নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
পরিপূরক............
০৩ জানুয়ারী ২০২৪ খৃষ্টাব্দ, আমি ৬৭ বছরে পদার্পণ করেছি। অর্থাৎ আমার বরাদ্দ আয়ু সীমা থেকে ৬৬ বছর চলে গিয়েছে।
জন্মদিন মানেই মৃত্যুর আরও কাছে যাওয়া....
জন্মদিন মানেই জীবন পথে এক একটি মাইল ফলক।
নিকটবর্তী হচ্ছে প্রান্তিক শেষ স্টেশন।
জগতের লক্ষ কোটি মানুষের এই পথচলায় আমার মতো অতি ক্ষুদ্র আমির পৃথিবীতে আগমন বা প্রস্থানে কোন ভাবেই আলাদা কোন গুরুত্ব বহন করে না!
বর্তমান নিয়ে আমি আশাবাদী নই। ভবিষ্যত নিয়ে কোনো ভাবনা নাই। কিন্তু অতীত, মানে অতীতের স্মৃতি আমাকে নষ্টালজিক করে।
তখন বয়স হয়তো ৬/৭ বছর হবে, আমরা খেলার সাথীরা ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে বল বানিয়ে ফুটবল খেলতাম বাড়ির সীমানা প্রাচীরের ভিতরেই! কখনো খড় সুতলি ও পাট দিয়ে মুড়িয়ে বল বানাতাম আবার কখনো কাঁচা জাম্বুরা পেড়ে দেয়ালে ছুড়ে ছুড়ে একটু নরম করে তা দিয়ে ফুটবল খেলতাম! তখন বাবা আমাকে একসাথে দুটো রাবারের বল কিনে দিলেন- তখন রাবারের বলকে বলতাম ব্যাটবল এবং চামড়ার বলকে ফুটবল! এখন ভাবি সে খেলায় আনন্দ উপভোগ কিংবা উত্তেজনা, কোনোটাই কোন অংশে কম ছিল না!
--------
যখন আরও একটু বড় হলাম, তখন সমবয়সী বন্ধুরা চাঁদা তুলে একটা ফুটবল কিনলাম। ঐ সময় Deer Ball নামে একটি ফুটবল অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। পাকিস্তানের শিয়ালকোটে তৈরী এই বল। সাইজ অনুযায়ী দাম ছিল ৩০-৪০ টাকা। আমরা চার বন্ধু মিলে একটি ৫ নাম্বার সাইজের বল ৪০ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। আমরা বল নিয়ে ধানমন্ডি মাঠ, কলাবাগান মাঠ কিম্বা গ্রীনরোড স্টাফ কোয়ার্টার মাঠে টুর্ণামেন্ট খেলতাম।
কিন্তু সমস্যা বাঁধলো খেলা শেষে কার বাসায় বল থাকবে! সবাই নিজের বাসায় রাখতে চায়! এতে একটা সম্মান সম্মান ভাব ছিল আরকি! পরে ঠিক হলো শেয়ারিং করে সবার বাসায় থাকবে। বল যার কাছেই থাকুক- সবাই খুবই যত্ন নিতাম। আমি আমার বেডের পাশে পড়ার টেবিলের উপর রাখতাম এবং রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে বলটা ধরে দেখতাম সব ঠিক আছে কিনা! কেউ কেউ আবার বিছানায় সাথে নিয়ে ঘুমাতো! কিছুদিন পর অপ্রত্যাশিত ভাবে বলটি ফেটে যায়! প্রিয় বলটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমরা সবাই অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম!
--------
আমাদের প্রতিবেশী কলাবাগান ১ম লেনে একটি ছেলের আমার নামে নাম ছিল। সমবয়সী, স্কুল আলাদা হলেও একই ক্লাসে পড়ি। ছেলেটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান। বাবা নিউ মার্কেটে একটা দোকানে সেলসম্যানের কাজ করতেন।
সে লেখাপড়ায় অনেক মনোযোগী ছিল। দুজনের নাম এক হওয়ায় অনেক সহপাঠীরা আমাদেরকে একে অপরের দোস্ত বলে সম্বোধন করতো। তখন একই নামের দুজন মানুষের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ভাবে দোস্তি/মিতা পাতানোর একটা রেওয়াজ ছিল। আমাদের বেলায় তা হয়নি, কিন্তু আমাদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব হয়েছিলো।
হঠাৎ একদিন বন্ধুটির বাবা জানালো যে তারা সিলেট চলে যাবে। ওখানে এক লন্ডন প্রবাসীর বাড়ি দেখাশোনা করার কাজ করবে। থাকা খাওয়া সহ আরো অনেক সুবিধা! শুনে মন খারাপ হলো। ওরা চলে যাওয়ার দিন আমি এতোটাই কষ্ট পেয়েছিলাম যে, অনেক দিন আমার কোনো কিছুই ভালো লাগতো না। পড়ালেখা, খেলাধুলা, কিছুতেই মন বসতো না! শুধু মনে হতো আমার জীবন থেকে অনেক বড় কিছু একটা হারিয়ে গেছে! বন্ধুটির কথা অনেক দিন ভুলতে পারিনি!
