নিয়ে আপনি যতই ভাববেন আপানার মধ্যে ক্ষণিকের আনন্দ বা কষ্ট কাজ করবে। কিন্তু অতীতে আপনি চাইলেও ফিরে যেতে পারবেন না বা কোনো কিছুর পরিবর্তন করতে পারবেন না। ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনি যতই চিন্তা-ভাবনা পরিকল্পনা করেন না কেন, কী হতে চলেছে সামনে তা অনিশ্চিত।

মানুষ শুধু বর্তমান সময়ে বেঁচে থাকতে পারে। আপনার জীবনের যত সুখ, দুঃখের অনুভূতি শুধু বর্তমানেই পাওয়া যায়। যদি আপনি ভেবে থাকেন যে আগামীকাল 'এই' কাজ বা 'ঐ' কাজটা করবো, বস্তুত কাজ করার সময় আপনার বর্তমান সমতাতেই বেঁচে থাকবেন।

আপনি হয়তো অতীতের কোনো ঘটনা মনে করে সুখ বা দুঃখ পাচ্ছেন। বস্তুত এই সময়ও আপনি বর্তমানেই থাকছেন।

এই বইটিতে সেনেকার মূল বার্তা হলো, বর্তমান সময়টাই হলো আমাদের প্রকৃত জীবন। অতীত বা ভবিষ্যৎ হল একটি ধারণা মাত্র। এই বর্তমানে বাঁচতে বাঁচতেই এক সময় জীবনের কাঁটা শেষ হয়ে যায়। তাই নিজের জীবনকে এমনভাবে গুছানো উচিত যাতে করে আপনার প্রতিটা 'বর্তমান' মুহূর্ত আপনার মত করে কাটে। আপনার স্বপ্ন বা কাজ হওয়া উচিত এমন কিছু যা করে আপনি জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত নিজের মত করে আনন্দ উপভোগ বের করে আনতে পারেন। সেসব কাজ করা উচিত যা আপনার কাছে আপনার জীবনকে মূল্য বহুল করে তুলবে। আপনার স্বপ্ন আর চাওয়া একান্তই নিজের। তাই নিজের মত করে বাঁচতে গিয়ে দশে কী করে দশে কী বলে সেসব দিকে না তাকানো বুদ্ধিমানের কাজ।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: জীবন থেকে বলছি” অধিকাংশ সময় আমরা আসলে নষ্ট করি।” সকালেই অসাধারণ একটি পোস্ট পড়লাম।
এই পোস্ট হতে আমার লার্নিং হলো- নিজকে এখন হতেই শুধরে নিয়ে সামনে পথ চলতে হবে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৩৭

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার এই মঅন্তব্যের মতো মন্তব্যগুলোই লেখালেখি করতে প্রেরণা জোগায়।

শুভ কামনা ব্লগের অন্যতম প্রিয় লেখিকা। ❤️

২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

কামাল১৮ বলেছেন: আমরা শুধু বর্তমানে বাঁচি।অতিতেও না ভবিষ্যতেও না।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

জুল ভার্ন বলেছেন: ভাইজান, আপনার কথা মানছি, তবুও আমরা বর্তমান জীবনে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারি।

৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

সেনেকার শেষ জীবন কি সাফারিংস কেটেছে?

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:০৫

জুল ভার্ন বলেছেন: এত ট্র্যাজেডি যার কলম থেকে বেরিয়েছে, তাঁর জীবনটাও ঐ ট্র্যাজেডি দিয়েই শেষ হয়েছিলো।

৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: অতীতে আপনি চাইলেও ফিরে যেতে পারবেন না বা কোনো কিছুর পরিবর্তন করতে পারবেন না। ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনি যতই চিন্তা-ভাবনা পরিকল্পনা করেন না কেন, কী হতে চলেছে সামনে তা অনিশ্চিত।
চমৎকার কথা। মানুষ আসলে সব সময় একই রকম জ্ঞানী।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:০৮

জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে জীবনের সব কিছুই অনিশ্চিত, একমাত্র মৃত্যুই নিশ্চিত! মৃত্যু মানেই জীবনের সমাপ্তি।

৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০২

কামাল১৮ বলেছেন: আপনার কি মনে হয় আপনি অতিত থেকে কোন শিক্ষমা নিয়েছেন।নিয়ে থাকলে সেটা কি?বর্তমানেই সুন্দর করে বাঁচুন।
মানুষ আসলে সব সময় একই রকম জ্ঞানী।কথাটি সত্য নয়।ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহন করা কথাটি তা হলে মিথ্যা হয়ে যায়।স্কুলে পড়া ছাত্র,কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ছাত্র কি সমান জ্ঞানী।আসলে জ্ঞান বলতে কি বুঝায়।জ্ঞানের সংজ্ঞাই বা কি?

