নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

AI... Fact Checker এবং Fact Findings.......

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:২৫

AI... Fact Checker এবং Fact Findings.......

প্রযুক্তি মানুষকে কতটা বদলে দিয়েছে- এটা আজ আমাদের চারপাশেই দেখা যাচ্ছে। এক সময় ছবি ছিল স্মৃতির প্রতিচ্ছবি, কণ্ঠস্বর ছিল মনের গভীর অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু এখন এআই প্রযুক্তিতে ছবি হয়ে গেছে ভ্রম, কণ্ঠস্বর হয়ে গেছে ছদ্মবেশ। মাত্র কয়েক ক্লিকেই কাউকে অপরাধী বানানো যায়, বা নির্দোষকে কলঙ্কে ডুবিয়ে দেওয়া যায়। একটা এডিট করা ছবি, কণ্ঠস্বরের নকল- তার পরিণাম হতে পারে একটি জীবনের সর্বনাশ!

মানুষকে মানুষ হিসাবে চেনার উপায়ই যেন হারিয়ে যাচ্ছে। কারো হাসি সত্যি না মিথ্যে, কারো কান্না আসল না কৃত্রিম- এসব বোঝার ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে প্রযুক্তি। সত্য-মিথ্যার সীমানা মুছে দিয়ে আমাদের ঠেলে দিচ্ছে এক অমানবিক অন্ধকারে।

প্রযুক্তির এই দানবীয় রূপ শুধু সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে না, মানুষের প্রতি মানুষের আস্থা ভেঙে দিচ্ছে। আত্মীয়, বন্ধু, সহযোদ্ধা- কাউকে আর নির্দ্বিধায় বিশ্বাস করা যায় না। এক অদ্ভুত সন্দেহ ও অবিশ্বাসের দেয়াল গড়ে তুলছে এআই। অথচ, একটু সতর্ক হলেই- আসল/নকল বোঝা যায়।

যে প্রযুক্তি হতে পারে মানবসভ্যতার অগ্রগতির প্রতীক, আজ সেই প্রযুক্তিই আমাদের চোখের পানি। এ যেন সর্বনাশের এমন এক খেলা- যেখানে মানুষ হেরে যাচ্ছে, আর অমানবিকতা জিতে যাচ্ছে।

প্রশ্ন হলো- এই সর্বনাশের দায় নেবে কে? প্রযুক্তি নির্মাতা? অপব্যবহারকারী? নাকি সেই সমাজ, যে সমাজ যাচাই না করেই বিশ্বাস করে, শেয়ার করে, বিচার করে?

আসলে এই দায় কারও একার নয়- এটা এক সম্মিলিত ব্যর্থতা। প্রযুক্তি নির্মাতারা দায়ী, কারণ তারা সুরক্ষার আগে বাণিজ্যকে বড় করেছে। অপব্যবহারকারীরা দায়ী, কারণ তারা মানুষের আবেগকে অস্ত্র বানিয়েছে। আর সমাজ দায়ী, কারণ আমরা যাচাই না করেই রায় দিয়ে দিই।

মজার বিষয় হচ্ছে- যেমন বিজ্ঞানীরা এ আই বানিয়েছে, তেমন বিজ্ঞানীরাই ফ্যাক্ট-চেকার' বানিয়েছে। কিন্তু 'ফ্যাক্ট চেকার'/ ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং আসার আগেই সর্বনাশ হয়ে যায়!
সত্য-মিথ্যার মাতাল চক্রের সামনে এক মুহূর্তেই কেউ জীবন ধ্বংস করে দিল, আর ফ্যাক্ট-চেকার আসবে- মিটিং, রিপোর্ট, লোগো, একটি শীতল পৃষ্ঠা বলবে “ভুল”। কিন্তু তখন? যখন ঘর পুড়ে গেছে, When ashes still warm in the hand- কে ফিরিয়ে দেবে উঠোনের শিশুর হাসি, কে মুছে দেবে ভুক্তভোগীর লজ্জা?

সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি হলো- যাকে নিয়ে মিথ্যা প্রচার হয়, তার জীবনের যে ক্ষত তৈরি হয়, সেই ক্ষতের ক্ষতিপূরণ কোনো ফ্যাক্ট-চেক বা ক্ষমা দিয়ে পূরণ হয় না। সত্য প্রমাণিত হলেও চরিত্রহত্যার ক্ষতচিহ্ন থেকে যায় সারাজীবন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আসলেই ভয়ংকর অবস্থা এআই যুগ

আল্লাহ আমাদের সকল ফিতনা হতে বাঁচার তৌফিক দিন

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৩

জুল ভার্ন বলেছেন: আমীন।

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৬

অপু তানভীর বলেছেন: সময়ের সাথে প্রযুক্তি বদলাবে, মানিয়ে নিতেই হবে। এই ব্যাপারগুলোই সামনে স্বাভাবিক হয়ে আসবে। যখন প্রথম ক্যালকুলেটর আবিস্কার হল তখন একদল উঠে পড়ে এর বিরুদ্ধে লেগে গেল। তাদের ধারণা ছিল যে অংক শেষ হয়ে যাবে, মানুষ আর গণিত শিখবে না। অথচ দেখেন সবাই এখন সেটার সাথে মানিয়ে নিয়েছে। এআই এর সাথেও সবাই মানিয়ে নিবে। হয়তো কিছু সময় লাগবে।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩১