---------
স্কুল ছুটি শেষে স্কুল হোস্টেলে ফিরে যাওয়ার সময় হলেই আমার মনে হতো পিচঢালা রাস্তার প্রতিটি কংক্রিট আমার পা আঁকড়ে ধরছে! রাস্তার দু'পাশের সেই চিরচেনা সাইনবোর্ড গুলো যেন করুণ স্বরে বলছে; আমাদের ছেড়ে চলেই যাচ্ছো কেন? আমার পা গুলোকে কেমন যেন অনুভূতিশূন্য মনে হতো! মনে হতো আমি একটি সুদীর্ঘ পথে অনন্তকাল ধরে হাঁটছি। বুকের ভেতর একটা হাহাকার, অন্তরে একটা শব্দহীন কান্না অনুভব করতাম!
--------
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন দেখা Tom Hanks অভিনিত Cast Away সিনেমাটি অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। মুভিতে টম কার্গো প্লেনের পাইলটের ভুমিকায় অভিনয় করে। একদিন প্রচন্ড ঝড়ের কবলে পড়ে তার প্লেন সমুদ্রে ক্রাশ করে। কিন্তু দৈবক্রমে টম বেঁচে যায় এবং অজ্ঞান অবস্থায় মাঝ সমুদ্রে ছোট্ট একটি দ্বীপের তীরে ভেসে ওঠে।
জ্ঞান ফেরার পর সে বাস্তবতা বুঝতে পারে এবং বেঁচে থাকার জন্য চারপাশে পানিতে ভেসে থাকা প্লেনের ধংসাবশেষ ও মালামাল থেকে যথাসম্ভব সবকিছু সংগ্ৰহ করার চেষ্টা করে। এসবের মধ্যে ছিল একটি ভলিবল। সেই বলটির উপর একটি চেহারার অবয়ব এঁকে বলটির গায়ে লেখা প্রস্তুতকারী কোম্পানির নাম অনুসারে নাম দেয় "উইলসন"!
জনমানবশূন্য দ্বীপে একাকিত্ব কাটিয়ে উঠতে টম উইলসনের সাথে কথা বলে। সব ধরনের কথা। কখনো পরামর্শ নেয়, কখনো বকা দেয়, রাগ করে উইলসনের সাথে। এভাবে উইলসন হয়ে উঠে টমের নিত্যদিনের সঙ্গী। গড়ে উঠে একটি অপরিহার্য ও মায়ার সম্পর্ক। এভাবেই কেটে যায় অনেক দিন কিন্তু দ্বীপ থেকে উদ্ধার পেতে কোনো জাহাজের সন্ধান মেলেনি।
তবে ঐ দিন গুলোতে উইলসনকে সাথে নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে গাছ কেটে, গাছের গুঁড়ি আর কিছু গাছের ছাল দিয়ে দড়ি বানিয়ে গড়ে তুলে একটি ভেলা!
মোক্ষম সময় ভেবে একদিন উইলসনকে সাথে নিয়ে এক অনিশ্চিত আশায় দিকহীন সমুদ্রে ভেলা ভাসায়। কিন্তু তীর থেকে কিছু দূরে যেতে না যেতেই ঝড় ও উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ের আঘাতে উইলসন ভেলা থেকে ছিটকে পড়ে! টম ভেলা থেকে পানিতে নেমে উইলসনকে ধরতে চেষ্টা করে কিন্তু ঢেউ আর বাতাসের কারণে উইলসন ও ভেলার মধ্যে দূরত্ব দ্রুতই বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে নিজের জীবনের কথা ভেবে টম ভেলার দিকে ফিরে আসে আর বার বার কান্নাজড়িত কণ্ঠে চিৎকার করে বলতে থাকে; I'm sorry, Wilson...I'm sorry!!
