নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। কালেভদ্রে লিখি :)

মোঃ জুনায়েদ খান

ভোর হয়, সূর্য ওঠে... সেই সূর্যও একসময় রাতের কোলে ঘুমিয়ে যায়। আমিও সূর্যের সাথে উঠি, রাতের কোলে ঘুমিয়ে যাই, মাঝিবিহীন নৌকায় বসে উত্তাল সমুদ্রে নিয়মিত ঘুরপাক খাই, উত্তর থেকে দক্ষিণে বিদ্যুৎ বেগে দৌড়াই আবার দক্ষিণ থেকে উত্তরে কচ্ছপ বেগে হেঁটে হেঁটে আসি, তারপর চৈত্রের কড়া দুপুরে কম্বল মুড়ি দিয়ে চুপচাপ শুয়ে থাকি অনেকক্ষণ! কারণ আমার জীবনের কোন লক্ষ্য নেই!\n\n\nপেশায় ছাত্র। পড়ছি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। এইতো..

মোঃ জুনায়েদ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ্যাসাইনমেন্ট

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

“চতুর্দিকে মার্জিন বেষ্টিত কিছু A-4 কাগজে নির্দিষ্ট একটি উৎস হইতে হুবহু নকল করিয়া নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে তৈয়ারীকৃত কাগুজে বস্তু যাহা কোন একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তির হাতে সোপোর্দ করিতে হয় এবং নিয়মের হেরফেরে যাহার জন্য সেই নির্দিষ্ট ব্যক্তি কতৃক নির্দিষ্ট কিছু আম্লিক বাক্য বিনা কর্ণপাতে হাস্যোজ্জ্বল মুখে হজম করিতে হয় তাহাকে অ্যাসাইনমেন্ট বলে”



সংজ্ঞাটি আমার দেয়া। অ্যাসাইনমেন্ট এর উদ্দেশ্য যতই মহৎ হোক না কেন, এ বিষয়টির উপর আমার মাত্রারিক্ত এলার্জি আছে। অনেকে অনেক আগ্রহ নিয়ে খুব গুরুত্ব দিয়ে এটি সম্পন্ন করেন বটে কিন্তু আমি কেন যেন সে আগ্রহ টা পাই না। দেয়ালে যখন একেবারে পিঠ ঠেকে যায় ঠিক তখনই আমার অ্যাসাইনমেন্ট-প্রজেক্ট শুরু হয়।



ফুড কেমিস্ট্রি ক্লাস টেস্টের আগে একরাতেই পাঁচটি অ্যাসাইনমেন্ট কমপ্লিট করে এনেছিলাম। স্যার জমা নেননি। এজন্য আমিও আর বাকীগুলো(৩টি) কমপ্লিট করিনি। মেশিন ডিজাইন পরীক্ষার দু’দিন আগে জানতে পারলাম যে অ্যাসাইনমেন্ট জমা না দেয়ায় স্যার আমাদের উপর মনক্ষুন্ন হয়েছেন বিধায় আগামীকালের(পরীক্ষার আগের দিন) মধ্যেই সব অ্যাসাইনমেন্ট সাবমিট করতেই হবে! একদিন পরে জমা নেয়ার জন্য স্যারকে সর্বোচ্চ ভাবে অনুরোধ করা হল কিন্তু স্যার মানলেন না। আমিও অ্যাসাইনমেন্ট করার চেয়ে মেশিন ডিজাইন পরীক্ষাকেই বেশী গুরুত্ব দিলাম। আগের করা সেই পাঁচটি অ্যাসাইনমেন্টই জমা দিয়ে দিলাম।



মেশিন ডিজাইন পরীক্ষার পর রাত জেগে সেই বাকী অ্যাসাইনমেন্ট গুলো করে যথারীতি আজ সকালে স্যারের দরবারে হাজির হলাম। স্যার মিষ্টি হেসে বললেন,



“আমি তো মার্ক্স দিয়ে দিয়েছি। এখন আর জমা দিয়ে কোন লাভ নেই!”



নিজের অ্যাসাইনমেন্ট গুলো হাতে নিলাম। অ্যাসাইনমেন্ট গুলোকে দেখে খুব মায়া হল। আমার রাত জাগা অ্যাসাইনমেন্ট গুলো দশের মধ্যে চার চারটি নম্বর অর্জন করেছে!



নিজের অ্যাসাইনমেন্ট গুলোর কষ্ট দেখে আবেগে কাঁদতে ইচ্ছে করছে। এক একটা অ্যাসাইনমেন্ট করা যে কতটা কষ্টের সেটা অ্যাসাইনমেন্ট জানে আর আমি জানি। কিন্তু স্যার জানেন না। হয়তো কোন এক সময় জানতেন, এখন ভুলে গেছেন!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.