![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
জামাত শিবিরের নেতাদের শারিরীক চাহিদা মেটানোই ছাত্রী সংস্থার মূল কাজ! ছাত্রী সংস্থা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন নেত্রী আয়েশা আক্তারের চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি : https://www.facebook.com/share/p/16QTjR7oLr/
"কে কি ভাববে, আমার সম্পর্কে কি ভাববে, এসব চিন্তা করে চুপ ছিলাম। কিন্তু ভেবে দেখলাম আমার মত ভূক্তভোগীদের নীরবতার কারণেই ছাত্রী সংস্থা ও জামাত শিবিরের মত ইসলাম বিরোধী সংগঠনগুলো মুসলমানদের ইমান ও নারীদের সতীত্ব নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। তাই মা-বোনদের সতীত্ব ও আব্রু রক্ষায় ছাত্রী সংস্থার গোঁমড় ফাঁস করে দেয়ার সংকল্প করলাম।
ইসলাম প্রতিষ্ঠা হোক এটা মুসলমানদের একান্ত চাওয়া। এই চাওয়া থেকেই মানারাত ইউনিভার্সিটির ইশরাত জাহান মৌসুমীর মাধ্যমে রওশন আরা স্বপ্না নামে এক নেত্রীর সঙ্গে পরিচিত হলাম। স্বপ্না আপা আপন বোনের মত কাছে টেনে নিলেন। আমার হল অর্থাৎ সুফিয়া কামাল হলের নাজিয়া, জুলেখা ও নাহিদা আক্তার রুবির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন তিনি। প্রথমে ব্লাড ব্যাংক ও গ্রুপ স্টাডির মাধ্যমে আমার সাংগঠনিক কাজ শুরু হয়। আমার সঙ্গে যুক্ত হয় আইন বিভাগের ফারজানা রহমান, জুওলজির তানজিনা আক্তার ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অ্যানতিন ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আফসানা আক্তার আঁখি।
পরবর্তীতে 'এয়ানত' নামে টাকা সংগ্রহের (বায়তুল মালের চাঁদা) দায়িত্ব দেন স্বপ্না আপা। সংগৃহীত টাকার ২০% কমিশন দেয়া হয়। তিনি জানালেন, টাকার প্রয়োজন হলে যেন জানাই। এছাড়া ফেসবুকে পেইজ ও আইডির মাধ্যমে জামাত শিবিরের প্রচারণা ও সরকার বিরোধী অপপ্রচার চালালে প্রতিটি পেইজ বা আইডির জন্য মাসে আট হাজার টাকা দেয়া হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস পারভীন আক্তার, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জারিন তাসনিম ও আরবি বিভাগের মরিয়ম জামিয়া তামান্না মাসের সেরা প্রচারকারী হিসেবে ৭০ হাজার টাকা পায়। কিন্তু এ টাকা আনতে হয় জামাত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদের বাসা থেকে। যেদিন টাকা আনতে গেল সেদিন রাতে তারা আর হলে ফেরেনি।
আমার সন্দেহ দেখে ইতিহাস বিভাগের চাঁদনী মুচকি হেসে ট্রেনিং ম্যাটেরিয়ালের শিট দিলো যেখানে আবু আলা মওদুদীর উদ্ধৃতি দিয়ে লেখা রয়েছে যে, মুতআ বিবাহ হালাল, সুন্নিরা হারাম বলে তা সঠিক নয়। আরও লেখা রয়েছে, দাসী ভোগ করা হালাল। আইন বিভাগের নাজমা খাতুন বললেন, ছাত্রী সংস্থা ও জামাতের সকল সদস্য আল্লাহর বান্দা বা বান্দি হলেও জান্নাত লাভের জন্য ইমাম তথা নেতার গোলামি করতে হয়। সেই লেকচার শিট পড়ে বোঝা গেল, জামাত শিবির চাইলেই কোনো নারীর শরীর ভোগ করতে পারে, তবে কারও দ্বিধা থাকলে কলেমা পড়ে রাতে মুতআ বিবাহ করা হয় এবং সকালে তালাক দেয়া হয়। বলা হয় এতে কোনো গুনাহ হয় না।
ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম জামাত শিবিরের নেতাদের মনোরঞ্জন করা ও অপপ্রচার চালানোই ছাত্রী সংস্থার মূল কাজ। প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ত্যায়েবা তানজিম ও ফলিত পদার্থ বিভাগের ফাইজুন্নেসা আঁখির সঙ্গে সাংগঠনিক কার্যক্রমে গিয়ে দেখলাম বিভিন্ন স্কুলে গার্ডিয়ান সেজে অন্যান্য অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ করতে হয়। আলাপে স্বামীকে সরকার বরখাস্ত করেছে, সরকারের পতন হচ্ছে, মুসলমানদের হ/ত্যা করা হবে, আত্মীয়কে গু/ম করেছে, চাচাতো বোনকে ছাত্রলী/গ ধ/র্ষণ করেছে ইত্যাদি বলতে হয়।
ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট খালেদা পারভীন ও ফিন্যান্স বিভাগের ফারিয়া লিজার দায়িত্ব ছিল মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বাশার ও শেখ জামাল সহ জামায়াত সমর্থক ওয়াজকারীদের কাছে প্রতি সপ্তাহে ছাত্রী সংস্থার মেয়েদের পাঠানো। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মুনিরা খাতুন ও ম্যানেজমেন্ট মাসুমার কাজ ছিল শিবিরের কাছে সুন্দরী মেয়েদের সরবরাহ করা। দৈনিক কার্যক্রম সূচিতে কার কবে পিরিয়ড হয় সেটিরও উল্লেখ থাকে। সেই অনুসারে মেয়েদের পাঠানো হয়। অর্থাৎ পুরোদমে পতিতাবৃত্তি কেন্দ্রিক সংগঠন বললেও ভুল হবে না। সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হচ্ছে জামাত শিবিরের কোনো নেতা ছাত্রী সংস্থার মেয়দের কাউকে বিয়ে করে না।
সবকিছু অবলোকন করছিলাম, একদিন মোল্লা নাজিম নামে একজনের সঙ্গে দেখা করার জন্য আমাকে বলা হয়। আমি বুঝতে পারলাম আমার সতীত্ব নষ্ট হওয়ার সময় এসেছে। মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত যে, ঢাকার কদমতলীতে যে বাসায় আমাকে যেতে বলা হয়, সে বাসায় ১৮ অক্টোবর, ২০১৭ বুধবারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পতিতাবৃত্তি ও মা/দক ব্যবসার অভিযোগে ২২ জনকে গ্রেফতার করে।
আমি সকল বোনদের কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা ছাত্রী সংস্থা নামের কুফুরি সংগঠন থেকে নিজেকে রক্ষা করুন। মাওলানা সামসুল হক ফরিদপুরি যথার্থই বলেছেন, কোনো সতী নারীর সন্তান কখনো জামায়াতে ইসলামী করতে পারে না। হুসেইন আহমেদ মাদানি যথার্থই বলেছেন, মওদুদী হালাল সন্তান নয়। শুনেছি মওদুদী দাজ্জাল অস্বীকার করেছে। প্রকৃতপক্ষে মওদুদী-সাইদি প্রমুখ দাজ্জালেরই প্রতিরূপ এবং জামায়াতে ইসলামী দাজ্জালি ফেতনা।"
বিঃদ্রঃ আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এমন অপপ্রচার, ভণ্ডামি শেখ হাসিনার দোসর ছাড়া কেউ করতে পারে না।
২৬ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে একমত।
২| ২৮ শে জুন, ২০২৫ রাত ১:৫৫
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: ভালো বলেছেন ।
২৮ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: এটা আমার লেখা নয়, ফেসবুক থেকে সংগৃহিত।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুন, ২০২৫ রাত ৮:৪১
কাঁউটাল বলেছেন: ঘটনা যিনি প্রচার করেছেন (আপনার দেওয়া ফেসবুক লিংক) উনি সম্ভবত আফসোস লীগ। উনার অন্যান্য ফেসবুক স্ট্যাটাস পড়লে বুঝা যায়।
ঘটনা সত্য কি না যাচাই করার জন্য আরও অথেনটিক রেফারেন্স দরকার। কারণ অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর।