নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্টেকহোল্ডার (Stakeholder) এবং ইনক্লুসিভ (Inclusive)......

২৬ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:৫৫

স্টেকহোল্ডার (Stakeholder) এবং ইনক্লুসিভ (Inclusive)

বিভিন্ন সময়ে, দেশজুড়ে তরুণদের মধ্যে এক একটা শব্দের ব্যপক প্রচলন হয়...যেমন স্বাধীনতার আগে 'টেডি' নামক এক ধরনের পোষাক ক্রেজ ছিলো। স্বাধীনতার পর এলো 'বেলবটম'! আশির দশকে 'জিনস' সংস্কৃতি। রাজনীতি এবং রাজনৈতিক সরকারের আমলেও কিছু শব্দের ব্যপক প্রচলন ছিলো। যেমন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমল জুড়ে 'মুক্তি যুদ্ধের চেতনা', 'প্রজন্ম' এবং 'জাতির জনক' শব্দগুলো তসবিহ যপের মতো হয়ে গিয়েছিল।

জুলাই আন্দোলনের শেষে অর্থাৎ ২০২৪ সালে ছাত্রজনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদের রানী দুর্নীতিবাজ শেখ হাসিনা তার জ্ঞাতিগুষ্টি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর ডক্টর ইউনুস এর নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সময় থেকে দেশে
স্টেকহোল্ডার (Stakeholder) এবং ইনক্লুসিভ (Inclusive) শব্দ দুটোর ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা শুরু হয়েছে। প্রথমেই দেখা যাক- আলোচ্য শব্দ দুটোর অর্থ এবং ব্যবহার/প্রয়োগের ক্ষেত্র.....

স্টেকহোল্ডার (Stakeholder) মানে হল সেই ব্যক্তি, দল, বা গোষ্ঠী যারা কোনো প্রকল্প, ব্যবসা, বা সংস্থার সাথে জড়িত এবং যাদের কাজের ফলাফলের উপর প্রভাব পড়ে। সহজ ভাষায়, যারা কোনো কাজে আগ্রহী এবং যাদের কাজের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তারাই স্টেকহোল্ডার। স্টেকহোল্ডার বলতে কী বোঝায়?

ইনক্লুসিভ (Inclusive) শব্দের অর্থ হলো অন্তর্ভুক্তিমূলক বা সকলের জন্য উন্মুক্ত। এর দ্বারা বোঝানো হয় যে, কোনো কিছু করার সময় বা কোনো কিছু তৈরি করার সময়, সমাজের সকল স্তরের মানুষকে বিবেচনা করা হচ্ছে এবং কাউকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না।
আরও বিস্তারিতভাবে, ইনক্লুসিভ মানে হল-
সকলকে অন্তর্ভুক্ত করা। জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ, অক্ষমতা, আর্থ-সামাজিক অবস্থা নির্বিশেষে সকলের জন্য সুযোগ তৈরি করা। কোনো নির্দিষ্ট পটভূমি বা বৈশিষ্ট্যর ভিত্তিতে কাউকে অগ্রাধিকার বা অবজ্ঞা না করা। সমাজে যারা পিছিয়ে আছে, তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা বা সহায়তা করা, যাতে তারাও মূল স্রোতে আসতে পারে।

স্টেকহোল্ডার জারগনটা এনজিও কালচার থেকে আসা। আরো আছে ওপিনিয়ন লিডার, এমডিজি, উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট আর পভার্টি এলিভিয়েশন। আর অসম্প্রদায়িক শব্দটা নিয়ে সংস্কৃতি মামারা অনেক দোকানদারি করায় এখন এলো ইনক্লুসিভ শব্দের ললিপপ।

