নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখার জন্যে কলম, পেন্সিল, মোবাইল, পিসি কিছু দরকার আছে বলে আমার মনে হয়না। লিখার মত একটা মন থাকলেই যথেষ্ট।

দিকশূন্যপুরের অভিযাত্রী

কেউ জানেনা আমি কত বাচাল। কারন মনের কথাগুলো কেউ শুনতে পায়না।

দিকশূন্যপুরের অভিযাত্রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বাস

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৩

বিশ্বাস শব্দটা মাত্র তিনটি অক্ষরের সমষ্টি হলেও এর ব্যপকতা কতটা তা লিখে বা বলে শেষ করা যাবেনা। একটি মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিশ্বাসের উপরই বেঁচে থাকে। কেউ যখন কারও সত্যিকার বিশ্বাস অর্জন করতে পারে তখন জীবনের অন্য সকল অপূর্নতাও জীবনের উপর তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারেনা। আবার এই বিশ্বাসের অল্প একটু ঘাটতি হলেই পরিপূর্ণ জীবনে মনেহয় কি যেন নেই। অনলাইনে চ্যাট করার সময় একদিন কথা প্রসঙ্গে একজনকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আপনার কয়েকটা খারাপ গুন সম্পর্কে বলুন তো। আর চারটা খারাপ গুনের সাথে সে একটি খারাপ গুন বলল যে, তিনি নাকি খুব সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করে ফেলেন। শুনে খুব বেশি চমকিত হলাম না। কারন আমি জানি, এই ব্যক্তির মত অনেকেই এটাকে খারাপ গুনের কাতারে ফেলবে। যদিও আমি মনেকরি বরং এটার উল্টোটাই হওয়া উচিত ছিল। কেননা খুব সহজেই যদি মানুষকে বিশ্বাস করতে না পারি তবে হয়তো মাঝি নৌকা ডুবিয়ে দেয়ার ভয়ে নদী পার হতনা কেউ। মানুষ কান কেটে যাবার ভয়ে নাপিতের কাছে চুল কাটানো বন্ধ করে দিত। পদে পদে এমন অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। ছোট্টবেলা থেকেই দেখেছি, বাজার থেকে ফেরার পর আম্মা আমার কাছে কোন হিসেব চাইতেন না। এর পেছনেও রয়েছে বিশ্বাস। সবার মনেই বিশ্বাস থাকে।  ভালবাসার জন্যেও বিশ্বাস প্রয়োজন। অনেকে বলে বিশ্বাস হচ্ছে কাচের মত, যা একবার ভাঙলে টুকরা টুকরা হয়ে যায়। তাকে আর জোড়া লাগানো যায়না। এক্ষেত্রে আমি একটু ভিন্নমত পোষন করি।
আয়ার মতে বিশ্বাস হল একটি বাতাস পূর্ন বেলুন যেখানে বাতাসগুলো হল বিশ্বাস। সে বেলুনে যদি কখনও ছিদ্র হয় তবে বিশ্বাসের বেলুন চুপসে যাবে ঠিকই তবে তা কখনই টুকরো টুকরো হবেনা। আমি এটাও মনেকরি, অপরপক্ষের প্রতি অদম্য ভালবাসা আর প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকলে বিশ্বাস পুনরায় অর্জন করাও সম্ভব। পৃথিবীতে যেমন বিশ্বাস শব্দটি রয়েছে তেমনি বিশ্বাস ঘাতকতা থাকাটাও স্বাভাবিক। তবে একটা কথা মনে রাখবেন, যে মানুষটি আপনার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করল, তার এই ঘাতকতার পেছনেও রয়েছে কোন না কোন বিশ্বাস। সে হয়তবা আপনার বিশ্বাস থেকে ঐ বিশ্বাসটাকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছে। প্রত্যেকেই যার যার বিশ্বাসের উপর বেঁচে থাকে। অনেক সময় কোন একটা বিশ্বাস হারিয়ে আমরা খুব ভেঙে পরি। কিন্তু আমাদের মনে রাখা উচিত, বিশ্বাস কখনই একটি নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি, স্থান বা পাত্রের উপর সীমাবদ্ধ নয়। বিশ্বাস রয়েছে এ পৃথিবী জুড়ে। তাই কখনই কোন বিশ্বাস হারিয়ে নিজেকে নিঃস্ব মনে করবেন না। আর কিছু না হোক অন্তত এটা মনে রাখবেন যে, আপনার উপর আপনার প্রিয়জনদের অঘাদ বিশ্বাস রয়েছে। অন্য কোন ঠুনকো বিশ্বাসের জোড়ে প্রিয়জনদের এই বিশ্বাসটা নষ্ট হতে দিবেন না যেন! বিশ্বাস নিয়ে কথা বললে কথার শেষ হবেনা। ছোট্ট একটা পরিচিত গল্প দিয়ে লেখাটা শেষ করি। এক গ্রামে সবাইকে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করতে একটি মাঠে উপস্থিত থাকতে বলা হল। সেখানে সবাই খালি হাতে গেলেও শুধুমাত্র একটি ছেলে ছাতা নিয়ে উপস্থিত হল। কারন ছেলেটির মনে বিশ্বাস ছিল যে প্রার্থনার পর বৃষ্টি নামবেই। সত্যিকার অর্থে আমাদের সবার বিশ্বাস এমনই হওয়া উচিত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.