নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
রাস্তার একপাশে একটা রিকশা গ্যারেজে ওদের আস্তানা। বেড়ালটা মা হারিয়েছিল। তারপর থেকে মা-কুকুরই ওকে আগলে রেখেছে। বড় হচ্ছে কুকুর ছানাদের সাথে। কেউ খাবার দিলে একসাথে ভাগাভাগি করে খায়। একসাথে ওদের খুনসুটি, খেলা করা দেখতে ভালোবাসে সবাই। মানুষ নিজে সহাবস্থানে থাকতে ভুলে গেছে বলেই বোধহয় অন্য প্রাণীদের মধ্যে নিজের হারিয়ে যাওয়া গুণগুলো প্রাণ ভরে দেখে।
কাল সন্ধেবেলা সেই প্রাণের আনন্দ হঠাৎই খানখান হয়ে গেল। হঠাৎ শুনি ব্যস্ততম রাস্তার রিকশা, গাড়ী বাইকের হর্নের আওয়াজ খানখান করে একটা কুকুরছানার চীৎকার। ছবির বাঁদিকে বেড়ালছানার দিকে তাকিয়ে আছে যে পুচকেটা সেই ছানাটা।
সে যে কি চীৎকার কানফাটানো। দেখি গতির আনন্দে বাইক চালক একটা কুকুর ছানার পিছনের দুটো পা-ই পিষে দিয়ে গেছে।
বরফ আনা হল। পা-টা টেনে ধরে যখন চেষ্টা করছি হাড়টা সোজা করার দেখি যন্ত্রণা ভুলে মুখের দিকে অপলক তাকিয়ে আছে। ওইটুকু প্রাণ বোধহয় বুঝেছে যে এই লোকগুলো অন্তত চেষ্টা করছে ওর যন্ত্রণাটা ভাগ করে নেওয়ার। মানুষ মানুষের ভালোবাসা বোঝেননা, কিন্তু বোবা প্রাণীদের মধ্যে কুকুর বেড়াল খুব ভালোভাবেই বোঝে- কে বা কারা ওদের ভালোবাসে....
কেউ হয়তো বলবেন- এদেশে মানুষেরই জীবনের মূল্য নেই তো সামান্য কুকুরছানার? প্লিজ কেউ ওভাবে বলবেন না, ভাববেনও না। কারণ জীবনের সব কিছুর প্রতি উদাসীন হতে হতেই বোধহয় মানুষ এমন গতিশীল হিংস্র খুনী হয়ে ওঠে।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০৮
সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: রাস্তায় সচারচর দেখা যায় এমন
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: রাইট।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পশুপাখির মধ্যে মানুষের তুলনায় বেশি মায় মমতা কাজ করে।