![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতকাল ২১ জুলাই ২০২৫, ঢাকার উত্তরা ‘মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ’-এর সামনে একটি বাংলাদেশ বিমানবাহিনী এর F‑7 BGI যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়।
৩১ জন হতাহত, যার মধ্যে অন্তত ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন – প্রায় সকলেই শিশু শিক্ষার্থী ছিলেন, ক্লাস ১–৮ পর্যন্ত। পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মোঃ তৌকির ইসলামও দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান
আহতদের মধ্যে ১৬৪–১৭১ জন হাসপাতালে ভর্তি, বেশিরভাগই শিশু, ৪৩ জন গুরুতর অবস্থায়। ( আরও বেশি হতে পারে লেখাঅব্দি যা জেনেছি)
বিমানটি টেকঅফের সময় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে “ঘটনাস্থল থেকে জনবহুল এলাকার বাইরে সরাতে” চেষ্টার এক অসাধারণ নজির স্থাপন করেছে, তবে সফল হতে পারেনি ।
সরকার আজ ২২ জুলাইকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছে, শহরে সব সরকারি গ্রন্থে পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে ।
ট্রাজেডির ঝরঝরে অনুভূতি
প্রতিটা মর্মান্তিক দৃশ্য—শিখ্যার্থীদের কান্না, আগুনের শিখা, ধুলো ও ধোঁয়ার আচ্ছাদন—এ যেন বাংলাদেশ ও মানবতার হৃদয়ে ছেঁড়া লাগিয়েছে। শিক্ষকেরা, অভিভাবকরা, প্রাথমিকভাবে সাহায্য করতে ছুটে আসেন।
এই ভয়াবহ ক্ষয়ে শুধু প্রাণধন হারিয়ে যায়নি—হারিয়ে গেছে হাজারো স্বপ্ন, হাসিমুখ, ভবিষ্যৎ—সব কিছুই লুকিয়ে গেল অজানার অন্ধকারে।
আমাদের দায়িত্ব ও দেশের জবাবদিহিতা
নিহত ও আহত শিশু ও তাদের পরিবারগুলোকে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সেবা ও আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।
অভিযানের প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
শহুরে গবেষণাধীন অঞ্চলে সামরিক ও বেসামরিক ব্যবস্থা যেন আরও সতর্ক ও আলোচিত হয়, যেন ভবিষ্যতে আর কোনো নিরাপত্তার সংকট সৃষ্টি না হয়।
একটি ক্ষণিকের শ্রদ্ধাঞ্জলি
আমাদের প্রার্থনা ও সমবেদনা মায়ের বুক থেকেই স্বর্গে পৌঁছে যাওয়া শিশুটির আভায় ও সুরে ভরে উঠুক সেই পরিসরে—যেখানে আর আর্তনাদের কোনো স্থান নেই।
আজ আমরা সবাই মিলেমিশে তাদের জন্য নীরব বেদনার মাঝেও এক ক্ষুদ্র শান্তিলগ্নের প্রার্থনা করি, যেখানে মৃত্যুর অন্ধকার মুছে যাওয়ার মধ্যেই সূর্য ওঠে।
এই ট্র্যাজেডি শুধু একটি সংবাদ বা ঘটনা নয়, এটি আমাদের প্রতিটি মন ও হৃদয়ের ওপর চাপিয়ে দেওয়া এক অগ্নিপরীক্ষা, যেখানে দাঁড়িয়ে থাকা মানসিকতার দিকে এখন তাকিয়ে আছে এক পুরো জাতি।
আমি নিজেও, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে, এই ভয়াবহতার প্রতিক্রিয়ায় গভীরভাবে শোকাহত হয়েছি। প্রার্থনা করি—বাংলাদেশ আরও সংযমী, নিরাপদ ও দায়িত্বশীল হবে।
২৪ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:৫৫
কাবিল বলেছেন:
আপনা মন্তব্যটুকুও অনেক কিছু বলে দেয়…
আমরা সবাই ব্যথিত, কিছু বলার ভাষা সত্যিই নেই।
শিশুগুলো আর আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাদের স্মৃতি যেন আমাদের বিবেককে জাগিয়ে তোলে—এই প্রার্থনা করি।
ভালো থাকুন সব সময়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: !