নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। কালেভদ্রে লিখি :)

মোঃ জুনায়েদ খান

ভোর হয়, সূর্য ওঠে... সেই সূর্যও একসময় রাতের কোলে ঘুমিয়ে যায়। আমিও সূর্যের সাথে উঠি, রাতের কোলে ঘুমিয়ে যাই, মাঝিবিহীন নৌকায় বসে উত্তাল সমুদ্রে নিয়মিত ঘুরপাক খাই, উত্তর থেকে দক্ষিণে বিদ্যুৎ বেগে দৌড়াই আবার দক্ষিণ থেকে উত্তরে কচ্ছপ বেগে হেঁটে হেঁটে আসি, তারপর চৈত্রের কড়া দুপুরে কম্বল মুড়ি দিয়ে চুপচাপ শুয়ে থাকি অনেকক্ষণ! কারণ আমার জীবনের কোন লক্ষ্য নেই!\n\n\nপেশায় ছাত্র। পড়ছি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। এইতো..

মোঃ জুনায়েদ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বারো হাত কাঁকড়ের তের হাত বিচি

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৯

লাইব্রেরী থেকে শুধু এই জরিমানার ভয়েই বই উঠাতে চাই না।জরিমানার অঙ্কটা এরকমঃ ৭৫ পয়সা/২ টাকা ৩৫ পয়সা/৭ টাকা ৯০ পয়সা... বড়জোর ১১ টাকা ৭৫ পয়সা! তাও আবার পুরো সেমিস্টার রেখে দিলে!না না, এ টাকা নিয়ে আমার আপত্তি নেই।আপত্তি জরিমানা পরবর্তী সমস্যা নিয়ে।এই জরিমানা শুধু জরিমানা নয়, সাথে আরো অনেক কিছু!



লাইব্রেরীতে সাধারনত ১৪ দিনের জন্য বই ইস্যু করা হয়।১৫তম দিনে বই জমা দিলেই গুণতে হয় ৭৫ পয়সার বিশাল এক জরিমানা!তারপর... সে এক বিশাল কাহিনী!



বই জমা নিয়ে কর্তব্যরত কর্মকর্তা প্রায় ৫ মিনিট ধরে ক্যালকুলেটর দিয়ে জরিমানার পয়সা হিসেব করবেন। তারপর একটা কাগজে জরিমানার পরিমাণটা লিখে হাতে ধরিয়ে দিবেন। এই কাগজটা নিয়ে আমাকে যেতে হবে হাফ কিলোমিটার দূরে, হোয়াইট হাউজে! সেখানে গিয়ে একটা ফর্ম পূরণ করে সেকশন অফিসারের(ক্যাশ) সাইন নিতে হবে। তারপর আবার হাফ কিলোমিটার দূরে হেঁটে সেই ফর্ম খানা নিয়ে ব্যাংকে যেতে হবে। আর ব্যাংক মানে দু-এক মিনিটের বিষয় নয় সেটা তো বুঝতেই পারছেন। যাহোক ব্যংকে ৭৫ পয়সার বদলে এক টাকা জমা দিয়ে সেই ব্যাংক রিসিট নিয়ে আবার যেতে হবে লাইব্রেরীতে! তারপর সব কেটেকুটে কর্তব্যরত কর্মকর্তা লাইব্রেরী কার্ডে ‘PAID’ লিখে দিলেই মুক্তি!



এ বিষাক্ত অভিজ্ঞতাটা আমার আছে। তাই বই উঠালে জমা দেয়ার ব্যাপারটা কষ্ট করে হলেও মনে রাখার চেষ্টা করি। গত ২৪ জুন নিতান্ত বাধ্য হয়েই দু’টি বই উঠিয়েছিলাম। জমা দেয়ার তারিখ চেক করতে গিয়ে দেখি ডেট এক্সপায়ারড! স্পষ্ট করে লেখা আছে- ‘ফেরৎ দেয়ার তারিখঃ ৩০ জুন, ২০১৩’(!)



ছোট খাট একটা শক খেলাম। বইগুলো ইস্যু করা হয়েছিল মাত্র ৭ দিনের জন্য!এটা কর্মকর্তার ভুল নাকি নতুন নিয়ম বুঝতে পারছি না।তবে যেটাই হোক না কেন, আমি যে এত কাহিনী করে আর বই জমা দিচ্ছি না সে ব্যাপারে মোটামুটি নিশ্চিত! ফরমালিটিস নামক ফাইজলামীর একটা মাত্রা আছে! হুহ!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২২

মোঃ তায়িফ-বিন-তোফা বলেছেন: সেইম একটা লেখা আগেও পড়ছি বলে মনে হচ্ছে, মনে হয় জিকু ভাইয়ের লেখা ছিল। আপনি লিখে থাকলে অগ্রিম সরি

২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২৯

গোর্কি বলেছেন: এ জাতীয় ঝামেলা-ঝুক্কি আসলেই অসহনীয়।

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:৩৩

িটউব লাইট বলেছেন: আমলাতানত্রিক জটিলতা

৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:২৩

বটের ফল বলেছেন: /:) :( |-) |-)

৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:০০

মোঃ জুনায়েদ খান বলেছেন: আপনি পড়তেই পারেন। তবে লেখাটি কারো দ্বারা অণুপ্রানিত হয়ে লেখা না। সম্পূর্ণ নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছি।আপনা যদি জিকু ভাইয়ের লেখার লিংকটি দিতে পারতেন তবে পড়ে দেখতে পারতাম @মোঃ তায়িফ-বিন-তোফা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.