![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যি বলছি,একটি বিশ্বকাপই পারে বাঙ্গালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে। নোবেল বা বড় বড় ডক্টরেট ডিগ্রি অথবা সমুদ্র জয় কিংবা গিনিজ বুকের রেকর্ড যা করতে পারেনি সেই অসাধ্যই সাধন হতে পারে একটি বিশ্বকাপ দিয়ে।
ধর্ম-বর্ণ,রাজনৈতিক পরিচয় নির্বিশেষে সমগ্র বাঙ্গালীকে একটি বিশ্বকাপই পারে একবিন্দুতে মিলাতে। আপনি খেয়াল করে দেখুন বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা যখন ICC World Cup খেলতে যায়,তখন পুরো দেশের মানুষ “বাংলাদেশ,বাংলাদেশ” রব তুলে। এক সাকিব আল হাসান খেলতে যান কলকাতায়,তাই সবাই কলকাতার খেলার খবর রাখে।
বাংলাদেশ যদি বিশ্বকাপই জিতে যায় তাহলে কি হবে??
ভাবছেন ... কখনো ...
আরে ধুর মিয়া,হুদাই ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়া ভাবতেছেন। পুরা দুনিয়ার মাত্র ১০৭টি দেশের খেলা,যেখানে ১০-১১টা দেশ বাদে বাকিগুলো কেউ চিনেও না;সেই বিশ্বকাপ জেতাও যা না জেতাও তা।
জিততে হলে The Greatest Show on The Earth যাকে বলে,সেই ফুটবল বিশ্বকাপ জিততে হবে। তবেই আসল লাভ।
মনে করেন বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলতে গেছে। কি অবস্থা হবে ভাবুন তো ??
সারাদেশের মানুষ দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে উঠবে। সারাদেশ জাতীয় পতাকায় ছেয়ে যাবে। সবাই জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ঘুরে বেড়াবে,সেলফি তুলবে।
কে কার চেয়ে বৃহৎ পতাকা উড়াতে পারে সেই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে। হয়তো এই প্রতিযোগিতার ফলশ্রুতিতে বিশ্বরেকর্ডও হয়ে যেতে পারে,গিনিজ বুকে নাম উঠতে পারে। এইবারে চৌধুরী পাড়া রেকর্ড করলে পরেরবার খন্দকার বাড়ি সেই রেকর্ড ভাঙ্গবে। এইবার নোয়াখাইল্ল্যারা রেকর্ড করলে,পরেরবার চিটাগাঙয়ের মানুষ করবে। এইবার বরিশাইল্ল্যা করলে পরের বার ঢাকাইয়্যারা করবে।
এভাবেই রেকর্ড এর পর রেকর্ড চলতেই থাকবে। গিনিজ বুক ওয়ালাদের পৃষ্টা শেষ হয়ে গেলে বসুন্ধরা পেপার মিল থেকে বাঁধাই করা খাতা পাঠানো হবে রেকর্ড লেখার জন্য। মেসি,নেইমার,রোনাল্ডো দের বাদ দিয়ে সবাই আলফাজ,জাহিদ,এমিলিদের নিয়ে গবেষণা করবে। কেউ যদি বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে অন্য কোন দেশকে সাপোর্ট করে,তাকে ঐদেশের বীর্য বা দালাল আখ্যা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ যদি বিশ্বকাপ জিতে...
তাহলে তো আর কথাই নাই ...
মাসব্যাপী সরকারী ছুটি ঘোষণা করা অটো হয়ে যাবে।
পাড়ায় পাড়ায় কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন হবে।
রাষ্ট্রীয় ভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশ্বকাপ জয়ের উৎসব হবে।
সেই উৎসবে আগত লক্ষ লক্ষ লোকের Advantage কাজে লাগিয়ে “লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা” ইভেন্ট হবে।
হাতিরঝিলে আলোক উৎসব হবে।
চারুকলা থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বেরুবে।
২০৭টি দেশের কথা বাদই দিলাম,কোয়ালিফাইং এ অংশ নেয়া দেশগুলো আর মূলপর্বে অংশ নেয়া ৩২দেশগুলোও বাংলাদেশকে চিনবে। জিএসপি সুবিধা ছাড়াই বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্য বিদেশে রফতানী হবে।
ভেবে দ্যাখছেন ব্যাপারটা ??
পুরো বাংলাদেশ একই ব্যাপারে উম্মাতাল হবে।
তিন তিনখান নোবেল আর গোটাকয়েক বিদেশী ডিগ্রি কি পারছে এমন কিছু করতে??
তাই ঐসব দিয়া কাম নাই,বাংলাদেশের বিশ্বকাপ চাই। প্রয়োজনে টাকা দিয়ে হইলেও বিশ্বকাপ বাংলাদেশের দরকার।
ম্যারাদোনা জিগাইছে, “বাংলাদেশ কোথায়?” মানবজমিন সম্পাদকের লেখা এই কলাম দিয়া নিউজ ফিড ভরায়ে ফেলছেন। একটা বারও নিজেকে নিজে জিজ্ঞেস করছেন, “কোথায় বাংলাদেশ?”
©somewhere in net ltd.