নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভোর হয়, সূর্য ওঠে... সেই সূর্যও একসময় রাতের কোলে ঘুমিয়ে যায়। আমিও সূর্যের সাথে উঠি, রাতের কোলে ঘুমিয়ে যাই, মাঝিবিহীন নৌকায় বসে উত্তাল সমুদ্রে নিয়মিত ঘুরপাক খাই, উত্তর থেকে দক্ষিণে বিদ্যুৎ বেগে দৌড়াই আবার দক্ষিণ থেকে উত্তরে কচ্ছপ বেগে হেঁটে হেঁটে আসি, তারপর চৈত্রের কড়া দুপুরে কম্বল মুড়ি দিয়ে চুপচাপ শুয়ে থাকি অনেকক্ষণ! কারণ আমার জীবনের কোন লক্ষ্য নেই!\n\n\nপেশায় ছাত্র। পড়ছি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। এইতো..
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বলিউডে মুক্তি পেয়েছে যশরাজ ফিল্মসের বহুল আলোচিত ছবি ‘গুন্ডে’। আলী আব্বাস জাফর পরিচালিত ছবিটিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা করার পাশাপাশি চরমভাবে বিকৃত করা হয়েছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।
কি আছে এই গুন্ডে মুভিতে?
‘গুন্ডে’ ছবিটির শুরুর দিকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ভিডিও চিত্র দেখানোর পাশাপাশি হিন্দি ভাষায় বলা হয়, ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ হিন্দুস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে তৃতীয় যুদ্ধ শেষ হয়। ৯০ হাজার পাকিস্তানি সেনা হিন্দুস্তানের সেনাদের সামনে আত্মসমর্পণ করেন। জন্ম হয় বাংলাদেশ নামে নতুন এক দেশের। হিন্দিতে আরও বলা হয়, যখন হিন্দুস্তানের সেনারা ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছিল, তখন কাঁটাতারের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিল ১১-১২ বছরের দুই অনাথ বন্ধু বিক্রম ও বালা। তারা বুঝতে পারছিল না, তাদের সঙ্গে যা হলো তা কি ঠিক ছিল, নাকি ভুল? নতুন দেশ কি তাদের নতুন জীবন দেবে? ছবিটির শুরুর দৃশ্যে দেখানো হয়, ভারতীয় যোদ্ধাদের সামনে আত্মসমর্পণ করছেন পাকিস্তানি সেনারা। আর জন্ম হচ্ছে বাংলাদেশের। পেছনে দেখা যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর পোস্টার। উদ্বাস্তু শিবিরের সামনে দিয়ে রুটি ছুড়তে ছুড়তে চলেছে ত্রাণের গাড়ি, আর কাদামাটি থেকে তা কুড়িয়ে খাচ্ছে অসহায় মানুষ। ছবিটিতে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ফুটেজ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেখানো হলেও কোথাও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা হয়নি।
বাংলাদেশে প্রতিবাদের ঝড় এবং যশ রাজ ফিল্মসের বিবৃতিঃ
ছবিটি মুক্তি পাবার পর থেকে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে বাংলাদেশে। ফলে যশরাজ ফিল্মস তাদের ফেসবুকে ফ্যান পেজে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দেয়-
‘প্রিয় বন্ধুরা, আমাদের ছবিতে যেভাবে গল্প তুলে ধরা হয়েছে তাতে বাংলাদেশের অনেক ভাই তাঁদের আপত্তির কথা জানিয়েছেন। ছবিটির কাহিনি ও গল্প পুরোপুরি কাল্পনিক। কোনো জাতি, সমাজের বিশেষ কোনো গোত্র কিংবা কোনো ব্যক্তির প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শনের অভিপ্রায় আমাদের ছিল না। তারপরও বাংলাদেশি ভাইরা যদি আমাদের কাজ দেখে আহত হন কিংবা অশ্রদ্ধা প্রকাশ করা হয়েছে বলে মনে করেন তাহলে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি আমরা।’
কিছু সাদাসিধে প্রশ্নঃ
• ১৯৭১ কাল্পনিক?
• ১৬ ডিসেম্বর কাল্পনিক?
• ৩০ লাখ শহীদের আত্নত্যাগ কাল্পনিক?
• ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি কাল্পনিক?
• ৯০ হাজার পাকিস্তানী সেনার আত্নসমার্পন কাল্পনিক?
• বঙ্গবন্ধু কাল্পনিক?
• একাত্তর সালের যে ভিডিও গুলো ব্যবহার করা হয়েছে ওগুলোও কি কাল্পনিক?
যদি তাই হয় তবে তাহলে কল্পনার সংজ্ঞা পাল্টাতে হবে! কল্পনা করে ক্যাটরিনার অর্ধনগ্ন বেলি ড্যান্সের জন্ম দেয়া যায়, কিন্তু বাংলাদেশের জন্ম দেয়া যায় না!
শেষ কথাঃ
আমি বাংলাদেশী। বাংলা আমার মা, আমার বেহেশত। মায়ের অপমানে আমার তীব্র কষ্ট হয়, রক্তে আগুণ জ্বলে। বাংলার ইতিহাস নিয়ে ব্যবসা আমি সইতে পারি না। আমি প্রতিবাদ জানাই। আপনিও জানান। যশ রাজ ফিল্মসের ফেসবুক পেজে গিয়ে ওদের প্রতিটি পোস্টে গণহারে প্রতিবাদ জানান। IMDB তে গিয়ে গণহারে ১/১০ রেটিং দিয়ে রেটিং দেয়ার কারণ হিসেবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অবমাননার কথা কমেন্টে লিখে প্রতিবাদ জানান। ৭১ এ আমরা রক্ত দিয়েছি, পানি নয়।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৮
মোঃ জুনায়েদ খান বলেছেন: আমার আপনার কথায় তো বন্ধ হবে না
২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৭
ভাইটামিন বদি বলেছেন: দাদা'রা এভাবেই রক্ত ক্ষরন করেছে এবং আরো করবে......কেননা আমরা যে চেতনায় আচ্ছন্ন!!....ঘটনা কেউ বিচার করে দেখছি না।
...ঘুমাও জাতি ঘুমাও....চেতনার সুড়সুড়ির আমারদায়ক ঘুওওওম।
......শুনতে যত কষ্টই লাগুগ কাগজে-কলমে এটা কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের ৩য় যুদ্ধ এবং পাকিস্তান ১৬ই ডিসেম্বর ভারতের কাছে পরাজিত হিসেবে আত্বসমর্পন করে। আমরা যতই চেতনার ঘুমপাড়ানি গান গাই না কেন ভারত-পাকিস্তান উভয়েই কাগজে-কলমে বহিবিশ্বে ৭১ কে এভাবেই দেখায় এবং এটাই বাস্তবতা। .....জয় হিন্দ!!!
৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৯
ভাইটামিন বদি বলেছেন: তবে আপনার স্পিরিটটাকে সশ্রদ্ধ সালাম জানাই.....আমরা ৭১ রে রক্ত দিয়েছি, পানি নয়।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০০
মোঃ জুনায়েদ খান বলেছেন: ধন্যবাদ। সরকার তো স্পিরিট দেখায় না।
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৮
সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: আই এম ডি বি তে ১.২ রেটিং পড়েছে। সেই সাথে ব্যবসায় ধস। সেজন্যেই এই লোক দেখানো ক্ষমা প্রদর্শন। ছবি হিট করলে এইসবের ধার দিয়েও যেত না।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৯
মোঃ জুনায়েদ খান বলেছেন: কথা ঠিক। ক্ষমা চাইলেই ক্ষমা পাওয়া যায় না।
৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৩
কুচ্ছিত হাঁসের ছানা বলেছেন: ৭১ এ আমরা রক্ত দিয়েছি, পানি নয়।
পানিটাও আমরা পেলামই বা কবে, ভারত তো সবই রেখে দিচ্ছে।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১১
মোঃ জুনায়েদ খান বলেছেন: কথা ঠিক। পাকিস্তান রক্ত নিয়েছে, ভারত পানি!
৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:১০
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: শুধু ছবিটতেই নয় প্রায়ই বিদেশী পত্র-পত্রিকায় লেখা হয় ভারত-পাকিস্তানের সাথে তিনটি যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলো। অর্থাৎ আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধও। তাহলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং জয়ের চিন্হ কোথায়?? আর ভারতীয়দের তো কথাই নেই,তারা কথায় কথায় জানিয়ে এবং বুঝিয়ে দেয় তাদের অবদানেই আমরা স্বাধীন। এমন কি ভাষাও!! কয়েকবছর ধরেই দেখছি ভারতীয় বাঙ্গালীরা ২১শে ফেব্রুয়ারী নিয়ে আমাদের মতই মাতামাতি করছে। কিন্তু এই ভাষার জন্য আন্দোলন আর প্রাণ দিয়েছি আমরাই। কোন ভারতীয় নয়।
প্রসঙ্গক্রমে আরেকটি কথা বলছি, যারা আমাদের মধ্যে একটু বিত্তশালী তাদের সন্তানেরা কোথায় লেখা-পড়া করছে? দেশে ইংরেজী মিডিয়ামে পরে বাহিরে। অথচ এদের গলায়ই ভাষা,প্রানের বাংলার কথা শোনা যায় বেশী।
আসলে বাংলা সব বাংলাদেশীর নয়, এটা হতদরিদ্র আর মধ্যবিত্তের প্রানের ভাষা। এতো কঠিন কথা বলতে চাই নি কিন্তু ভাষার এই মাসে প্রকারান্তরে ভাষারই অবমাননা দেখে বাধ্য হলাম। ক্ষমা করবেন ভুল হলে।।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৮
মোঃ জুনায়েদ খান বলেছেন: আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত
৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:১২
হুমায়ূন লিটন বলেছেন:
এটা সান অফ আ বিচ আলী আব্বাস জাফরের ফেচবুক একাউন্টঃ https://www.facebook.com/ali.a.zafar.5?fref=ts চলুন কুত্তার বাচ্চাকে রিপোর্ট করে ওর একাউন্ট অকেজো করে দেই.
দয়া করে ক্ষমা করবেন গালাগালি ব্যবহার করার জন্য।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৭
মোঃ জুনায়েদ খান বলেছেন: লিংকের জন্য ধন্যবাদ
৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩২
অথৈ সাগর বলেছেন:
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ । মুভিটা আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৮
মোঃ জুনায়েদ খান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। মুভিটা অবশ্যই আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে ইনশাল্লাহ।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৫
মুশে হক বলেছেন: ইতিহাস ভিত্তিক গল্প, উপন্যাস লেখা বা সিনেমা তৈরী করতে হলে সত্য ইতিহাসের প্রতি সততা রাখা বাধ্যতামূলক। তা না হলে ইতিহাস বিকৃতি শাস্তিমূলক অপরাধ। সিনেমাটির প্রদর্শন অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিৎ।