![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
সোশ্যাল মিডিয়ায় "অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট” (Online Activist) হতে গেলে শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেওয়াই যথেষ্ট নয়- এর জন্য কিছু নির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়া বা গুণাবলি প্রয়োজন হয়। নিচে মূল বিষয়গুলো ভাগ করে ব্যাখ্যা করছিঃ
(১) সচেতনতা ও জ্ঞানভিত্তিঃ
যে বিষয়ে আপনি আন্দোলন বা প্রচারণা চালাতে চান (রাজনীতি, মানবাধিকার, পরিবেশ, ধর্মীয় স্বাধীনতা, শিক্ষা, ইত্যাদি), সে বিষয়ে গভীর জ্ঞান ও হালনাগাদ তথ্য থাকা দরকার। যাচাই করা উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে- গুজব বা অর্ধসত্য প্রচার করলে বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়।
(২) যোগাযোগ দক্ষতা (Communication Skill):
স্পষ্ট, সংক্ষিপ্ত ও প্রভাবশালীভাবে বক্তব্য প্রকাশের ক্ষমতা থাকতে হবে। লেখালেখি, ভিডিও ব্লগিং, গ্রাফিক্স, মিম বা ক্যাম্পেইন পোস্ট- সব ক্ষেত্রেই বার্তাটি যেন মানুষ বুঝতে পারে ও অনুপ্রাণিত হয়।
(৩) ডিজিটাল স্কিল (Digital Literacy):
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো (Facebook, X/Twitter, YouTube, Instagram, TikTok, ইত্যাদি) ব্যবহারে দক্ষ হতে হবে। কনটেন্ট ক্রিয়েশন টুল (Canva, CapCut, ChatGPT, ইত্যাদি) ব্যবহার জানা থাকলে প্রচারণা অনেক বেশি কার্যকর হয়। সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি (ফিশিং, ট্র্যাকিং, হ্যাকিং থেকে সুরক্ষা)।
(৪) নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধঃ
কোনো বিষয় প্রচার করার আগে যাচাই করা — fact-checking করা জরুরি। ঘৃণামূলক, মিথ্যা, বা বিভাজন সৃষ্টিকারী কনটেন্ট এড়িয়ে চলতে হবে।
অনলাইন অ্যাক্টিভিজম মানেই দায়িত্বশীল নাগরিকত্বের প্রকাশ।
(৫) ধারাবাহিকতা ও ধৈর্যঃ
একদিনে প্রভাব তৈরি হয় না। নিয়মিত কাজ করতে হয়, মানুষের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হয়। সমালোচনা বা আক্রমণের মুখেও ধৈর্য ধরে কাজ চালিয়ে যেতে হয়।
(৬) নেটওয়ার্ক ও সহযোগিতাঃ
একা না থেকে মতাদর্শ-সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে যুক্ত থাকা দরকার। বিভিন্ন সংগঠন, পেজ বা ক্যাম্পেইনের সঙ্গে কাজ করলে প্রভাব বাড়ে।
(৭) কৌশল ও পরিকল্পনাঃ
লক্ষ্য নির্ধারণ (যেমন: সচেতনতা তৈরি, নীতিনির্ধারণে প্রভাব, মানবাধিকার রক্ষা)। লক্ষ্য অনুযায়ী বার্তা, ভাষা, মাধ্যম, সময়- সব কিছু পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করতে হয়।
নিশ্চয়ই সবগুলো ক্রাইটেরিয়া আমরা সবাই পূরণ করতে পারিনা, তবুও মিনিমাম একটা স্টান্ডার্ড থাকতে হবে। যাদেরকে প্রোমোট করা হয় তাদের মধ্যে কতজনের মধ্যে উপরোক্ত বিষয়গুলো আছে- মিলিয়ে নিন।
©somewhere in net ltd.