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার মতে শিক্ষা হচ্ছে একটা চলমান প্রচেষ্টা, যার কোনো প্যারামিটার নাই। কাজেই আমি অতীত থেকে কি শিখেছি তা বলতে পারবো না, তবে অতীতে করা ভুলগুলো শুধরে বর্তমানকে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করছি। হ্যা, বর্তমানই জীবন। অতীত ইতিহাসের ছেড়া পৃষ্ঠা, ভবিষ্যত অনিশ্চিত।

জ্ঞান বলতে কোন বিষয় সম্পর্কে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক শিক্ষা থাকাকে বুঝায়। এটা বহিঃপ্রকাশ ধরনের হতে পারে (যেমন ব্যবহারিক গুনাবালী সম্পন্ন বা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন) অথবা বহিঃপ্রকাশ ধরনের নাও হতে পারে (যেমন কোনো বিষয়ে শুধু তাত্ত্বিক দিকটি বোঝা); এটা কম বা বেশি ফর্মাল বা নিয়মার্বতিতা সম্পন্ন হতে পারে এবং অভিজ্ঞতার সংযোজন জ্ঞানের বর্তিকা।

৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২০

BM Khalid Hasan বলেছেন: স্বপ্নের কথা বলবো যে, একটা বড় অংশের তরুণেরা নিজের স্বপ্ন তৈরি না করে অন্যের মত হতে স্বপ্ন দেখে, একারণে কাজেও মজা পায় না, জীবনকেও উপভোগ করে না। যেমনঃ ফ্রেন্ড একটা কিছু করে বাহবা পাইসে, তাই তারও ফেম পেতে হলে সেটা করতে হবে এরকম ধারণা রাখে। আমার মতে ছোট থেকে বাবা মার সন্তানকে এমনভাবে গাইড করা উচিৎ যেন সে নিজের মত ভাবতে শিখে, নিজের স্ট্রেংথ ও উইকনেস বুঝতে শিখে। তাহলে রিয়েলিস্টিক স্বপ্ন দেখবে, নিজের ল্যাকিং থাকলেও সেটা কাটাতে পারবে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪০

জুল ভার্ন বলেছেন: ভালো কিছু অনুসরণ করা খারাপ নয়, অনুকরণ করা উচিৎ না। বিবেক-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে কোনো কিছুর অন্ধ অনুকরণ করা মোটেই ভালো নয়।

৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫২

মেহবুবা বলেছেন: চীনে কিছুদিন আগের সমীক্ষায় যা উঠে এসেছে সেটা আমাদের দেশ এবং আরো অনেক দেশোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৬

জুল ভার্ন বলেছেন: @মেহবুবা আপু, আমি বুঝতে পারছি না, চীনের কোন সমীক্ষার কথা বলেছো। তবে, আমি সম্প্রতি পড়া পিটার হাসলারের লেখা- 'কান্ট্রি ড্রাইভিং: এ জার্নি থ্রু চায়না ফ্রম ফার্ম টু ফ্যাক্টরি' বইটা পড়ে চীন সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি..... তিনি সাধারণ চীনা জনগণের জীবন সম্পর্কে ভাল দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন।
তোমার নিশ্চয়ই মনে আছে, এই ব্লগে ২০০৮-২০০৯ সালে আমার চীন ভ্রমণের উপর দীর্ঘ একটা ভ্রমণ কাহিনী ধারাবাহিক লিখেছিলাম, পিটার হাসলারের লেখা পড়ে জেনেছি- সেই চীন এখন আর নাই।

৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০৩

মেহবুবা বলেছেন: ঐযে স্বপ্ন বনাম জীবনের ২য় অনুচ্ছেদে.... ধনী ব্যক্তিদের জীবনে হতাশা আর অশান্তি বেশী।

আপনার সেই চীন ভ্রমনের অনেককিছু ভুলে গিয়েছেি, কেবল পোকা মাকড় খাবার হিসেবে ছবি!! মনে আছে।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১২

জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা, ধনীদের জীবনে হতাশা, অশান্তি বেশী। কারণ, তারা জীবনকে "সরল জীবনযাপন" বলে মেনে নিতে অক্ষম! তারা অত্যধিক পরিশ্রম করে, অতিরিক্ত কাজ তাদের স্ট্রেস করে এবং স্ট্রেস তাদের জীবনযাপনের উপায় হয়ে ওঠে। তারা হতাশাগ্রস্ততা থেকে মুক্তির পথ খুঁজে পাবে না যতক্ষণ না তারা এমন ব্যক্তিকে খুঁজে পাবে যে তাদের আলাদাভাবে দেখাতে সক্ষম হবে। তারা সুখ কেনার চেষ্টা করে, কিন্তু স্বস্তি খোঁজে না।

চীনারা এখন অনেক আধুনিক হয়েছে। ওরা এখন আগের মতো প্রাগৈতিহাসিক আদিম মানুষের স্বভাবের নাই। থাকলেও তা লুকিয়েচুপিয়ে খায়।
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.