![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের সংবিধানেই বলা আছে " আল্লাহর উপর পূর্ন আস্হা ও বিস্বাস "। তাছাড়া আমাদের সংবিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতার এবং সকল সম্প্রদায়ের সমান অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে, একইসঙ্গে ইসলামকে প্রধান ধর্ম ঘোষণা করে নিজেকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
এখানে অনৈসলামিক কিছু তো খুজে পাচ্ছি না।
***ইসলামী আইনে পরিচালিত দেশগুলোতে যেমন গনতন্ত্র মেনে নেয়া যায় না তেমনি গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ইসলামী রাজনীতি কায়েম ব্যামানান।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশে ইসলামী আইন চালু করতে চাইলে, বাংলাদেশ যে আফগানিস্তানে পরিনত হবে এতে কোন সন্দেহ নাই।
ইসলামী আইন ও গনতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরার চেষ্ট্রা করা হলো।
*রসূল(সাঃ) ইসলাম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গণতন্ত্রকে বা প্রচলিত অন্য কোনো ব্যবস্থাপনাকে মেনে নেননি। নেওয়ার প্রশ্নই আসেনা, কারণ তিঁনি কিতাব প্রাপ্ত হয়েছেন আল্লাহর কাছ থেকে,এ্যারিষ্টটলের কাছ থেকে নয় বা রোমের বাদশাহের কাছ থেকে নয়।
*তাই ইসলামী রাজনিতী তে গনতন্ত্র মেনে নেয়া যায় না।
*গণতন্ত্রের জন্মদাতা হলেন এ্যরিষ্টটল এবং তিনি প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এ ব্যবস্থাপনা তৈরী করেছেন। এরপর তারই পথ ধরে যুগে যুগে গণতন্ত্রের অনেক প্রবক্তা এসেছেন এবং গণতন্ত্রের মূল সূত্র ঠিক রেখে তাকে নানাভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন।
আমরা যদি গণতন্ত্র সম্পর্কে বলি -
01. গণতন্ত্রে সার্বভৌমত্ব মানুষের থাকবে না,সার্বভৌমত্ব থাকবে আল্লাহর।
02. আইন মানুষ বানাবে না,আইন হবে আল্লাহর এবং মানুষ এটি কার্যকর করবে মাত্র।
03. একটি দল রাষ্ট্র শাসন করবে না,এটি করবে একজন নির্বাচিত নিরপেক্ষ ব্যক্তি এবং তার অনুগত বিভিন্ন বিষয়ে যোগ্য ব্যক্তি মন্ডলী।
04. গণতন্ত্রে একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর শাসকগোষ্ঠী পরিবর্তিত হবে না বরং যে ব্যক্তি যোগ্যতার সাথে শাসন করবে সে আমৃত্যু করতে পারবে(যদি শারিরীক,মানুষিক সমস্যা না থাকে)।
05. গণতন্ত্রে পুঁজিবাদ প্রতিষ্ঠিত হবে না, ইসলামী শরিয়া আইন সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।
06. দেশে কোন সরকারী দল-বিরোধী দল থাকবে না,এক উম্মাহকে ভাগ করবে না। ইত্যাদি।
*ইসলামের সাথে গণতন্ত্রের যে সমস্ত মৌলিক পার্থক্য রয়েছে তা হলো, আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
(১) “আল্লাহ তায়ালাই হচ্ছেন তোমাদের মালিক,সার্বভৌমত্ব তারই।”(আল-কুরআন,৩৫:১৩)“অতএব পবীত্র ও মহান সে আল্লাহ,যিনি প্রত্যেকটি বিষয়ের উপর সার্বভৌম ক্ষমতার একচ্ছত্র অধিপতি।”(আল-কুরআন,৩৬:৮৩)“তুমি কি জাননা যে, আসমানসমূহ ও যমীনসমূহের যাবতীয় সার্বভৌমত্ব একমাত্র আল্লাহ তায়ালার জন্য নির্দিষ্ট,তিঁনি ছাড়া তোমাদের কোন বন্ধু নেই, কোন সাহায্যকারী নেই ?”(আল-কুরআন,২ঃ১০৭)
কিন্তু গণতন্ত্রে বলা হয়েছে “সকল সার্বভৌমত্বের একচ্ছত্র মালিক জনগণ। ”
(২) গণতন্ত্রে দলীয় শাসন থাকে অর্থাৎ রাষ্ট্র একটি দলের লোকেরা শাসন করে। কিন্তু ইসলামিক রাষ্ট্রে বহু দলের উপস্থিতি থাকলেও, কোন দল শাসন ক্ষমতা পরিচালনা করতে পারবেনা, কারণ এতে পক্ষপাতিত্বের সম্ভাবনা খুব বেশী এবং আমরা তা বর্তমান ব্যবস্থাপনায় দেখতে পাই। খলিফা (ইসলামী রাষ্ট্রের প্রধান)বা জনগণের প্রতিনিধি কোন দলের লোক হলে তিনি দল ত্যাগ করে খলিফা হবেন। দলের সাথে তার কোন সংযোগ থাকবে না এবং তিনি যোগ্যতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যথেকে বিভিন্ন বিষয়ে কর্মকর্তা নিয়োগ করবেন।
(৩) গণতন্ত্রে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শাসক ক্ষমতায় থাকে। কিন্তু ইসলামী খিলাফতে শাসক যতক্ষণ যোগ্যতার সাথে শাসনকার্য পরিচালিত করতে পারবেন ততক্ষণ থাকবেন,তিনি ব্যর্থ হলে ঐ মুহুর্তেই বিদায় নিবেন বা বিদায় করা হবে (খিলাফতকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং খলিফাকে নির্বাচিত করা যেমন ফর্জ তেমনিভাবে তিনি কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ হলে তাকে হটিয়ে দেওয়াও ফর্জ দায়িত্ব,যা জনতা ইবাদত হিসেবে পালন করে।) ।
(৪) গণতন্ত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যের মতামতে একটি আইন পাস হয় এবং তা যেকোন ব্যাপারেই হতে পারে। আইনসভার সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্য যদি বলে- মানুষ হত্যা করা উচিৎ তাহলে, তা আইনে পরিনত হবে(ইরাক,ফিলিস্থিন,লেবানন,আফগানিস্থানে নিরপরাধ মানুষের উপর হত্যাযজ্ঞ চালানোর আগে আমেরিকা,ইসরাইল এবং সহযোগী অন্য দেশগুলোর আইনসভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাব উত্থাপিত হয় এবং সংখ্যা গরিষ্ঠের ভিত্তিতে তা পাস হয় অর্থাৎ নিরপরাধ মানুষ মারার ব্যাপারটি রাষ্ট্রীয়ভাবে জায়েজ করা হয়,এ ব্যাপারে আপনারা অবগত আছেন।)
কিন্তু ইসলামে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতামত যদি ইসলামের সুস্পষ্ট আইনের বিরোধী হয় তাহলে তা কখনই গ্রহন যোগ্যতা পাবেনা। তবে এমন কোন ব্যাপার যদি হয়- যার সাথে ইসলামের কোন বিরোধ নেই তবে সে সমস্ত ক্ষেত্রে সংখ্যা গরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
