![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
তবুও বেঁচে থাকুক ফিলিস্তিনের অবশিষ্ট প্রাণ....
হায় ফিলিস্তিন!
"ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা" প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯১৯ সালে স্বাক্ষরিত ভার্সাই চুক্তির (Treaty of Versailles) চাইতেও "অসম ও অপমানজনক" চুক্তি হিসেবে ইতিহাসে বিবেচিত হবে। তবুও বেঁচে থাকুক ফিলিস্তিনের অবশিষ্ট প্রাণ।
ভার্সাই চুক্তিকে "অসম ও অপমানজনক" বলার কারণ, যুদ্ধের দায় একতরফাভাবে জার্মানির উপর চাপানো হয়, বিশাল ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হয়, সেনা-শক্তি ভেঙে দেওয়া হয়, বহু ভূখণ্ড কেড়ে নেওয়া হয় এবং আলোচনায় জার্মানির কোনো অংশগ্রহণ ছিল না। এটি ছিল প্রতিশোধমূলক এবং অন্যায়ভাবে চাপিয়ে দেওয়া শান্তিচুক্তি।
ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনার ২০টি দফাঃ
(১) গাজা একটা অ-কট্টরপন্থী, সন্ত্রাসমুক্ত এলাকা হবে যা তার পাড়া-প্রতিবেশীদের জন্য হুমকি হবে না।
(২) গাজা গাজার লোকজনের ভালোর জন্য পুনর্গঠন করা হবে, যারা অনেক কষ্ট সহ্য করেছে।
(৩) দু’পক্ষ যদি এই প্রস্তাব মেনে নেয়, যুদ্ধ ততক্ষণাত বন্ধ হবে। ইসরায়েলি বাহিনী জিম্মি ছাড়ার জন্য সম্মত লাইনে সরে যাবে, এবং সমস্ত সামরিক অপারেশন বন্ধ হবে।
(৪) ইসরায়েল এই চুক্তি পাবলিকলি মেনে নেয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব জিম্মি, জীবিত বা মৃত, ফেরত দেয়া হবে।
(৫) সব জিম্মি ছাড়ার পর, ইসরায়েল ২৫০ জন ফিলিস্তিনি লাইফ সেন্টেন্স কয়েদি এবং অক্টোবর ৭, ২০২৩ পরবর্তী গ্রেফতারকৃত ১,৭০০ জন গাজানদের ছেড়ে দেবে, সেই সাথে ছেড়ে দিবে সব নারী এবং শিশু।
(৬) সব জিম্মি ফেরতের পর, হামাস সদস্যরা যারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং অস্ত্র ছেড়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, তাদের ক্ষমা দেয়া হবে। যারা গাজা ছেড়ে যেতে চায়, তাদের নিরাপদ প্যাসেজ দেয়া হবে।
(৭) চুক্তি মেনে নেয়ার পর, গাজায় পুরোপুরি সাহায্য পাঠানো হবে, যা নিদেনপক্ষে জানুয়ারি ১৯, ২০২৫ চুক্তির মতো হবে।
(৮) সাহায্য বিতরণে কোনো পক্ষ হস্তক্ষেপ করবে না, এবংএইড বিতরণ করবে ইউএন, রেড ক্রিসেন্ট।
(৯) গাজা একটা টেকনোক্র্যাটিক, অরাজনৈতিক প্যালেস্টাইনিয়ান কমিটির অধীনে অস্থায়ী শাসন চলবে, যার তত্ত্বাবধানে থাকবে ট্রাম্প এর নেতৃত্বে “বোর্ড অফ পিস” সাথে টনি ব্লেয়ার।
(১০) ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গাজা পুনর্গঠনের জন্য বিশেষজ্ঞ প্যানেল দিয়ে তৈরি হবে।
(১১) একটা বিশেষ অর্থনৈতিক জোন তৈরি হবে, অংশগ্রহণকারী দেশের সাথে স্বল্প ট্যারিফ নেগোসিয়েট করা হবে।
(১২) কাউকে গাজা ছাড়তে বাধ্য করা হবে না, যারা যেতে চায় তারা যেতে পারবে এবং ফিরে আসতে পারবে।
(১৩) সামাহা এবং অন্যান্য গ্রুপ গাজার শাসনে কোনো ভূমিকা রাখবে না, সব সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করা হবে, গাজা নিরস্ত্রীকরণ হবে।
(১৪) আঞ্চলিক অংশীদারদের দিয়ে গ্যারান্টি দেয়া হবে যে সমাহা তাদের দায়িত্ব পালন করবে এবং নতুন গাজা হুমকি হবে না।
(১৫) যুক্তরাষ্ট্র, আরব এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে অস্থায়ী আন্তর্জাতিক স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স (আইএসএফ) তৈরি করবে গাজায় ততক্ষণাত ডেপ্লয়ের জন্য।
(১৬) আইএসএফ প্যালেস্টাইনিয়ান পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেবে এবং দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা গ্যারান্টর হবে যতক্ষণ না প্যালেস্টাইনিয়ান অথরিটি রিফর্ম করে নেয়।
(১৭) ইসরায়েল গাজা দখল বা annex করবে না, এবং আইডিএফ ধীরে ধীরে অঞ্চল হ্যান্ডওভার করবে।
(১৮) যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল এবং প্যালেস্টাইনিয়ানদের মধ্যে ডায়ালগ স্থাপন করবে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের রাজনৈতিক হরাইজনের জন্য।
(১৯) প্যালেস্টাইনিয়ানদের গাজা থেকে জোর করে বিতাড়িত করা হবে না।
(২০) পরিকল্পনাটি যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের পুরো শক্তি দিয়ে সমর্থিত হবে, না মানলে গুরুতর পরিণতি হবে।
এবার ফিরে যাই ট্রাম্পের শান্তি চুক্তির শর্তগুলোতে-
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯১৯ সালে স্বাক্ষরিত ভার্সাই চুক্তি (Treaty of Versailles) ইতিহাসে অন্যতম বিতর্কিত এবং "অসম ও অপমানজনক" চুক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। কেন তা বলা হয়- তা বোঝার জন্য কয়েকটি দিক বিশ্লেষণ করা দরকার:
(১) যুদ্ধের দায়ভার জার্মানির কাঁধে চাপানোঃ
চুক্তির ধারা ২৩১ (War Guilt Clause) অনুসারে যুদ্ধের সম্পূর্ণ দায়ভার জার্মানির উপর চাপানো হয়।
অথচ যুদ্ধ শুরুতে শুধু জার্মানি নয়, অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি, রাশিয়া, সার্বিয়া, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড- সবার ভূমিকাই ছিল।
শুধুমাত্র জার্মানিকে দায়ী করা জার্মান জনগণের কাছে অত্যন্ত অপমানজনক মনে হয়েছিল।
(২) বিশাল ক্ষতিপূরণঃ
জার্মানিকে বিশাল অংকের যুদ্ধ ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করা হয় (প্রায় ১৩২ বিলিয়ন গোল্ড মার্কস)। তাদের অর্থনীতি যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত থাকলেও চুক্তি তাদের আরও নিঃস্ব করে দেয়। ফলে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ও দারিদ্র্য তৈরি হয়।
(৩) সামরিক সীমাবদ্ধতাঃ
জার্মান সেনাবাহিনীকে মাত্র ১ লাখ সৈন্যে সীমাবদ্ধ করা হয়। বিমান বাহিনী, সাবমেরিন, ট্যাংক রাখার অনুমতি দেওয়া হয়নি। নৌবাহিনীও ছোট আকারে সীমিত করে দেওয়া হয়। এই সামরিক অপমান জার্মানির জাতীয় গৌরবকে মারাত্মকভাবে আঘাত করে।
(৪) ভূখণ্ড হারানোঃ
