নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। কালেভদ্রে লিখি :)

মোঃ জুনায়েদ খান

ভোর হয়, সূর্য ওঠে... সেই সূর্যও একসময় রাতের কোলে ঘুমিয়ে যায়। আমিও সূর্যের সাথে উঠি, রাতের কোলে ঘুমিয়ে যাই, মাঝিবিহীন নৌকায় বসে উত্তাল সমুদ্রে নিয়মিত ঘুরপাক খাই, উত্তর থেকে দক্ষিণে বিদ্যুৎ বেগে দৌড়াই আবার দক্ষিণ থেকে উত্তরে কচ্ছপ বেগে হেঁটে হেঁটে আসি, তারপর চৈত্রের কড়া দুপুরে কম্বল মুড়ি দিয়ে চুপচাপ শুয়ে থাকি অনেকক্ষণ! কারণ আমার জীবনের কোন লক্ষ্য নেই!\n\n\nপেশায় ছাত্র। পড়ছি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। এইতো..

মোঃ জুনায়েদ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রোজেক্ট : নতুন জামা (অণুগল্প)

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৪২

‘চাঁদ উঠছে হে... চাঁদ উঠছে...’ বাড়ির সামনের রাস্তাটায় জনা বিশেক ছেলে সেই সন্ধ্যা থেকে চিৎকার করছে। ছেলেগুলোর মধ্যে সিদ্দিক মিয়ার সাত বছরের ছেলে জয়নালও আছে। নড়বড়ে কাঠের চৌকিটায় শুয়ে ছেলের চিৎকার শুনছেন সিদ্দিক মিয়া। প্রতি ঈদে ছেলেকে নতুন জামা কিনে দিতেন তিনি। এবার কিছুই দিতে পারেননি। ধনুষ্টংকারটাই সব শেষ করে দিয়েছে। জলিল হাজীর বড় ছেলেটা সকালে একটা শাড়ি আর একটা লুঙি দিয়ে গেছে। যাকাতের কাপড়। জয়নাল কাপড় গুলো দেখেছে।



- এইগলা তো তোমার আর মা’র কাপড়। মোর কাপড় কোনটে?

- আছে বেটা আছে! ঈদের কাপড় আগে দেখলে পুরান হয়া যায়। তাই তোমার মায়ে নুকি থুছি।




ছেলেকে মিথ্যা বলেন সিদ্দিক মিয়া। অবুঝ ছেলেটা সেই মিথ্যাটাকে সত্য ভেবে ঈদ আনন্দে বাকবাকুম করতে করতে চলে যায়।



সিদ্দিক মিয়ার খশখশে গাল বেয়ে কয়েক ফোটা উষ্ণ পানি গড়িয়ে পড়ে। জলিল হাজী শাড়ি-লুঙি না দিয়ে যদি একটা হাফ প্যান্ট আর গেঞ্জি দিতেন! হাজীর উপর রাগ হয় সিদ্দিক মিয়ার। ‘হাজী ক্যান ছোট বাচ্চাদের জন্য কিছু দেয় না?’ ভারি একটা দীর্ঘঃস্বাস ছাড়েন সিদ্দিক মিয়া। রাত পোহালেই সকাল হবে। আর সকাল হলে কি করবেন তিনি?



গলা খখারি দিয়ে দুটো ছেলে ঘরে ঢোকে। আবছা আলোয় ছেলে দুটোকে চিনতে পারেন না সিদ্দিক মিয়া। একটা ছেলের হাতে থাকা পলিথিনের ব্যাগটি হঠাত কড়মড় করে ওঠে।



‘আমরা এসেছি ‘প্রোজেক্টঃ নতুন জামা’ থেকে। সবার সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করাই আমাদের লক্ষ্য। নিন, এটা আপনার ছেলের জন্য।’




ছেলেটাকে এবার চিনতে পারে সিদ্দিক মিয়া। মঞ্জু মাস্টারের ছোট ছেলে মিজান। ভার্সিটি না কোথায় যেন পড়ে। সিদ্দিক মিয়া ছেলে দুটোকে কিছু বলতে চায়। ঠোঁট দুটো কেঁপে ওঠে, শব্দ হয়না। দু’চোখ দিয়ে অঝোরে কিছু গরম পানি ঝরতে থাকে শুধু।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এগিয়ে যাক মানবতা।

খুশি ফুটুক সকল মানব/মানবীর মূখে...

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:০২

মোঃ জুনায়েদ খান বলেছেন: হুম! এগিয়ে যাক মানবতা।

খুশি ফুটুক সকল মানব/মানবীর মুখে..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.