“যারা আমার আবতীর্ণকরা বিধান দ্বারা সমাজে বিধান দেয়না বা শাসনকাজ পরিচালনা করেনা , তারাই কাফির, ...তারাই জালিম, ...তারাই ফাসিক।”(আল-কুরআন,৫ঃ৪৪-৪৬) “তিঁনি তোমাদের জন্য জ্ঞান ও যুক্তিপূর্ণ কিতাব নাযিল করেছেন ,যা তোমাদেরকে নিয়ম কানুন প্রদান করে।”(আল-কুরআন,২ঃ২৩১) “তিঁনিই আল্লাহ, তিঁনি ব্যাতিত কোন ইলাহ নেই, দুনিয়া ও আখিরাতে সমস্ত প্রশংসা তাঁরই, বিধান আল্লাহর, তোমরা তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তিত হবে।” (আল-কুরআন,২৮ঃ৭০)
কিন্তু গণতন্ত্র বলে-বিধান জনগণের, আইন তৈরী করবে জনগণের প্রতিনিধিরা।
(৫) গণতন্ত্রে জনগণকে শাসন তত্বাবধানের দ্বায়ীত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে জনগণের রায় নিয়ে যেই ক্ষমতায় যায়, সমস্ত ক্ষমতা তাদেরকে কেন্দ্র করে আবর্তিত,পরিচালিত হয়,শাসন ক্ষমতার ৪/৫ বছরে জনগণের আসলেই কোন ক্ষমতা থাকেনা। শাসকগোষ্ঠী ভুল করলে বা জনস্বার্থ বিরুদ্ধ কাজ করলে তা সংশোধনের জন্য ৪/৫ বছর অপেক্ষা করতে হয় নির্বাচনের মাধ্যমে আরেকটি ভাল রায় দেওয়ার জন্য এবং সেটি মিস্ হলে বা জনগণ প্রতারিত হলে আবারও ৪/৫ বছর কপাল চাপড়াতে হয়।
কিন্তু ইসলামী খিলাফত পদ্ধতিতে প্রতিনিধি বা খলিফা যে কোনো সময় ভুল করলে সমাজের যে কোন শ্রেণীর লোক সামনা সামনি খলিফার ভুল ধরিয়ে দিতে পারে, কৈফিয়ৎ নিতে পারে, এমনকি তাকে কটাক্ষ করে কথা বললেও খলিফার কিছুই করার নেই। কারণ ব্যক্তিগতভাবে রাগান্বিত হয়ে তিনি কিছুই করতে পারেন না। ভুল শুধরাতে ব্যর্থ হলে তাকে তাৎক্ষনিকভাবে বিদায় নিতে হয়।
(৬) গণতন্ত্রে নেতা নিজের চরিত্র সম্পর্কে উত্তম বয়ান করে তাকে ভোট দিতে বলেন এবং তিনি নেতৃত্বের যোগ্য বলে ঘোষণা করেন। শুধু তাই নয় অন্য প্রার্থী তার থেকে কোন ক্রমেই ভালো নয় একথা নিশ্চয়তার সাথে প্রচার করেন ও প্রকাশ্যভাবে বা অপ্রকাশ্যভাবে তার গীবত করেন। অনেক সময় তার বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগ পেশ করেন এবং অন্যায়,কুটিল,অদ্ভুত চাল চালেন যাতে মানুষ তাকে ফেরেশতা এবং তার প্রতিপক্ষকে শয়তান মনে করে।
কিন্তু ইসলামে নেতৃত্ব চাইলেই- তিনি নেতৃত্ব দানে অযোগ্য বলে বিবেচিত হন এবং তিনি বাদ পড়েন বা বিদায় হন। রসুল(সাঃ) নেতৃত্ব দাবী করা লোকটিকে বাদ দিয়ে অন্যদের মধ্য থেকে নেতা খুঁজতে বলেছেন, কারণ নেতৃত্ব চেয়ে নেওয়ার কারনে সে নেতৃত্বের যোগ্যতা হারিয়েছে(একদা দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি এসে রসূল (সাঃ)কে বললেন,ইয়া রাসুলুল্লাহ ! আমাদেরকে আমাদের এলাকার শাসক মনোনিত করুন। রসূল(সাঃ)বললেন,“আমরা এরুপ ব্যক্তিকে কোন পদে মনোনিত করি না,যে তার পদ চেয়ে নেয় বা পদের প্রতি লালায়িত হয়।”