![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
সুমুদ ফ্লোটিলা কি এবং কেন.......
“Global Sumud Flotilla” (গ্লোবাল সামুদ ফ্লোটিলা) হলো একটি আন্তর্জাতিক নাগরিক উদ্যোগ, যা ২০২৫ সালে গাজা অবরোধ (Israeli blockade of Gaza) ভাঙার এবং গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে শুরু করা হয়েছে। বিস্তারিত বিবরণঃ
“Sumud” শব্দটি আরবি থেকে নেওয়া, যার মানে “অটলতা / স্থিরতা / জেদ”।
Global Sumud Flotilla (GSF) মূলত একটি সেচ্ছাসেবী (non-profit / সিভিল সোসাইটি) প্রয়াস, যেখানে অনেক ছোট জাহাজ (ভেসেল) মিলে গঠন করা হয়েছে।
এর মূল উদ্দেশ্যঃ
★গাজা অবরোধ ভাঙা, অর্থাৎ সাগরপথে গাজায় পৌঁছতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করা।
★গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া।
★আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করা, গাজায় যে সংকট চলছে তা আন্তর্জাতিক ন্যায্য আইন ও মানবিক অধিকার পরিপন্থী।
★বিশ্বব্যাপী সাধারণ মানুষকে একত্রিত করে “ন্যায্যতা” এবং “মানবিক করিডোর” প্রতিষ্ঠার দাবি তোলা।
সুমুদ ফ্লটিলার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধ ভাঙা, গাজায় মানবিক সাহায্য (খাবার, ওষুধ, চিকিত্সা) পৌঁছে দেওয়া, গণহত্যা উন্মোচন করা।
গঠন ও অংশীজনঃ
GSF জন্ম নেয় ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে, বিভিন্ন গ্রাসরুট (grassroots) এবং মানবাধিকার/সোলিডারিটি সংগঠনের মিলিত উদ্যোগে। এই উদ্যোগে অংশ নেওয়া প্রধান সংগঠনগুলোঃ
★ Freedom Flotilla Coalition (সাবেক বেশ কিছু ফ্লোটিলা মিশনে কাজ করেছে)।
★ Global Movement to Gaza (GMTG)।
★ Maghreb Sumud Flotilla (উত্তর আফ্রিকার অংশীদার)।
★ Sumud Nusantara (আশিয়া থেকে অংশগ্রহণকারী, বিশেষ করে মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশ)।
অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ও পরিধিঃ
৪৪টির বেশী দেশ থেকে প্রতিনিধি থাকবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রায় ৫০টির মতো জাহাজ (small vessels) অংশগ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
১৫,০০০+ জন স্বেচ্ছাসেবকভাবে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছেন। যারা ৬টি মহাদেশ থেকে এসেছে, অস্ট্রেলিয়া, নর্থ এন্ড সাউথ আমেরিকা, আফ্রিকা, ইয়োরপ এবং এশিয়া। যেসব মুসলমান দেশের মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেছে সেগুলো হলো, তুরস্ক, তিউনিশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়ায় ইত্যাদি।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফটো জার্নালিস্ট, এক্টিভিস্ট এবং মানবাধিকার ব্যাক্তিত্ব শহীদুল আলম, বাংলাদেশ থেকে সমুদ ফ্লোটিলায় অংশগ্রহণ করেছেন। (শ্রদ্ধেয় শহীদুল আলম আমার তিন ব্যাচ সিনিয়র ক্যাডেট, ঝিনেদা ক্যাডেট কলেজে। আমার সৌভাগ্য আমি তার সাথে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে একসাথে আন্দোলনে সংগ্রামে সহযাত্রী এবং কিছুদিন একসাথে কেন্দ্রীয় কারা হাসপাতালে ছিলাম)।
যাত্রা ও প্রস্তুতিঃ
শুরুতে ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করার কথা ছিল টিউনিসিয়ার অংশ, তবে কিছু বিষয় বিবেচনা করে
যাত্রার সময়সূচি কিছুটা পরিবর্তিত হয়। প্রাথমিক ভাবে কিছু জাহাজ ৩০-৩১ আগস্ট ২০২৫ তারিখে জেনোয়া ও বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করেছে। পরবর্তী ধাপে তিউনিসিয়া (Tunis) থেকে অংশগ্রহণ করেছে।
যাত্রার পথপ্রদর্শক এবং সাপোর্ট হিসেবে “Emergency” নামক একটি নন-গভর্নমেন্টাল সংগঠন তাদের “Life Support” জাহাজ সহ যুক্ত হয়েছে, যা জরুরি সহায়তা ও উদ্ধার অপারেশন পরিচালনায় সক্ষম।
প্রতিবন্ধকতা ও ঘটনাঃ
যাত্রার পথে কিছু জাহাজ ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ড্রোন, বিস্ফোরণ ও যোগাযোগ বিঘ্ন ঘটেছে- কিছু অংশগ্রহণকারী বলেছে তারা রাতে বিস্ফোরণ শুনেছেন এবং অচেনা ড্রোনকে দেখে আক্রমণ আশংকা প্রকাশ করেছেন। “আক্রমণ” ও “পরিবহন” প্রতিবন্ধকতার কারণে যাত্রা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছে।
গাজার সমুদ্রতীরের কাছাকাছি পৌঁছাতে গেলে ইস্রায়েলি নৌবাহিনী বা জাহাজ দ্বারা বাঁধা দেওয়া এবং আটক করার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
সমর্থন ও প্রতিক্রিয়াঃ
অনেক দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছে। শ্রম ইউনিয়ন ও জনসাধারণ অনেক পর্যায়ে এই ফ্লোটিলাকে সমর্থন জানাচ্ছেন।
ইতালি, স্পেন সুমুদ বহরকে নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত নিরাপত্তা দিচ্ছে। তুরস্ক, পাকিস্তান, স্পেনসহ একাধিক দেশ “GSF-এর নিরাপত্তা” বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ইয়াহুর নাটাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে.....তাদের শক্তি সমর্থনে সব অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছে।
২| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:০৭
বিজন রয় বলেছেন: দারুন!
