নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জুম্মান মির

জুম্মান মির

জুম্মান মির › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমে কাদের সিদ্দিকী যেভাবে রাজাকার হলেন

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৫



বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকীকেও সাম্প্রতিক সময়ে রাজাকার বলা হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা-নেত্রীদের পক্ষ থেকে। টাঙ্গাইলের কাদেরীয়া বাহিনী প্রধান বীরউত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাকেও যখন রাজাকার বলা হচ্ছে তখন গোটা জাতিই হতবাক না হয়ে পারে না। এটা খুবি দুঃখজনক। কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম (জন্ম: ১৯৪৭) ১৯৭১-এর মুক্তিযু-দ্ধের সময় তিনি বাঘা কাদের নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযু-দ্ধের অন্যতম সমরনায়ক, যিনি ভারতীয় বাহিনীর সাহায্য ব্যতিরেকেই ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রথমার্ধে ঢাকা আক্রমণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলেন। তাঁর পূর্ণ নাম আব্দুল কাদের সিদ্দিকী। তাঁকে বঙ্গবীর নামেও ডাকা হয়। মুক্তিযু-দ্ধের অন্যতম বাহিনী কাদেরিয়া বাহিনী তাঁর নেতৃত্বে গঠিত ও পরিচালিত হয়েছিল। মুক্তিযু-দ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য তাঁকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়। মুক্তিযু-দ্ধ-পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকলেও ১৯৯৯ সালে তিনি আওয়ামী লীগ ত্যাগ করেন এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নামক রাজনৈতিক দল গঠন করেন। তিনি এই দলের সভাপতি। আবদুল কাদের সিদ্দিকীর পৈতৃক বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি উপজেলার ছাতিহাটি গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুল আলী সিদ্দিকী, মায়ের নাম লতিফা সিদ্দিকী এবং স্ত্রীর নাম নাসরীন সিদ্দিকী। তাঁদের এক ছেলে, এক মেয়ে। ১৯৭১ সালে শিক্ষার্থী ছিলেন। সামরিক প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। স্কুলে পড়াকালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে সেনাবাহিনীতে কিছুদিন চাকরি করে ১৯৬৭ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে আবার শিক্ষাজীবনে ফিরে যান। মুক্তিযু-দ্ধ শুরু হলে ঝাঁপিয়ে পড়েন যু-দ্ধে। আবদুল কাদের সিদ্দিকী ১৯৭১ সালে মুক্তিযু-দ্ধ শুরু হলে টাঙ্গাইলে গঠিত বিশেষ সশস্ত্র বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হন। এ বাহিনীর নেতৃত্বে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ছাড়াও ছিলেন আনোয়ার-উল-আলম শহীদ, এনায়েত করিমসহ অনেকে। প্রাথমিক পর্যায়ে টাঙ্গাইলে তাঁরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধযু-দ্ধ করেন। টাঙ্গাইলের প্রতিরোধযোদ্ধারা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে পুরো বাহিনী টাঙ্গাইলের প্রত্যন্ত এলাকা সখীপুরে চলে যান। সেখানে শুরু হয় এ বাহিনীর পুনর্গঠন-প্রক্রিয়া এবং রিক্রুট ও প্রশিক্ষণ। পরবর্তীকালে এ বাহিনীরই নাম হয় ‘কাদেরিয়া বাহিনী’। মুক্তি-যুদ্ধকালে আবদুল কাদের সিদ্দিকী দক্ষতা এবং সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা টাঙ্গাইলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি অসংখ্য যু-দ্ধ ও অ্যাম্বুশ করেন। এর মধ্যে ধলাপাড়ার অ্যাম্বুশ অন্যতম। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার অন্তর্গত ধলাপাড়ায় ১৬ আগস্ট আবদুল কাদের সিদ্দিকী ধলাপাড়ার কাছাকাছি একটি স্থানে ছিলেন। তিনি খবর পান, তাঁদের তিনটি উপদল পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঘেরাও করেছে। তাঁদের সাহায্য করার জন্য তিনি সেখানে রওনা হন। আবদুল কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ১০ জন। এই ১০জন সহযোদ্ধা নিয়ে পাকিস্তানিরা যে পথ দিয়ে পিছু হটছিল, সে পথে অবস্থান নেন তিনি। পাকিস্তানি সেনারা সংখ্যায় ছিল অনেক বেশি। তবে বিচলিত না হয়ে নিজের দুর্ধর্ষ প্রকৃতির সহযোদ্ধাদের নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। ১টা বেজে ২০ মিনিটে পাকিস্তানি সেনারা তাঁদের অ্যাম্বুশে প্রবেশ করে এবং চল্লিশ গজের মধ্যে আসামাত্র কাদের সিদ্দিকী এলএমজি দিয়ে প্রথম গুলি শুরু করেন। একই সময় তাঁর সহযোদ্ধাদের অস্ত্রও গর্জে ওঠে। নিমেষে সামনের কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। বাকি সেনারা প্রতিরোধে না গিয়ে পালিয়ে যেতে থাকে। এ দৃশ্য দেখে কাদের সিদ্দিকী উত্তেজিত হয়ে উঠে দাঁড়িয়ে এলএমজি দিয়ে পলায়নরত পাকিস্তানি সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকেন। তাঁর সহযোদ্ধারাও উঠে দাঁড়িয়ে গুলি শুরু করেন। এ সময় হঠাৎ পাকিস্তানি সেনাদের ছোড়া গুলি ছুটে আসে আবদুল কাদের সিদ্দিকীর দিকে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন তিনি। তারপরও তিনি দমে যাননি। আহত অবস্থায় যু-দ্ধ চালিয়ে যান। যু-দ্ধ শেষে সহযোদ্ধারা তাঁকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেদিন তাঁদের হাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রায় ৪০ জন হতাহত হয়।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪০

আবু তালেব শেখ বলেছেন: উনার সম্মন্ধে নতুন করে জানার কিছু নেই। এটা সরকারের কমন ডায়লগ, দলে থাকলে মুক্তিযোদ্ধা, বিরোধী হলে রাজাকার।

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কপি পেস্ট করে নেন আবু তালেব শেখের মন্তব্যই আমার মন্তব্য...

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৩

জমীরউদ্দীন মোল্লা বলেছেন: যারা ওনাকে রাজাকার বলে, তাঁদের ব্যাপারে খোজ নেন। দেখবেন চাকরি থাকবে না।

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৪

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন: He should retire from the politics

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪১

সাইন বোর্ড বলেছেন: যারা মুক্তিযোদ্ধা বানাতে পারে, তারা রাজাকার কেন বানাতে পারবে না ?

৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: হাস্যকর।

৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৭

খাঁজা বাবা বলেছেন: আওয়ামীলীগ মুক্তিযোদ্ধার তৈরির মেশিন।
এক দিকে রাজাকার ঢুকালে অন্য দিক দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা বের হয়
আওয়ামীলীগের বাইরে সবাই রাজাকার।

আওয়ামীলীগের যারা মুক্তি যুদ্ধ করেছেন বলে বড় বড় ডায়লগ দেন, তারা মুজিব বাহীনি গঠন করে মুক্তিযুদ্ধের প্রকারান্তরে ক্ষতি করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ করেন নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.