----------
অসংখ্য অনুচ্ছেদ আর অধ্যায় দিয়ে রচিত আমাদের এই বিচিত্র ও ছোট্ট জীবন! উপরের ঘটনা গুলো নিতান্তই আমার এবং আমাদের অনেকেরই ঘটনাবহুল জীবনের কিছু অংশ মাত্র! জন্ম থেকে চলমান এই জীবন পথে আমরা অনেক বস্তু, জায়গা, মানুষের সংস্পর্শে আসি। কিছু জিনিস প্রিয় হয়ে উঠে, কোনো জায়গার প্রতি ভালোলাগা তৈরি হয়, কারো প্রতি ভালোবাসা জন্ম নেয়, মায়ায় জড়িয়ে পড়ি!
কিন্তু প্রতি মূহুর্তে এক একটি নিঃশ্বাস যেমন আমাদের দেহে প্রাণের সঞ্চার করে পর মূহূর্তে বেরিয়ে যায়। তেমনি সময়ের চাহিদা আর জীবনের প্রয়োজনে, সন্ধি বিচ্ছেদের প্রাকৃতিক ও চিরন্তন নিয়মকে অনুসরণ করে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় আমরা অনেক কিছু ছেড়ে চলে আসি, আবার কেউ কেউ আমাদেরকে ছেড়ে চলে যায়! কষ্ট পাই, কষ্ট দিই! তারপর স্মৃতি নামক বইয়ে এক এক করে যুক্ত হয় অনেক গুলো পৃষ্ঠা! আবার নতুনের আগমনে পরিপূরক খুঁজে নিতে চেষ্টা করি। ঘুরে দাঁড়াতে চাই, দাঁড়াই!
যেমন করে:
* আমরা বন্ধুরা নতুন আরেকটি বল কিনে পুরোনো বলটির দুঃখ ভুলেছি।
* আমার হারানো বন্ধুর জায়গায় নতুন সঙ্গী ও খেলার সাথী খুঁজে নিয়ে কষ্ট ভুলতে চেষ্টা করেছি।
* চিরচেনা ধানমন্ডি-মিরপুর রোডের মায়ার জায়গাটির দখল নিয়েছে শহরের গ্রীন রোড।
*উইলসনের জন্য কেঁদে কেঁদে ঘুমিয়ে পড়া টম'কে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে একটি জাহাজ এবং টম ফিরে পায় নতুন জীবন আর নতুন কোলাহল যেখানে চিরতরে হারিয়ে যায় উইলসন!
পরিপূরক খুঁজে পেলেও আমাদের মনের গহীনে কোথাও না কোথাও একটা ক্ষত, একটা কষ্ট তো থেকেই যায়!
তবু আমরা বাঁচি।
আর জীবন?
জীবন কেটে যায় জীবনের নিয়মে!!
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৩১
জুল ভার্ন বলেছেন: আসলেই সুন্দর জীবন যাপন আমাদের হাতে নাই। স্থান কাল, পরিবেশ পরিস্থিতিই নির্ভর করে যাপিত জীবনের অবস্থা। তবু্ও সকল সীমাবদ্ধতার মধ্যে একটুখানিক স্বস্তি নিয়ে বাঁচতে চাই।
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:১৫
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আনন্দে বাঁচুন, এত চিন্তা করবেন না।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আনন্দ এবং চিন্তা করা বা না করা নির্ভর করে পরিবেশ পরিস্থিতি এবং সার্বিকভাবে অবস্থানের উপর। তারাও নিরন্তর চেষ্টা ভালো থাকার। শুভ কামনা।
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৯
শায়মা বলেছেন: কি অপরুপ !!!!
আমি মুগ্ধ হলাম ভাইয়া!!!
শুভ জন্মদিন!!!
