নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভোর হয়, সূর্য ওঠে... সেই সূর্যও একসময় রাতের কোলে ঘুমিয়ে যায়। আমিও সূর্যের সাথে উঠি, রাতের কোলে ঘুমিয়ে যাই, মাঝিবিহীন নৌকায় বসে উত্তাল সমুদ্রে নিয়মিত ঘুরপাক খাই, উত্তর থেকে দক্ষিণে বিদ্যুৎ বেগে দৌড়াই আবার দক্ষিণ থেকে উত্তরে কচ্ছপ বেগে হেঁটে হেঁটে আসি, তারপর চৈত্রের কড়া দুপুরে কম্বল মুড়ি দিয়ে চুপচাপ শুয়ে থাকি অনেকক্ষণ! কারণ আমার জীবনের কোন লক্ষ্য নেই!\n\n\nপেশায় ছাত্র। পড়ছি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। এইতো..
প্রথম দেখাটা কবে হয়েছিল মনে করতে পারছে না । তবে প্রথম ভালোলাগার কথাটা স্পষ্ট মনে আছে ওর। লম্বা ফর্সা এক যুবক পাপড়ির ছিট ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে। যুবকের দৃষ্টি পাপড়ির মাথার উপর দিয়ে সোজা জানালার বাইরে! যুবক আনমনে কি যেন ভাবছে। পাপড়ি যে যুবকের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে সেদিকে কোন খেয়াল নেই যুবকের। মুখ ভর্তি খোঁচা খোঁচা দাড়ি, জটবিহীন লম্বা চুলের যুবককে দেখে ভালো না লেগে উপায় নেই। পাপড়ির চাওয়ার সাথে যেন খাপে খাপ মিলে যাচ্ছে সবকিছু। সমস্যা শুধু একটাই। অসম্ভব ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে যুবক। বাসে ওঠার পর ভুল করে একটি বারের জন্যও তাকায়নি পাপড়ির দিকে। তবে বিষয়টাকে গায়ে মাখেনি পাপড়ি। ড্রিম বয় একটু ভাবারু না হলে কি চলে?
ভার্সিটি লাইফের আড়াই বছর কেটে গেছে পাপড়ির। পাপড়ি যখন ফার্স্ট ইয়ারে, যুবক তখন থার্ড ইয়ারে। দু’জনে একই ডিপার্টমেন্টের। কতবারেই না কতভাবে দেখা হয়েছে দু’জনার। কিন্তু এভাবে ভালোলাগেনি কখনো। সেদিনের পর বলতে গেলে একটা ঘোরের মধ্যেই আছে পাপড়ি। দূর থেকে যুবককে দেখলে বুকের মধ্যে ধুকপুকানি শুরু হয়ে যায়। স্নায়ুগুলো কর্মবিরতী দিয়ে দলবেঁধে তামাশা দেখে। যুবক কাছে এলেই চোখ বন্ধ করে মাথা নিচু করে পাপড়ি। যুবকের পদধ্বনি দূরে মিলিয়ে গেলে আস্তে আস্তে চোখ খোলে সে। ততক্ষণে যুবক অনেক দূরে চলে গেছে। নেভি ব্লু টি শার্ট আর রঙ চটা জিন্সে যুবককের চলে যাওয়া দেখে আবার ধুকধুক করে শব্দ হয় পাপড়ির বুকে।
যুবকের সাথে পাশাপাশি বসে একদিন পিঠা খেয়েছে পাপড়ি। একা না, সাথে একদল বন্ধু ছিল। যুবক শুধু রূপবানই নয়, গুণবানও বটে। অসাধারণ ফুটবল খেলে। বলতে গেলে যুবক একাই ডিপার্টমেন্টকে জিতিয়েছে সেদিন। জুনিওররা তাকে রেহাই দেবে কেন? মৌমাছির চাকের মত ঘিরে ধরেছে তাকে। জুনিওরদের নজর ফাস্ট ফুডের দিকে কিন্তু বেকার সিনিওর নজর দিল পিঠার দিকে। যুবক হেসে হেসে কথা বলল একে একে সবার সাথে। পাপড়ি তো অবাক!
‘থার্ড ইয়ার তো শেষের পথে। কে কোন দিকে টার্গেট নিচ্ছো?’
কারো টার্গেট প্রাইভেট জব, কারো বিসিএস, কারোটা আবার এখনো নির্দিষ্ট হয়নি। তবে পাপড়ি বিসিএস দেবে। কারণ যুবকের টার্গেট বিসিএস অ্যাডমিন।
যুবকের সাথে কথা বলার জন্য পাপড়ির মন আকুপাকু করছিল। কিন্তু কোন উপলক্ষ্য না থাকায় চুপ করে ছিল এতক্ষণ। অনেক ভেবে একটা উপলক্ষ্য খুঁজে পায় পাপড়ি।
‘আপনি অনেক ভালো খেলেন!’ কথাটা বলেই লজ্জ্বাবতী পাতার মত চুপসে যায় সে।
সাথে সাথেই কথার ফুলঝুরি শুরু হয়। পাপড়ির প্রসংসা বাক্য চাপা পড়ে যায় শত শত তোষামোদির চাপে।
‘আপনি মেসির মত খেলেন!’... ‘না ভাইয়া রোনাল্ডোর মত খেলে!’... ‘বলছে তোকে! ভাইয়া অবিকল নেইমারের মত খেলে!’ ...
এবারে নববর্ষে যুবককে উইশ করে পাপড়ি। যুবক ফোন করে। কাঁপাকাঁপা হাতে রিসিভ করে চুপ করে থাকে পাপড়ি।
- শুভ নববর্ষ!