জার্মানি তার বহু ভূখণ্ড হারায়। আলসাস-লোরেন ফ্রান্সকে দেওয়া হয়। পোল্যান্ড সৃষ্টি করতে গিয়ে "পোলিশ করিডোর" কেটে নেওয়া হয়, ফলে জার্মানি দুটি অংশে বিভক্ত হয়।
আফ্রিকার উপনিবেশগুলো ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জাপানের কাছে চলে যায়। এতে জার্মানি শুধু অর্থনৈতিক সম্পদই নয়, রাজনৈতিক মর্যাদাও হারায়।
(৫) আলোচনা থেকে জার্মানিকে বাদ দেওয়াঃ
প্যারিস শান্তি সম্মেলনে (Paris Peace Conference, ১৯১৯) জার্মানিকে আলোচনায় বসতে ডাকা হয়নি।
বিজয়ীরা (বিশেষত ফ্রান্স, ব্রিটেন, আমেরিকা) নিজেদের ইচ্ছামতো শর্ত চাপিয়ে দেয়। ফলে এটি প্রকৃত শান্তি চুক্তি নয়, বরং বিজয়ীদের প্রতিশোধমূলক চাপ হিসেবে দেখা হয়।
(৬) জার্মান জাতীয়তাবাদে প্রভাবঃ
এই চুক্তি জার্মান জনগণের মনে অপমান, ক্ষোভ ও প্রতিশোধস্পৃহা জন্ম দেয়। তাদের মনে হয় দেশটিকে জোরপূর্বক হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য করা হয়েছে।
পরবর্তীতে এই অপমানজনক অবস্থার সুযোগ নিয়ে অ্যাডলফ হিটলার জাতীয়তাবাদী আবেগ উসকে দেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে পৃথিবী ধাবিত হয়।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাই, "ফিলিস্তিন বর্তমান জার্মানীর মতো একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে পূনর্গঠনের সময় পাবে"- এই বিষয়ে একটা ব্যাখ্যা দিলে বুঝতে পারতাম।
২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
টাইপো - 'অন্যান্য দেশ'
এই চুক্তির একটি ভালো দিক হলো- ফিলিস্তিন বর্তমান জার্মানীর মতো একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে পূনর্গঠনের সময় পাবে।
খারাপ দিক হলো- দীর্ঘ দিন অন্যান্য দেশের জনগণ যেমন নিজেদের স্বাধিকার ভোগ করেন, তেমনটা তাঁরা ভোগ করতে পারবেন না।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: এই চুক্তিতে ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকার নুন্যতম সম্ভাবনা বা আশা ছাড়া আর কোনো ভালো খুঁজে পাচ্ছি না।
৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
জিজ্ঞাসা করার জন্যে ধন্যবাদ, ভাই।
জার্মানী ইউরোপের একটি পাওয়ার হাউস। Volkswagen Group (which owns Audi and Porsche), the Mercedes-Benz Group, and the BMW Group-এঁর সৃষ্টি জার্মানীতেই। Opel and Ford-Werke GmbH - ও জার্মানীর।
২০২৪ সালে, জার্মানীর পার ক্যাপিটা জিডিপি হচ্ছে ৫৫,৮০০.২২ USD, যা ইউরোপের গড় পার ক্যাপিটা জিডিপি'র চেয়ে অনেক বেশি! ইউরোপের বর্তমান গড় €39,700।
জার্মানীর বর্তমান বেকারত্বের হার মাত্র ৩.৪২%, পুরো ইউরোপের চেয়ে কম।
যুদ্ধ বন্ধ হওয়ায়, জার্মানী কেমন হু হু করে এগিয়ে গিয়েছে, দেখুন!
ফিলিস্তিনীরাও সেরকম পারবেন। তাঁরা এরকম পরাক্রমশালী একটি শক্তির সাথে কিভাবে যুদ্ধ করেছেন, একবার চিন্তা করে দেখুন। এই শক্তি যদি যুদ্ধ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিরা দেশ পুনর্গঠনে কাজে লাগান তাহলে কি হবে?