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৬
জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু।
শুভ কামনা ❤️
৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আনন্দে বাচুন।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: চেষ্টা করবো। শুভ কামনা ❤️
৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:১৮
কামাল১৮ বলেছেন: আরো অনেক অভিজ্ঞতা যুক্ত হলো জীবনের সাথে।অভিজ্ঞতাই জীবন।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাইজান, অভিজ্ঞতা যা হয়েছে তার বেশীরভাগই মন্দ হলেও হতাশ নই। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গতকাল প্রায় সারারাত তুষারপাত হয়েছে আমাদের এখানে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলাম শ্বেতশুভ্র চারদিক। এই শুভ্রতা দেখতে দেখতে এক কাপ কফি হাতে সামুতে ঢুকেই আপনার এই অতি চমৎকার লেখাটা পড়লাম। অলস হিসাবে পরিচিত মহলে আমার খ্যাতি প্রায় কিংবদন্তি-তুল্য। আপনার সব লেখাসহ অনেক লেখাই পড়ি, কিন্তু বেশীরভাগ সময়েই অলসতা ছাড়াও আরো বিভিন্ন কারনে মন্তব্য করা হয়ে উঠে না। তবে সকালে বাইরের পরিবেশ আর আপনার লেখা, দু'টা মিলিয়ে আমার মধ্যে একটা ভাব উদয় হলো।
বলেই ফেলি। মনে হলো,
এই যে জন্ম নিলাম, সারা জীবন কিছু রুটিন কাজ-কাম করলাম। সাড়ে আট বছর ব্লগে কিছু বড়-ছোট-মাঝারী আবাল আর বলদের সাথে কাইজ্জা করে প্রচুর সময় নষ্ট করলাম..........ফলাফল কি? আমি এই পৃথিবীতে না আসলে কি ক্ষতি হইতো? আইসা তো ফাইসা গেলাম, তাই না!! এইখানে আসার জন্য কি আমি মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে কোন পিটিশান দিয়েছিলাম, নাকি উনি একান্তই উনার সিদ্ধান্তে আমার কোন রকমের মতামত ছাড়াই আমাকে এই গ্যান্জামের মধ্যে ঠেলে দিলেন? ফাসির আসামীকেও তার কৃতকর্ম সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল করে তারপরে রায় কার্যকর করা হয়। তাহলে আমাকে এই দুনিয়ায় পাঠানোর আগে এই ভেজাইল্যা দুনিয়া সম্পর্কে কি ওয়াকিবহাল করা হয়েছিল? আমার তো মনে হয় না, পরিপূর্ণ ব্রিফিং পাইলে কেউ এই দুনিয়াতে আসতো। দুইদিন আগে আর পরে তো মরবোই, তাইলে এই ঝামেলা (যাকে খাটি ইংরেজিতে বলে 'pain in the ass' সহ্য করার মানে কি?
পুরা বিষয়টা সম্পর্কে আপনের কি মত?
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রিয় ভুয়া
আমি জানি না কিভাবে ব্যাখ্যা করব! প্রথমেই বলে নেই- জীবন খুব ছোট, তার চাইতেও ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় সামহোয়্যারইনব্লগ নামের এই সাইটটা (এভারেরজ ২০ জন ব্লগারের উপস্থিতি, যাদের মধ্যে অন্তত ৩/৪ জনের একমাত্র কাজ ব্লগিংয়ের নামে ফাত্রামি করা)। অথচ আপনি মর্নিং ওয়াক করতে বের হলেও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার অসংখ্য আবাল বৃদ্ধ বনিতাকে রাস্তায় দেখতে পাবেন। কমলাপুর রেলস্টেশনে, মেট্রোরেল কিম্বা বিমানবন্দরের টয়লেট ইউজ করতে গেলেও যে দীর্ঘ লাইন দেখবেন তাও সামু ব্লগারদের চাইতে বেশী! নিশ্চয়ই আপনার মনে থাকার কথা, ৩০/৩৫ বছর আগে বাংলাদেশ বিমানের একটা বিজ্ঞাপন ছিলো- "পৃথিবী ছোট হয়ে আসছে....ঢাকা, কোলকাতা, থাইল্যান্ড, সিংগাপুর, লন্ডন, নিউইয়র্ক রোম, দুবাই, জেদ্দা....এখন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের হাতের মুঠোয়.....!''
জন্ম-মৃত্যু নিয়ে আমাদের কারোরই দ্বায় নেই- এটা প্রকৃতির খেয়াল। তবে সামহোয়্যারইন ব্লগের আপনি এসেছেন এটা Self-made trouble এবং ব্লগের পরিবেশ পরস্থিতি নিয়ে আপনার আশা কিম্বা হতাশা হচ্ছে আপনার realization.