- শুভ নববর্ষ!
তারপর আর কথা খুঁজে পায়না সে। ধন্যবাদ জানিয়ে ফোন রেখে দেয় যুবক।
ফেইসবুকে প্রতিদিন যুবকের ওয়াল চেক করে পাপড়ি। একই ছবি বারবার দেখে। একদিন সাহস সঞ্চয় করে ‘অ্যাড ফ্রেন্ড’ এ ক্লিক করে পাপড়ি! পাঁচ মিনিট, দশ মিনিট করে ত্রিশ মিনিট অপেক্ষা করার পর রিকুয়েস্ট টা ক্যান্সেল করে দেয় সে।
আজ যুবকের জন্মদিন। রাতের টেক্সটটা এখনও ডেলিভার্ড হয়নি। সেজেগুজে যুবকের জন্য বটতলায় অপেক্ষা করছে পাপড়ি। আজ যে করেই হোক যুবকের সামনে দাঁড়িয়ে বার্থ ডে উইশ করবে সে।
যুবক আসে। চোখ বন্ধ করে পাপড়ি। যুবকের পদধ্বনি থেমে যায়। চোখ খোলে পাপড়ি। বড় বড় চোখ করে পাপড়ির দিকে তাকিয়ে থাকে যুবক!
- এই মেয়ে, তোমার সমস্যাটা কি? আমাকে দেখলে চোখ বন্ধ কর কেন?
- কই নাতো!
- তুমি প্রতিদিন এই কাজটা কর। আমাকে দেখলে হয় উলটো পথে হাঁটো নয়তো চোখ বন্ধ করে থাকো। আমাকে ভয় পাও নাকি আমি দেখতে ভয়াবহ?
- ভয় পাব কেন?
- তাহলে ভয়াবহ?
- আপনি অসম্ভব সুন্দর!
- থাক আমাকে খুশি করতে হবে না। এই গরমে ভূতের মত সেজেছো কার জন্য?
- খুব খারাপ লাগছে?
- একদম পেত্নীর মত লাগছে! তুমি এমনিতেই অনেক সুন্দর!
- তাহলে আপনি আমার রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করেন না কেন???
- তার আর সময় দিলে কই? টেক্সট দেখলাম কিন্তু লগইন করে দেখি কিছুই নেই!
পাপড়ি এবার যুবকের চোখের দিকে তাকায়। চোখে চোখ রেখে বলে, ‘শু ভ জ ন্ম দি ন!’
যুবক একটা রিক্সা থামায়। পাপড়িকে রিক্সায় উঠতে বলে।
পাপড়ি বলে, ‘কোথায় যাব?’
যুবক বলে, ‘ঘুরতে’
পাপড়ি বলে, ‘কেন?’
যুবক বলে, ‘আহা! এত কথার কি আছে? যেতে না চাইলে চলে যাও!’
পাপড়ি যুবকের হাত শক্ত করে ধরে। ‘রিক্সা বিদায় করো। আজ আমরা হেঁটে হেঁটে ঘুরব! ’
অতঃপর পল্লব এবং পাপড়ি দুপুরের কড়া রৌদ্র উপেক্ষা করিয়া একে অপরের হাত ধরিয়া হাঁটিতে লাগিল!
২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬
মোঃ জুনায়েদ খান বলেছেন: গঠণমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । প্রেম যে সস্তা না তা আমি জানি। তবে চাওয়াটা যদি দু দিক থেকেই হয় তখন একটু সস্তাই হয়ে যায়
২| ২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪০
স্বস্তি২০১৩ বলেছেন: গল্পটা ভালো লেগেছে।
ভুয়া প্রেমিক আপনি সব সময় নেগেটিভ কমেন্ট করেন।
২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮
মোঃ জুনায়েদ খান বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩০
সোজা কথা বলেছেন: ভালোই। প্রেমটা খুব তাড়াতাড়িই যেন হয়ে গেল।
২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪
মোঃ জুনায়েদ খান বলেছেন: এ গল্পটাতে একটু আগেভাগেই মিলিয়ে দিলাম। আমার বিরুদ্ধে পাঠকের অভিযোগ আমার গল্পে নাকি নাকি হ্যাপি এন্ডিং থাকে না। তাই একটু চেষ্ঠা করলাম।
৪| ২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪
ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: সোজা কথা বলেছেন: ভালোই। প্রেমটা খুব তাড়াতাড়িই যেন হয়ে গেল
আমিও সেটাই বলছিলাম। এখানে নেগেটিভিটির কি হল?
প্রেমের গল্প মাথায় থাকলে বড় করে একটা লিখে ফেলুন। লেখা পরে মনে হচ্ছে সময় ছিল না আপনার হাতে তাই নায়ক নায়িকার মিলনটা তাড়াতাড়ি করিয়ে দিয়েছেন।
২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮
মোঃ জুনায়েদ খান বলেছেন: চেষ্ঠা করব। আপনাকে আমি সবসময় এমন মন্তব্যের জন্য স্বাগত জানাই
৫| ২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ২:২৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: রুপকথার গল্পের মতন!
২৯ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:৪৩
মোঃ জুনায়েদ খান বলেছেন: আমি তো রূপকথার কথা চিন্তা করেই লিখেছি! বাস্তবে প্রেম হয়না, তাই বলে গল্পেও হবে না নাকি?
৬| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৫২
শূণ্য মেঘকাব্য বলেছেন: lucky girl
৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:১৭
মোঃ জুনায়েদ খান বলেছেন: হুম
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫৪
ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: ভাই প্রেম এতো সস্তা না। আপনার গল্প খুবই চিপ