(বুখারী))। আর খলিফা নির্বাচনের পর যদি অন্য কেউ এসে বলে এ ব্যক্তি খলিফা হবার অযোগ্য,আমিই যোগ্য, আমাকে খলিফা বানানো হোক তাহলে রসূল (সাঃ) বলেন- এ লোকটিকে হত্যা কর। কারণ সে ফেত্না সৃষ্টি করতে চায়,ফেৎনা হত্যা অপেক্ষা ভয়াবহ। আর খলিফার ব্যাপারটা এমন যে খলিফা আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করেন। কুরআন,সুন্নাহ,ইয্মা,ইজতিহাদ অনুসরণ করে সমস্যার সমাধান করেন। মৌলিক ক্ষেত্রে নিজের মতামত দিতে তিনি অক্ষম তাই আল্লাহর প্রতি অনুগত মানুষ তার কথায় দ্বিমত পোষণ করেনা বরং আল্লাহর ইবাদতের স্বার্থেই জনগণ খলিফার আদেশ,উপদেশ,নিষেধ মেনে চলে। এতে জনগনের ঐক্যে ফাটল ধরার সম্ভাবনা খুবই কম (রসূল(সাঃ)বলেন,‘কোন ব্যক্তি যদি আমীরের (রাষ্ট্রের শাসক বা খলিফা)আনুগত্য ছিন্ন করে এক বিঘৎও দূরে সরে যায় এবং এই অবস্থায় তার মৃত্যু হয় ,তাহলে সেই মৃত্যু হবে তার জাহেলিয়াতের মৃত্যু।’-মুসলিম শরীফ) । খলিফা নির্বাচন নিয়ে অরাজকতা সৃষ্টির আশংকা কম, কারণ এত কঠিন দায়ীত্ব সাধারনতঃ কেউ নিতে চায় না। তাছাড়া এ দায়ীত্বের সাথে বৈষয়িক অনেক লোকসান জড়িত।
(৭) গণতন্ত্রে সরকারী দল - বিরোধী দল থাকে এবং তারা একে অন্যের প্রতিপক্ষ কিন্তু খিলাফতে বহু দলের অস্তিত্ব থাকলেও কোন দল সরকার গঠন করে না। প্রত্যেকটা দলের থেকে মানুষেরা তাদের নিজেদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য,ঈমানদার,আলিম বা উচ্চ শিক্ষিত,উত্তম চরিত্রবান,যেকোন পরিস্থিতিতে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম এমন এক বা একাধিক জনকে খলিফা মনোনিত করতে পারেন এবং এরপর নির্বাচন কমিটির(নির্বাচন কমিটির সদস্যরা খলিফা হিসেবে নির্বাচিত হতে পারবেন না) কাছে পাঠাবেন। যাকে মতোনিত করা হবে বা নির্বাচিত করা হবে তিনি নিজে এ পদ চাইতে পারবেন না,তবে মনোনিত করা হলে বিশেষ গুরুতর কারণ ছাড়া এ নেতৃত্ব প্রত্যাখ্যান করতে পারবেন না। খলিফা কোন দলের হলেও তিনি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন না। খলিফা হবার আগে দলত্যাগ করেন এবং তার কাছে তখন জাতি, ধমর্, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ সমান। এটি খলিফার কাছে ফর্জ ইবাদত তাই প্রকাশ্য ও গুপ্ত উভয় অবস্থাতে তার নীতি,প্রচেষ্টা কল্যানকর হবে।
(৮) গণতন্ত্রে শাসক এমন কতৃপক্ষের নিকট জবাবদিহিতার নীতিতে বিশ্বাসী হয় যাদেরকে(মানুষ) শাসক ফাঁকি দিতে পারে, আপোস রফা করতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে মানুষের পক্ষে শাসকের সুক্ষ্ম ফাঁকি ধরা সম্ভব হয়না, কারণ সে সীমাবদ্ধ জীব।
কিন্তু ইসলামী ব্যবস্থাপনা বা খিলাফতে শাসক স্রষ্টা আল্লাহর নিকট জবাবদিহিতার নীতিতে বিশ্বাসী হয় আর আল্লাহ প্রকাশ্য ও গুপ্ত সকল অবস্থা অবগত। তিনি মানুষিকতা,বাহ্যিকতা,অতীত,বর্তমান,ভবিষ্যত সবকিছুর হিসাব রাখেন। আল্লাহকে ফাঁকি দেওয়া সম্ভব নয়,এটি খলিফা জানেন,মানেন, কারণ তিনি ঈমানদার। তিনি আল্লাহর নিকট কৈফিয়ৎ প্রদানে বিশ্বাসী।