মানুষ ছাড়া আর কেউ বেঁচে থাকার কারণ খোঁজে না। তারা কেবল তাদের প্রজাতির জীবনযাপন এবং প্রচারের জন্য বেঁচে থাকে। মানুষের জীবনের মৌলিক চাহিদা হলো বাতাস, পানি, খাদ্য ও বাসস্থান। তাত্ত্বিকভাবে, যদি অনির্দিষ্টকালের জন্য আপনাকে এইগুলি কেউ সরবরাহ করে তবে আপনি আগে উল্লেখ করা জিনিসগুলির কোনওটি না করেই আপনার জীবনযাপন করতে পারবেন। কিন্তু সবাই যদি এটি করার সিদ্ধান্ত নেয় তবে এই চাহিদাগুলি সরবরাহ করার জন্য কেউ থাকবে না।
একটি প্রজাতি হিসাবে আমরা নিজেদের এবং আমাদের বংশধরদের একটি ভাল পরিবেশ দেওয়ার জন্য সবকিছু করি যা নিশ্চিত করে যে আমাদের প্রজাতিগুলি মারা না যায়। আমরা একটি সমাজ হিসাবে এটি সর্বোত্তমভাবেই করি, একসাথে বসবাস করি। আপনি যখন একটি সমাজ হিসাবে বাস করেন তখন প্রত্যেকেরই কিছু মূল্য আনতে হবে। স্কুলে যাওয়া মানে একটা স্কিল সেট তৈরি করা এবং আপনি যেকোন জায়গা থেকে শিখতে পারবেন, শুধু স্কুলেই নয়। এমন অনেক সমাজ আছে যেখানে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রচলিত নয়। আপনি অন্য লোকেদের প্রদান করা অন্যান্য জিনিসের বিনিময়ে আপনার সমাজে কিছু মূল্য তৈরি করার জন্য একটি কাজ করতে যান।
এই বেঁচে থাকা ছাড়াও, মানুষের জ্ঞানের তৃষ্ণা রয়েছে, উদ্দেশ্যের জন্য। আমরা শুধু বিদ্যমান ব্যতীত অন্য কারণ দিয়ে আমাদের অস্তিত্বকে ন্যায্য করার চেষ্টা করি। আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যান্য প্রজাতির জন্য জীবনকে আরও ভাল বা খারাপ করার চেষ্টা করি। আমরা নিজেদেরকে শাসন করার জন্য আমাদের সীমাহীন সম্ভাবনাকে সবকিছু মুছে ফেলা থেকে বিরত রাখতে। সেই একই ধারা রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার এবং বাদ যায়নি সামহোয়্যারইন ব্লগও।
আপনার জীবন মৃত্যুতে শেষ বলে মনে করবেন না। নিজেকে একটি অবিচ্ছিন্ন জীব হিসাবে ভাবুন যা কয়েক মিলিয়ন বছর ধরে তথ্যের উপর চলে গেছে। আপনি নিজের মধ্যে ধারণ করেন আপনার আগেকার লক্ষ লক্ষ প্রজন্মের জীবন, কষ্ট এবং বিজয়, জ্ঞান এবং প্রবৃত্তি। আপনি নতুন কিছু শিখতে পারেন এবং এটি অনন্তকালের জন্য মানবতার কাছে প্রেরণ করতে পারেন। এবং যখন আপনি এটি করছেন তখন আপনি সচেতনভাবে এই সুন্দর গ্রহটিকে অগণিত অন্যান্য জীবনের জন্য বাঁচাতে কাজ করতে পারেন
ধন্যবাদ।
৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: দেখতে দেখতে কীভাবে যেন সময়গুলো চলে যাচ্ছে; এই যেন মনে হচ্ছে সেদিন প্রাইমারী স্কুলে পড়লাম আজ দেখতে দেখতে কত বছর পার হয়ে গেল, একদিন মরতে হবে অতিমানবরা হয়তো অনেকদিন বেঁচে থাকবেন কিন্তু আমাদের মত নগন্যদের কেউ মনে রাখবেনা । তারপর আপনার বাকী জীবনের জন্য রইলো অফুরন্ত ভালোবাসা।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: সাহিত্যিক শরৎচন্দ্রের একটা লেখায় আছে "মরার আবার জাত কী"! যেখানে আমি আমার জীবন নিয়েই ভাবিনা, সেখানে মৃত্যু নিয়ে ভেবে সময় ক্ষেপণ অবান্তর!
৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:২৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
ডিয়ার ফুটবলের স্মৃতি আছে আমারও।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৪১
নতুন বলেছেন: জীবন সুন্দর
আকাশ-বাতাস পাহাড়-সমুদ্র
সবুজ বনানী ঘেরা প্রকৃতি সুন্দর
আর সবচেয়ে সুন্দর এই বেঁচে থাকা
একদিন চলে যেতে হবে। তবে সেদিনটিক পযন্ত সুন্দর জীবন জাপন করুন।
জন্মদিনের সুভেচ্ছা।