আমার মনে হচ্ছে এই শব্দ দুটোর ঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। ধারণা করি- যারা এর ব্যবহার শুরু বা 'ইন্ট্রোডিউস' করেছেন তারা নিজেরাই কতটা নিশ্চিত ছিল সে সন্দেহ আছে। তবে বলি কী, ভাই-বেরাদারগন এই শব্দ দুইটা যতনা রাজনৈতিক শব্দ তাঁর চাইতে বাণিজ্যিক শব্দ, একেবারে বাণিজ্যিক শব্দ, কর্পোরেট জগতে প্রতিদিনের শব্দ। বিশ্বাস না হলে প্রধান উপদেষ্টাকে জিজ্ঞেস করে দেখা যেতে পারে, তিনি তাঁর বিদ্যার বাস্তব চর্চায় এই শব্দদ্বয়কেই ব্যবহার করেছেন আজীবন তা বাণিজ্যে, রাজনীতিতে নয়।

রাজনীতিতে ৫০ বছর পরপর একটা করে নতুন রুলিং ক্লাস তৈরি হয়। ভাড়া বাসা থেকে প্রাসাদ, রিক্সা থেকে গাড়ি, লুঙ্গি ছেড়ে স্লিপিং সুট, পার্লারে বার্নিশ করে জরিনা থেকে জেরিন, ছেলেমেয়ে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়িয়ে বাসাটাকে সিটকমের সেট বানানো, এরপর আমেরিকাতে সেকেন্ড হোম কেনা। বিরাট কালচারাল ফ্যামিলি হয়ে প্রথম আলোতে ফিচার, সফল যারা কেমন তারা। এইভাবে ৫০ বছরে দুর্নীতি বসন্তে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের জমিদার বাবু হয়ে উঠলে, তরুণেরা মাথায় পতাকা বেঁধে শোষক শ্রেণীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম। পুরোনো রুলিং ক্লাস হটিয়ে নিজেরা নতুন রুলিং ক্লাস হয়ে ওঠা। আর জনগণকে সে শতবর্ষের চেতনা ও ইনসাফের ঠাকুর মার ঝুলির স্বপ্নের পিঠা খাওয়ানো।

বিচার, সংস্কার, নির্বাচন - সবগুলাই চাই আমরা। এসবের মধ্যে কোন বিরোধ নাই। একটা চাইলে আরেকটা হারাইতে হবে, এমন বস্তুগত ও রেটোরিকাল শর্ত যারা তৈরি করেন, আমি তাদের বিপক্ষে। আমি সংস্কার শব্দটার বদলে "রাষ্ট্র মেরামত" কথাটি বলতে চাই। সংস্কারতো অন্তর্বর্তী সরকারও করছে। তাদের সংস্কারের অর্থ হলো সেই তত্ত্বাবধায়ক নির্ভর নব্বইয়ের গণতন্ত্রকে ফেরত আনা, যা গণতান্ত্রিক ক্রাইসিসকেই অব্যাহত রাখবে। রাষ্ট্র ও রাজনীতির কোন প্রকৃত গুণগত রূপান্তর সাধন করবে না।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক বৈপ্লবিক রূপান্তরের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তা এখনো বাস্তবায়িত হয় নাই। আমাদের লক্ষ্য এই গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন করা। ইটস বিন লং ওভারডিউ। একাত্তরের পর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হয় নাই। চব্বিশের পরেও আমরা আবার পথ হারাতে বসেছি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমরা পথ হারাতে বসেছি কাদের কারণে? শেখ হাসিনার পতন বাদে আর কোথাও একতা কেন দেখছি না ?

২৬ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৯

জুল ভার্ন বলেছেন: সামগ্রিকভাবে, জুলাই বিপ্লব একটি জটিল পরিস্থিতি পার করছে এবং এর ভবিষ্যৎ পথ এখনো অস্পষ্ট। আন্দোলনের নেতৃত্ব নিয়ে মতবিরোধ সুস্পষ্ট। বিশেষ করে, জা-শি র প্ররোচনায় জুলাই বিপ্লবের ছাত্র সমন্বয়কের রাজনৈতিক ক্ষমতার লোভ, বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার এই বিরোধ তরান্বিত করেছে। ডক্টর ইউনুস চক্রের অদক্ষতায় রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করেছে। সরকার এবং জনগণের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। এই অস্থিরতা আন্দোলনের ভবিষ্যৎ পথকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.