(৯) গণতন্ত্র সমাজে পুঁজিবাদ প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে- কুরআন ও সুন্নাহ যা পদ্ধতিগতভাবে পুঁজিবাদকে পুরোপুরি খতম করে।
(১০) গণতান্ত্রিক শাসনে সমাজে সরকারী দল ,বিরোধী দলের বিরোধ ছাড়াও উঁচু শেণী ও নীচু শ্রেণীর মধ্যে মারাত্মক বৈষম্য সৃষ্টি হয়। ইসলামী ব্যবস্থাপনা বা খিলাফতে সরকারী দল,বিরোধী দল থাকে না এবং ধনী ও দরীদ্রের বৈষম্য থাকে না।
(১১) গণতন্ত্রে সম্পদ শুধু ধনীদের মধ্যে আবর্তন করে এতে ধনী হয় আরো ধনী,গরীব হয় আরো গরীব। এ ব্যবস্থায় গরীবের কাছ থেকে সম্পদ পদ্ধতিগতভাবে ধনীর হাতে গিয়ে আটকে থাকে।
খিলাফতে সম্পদ ধনী ও গবীবের মাঝে আবর্তন করে। ইসলামিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠিত হবার কারনে ধনীরা গরীবের প্রাপ্য সম্পদ ফর্জ ইবাদত হিসেবে প্রদান করতে বাধ্য থাকে। কতিপয় ব্যক্তি কতৃক নয় বরং রাষ্ট্র কতৃক অর্থনীতি নিয়ন্ত্রিত হয় ,এতে সম্পদের ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সকল নাগরিকের কল্যান সাধন হয়।
(১২) গণতন্ত্রে জনগণের সম্পদ ব্যক্তি বা তাদের প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়া হয় আর ব্যক্তির বৈশিষ্ট হলো সে কখনই লোকসান করতে চায় না,যে ভাবেই হোক না কেন সে লাভ করতে চায়। ফলে তাদের লাভের চিন্তা জনগণের অপরিসীম দুঃখ কষ্ট বয়ে আনে।
কিন্তু খিলাফতে খলিফা বা শাসক জনতার পক্ষ থেকে তাদের সম্পদের(পানি,বনভূমি,তেল,গ্যাস,কয়লা ইত্যাদি) সুষ্ঠ ব্যবহার করেন এবং সুষম বন্টন করেন। খিলাফত সরকার যদি হিসাব করে দেখে তারা জনগণকে সরকারী বিভিন্ন সুবিধা,সেবা বিনা মূল্যে প্রদান করতে পারছে,তবে খিলাফত সরকার জনগণকে সেগুলো ফ্রি দিয়ে থাকে। এ সরকার লাভের চিন্তা করে না বরং সেবার দিকটিই প্রাধান্য পায়। শাসক এ কাজটি ইবাদত হিসেবে করেন ফলে নিষ্ঠা,আন্তরিকতা,একাগ্রতার ছাপ থাকে প্রতিটি বৈধ কাজে।
(১৩) গণতন্ত্রে কিছু পুঁজিপতি বাজার নিয়ন্ত্রণ করে এবং তারা তাদের লাভের জন্যে কৃত্তিম সঙ্কট সৃষ্টি করে লাভবান হবার চেষ্টা করে। জনগণের ক্রয় ক্ষমতা এখানে বিবেচ্য বিষয় নয়,মুনাফাই বিবেচ্য। গণতন্ত্রে এটা বৈধ এবং মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে(পুঁজিবাদে) শাসকের কিছুই বলার নেই।
কিন্তু খিলাফতে জনগণের ক্রয় ক্ষমতা অনুযায়ী পণ্য দ্রব্যের মূল্য নিরুপিত হয়,সরকার ব্যপক ভূর্তুকী দেয়। কতিপয় ব্যক্তি এখানে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে না। বাজার নিয়ন্ত্রণ করে সরকার এবং পণ্য দ্রব্য মজুদ করে কৃত্তিম সঙ্কট সৃষ্টিকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বন্দোবস্ত রয়েছে। তাছাড়া শাসক জনতাকে আল্লাহর ভয়ে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আচরণ করতে উদ্বুদ্ধ করেন। ফলে সামাজিক,অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি এখানে স্বতস্ফুর্ত।
