নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। কালেভদ্রে লিখি :)

মোঃ জুনায়েদ খান

ভোর হয়, সূর্য ওঠে... সেই সূর্যও একসময় রাতের কোলে ঘুমিয়ে যায়। আমিও সূর্যের সাথে উঠি, রাতের কোলে ঘুমিয়ে যাই, মাঝিবিহীন নৌকায় বসে উত্তাল সমুদ্রে নিয়মিত ঘুরপাক খাই, উত্তর থেকে দক্ষিণে বিদ্যুৎ বেগে দৌড়াই আবার দক্ষিণ থেকে উত্তরে কচ্ছপ বেগে হেঁটে হেঁটে আসি, তারপর চৈত্রের কড়া দুপুরে কম্বল মুড়ি দিয়ে চুপচাপ শুয়ে থাকি অনেকক্ষণ! কারণ আমার জীবনের কোন লক্ষ্য নেই!\n\n\nপেশায় ছাত্র। পড়ছি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। এইতো..

মোঃ জুনায়েদ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সহনশীল জাত উদ্ভাবনের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭



ময়মনসিংহ, জানুয়ারি ০৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)– এলাকাভিত্তিক জলবায়ু ও পরিবেশ উপযোগী উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবনে কৃষিবিদদের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।



বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী অ্যালামনাই পুনর্মিলনী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বৃহত্তর অর্জনগুলোর মধ্যে কৃষিখাতের অর্জন সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও দৃশ্যমান। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিদ ও বিজ্ঞানীদের নিরলস চেষ্টায় গত চার দশকে খাদ্যশষ্যের উৎপাদন তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, শাক-সবজি ও ফলের উৎপাদন।



“তবে আমাদের এখনেই থেমে থাকলে চলবে না । আজ বিভিন্ন কারণে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। সেই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে জনসংখ্যার অব্যাহত চাপ।



“জলবায়ু ও পরিবেশ উপযোগী এলাকাভিত্তিক চাহিদা অনুযায়ী ফসল উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। উদ্ভাবন করতে হবে লবণাক্ততা এবং বন্যা সহিষ্ণু ফসলের জাত”, বলেন প্রধানমন্ত্রী।



উদ্বৃত্ত খাদ্য প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে উল্লেখ করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় গবেষণা করার জন্য খাদ্য প্রকৌশলীদের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।



সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ, জলাবদ্ধতা দূর করা এবং হাওর এলাকায় পরিকল্পিতভাবে পানি নিস্কাশনের মাধ্যমে কৃষি জমির আওতা সম্প্রসারণেরও তাগিদ দেন তিনি।



প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অনেক জমিতে এখনও বছরে মাত্র একটি ফসল চাষ করা হয়। এসব জমিতে একাধিক ফসল উৎপাদন করার উদ্যোগ নিতে হবে।



বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ২৬ লাখ টন খাদ্য উদ্বৃত্ত রেখে গেলেও চার দলীয় জোট সরকারের পর দ্বিতীয় মেয়াদে আবার খাদ্য ঘাটতি নিয়েই আওয়ামী লীগকে দেশ পরিচালনা শুরু করতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।



তিনি কৃষির উন্নয়নে সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নের জন্য আর্থিক বরাদ্দ বাড়ানোর আশ্বাস দেন।



এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসিক সঙ্কটসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করাছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।



প্রধানমন্ত্রী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি ‘ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠনের আহ্বান জানান, যাতে এই তহবিলের অর্থ দিয়ে ভবিষ্যতে কৃষি শিক্ষা ও গেবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়।



এছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারি ভর্তুকির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

সকাল পৌনে ১১টায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পৌঁছে প্রথমেই বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ভাস্কর্য চত্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়াম মাঠে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সুবর্ণ জয়ন্তি উৎসবের উদ্বোধন করেন।



বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল হকের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী,স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, মৎস ও পানিসম্পদমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, স্থানীয় সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।



পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মো. শামসুল আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ বছরের পরিক্রমা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।



বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫ শ’ শয্যার নতুন ভবন ও ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন।



বিকেলে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায়ও তার বক্তৃতা করার কথা রয়েছে। এ জনসভায় কয়েক লাখ লোকের সমাগম ঘটবে বলে আশা করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।



প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ভবন ও সড়ক দ্বীপগুলো নতুন করে রঙ করা হয়। নানা রঙের পতাকা দিয়ে সাজানো হয় ক্যাম্পাসের সব সড়ক ও সড়ক দ্বীপগুলো।



এছাড়া বঙ্গবন্ধু কন্যাকে স্বাগত জানাতে ময়মনসিংহের প্রবেশ পথ ভালুকা থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত কয়েকশ তোরণ নির্মাণ করা হয়। শহরের প্রধান প্রধান সড়কে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিজিটাল ব্যানার ।



দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম ময়মনসিংহে এলেন শেখ হাসিনা। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহের ১১টি আসনেই জয় পায় আওয়ামী লীগ।



প্রধানমন্ত্রীর কাছে ময়মনসিংহবাসীর প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ময়মনসিংহকে বিভাগ করার দাবি। এ দাবিতে ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলন ও উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ বুধবার দিনব্যাপী প্রতীকী অনশন পালন করে।



সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি আনিসুর রহমান খান বলেন, “আমাদের প্রধান দাবি ময়মনসিংহ বিভাগ বাস্তবায়ন। এই ঘোষণা না এলে ময়মনসিংহের মানুষ কষ্ট পাবে।”

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

ঠোঁটকাটা বলেছেন: তার মতে তার পিতাজান একটা সহনশীল জাত উদ্ভাবন আগেই করে গেছেন- বাঙ্গালী।

২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪২

মোঃ জুনায়েদ খান বলেছেন: :)

৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫০

samolbangla09 বলেছেন: এলাকাভিত্তিক জলবায়ু ও পরিবেশ উপযোগী সহনশীল উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবনের মত উচ্চ সহনশীল মানুষ তৈরি করা যায় না??

৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

মোঃ জুনায়েদ খান বলেছেন: উচ্চ সহনশীল মানুষের জাত টা মনে হয় এখনো আবিষ্কার হয় নি!

৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

মোঃ জুনায়েদ খান বলেছেন: উচ্চ সহনশীল মানুষের জাত টা মনে হয় এখনো আবিষ্কার হয় নি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.