জুল ভার্ন বলেছেন: অপু, তোমার বক্তব্যে যুক্তি আছে, তবে ক্যালকুলেটর আর এআই- এর মধ্যে বিশাল পার্থক্য আছে, যা অনস্বীকার্য। ক্যালকুলেটর শুধু মানুষের হিসাবকে দ্রুত করেছে, কিন্তু চিন্তার জায়গাটা মানুষকেই করতে হয়েছে। এআই শুধু গণনা নয়- সিদ্ধান্ত, ভাষা, কল্পনা, এমনকি মানুষের চিন্তার জায়গাও দখল করতে পারে। তাই মানিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি এটাকে নিয়ন্ত্রণ ও নৈতিক ব্যবহারের কাঠামো তৈরি করা জরুরি। না হলে এআই কেবল সহায়ক নয়, নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠার ঝুঁকি রাখে।

সত্যি বলছি- এ আই'র কর্মপরিধি সম্পর্কে তেমন কিছুই জানিনা। কিন্তু ইতোমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় যেসব আলোচিত-সমালোচিত এবং বিতর্কিত বিষয় দেখছি তাতে এ আই 'র প্রত্যক্ষ কুপ্রভাবগুলোর মধ্যে অন্যতম-
(১) ভুয়া তথ্য ও প্রোপাগান্ডা! এআই দিয়ে সহজেই ভুয়া খবর, ছবি, ভিডিও বানানো যায়। মানুষ বিভ্রান্ত হয়, সমাজে অস্থিরতা তৈরি হয়।
(২) গোপনীয়তা লঙ্ঘন! এআই মানুষের কথাবার্তা, ছবি, তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গ করছে।
(৩) চিন্তার ক্ষমতা হ্রাস! অতি নির্ভরশীলতার কারণে মানুষ নিজের মতো করে ভাবা, বিশ্লেষণ করা, শিখার অভ্যাস হারাচ্ছে।

ক্যালকুলেটর শুধু গণনা সহজ করেছে, কিন্তু এআই মানুষের চিন্তা, সিদ্ধান্ত, মূল্যবোধকেও প্রভাবিত করছে- এই ফারাকটা অপূরণীয়।


৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

বিজন রয় বলেছেন: আবিস্কারকে অনেকেই অকাজে ব্যবহার করে।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০২

জুল ভার্ন বলেছেন: মানুষের ভেতরে যে অদম্য কৌতূহল- সেটাই মানুষকে করে আবিষ্কারক। এই কৌতূহলই মেধার প্রকৃত প্রকাশ, আর সেই প্রকাশের ভেতরেই লুকিয়ে থাকে মানব সভ্যতার অগ্রযাত্রা। কিন্তু প্রশ্ন হলো- সব আবিষ্কার কি সত্যিই মানবতার কল্যাণে আসে?
যেখানে মেশিন মানুষের কষ্ট লাঘব করে, সেখানে আবার কোনো কোনো আবিষ্কার রক্ত ঝরায়, ধ্বংস ডেকে আনে।

আবিষ্কার মানেই ক্ষমতা, আর ক্ষমতা মানেই দায়িত্ব।
আমরা যদি সেই দায়িত্ব ভুলে যাই, তবে মেধা হয়ে উঠবে অকল্যাণের হাতিয়ার।
তাই প্রয়োজন সেইসব আবিষ্কারের, যেগুলো জীবনকে সহজ করে, ভালোবাসা বাড়ায়, মানুষকে মানুষ বানায়।
অকল্যাণের পথ থেকে ফিরে এসে কল্যাণের দিশাই হোক আমাদের মেধার আসল অর্জন।


৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,



ঠিকই বলেছেন - "এআই শুধু গণনা নয়- সিদ্ধান্ত, ভাষা, কল্পনা, এমনকি মানুষের চিন্তার জায়গাও দখল করতে পারে।"

ফ্যাক্ট চেক দিয়ে সত্য-মিথ্যে বের করা যায় সত্য কিন্তু মানুষের চিন্তা, সিদ্ধান্ত, মূল্যবোধকে ধ্বংসের হাত থেকে বের করতে পারেনা কখনও।
ভুক্তভোগীদের ঘর পুড়তেই থাকে......

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩৫

জুল ভার্ন বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাইজান,
সালাম।
ফ্যাক্ট চেকার /ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংস হয়তো তথ্যের সত্য-মিথ্যা বের করতে পারে, কিন্তু মানুষের ভাঙা মন, হারানো বিশ্বাস আর দগ্ধ ঘরবাড়ির আগুন নিভাতে পারে না। সত্য যাচাইয়ের যন্ত্র আছে, কিন্তু ন্যায় প্রতিষ্ঠার শক্তি নেই। ভুক্তভোগীদের আর্তনাদ তাই বারবার প্রমাণ করে- প্রযুক্তি যতই উন্নত হোক, মানবিকতার অভাব পূরণ করতে পারে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.