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতে গেলে ইতিহাস, ভৌগোলিক বাস্তবতা ও আন্তর্জাতিক কূটনীতি- সব একসাথে দেখতে হবে।
দেখা যাক জার্মানির প্রেক্ষাপটঃ
(১) অপমানজনক চুক্তি ও অর্থনীতিঃ ভার্সাই চুক্তি (১৯১৯) জার্মানিকে মারাত্মকভাবে দুর্বল করেছিল। কিন্তু তাদের ছিল একটি শিল্পায়িত অর্থনীতি, শিক্ষিত মধ্যবিত্ত, প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানভিত্তিক উন্নয়নের দর্শন।
(২) জাতীয়তাবাদী উত্থানঃ অপমানের ক্ষত থেকে জন্ম নেয় প্রবল জাতীয়তাবাদ। হিটলার সেই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে দেশকে দ্রুত সামরিক-অর্থনৈতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করেন।
(৩) ভূগোল ও ঐক্যঃ জার্মানি ছিল একটি ভৌগোলিকভাবে নির্দিষ্ট রাষ্ট্র, শক্তিশালী জাতিগত ঐক্য ও সুসংগঠিত প্রশাসন।
এবার দেখুন ফিলিস্তিনের প্রেক্ষাপটঃ
(১) রাষ্ট্র কাঠামোর অভাবঃ ফিলিস্তিন এখনো পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন রাষ্ট্র নয়, ওদের প্রশাসনিক কাঠামো নাই। প্রশাসনিক সরকার নাই, দেশের রাজধানী পর্যন্ত নাই। পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেম ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন, রাজনৈতিকভাবেও বিভক্ত (হামাস বনাম ফাতাহ)।
(২) অর্থনীতি ও অবকাঠামোঃ দীর্ঘ অবরোধ, ধ্বংস, শরণার্থী সংকট এবং কাজের সীমাবদ্ধতায় তাদের অর্থনীতি সম্পুর্ণ ভেঙে পড়েছে। তাদের জীবন কর্মসংস্থান এবং জীবিকা সম্পুর্ণ ইজরায়েল নির্ভর, মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের দান-খয়রাত নির্ভর। জার্মানির মতো কোনো শিল্পায়ন বা প্রযুক্তিগত ভিত্তি নেই, উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নাই।
(৩) আন্তর্জাতিক রাজনীতিঃ জার্মানির বিরুদ্ধে একসময় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা থাকলেও তাকে দমন করার মতো বৈশ্বিক সম্মিলিত ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রে ইসরায়েলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা জোট সরাসরি অবস্থান নেয়। ফলে তাদের অগ্রযাত্রা কঠিন।
(৪) জাতীয় ঐক্যের অভাবঃ জার্মানির ক্ষেত্রে “এক পতাকা, এক শাসন” ছিল; কিন্তু ফিলিস্তিনীদের মধ্যে রাজনৈতিক বিভাজন জাতীয় ঐক্যকে দুর্বল করেছে।
তবে সম্ভাবনার জায়গাঃ
অনেক শুন্যের মধ্যে ফিলিস্তিনীদের জনশক্তি, তরুণ প্রজন্ম এবং বৈশ্বিক সহানুভূতি তাদের ভবিষ্যতের সম্ভাবনা তৈরি করে। প্রযুক্তি, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে তারা ধীরে ধীরে উঠে আসতে পারে, যদি অভ্যন্তরীণ বিভাজন মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। বিশ্বব্যাপী প্রবাসী ফিলিস্তিনীরা (diaspora) বড় অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ভূমিকা রাখতে পারে, যেমন ইহুদি প্রবাসীরা ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে।