বাংলাদেশ থেকে শুধু ওই একজন?
অন্যান্য মুসলিম দেশ থেকেও তো কম।
আর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে অমুসলিম দেশ।
অথচ এটা নিয়ে মুসলিম দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ভুমিকা নেওয়ার কথা।
অবশ্য বাংলাদেশ থেবে ইউনুস সরকার এসব করবে না।
তাহলে চিৎপটাং।
০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ড. ইউনুস সম্পর্কে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন ভিন্ন। কারও কাছে তিনি একজন প্রভাবশালী অর্থনীতিবিদ ও নোবেলজয়ী, আবার কারও কাছে তিনি বিতর্কিত একজন ব্যক্তি। অনেকেই মনে করেন তিনি নিজের অবস্থান ও স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেন, আবার অনেকে যুক্তি দেন যে তার কাজের ফলেই বাংলাদেশ বিশ্বে বিশেষভাবে পরিচিত হয়েছে। তাই তার চরিত্র ও ভূমিকা নিয়ে সবারই মতামত ভিন্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক।
৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৪
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ইয়াহুর নাটাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে.....তাদের শক্তি সমর্থনে সব অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছে।
বিষয়টা এখন সম্ভবত লেজ কুকুর নাড়ছে এমনটা হয়ে গেছে।
ইয়াহু এক ইন্টারভিউতে বলেছিলো যে আমেরিকাকে তিনি তার মতের পক্ষে কাজ করতে পুশ করতে পারবেন।
আশা করি আগামী নির্বাচনে ইয়াহু প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেনা।
০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ইহাহু নির্বাচিত হোক বা না হোক- তাতে ফিলিস্তিনিদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। কারণ, যে ই ক্ষমতায় আসবে সে ই ইয়াহু হবে।
৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৯
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন চমৎকার লেখনীর জন্য।
ইসরায়েলী নেভি একের পর এক বোটগুলোকে ইন্টারসেপ্ট করছে, বাধা দিচ্ছে। নেতানিয়াহু অলরেডি বলে দিয়েছে প্রয়োজনে ফায়ার ওপেন করবে। এখানে প্রায় সবগুলো বোট এসেছে প্রভাবশালী দেশগুলো থেকে। এরা সবাই শতভাগ নিরস্ত্র। এদেরকেও হয়তো ইসরায়েলীরা গুলি করবেনা বা গুলি করার আগে চিন্তা করে, কিন্তু নেতানিয়াহু অলরেডি ওপেন ডিক্লারেশন দিয়ে বসে আছে যে কোনো ভাবেই কোনো বোট-কে গাযার তীরে ভীড়তে দেবেনা। প্রয়েজনে ফায়ার ওপেন করবে।
গাযায় যে পরিমান নিরস্ত্র মানুষ (বেশীরবাগ শিশু) তারা হত্যা করেছে, নিরস্ত্র বোট গুলোকেও গুলি করেও হয়তো নেতানিয়াহু, ইসরায়েলী সোলজারের পার পেয়ে যাবে, কারন ইসরায়ে আমরিকারই আরেকটা স্টেট। ইসরায়েল প্রশ্নে ডেমোক্রেট-বিপাকলিকান বলে আলাদা কিছু না। আমেরিকানরা দুনিয়া উল্টে গেলেও ইসরায়েলের বিরূদ্ধে যাবেনা। সুতরাং ইসরায়েলী গণহত্যা যায়েজ এবং এর পক্ষেই তারা থাকবে। কষ্ট সহ্য করা ছাড়া কারো কিছু করার নেই।
০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: সুমুদ ফ্লোটিলা নিয়ে আমি কোনো ক্লাইম্যাক্স অনুভব করি না। জারজ রাস্ট্রের পাশে তার মোড়ল বাপ আমেরিকা আছে। সে সকল অনিয়ম অনাচার করেও পার পেয়ে যাবে, কোন ফ্লোটিলা বোট গাজা বন্দরে ভীড়তে তারা দেবে না, বিশ্বব্যাপী মিডিয়া হাইপ তোলার জন্য এসব মনভোলানো স্ক্রিপ্ট এসব চুলের বহরে কখনো গাজা মুক্ত হবে না। পশ্চিমা দেশগুলোর স্বীকৃতিও স্রেফ আইওয়াশ!
ইরানের ভুমিকায় কিছুটা আশান্বিত হই, অতপর হতাশা চলে আসে। এই যে বিশ্ব নির্বিকার। নিরীহ অসহায় মানুষদের নিয়ে জঘন্য তামাশা চলছে এর কারন আমরা মুসলমারাই। দর্শকসারিতে বসে লাইভ দেখে উত্তেজিত আর আবেগী না হয়ে তাদের জন্য সামান্য মাটি যদি খুড়তাম সেটাও অন্তত শান্তনা হতে পারতো। শেষ ভরসা- রব্বানা আফরিগ আ'লাইনা সবরওঁ ওয়া ছাব্বিত আক্বদমানা ওয়াং-ছুরনা আ'লাল ক্বওমিল কাফিরিন।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:০৭
নতুন বলেছেন: এটা ভালো উদ্দোগ, জনগনের মাঝে সচেতনতা বাড়বে।

নেতানইয়হু ক্ষমতায় থাকার জন্য এই যুদ্ধকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।