নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। কালেভদ্রে লিখি :)

মোঃ জুনায়েদ খান

ভোর হয়, সূর্য ওঠে... সেই সূর্যও একসময় রাতের কোলে ঘুমিয়ে যায়। আমিও সূর্যের সাথে উঠি, রাতের কোলে ঘুমিয়ে যাই, মাঝিবিহীন নৌকায় বসে উত্তাল সমুদ্রে নিয়মিত ঘুরপাক খাই, উত্তর থেকে দক্ষিণে বিদ্যুৎ বেগে দৌড়াই আবার দক্ষিণ থেকে উত্তরে কচ্ছপ বেগে হেঁটে হেঁটে আসি, তারপর চৈত্রের কড়া দুপুরে কম্বল মুড়ি দিয়ে চুপচাপ শুয়ে থাকি অনেকক্ষণ! কারণ আমার জীবনের কোন লক্ষ্য নেই!\n\n\nপেশায় ছাত্র। পড়ছি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। এইতো..

মোঃ জুনায়েদ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাকা ও তলের প্রেম কাহিনী :P

২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৯

সাইকেলের চাকা ঘুর ঘুর করে ঘোরে। সাইকেল এগিয়ে যায়। না, একটু ভুল বললাম। চাকা ঘুরলেই সাইকেল এগোয় না। সাইকেল এগোনোর জন্য চাই একটি বিশ্বস্থ তলের সংস্পর্শ, যে তলের উপর ভর করা যায়, যাকে আঁকড়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়। এটাকে এক প্রকারের মিথোজীবিতা বলতে পারেন! তল ছাড়া যেমন চাকা অর্থহীন তেমনী তলের একাকীত্ব ঘোচানোর জন্য চাকার ভূমিকাও স্বীকার করার মত। সম্পর্কটা অতিমাত্রায় পরিবর্তনশীল। সাইকেল যখন স্থির থাকে তখন চাকার সাথে তলের একটা ক্ষণস্থায়ী সম্পর্ক তৈরী হয়। কিন্তু যখন এগিয়ে যাওয়ার আহবান আসে তখন সে সম্পর্ক ছিন্ন করে চাকা লুকোচুরি খেলতে শুরু করে। চাকা তলকে স্পর্শ করে, কিন্তু ধরা দেয় না! এভাবে চলতে চলতে একসময় মন খারাপ করে তল। নিজের উঁচু নিচু বন্ধুরতা দিয়ে চাকাকে আঘাত করতে চায় সে। অভিমান করে ফুলে উঠে চাকা। ফুলতে ফুলতে একসময় ফুট্টুস হয়ে যায়! শুরু হয় বিরহের দিন গোণা। অনুতপ্ত হয় চাকা, অনুতপ্ত হয় তল। চাকা হসপিটাল থেকে ফিরে সিনা টানটান করে মুখ ফিরিয়ে স্থির দাঁড়িয়ে থাকে, কথা বলে না। সঙ্কোচে কথা বের হয়না তলের মুখ দিয়েও। তবে গুমোট ভাবটা অল্পক্ষণেই কেটে যায়। সম্পর্কটা যখন মিথোজীবীতার তখন মিছেমিছি অভিমান করে লাভ কি?



সম্পর্কটা জোড়া লাগে। তারপর... আবার যখন এগিয়ে যাওয়ার আহবান আসে, তখন সবকিছু ভুলে চাকা আবার ঘুরতে শুরু করে। ঘুরঘুর ঘুরঘুর...

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.