অর্থাৎ, জার্মানি যেভাবে দ্রুত উঠে দাঁড়িয়েছিল, সেই ধরণের হু হু করে অগ্রগতি ফিলিস্তিনীদের পক্ষে স্বল্পমেয়াদে কঠিন। কারণ তাদের নেই একটি স্বাধীন রাষ্ট্র কাঠামো, অর্থনৈতিক অবকাঠামো ও ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক নেতৃত্ব। তবে দীর্ঘ মেয়াদে, শিক্ষা, ঐক্য এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন কাজে লাগাতে পারলে ফিলিস্তিনীরাও নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে সক্ষম।
৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:১২
নতুন বলেছেন: অবশ্যই যুদ্ধ বন্ধ হওয়া দরকার।
প্রথমত এতে ফিলিস্তিনিরা খুবই ছোট্ট একটা রাস্ট পাবে। এবং এই ভাগটা অবশ্যই সঠিক হবেনা। তবে জীবন তো বাচবে।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জেলখানা ফিলিস্তিন, এবং অন্য যে কোন জেলখানার পরিস্থিতিও গাজার চেয়ে ভালো।
যুদ্ধ বন্ধ হলে, ইসরাইলের সেনা চলে গেলে। একদিন ফিলিস্থিনিরাও মাথা তুলে দাড়াতে পারবে।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: সুদূর ভবিষ্যতে কি হবে জানিবা, তবে অদুর ভবিষৎ পর্যন্ত রাষ্ট্র নয়, ফিলিস্তিনিরা একটা বৃহৎ কারাগার পাবে- যেখানে পরিবার নিয়ে কোনো রকম থাকতে পারবে এবং ক্ষুন্নিবৃত্তি নিবারণের জন্য আগের মতোই পরনির্ভরশীল হয়ে থাকবে।
৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৬
আমি নই বলেছেন: ফিলিস্তিনিদের কষ্টের শেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ট্রাম্প-নেতানিয়াহু এটা করতেছে শুধু মাত্র বিশ্বকে শান্ত করার জন্য। ১-২-৩ বছর হয়ত এমন থাকবে, বিশ্ব আস্তে আস্তে ভুলে যেতে থাকবে, তখন নতুন কোনো ছল-চাতুরি করে আবার হত্যাযজ্ঞ শুরু করবে। বৃহত্তর ইসরাইল গঠন করাই জায়নিষ্ট শয়তানদের মুল লক্ষ সুতরাং এত সহজেই ফিলিস্তিনিদের কষ্ট লাঘব হবে না।
যারা মনে করে ফিলিস্তিনিরা মাথা তুলে দাড়াবে তারা আসলে অবৈধ ইসরাইলের ইতিহাসই জানেনা। পশ্চিমাদের সহযোগীতা নিয়ে শুরু থেকেই ইসরাইল একই কাজ করতেছে, এবারেরটা একটু দির্ঘ মেয়াদি ছিল, এটাই পার্থক্য। হত্যা, ধর্ষন, কিডন্যাপ এগুলোতো নতুন শুরু হয় নাই, শুরু থেকেই হচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের মাথা তুলে দাড়াতে দেয়াতো দুরের কথা, মৌলিক চাহিদা গুলোও মেটাতে দেবেনা ইসরাইল।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে সম্পুর্ণ একমত।
৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১:১৪
চারাগাছ বলেছেন:
নতুন বলেছেন-
যুদ্ধ বন্ধ হলে, ইসরাইলের সেনা চলে গেলে। একদিন ফিলিস্থিনিরাও মাথা তুলে দাড়াতে পারবে।
আপনার পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
এই চুক্তির একটি ভালো দিক হলো- ফিলিস্তিন বর্তমান জার্মানীর মতো একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে পূনর্গঠনের সময় পাবে।
খারাপ দিক হলো- দীর্ঘ দিন অন্যনায় দেশের জনগণ যেমন নিজেদের স্বাধিকার ভোগ করেন, তেমনটা তাঁরা ভোগ করতে পারবেন না।