নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
শত্রুর জন্য ভালোবাসা.....
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের মনটোগমেরির ডেক্সটার অ্যাভিনিউ ব্যাপটিস্ট চার্চ ছিল তার সব আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল। এই চার্চেই ১৯৫৭ সালের ১৭ নভেম্বর ‘শত্রুর জন্য ভালোবাসা’ শিরোনামে বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি। আজও ফুরায়নি সেই বক্তৃতার আবেদন। সেই ভাষণের ভাবানুবাদঃ
"আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই একধরনের সিজোফ্রেনিক চরিত্র আছে। আমরা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে বিভক্ত হয়ে আছি। আমাদের সবার মধ্যেই এমন কিছু আছে, যার কারণে আমরা লাতিন কবি ওভিদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে বলি, "আমি দেখি এবং সমর্থন করি ভালো কাজ, কিন্তু করি খারাপ কাজ।"
আমাদের সবার মধ্যেই এমন কিছু আছে, যার কারণে আমরা প্লেটোর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে বলি, ‘মানুষের চরিত্র হলো একটা রথের মতো। রথটা টেনে নেয় দুটো শক্তিশালী ঘোড়া। দুটোই একে অপরের বিপরীত দিকে যেতে চায়।’ আমরা গ্যেটের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে বলি, "আমার মধ্যে ভদ্র এবং অভদ্র দুটো হওয়ার মতোই যথেষ্ট রসদ আছে।"
'শত্রুকে ভালোবাসার আরও একটা উপায় হচ্ছে, যখন তাকে পরাজিত করার মোক্ষম সুযোগ আসবে, তুমি সেটা কোরো না। হ্যাঁ, সে তোমার কাছে হারবে, কিন্তু একটু ভিন্নভাবে।'
যে মানুষটা আপনাকে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করে, যে মানুষটা আপনার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি দুর্ব্যবহার করে, যে পেছনে আপনার সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি খারাপ কথা বলে, যে আপনার নামে মিথ্যে গুজব ছড়ায়; একদিন সে-ই হয়তো কোনো প্রয়োজনে আপনার সামনে দাঁড়াবে। হতে পারে চাকরির জন্য তাঁর কোনো সুপারিশ প্রয়োজন, হতে পারে আপনার কাছে তাঁর এমন একটা সাহায্য দরকার, যেটা তাঁর জীবন বদলে দেবে।
এটাই হলো আপনার জয়লাভ করার মোক্ষম সময়! আপনি অবশ্যই তাঁকে সাহায্য করবেন,এটাই ভালোবাসার অর্থ। দিন শেষে ভালোবাসা কিন্তু কোনো ভাবপ্রবণ বিষয় নয়, যেটা নিয়ে আমরা কথা বলতে পারি। ভালোবাসা হলো কারও মঙ্গল কামনা করার একটা সৃজনশীল উপায়।'
('আ হিষ্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ৩৬৬ ডেজ' বই অনুবাদ করেছেন- অনিন্দ্য সাইমুম, সেই ভাবার্থ বজায় রেখে আমার মতো লিখেছি)
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন:
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৫৮
শায়মা বলেছেন: পোস্টের কথাগুলো ভালোই মানে এটাও হতে পারে শত্রু ঘায়েলের অস্ত্র!!!
কিন্তু ভুয়া ভাইয়ার কমেন্ট পড়ে হাসছি!!!
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:০৬
জুল ভার্ন বলেছেন: নাম ভুয়া হলে কাম জেনুইন, অসম্ভব মেধাবী ❤️
৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪২
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আমার রাজপুত্তুর ভাইয়া তো তাই এত মেধাবী!
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ❤️
৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৪
জটিল ভাই বলেছেন:
ভাই, পোস্টের কথাগুলো শ্রুতিমধুর হলেও ভূম ভাইয়ের মন্তব্যটাই বাস্তবতা
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:০৬
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:১২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: শত্রুকে ভালোবাসার আরও একটা উপায় হচ্ছে, যখন তাকে পরাজিত করার মোক্ষম সুযোগ আসবে, তুমি সেটা কোরো না। হ্যাঁ, সে তোমার কাছে হারবে, কিন্তু একটু ভিন্নভাবে।
যে মানুষটা আপনাকে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করে, যে মানুষটা আপনার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি দুর্ব্যবহার করে, যে পেছনে আপনার সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি খারাপ কথা বলে, যে আপনার নামে মিথ্যে গুজব ছড়ায়; একদিন সে-ই হয়তো কোনো প্রয়োজনে আপনার সামনে দাঁড়াবে। হতে পারে চাকরির জন্য তাঁর কোনো সুপারিশ প্রয়োজন, হতে পারে আপনার কাছে তাঁর এমন একটা সাহায্য দরকার, যেটা তাঁর জীবন বদলে দেবে।
এটাই হলো আপনার জয়লাভ করার মোক্ষম সময়! আপনি অবশ্যই তাঁকে সাহায্য করবেন,এটাই ভালোবাসার অর্থ।
এইটুকু বক্তব্যে আমার তীব্র আপত্তি আছে। এইটা বেকুবী কথামালা। শত্রু সাহায্যের জন্য যে আসবেই, তার কোন নিশ্চয়তা নাই। কাজেই প্রথম সুযোগেই তাকে প্যাদানী দিতে হবে, নয়তো সে আরো বড় ক্ষতি করবে। হাসিনার কথাই চিন্তা করেন। তাকে দেশবাসী ৯৬ সালে ক্ষমা করেছিল। ক্ষমতায় বসিয়েছিল। বিনিময়ে সে কি করলো? সেইদিনই যদি তাকে যথাযথ প্যাদানী দেয়া হতো, তাহলে আমাদের ২৪ দেখতে হতো না।
বাকী কথাগুলো আছে মোটামুটি, তবে বাস্তবতার চেয়ে আবেগ বেশী!!!