নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৃষ্টির ঋণ....

০৪ ঠা মে, ২০২৫ রাত ৮:২৭

সৃষ্টির ঋণ....

মধ্য দুপুরে ডেল্টা হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সিএনজি, বাইক, উবার কিছুই পাচ্ছিনা। অনেকটা পথ হেটে বাংলা কলেজের সামনে বেশকিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে একটা রিকশা পেয়েছি....ঘর্মাক্ত ষাটোর্ধ কংকালসার রিকশাওয়ালাকে দেখে এড়িয়ে যাওয়ার সময় রিকশাওয়ালা আমার দিকে তাকিয়ে আপসোস করে বলে- "সবাই কলের রিকশয় চড়ে, প্যাডেল রিকশায় কেউ চড়তে চায়না। আমি বুড়ো মানুষ- তাই আমার রিকশায় কেউ ওঠে না। কেউ রিকশায় না উ
ওডলে রিকশার জমা দিমু ক্যামনে, ঘরে পাঁচজন মানুষ খাওয়াইয়া, ক্যামনে ব্যজ্ঞুনের মুখে খাওন যোগামু"!

আমার গন্তব্য পথে রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ তাই আগেই বলে নিয়েছি- যেখানেই বেবীট্যাক্সি পাবো সেখানেই আপনাকে ছেড়ে দেবো। কোনো দরদাম না করেই রিকশায় বসে এগুতে বলি....৷ বৃদ্ধ রিকসাওয়ালা সর্বশক্তি দিয়েও প্যাডেল চাপতে পারছেনা... তারপরও জ্যামে আটকে থেকে কখনও দাঁড়িয়ে থাকা বাস-ট্রাকের পাশে দাঁড়িয়ে একটু ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে....খেয়াল করে দেখি- রিকশাওয়ালার একটা হাত পংগু। পাশের রিকশা থেকে কেউ একজন পানি খেয়ে বোতলটা ছুড়ে ফেলেছে। রিকশাওয়ালা ফেলে দেওয়া সেই বোতলের অবশিষ্ট পানিটুকু খাওয়ার জন্য কুড়িয়ে হাতে নিয়েছে......আমার হাতে থাকা পানির বোতলটা দিয়ে তার সাথে কথা বলছি...... "নিজের চলতশক্তি নাই। খাওয়াইয়া ছয় জন মানষের সংসার চালাইতে, জীবন বাঁচাইতে রিকশা চালান ছাড়া কিছু করার নাই! আমার শৈল দুব্বল একটা হাত নাই দেইক্কা- প্যাচেন্দার আমার রিকশায় ওডে না......!"- যে কথা আরও একবার বলেছিল।

অসংখ্য মানুষ অনেক কষ্টে আছে....
আসুন প্রচন্ড তাপদাহে বিধ্বস্ত শ্রমজীবী মানুষের জন্যে কিছুটা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই। যে যার অবস্থান থেকে যতোটুকু পারি; তাদেরকে সাধ্যমতো বাড়তি কিছু সহায়তা দেই। ওদের জীবন বাঁচুক।

দানের ছবি প্রচার না করে হতদরিদ্রের খোঁজ নিই। ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে যে যতোটুকু পারি, অন্তত তাদের দিকে হাত বাড়াই। মানবতার সম্ভ্রম বাঁচুক।

আসুন মনে রাখতে শিখি, মৃত্যুর পরে 'আমি' নামক মানুষটির কিচ্ছু থাকেনা।
থাকে কৃতকর্ম।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ রাত ৮:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



এক বৃদ্ধ রিকশাওয়ালা, যার একটি হাত পঙ্গু, জীবিকার জন্য প্রচণ্ড রোদে রিকশা চালাচ্ছেন—তবুও যাত্রী নেই, সহানুভূতি নেই। সমাজের অবহেলার মাঝে জীবনযুদ্ধে লড়াই করছেন নিঃশব্দে।

আপনার এই গল্প আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়—আমরা কতটা উদাসীন।
আসুন, সামর্থ্য অনুযায়ী শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়াই।
সহানুভূতি হোক নিঃস্বার্থ, দান হোক নিরব।


একটি চিরন্তণ সত্য দিয়ে সমাপ্তি টেনেছেন- অবশ্যই আমাদের মনে রাখা উচিত, মৃত্যুর পর থাকে না পরিচয়—থাকে কেবল কৃতকর্ম।

০৪ ঠা মে, ২০২৫ রাত ১০:১৪

জুল ভার্ন বলেছেন: খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

২| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ রাত ৯:২১

Sulaiman hossain বলেছেন: সব দোষ হাসিনার।হাসিনা এদের জন্য কেনো ভাতার ব্যবস্তা করেনাই।নিজের বেলায় তো রোষ্ট বিরিয়ানি জর্দা না হলে,ভিতে খাবার যায়নি (হয়ত) আর এদের জন্য বেচে থাকর মত খাবারটুকুও জোটাতে পারেনি।উল্টো পেঁয়াজের দাম সারে তিনশত টাকা কেজি পর্যন্ত উঠিয়েছিল। খলিফা উমর ইবনে আব্দুল আজিজ রহমাতুল্লাহি আলাইহির জমানায় শুনেছি জাকাত নেওয়ার মত কোনো ভিক্ষুক খুঁজে পাওয়া যেতনা।

০৪ ঠা মে, ২০২৫ রাত ১০:১৬

জুল ভার্ন বলেছেন: এখানে দোষারপ এবং রাজনীতি না টানি। বিষয়টা মানবিক, আমরা সবাই মানবিক হলে অন্তত কিছু মানুষের উপকার হবে। শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.