নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

চেতনা জড়ায়ে রহে ভাবনার স্বপ্নজালে....

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৬

চেতনা জড়ায়ে রহে ভাবনার স্বপ্নজালে....

আমার চিন্তা কতখানি আমার নিজের?
আমার চিন্তা কতখানি আমার বাসনা, ভয়, ঈর্ষা ইত্যাদি দ্বারা প্রভাবিত? আমার আবেগের চিন্তা আর আমার যুক্তির লাগামে বাঁধা চিন্তা কি এক?

আমি যা তা হলো আমার চিন্তার সমষ্টি।
আমার চিন্তার কতখানি আমি? আমার চিন্তা কতবার আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে গেল আমার বাসনা? আমি কোনো কিছুর বশবর্তী মানে হল-আমার চিন্তাশক্তি আমার হাতে নেই। আমার আবেগের হাতে চলে গেছে রিমোট কন্ট্রোল। সে যা ভাবাচ্ছে আমি তাই ভাবছি। ভালো চিন্তা, খারাপ চিন্তা বলে কিছু হয় না, চিন্তা করার ক্ষমতা কতটা আমার সেটাই সব চাইতে বড় কথা।

চিন্তা 'সৃষ্টি' করতে পারে।
তাই আমার বাসনা, ঈর্ষা, রাগ, ভয় সবাই এসে চিন্তার দরজায় দাঁড়ায়। বাসনা, ঈর্ষা, ভয়, রাগ আমার কাছ থেকে চিন্তাকে নিয়ে যায়। আমি যে চেতনার আলোতে বাঁচি, সেই চেতনার আলো ক্রমশ ঢাকা পড়তে শুরু করল আমার চিন্তার মেঘের আড়ালে। আমার চেতনা যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যেতে শুরু করল। কিন্তু আমার কিছু করার নেই যেন, কাউকে দায়ী করার নেই, এ খেলা তো আমিই শুরু করেছিলাম।

এযেন জীবনব্যাপী অভ্যাস।
নিজের চিন্তার কারখানায় অন্ধ আবেগের জীবাণু না ঢুকতে দেওয়া। দিলেই সব গোলমাল হয়ে যাবে। সংসারে আমার বলতে যদি সত্যিই কিছু থাকে, সে আমার এই চিন্তা করার ক্ষমতাটুকু। বাকি এ শরীর থেকে শুরু করে এই গোটা বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডে আমার ইচ্ছার কোনো মূল্য নেই। সেখানে শুধুই সমঝোতা, মেনে নেওয়া। তো এই চিন্তার স্বাধীনতাটুকুও যদি আমার অন্ধ আবেগের হাতে চলে যায়, তবে আমার বলে আর কি থাকল? আলো আর অন্ধকার, চেতনাশক্তি ও অন্ধ-আবেগের শক্তি দুই আমাদের মধ্যে আছে।

"আর রেখো না আঁধারে, আমায় দেখতে দাও।
তোমার মাঝে আমার আপনারে দেখতে দাও।।
কাঁদাও যদি কাঁদাও এবার,
সুখের গ্লানি সয় না যে আর,
নয়ন আমার যাক-না ধুয়ে অশ্রুধারে-
আমায় দেখতে দাও।।
জানি না তো কোন্ কালো এই ছায়া,
আপন ব'লে ভূলায় যখন ঘনায় বিষম মায়া।
স্বপ্নভারে জমল বোঝা, চিরজীবন শূন্য খোঁজা,
যে মোর আলো লুকিয়ে আছে রাতের পারে
আমায় দেখতে দাও।।"

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮

সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: ভালো লাগলো

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৬

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৩

অধীতি বলেছেন: লেখক বলেছেন:- নিজের চিন্তার কারখানায় অন্ধ আবেগের জীবাণু না ঢুকতে দেওয়া। দিলেই সব গোলমাল হয়ে যাবে। সংসারে আমার বলতে যদি সত্যিই কিছু থাকে, সে আমার এই চিন্তা করার ক্ষমতাটুকু। বাকি এ শরীর থেকে শুরু করে এই গোটা বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডে আমার ইচ্ছার কোনো মূল্য নেই।
বেশ সুন্দর বলেছেন। দিনের যেকোন একটা সময় নিজের জন্য রেখে দেয়া উচিত।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৭

জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.