নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। কালেভদ্রে লিখি :)

মোঃ জুনায়েদ খান

ভোর হয়, সূর্য ওঠে... সেই সূর্যও একসময় রাতের কোলে ঘুমিয়ে যায়। আমিও সূর্যের সাথে উঠি, রাতের কোলে ঘুমিয়ে যাই, মাঝিবিহীন নৌকায় বসে উত্তাল সমুদ্রে নিয়মিত ঘুরপাক খাই, উত্তর থেকে দক্ষিণে বিদ্যুৎ বেগে দৌড়াই আবার দক্ষিণ থেকে উত্তরে কচ্ছপ বেগে হেঁটে হেঁটে আসি, তারপর চৈত্রের কড়া দুপুরে কম্বল মুড়ি দিয়ে চুপচাপ শুয়ে থাকি অনেকক্ষণ! কারণ আমার জীবনের কোন লক্ষ্য নেই!\n\n\nপেশায় ছাত্র। পড়ছি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। এইতো..

মোঃ জুনায়েদ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

হারানো দিনের বিশ্বকাপ (স্মৃতিচারণ)

২১ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

গত বিশ্বকাপের কথা। থাকতাম কাঁঠালবাগানের একটা হোস্টেলে। আমি এবং আমার মত অ্যাডমিশন প্রত্যাশী কিছু প্রীয় মুখ। দেশ যখন বিশ্বকাপ জ্বরে কাঁপাকাঁপি করত, আমরা তখন হোস্টেলের কলাপ্সিবল গেইটটাকে কাঁপাতাম। কারণ হোস্টেলে কোন টিভি ছিল না এবং রাতে কেয়ারটেকার চাচা গেইটে বড় একটা তালা ঝুলিয়ে রাখতেন। গেটটা কলাপ্সিবল হওয়াতে একটা সুবিধা ছিল। দু’দিক থেকে কয়েকজন টেনে ধরলে মাঝে একটু ফাঁক হত। সেই ফাঁকা দিয়ে আমার মত স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা অতি সহজেই বের হতে পারতাম। যারা একটু মোটাসোটা ছিল বিপত্তিটা হত তাদের নিয়ে। একদিন তো মিসবাহ গেটের ফাঁকে ওর ইয়া বড় শরীর নিয়ে আটকে গেল। তাই বলে ওকে রেখে তো আর খেলা দেখতে যাওয়া যায় না! টানাটানি চলল অনেক্ষণ। অবশেষে মিসবাহ বের হল। হুররে বলে চিৎকার করে উঠলাম সবাই। যেন যুদ্ধ জয় করে ফেলেছি আমরা।



বসুন্ধরা সিটির সামনে বড় পর্দায় প্রজেক্টরে খেলা দেখাত। আমরা দলবল সহ যেতাম। আগেই বলে রাখি আমি কিন্তু আর্জেন্টিনার অন্ধ ভক্ত! আর সেদিন খেলা ছিল আর্জেন্টিনা আর জার্মানির। সম্ভবত কোয়ার্টার ফাইনাল। টানটান উত্তেজনায় খেলা শুরু হল। খেলার তিনমিনিট যেতে না জেতেই জার্মানি একটা গোল দিয়ে দিল! নেদারল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়া ব্রাজিলিয়ান ভক্তরা লাফিয়ে উঠল, সাথে জার্মানির সমর্থকরা তো আছেই। আমার মত আর্জেন্টিনা ভক্তদের মুখ কালো, সাথে বুক দুরুদুরু! মাঠের ভিতরে আর বাইরে চরম উত্তেজনা। খেলার যখন এই অবস্থা তখন হঠাৎ ধারাভাষ্যের পরিবর্তন! কারেন্ট চলে গেল! উত্তেজিত দর্শক হৈ হৈ করে উঠল। কেউ কেউ গাছের ডাল ভেঙে গাড়ি ভাংচুরও শুরু করে দিল। আমরা গেলাম সোজা বসুন্ধরা সিটির গেইটে। গেইট খোলা কিন্তু মার্কেট বন্ধ! ঢোকা যাবে না! ঢোকা যাবে না মানে? আমাদের ঢুকতেই হবে! অবশেষে ফোনে অনুমতি নিয়ে আমরা ঢুকলাম। খেলা দেখতে আমাদের আট তলায় উঠতে হবে। লিফট বন্ধ, চলন্ত সিঁড়িও বন্ধ! দৌড়ে দৌড়ে আমরা সিঁড়ি ভাঙছিলাম আর উপর থেকে চিৎকার শুনছিলাম। আর্জেন্টিনা মনে হয় গোল শোধ দিয়েই ফেলল! হাফাতে হাফাতে আট তলায় পৌঁছে যা দেখলাম তাতে আমার চোখ চড়কগাছ! জার্মানি-৩, আর্জেন্টিনা-০! ব্রাজিলের সমর্থকদের বাঁকা কথা আর কোমড় বাঁকানো নাচের চোটে মাথা উঁচু করে খেলা দেখা দায় হয়ে গেল! অনেক আর্জেন্টিনা ভক্ত খেলা না দেখেই সুর সুর করে চলে যেতে লাগল। আমি শেষটা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। শেষ মুহুর্তে আরো একটা গোল খেল আর্জেন্টিনা! আর্জেন্টিনা আউট! আমিও আউট!



লজ্জ্বাজনক একটা হারের পর দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে হোস্টেলে ফিরছিলাম। ব্রাজিল সমর্থক এক বন্ধুর ফোন এল। ফোনটা রিসিভ করে চুপচাপ কানে ধরলাম। বন্ধু সোৎসাহে আমাকে পঁচাতে লাগল। আমিও বাঁধা দিলাম না। নেদারল্যান্ডের কাছে ব্রাজিল হারার পর আমিও কম পঁচানী দেই নি। ইটের বদলে পাটকেল তো খেতেই হবে!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ইটের বদলে পাটকেল তো খেতেই হবে!

হা হা হা =p~ =p~ =p~

২১ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২

মোঃ জুনায়েদ খান বলেছেন: :-P :-P :-P

২| ২১ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩৬

স্বপ্নের ফেরিওয়ালা নিলয় বলেছেন: পুরানা দিনের কথা মোনে কোরায়া দিলেন

২১ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:৪৪

মোঃ জুনায়েদ খান বলেছেন: ভাই কি কষ্ট পাইছেন? :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.