(১৪) গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ধনী, প্রভাবশালী শ্রেণী বেশী সম্পদশালী হবার কারনে এবং গরীবেরা পদ্ধতিগতভাবে বঞ্চিত হবার কারনে সমাজে নিরাপত্তাহীনতার সৃষ্টি হয়। বঞ্চিতরা ক্ষুব্ধ হয় এবং তাদের ক্ষোভের বহির্প্রকাশে ধনীরা অধিক পরিমানে নিরাপত্তা হীনতায় ভূগতে থাকে,মধ্যবিত্তরাও এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সমাজে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
কিন্তু খিলাফত ব্যবস্থায় ধনী লোকেরা গরীবকে সম্পদের ভাগ দেওয়ার কারনে উভয়ের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করে ফলে ধনীরা গরীব কতৃক ক্ষতির শিকার হয়না বরং তারাই তাকে নিরাপত্তা দিতে থাকে।
(১৫) গণতন্ত্র তৈরী হয়েছে ইসলাম বিরুদ্ধ চিন্তা চেতনা থেকে এবং এটি কুরআন,সুন্নাহ বহির্ভূত। কিন্তু ইসলামী খিলাফত ব্যবস্থা আল্লাহ কতৃক মনোনিত এবং রসূল(সাঃ)কতৃক অনুসৃত। গণতন্ত্র তৈরী হয়েছে সৃষ্ট জীব মানুষের চিন্তা,পরিকল্পনা থেকে অপরদিকে খিলাফত ব্যবস্থা তৈরী হয়েছে মহান স্রষ্টা আল্লাহ তায়ালার পরিকল্পনা থেকে।
* সবকিছু পর্যালোচনা করে কি বলা যায় না ইসলামী আইনে গনতন্ত্র হারাম?
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:১৩
তাহের বলেছেন: পুরাটা পড়েন তারপর দেখুন ইসলাম কি বলে।
(১) “আল্লাহ তায়ালাই হচ্ছেন তোমাদের মালিক,সার্বভৌমত্ব তারই।”(আল-কুরআন,৩৫:১৩)“অতএব পবীত্র ও মহান সে আল্লাহ,যিনি প্রত্যেকটি বিষয়ের উপর সার্বভৌম ক্ষমতার একচ্ছত্র অধিপতি।”(আল-কুরআন,৩৬:৮৩)“তুমি কি জাননা যে, আসমানসমূহ ও যমীনসমূহের যাবতীয় সার্বভৌমত্ব একমাত্র আল্লাহ তায়ালার জন্য নির্দিষ্ট,তিঁনি ছাড়া তোমাদের কোন বন্ধু নেই, কোন সাহায্যকারী নেই ?”(আল-কুরআন,২ঃ১০৭)
আর গনতন্ত্র মানুষের তৈরী আইন।
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:০৯
শামীম দ্যা রক্ বলেছেন: না! কারণ খলিফা নির্ধারণে গনতন্ত্র ব্যবহার হয়েছে। ইসলামে ইতিহাস পড়ুন নিজেই টের পাবেন।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:১৭
তাহের বলেছেন: কিন্তু সিদ্ধান্ত নেয়ার একক মালিক খলিফা।
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:১০
শামীম দ্যা রক্ বলেছেন: ইডিয়টের মত না জেনে পোস্টকরা থেকে বিরত থাকুন।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:১৮
তাহের বলেছেন: আপনি যতটুকু যানেন,দয়া করে জানান! জানালে ভূল ভাংবে।
৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:১৮
আ হক বলেছেন: লেখকের সাথে সহমত, তবে শুরুটা বেখাপ্পা লাগছে। উপরের মন্তব্যগুলো মুখস্ত কমেন্ট, লেখা না পড়েই করা হয়েছে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:২৬
তাহের বলেছেন: আমারও মনে হচ্চে ওগুলো মুখস্ত কমেন্ট,
আমারও আছে " আল্লাহর উপর পূর্ন আস্হা ও বিস্বাস "। তাই বলে বাংলাদেশকে আফগান হতে সমর্থন করতে পারি না। যেটা আফগানে চেষ্ট্রা করা হচ্ছে।
৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:২২
হুমায়ুন_কবির_হাকিম বলেছেন: ইসলাম কি বলে সেটা জানতে আপনার পোষ্ট পুরাটা পড়ার দরকার নাই। আপনি বরং এই ধরণের পোষ্ট দেয়ার ধৃষ্টতা দেখানোর আগে আল-কোরান অর্থসহ পুরাটা পড়ুন।
গতরাতেই কোন একটা সূরায় দেখলাম (মনে করতে পারছি না), "তোমার ধর্ম তোমার কাছে, আমার ধর্ম আমার কাছে"।
ধন্যবাদ আপনাকে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৩২
তাহের বলেছেন: পূরা পোষ্ট না পইড়া , আপনার মন্তব্য করার দরকার নাই।
"তোমার ধর্ম তোমার কাছে, আমার ধর্ম আমার কাছে"।
এটা কি আরবদেশ গুলোতে সম্ভব?
৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৩৭
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: তাহলে এখন করণীয় টা কি? গণতন্ত্র অর্থাৎ জনগণের রায়কে হত্যা করতে হবে। আলজেরিয়াতে ঠিক এই কাজটাই হয়েছিল। গণতন্ত্রকে উৎখাত করে অন্য কিছু চাপাতে গেলে রক্তপাত, গৃহযুদ্ধ অনিবার্য। গণতন্ত্রহীন ব্যবস্থায় কার্যত জবাবদিহিতা নেই, ওটা স্বৈরতন্ত্রে রূপ নিতে বাধ্য। সে ক্ষেত্রে দেশের কর্তা ধর্মকে ম্যানিপুলেট করে ভুল-স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিবে কিনা বা সেটি কার্যকর হবে কিনা সেটিরও মূল্যায়ণ, বিশ্লেষণ করার মত জনমত না থাকলে, ওটা স্বৈরাচার ছাড়া কিছু হবে বলে আমার মনে হয়না। আশা করি ইসলাম রক্তপাত ও ফেতনার বিনিময়ে হারাম গণতন্ত্রকে হঠানোর বাণী দেয়না।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:২৪
তাহের বলেছেন: ৮৮% মুসলমানের বাংলাদেশে কোন ভাবেই ইসলামী আইন বাস্তবায়নের রাজনীতি সমর্থন করি না। তাহলে আলজেরিয়ার মতোই হবে(গৃহযুদ্ধ)।
তাই বাংলাদেশে গনতন্ত্রই শ্রেয়!
৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৪৬
হুমায়ুন_কবির_হাকিম বলেছেন: আশ্চর্য, আপনি আরব দেশ নিয়ে আসতেছেন কেন?? ইসলাম আর গণতন্ত্র'র কথা হচ্ছে এখানে। আরব দেশে গণতন্ত্র আছে সেটা আপনাকে কে বলল?? এটা তাদের ভুল, তাই বলে ইসলাম কেন দোষী হতে যাবে???
কোন এলাকা/দেশের ভিত্তিতে ইসলামের সংজ্ঞা দেয়ার মত বোকামো লক্ষ্য করা যাচ্ছে আপনার মধ্যে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৫
তাহের বলেছেন: আরব দেশের আইনই তো ইসলামী আইন।
৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৫৭
পাপতাড়ুয়া বলেছেন: ভালো বলেছেন।ধর্মের লেবাসে গণতন্ত্র হয় না।যারা এরকম দাবী করে,বুঝতে হবে,উদ্দেশ্য অন্য কোথাও।
সাথে,গণতন্ত্র থাকলেই হবে না।এর প্রয়োগ ও চর্চা ও থাকা দরকার।আমাদের তা কই?
আমরা কেউ গণতন্ত্রের ফ্লেভারে ধর্ম কে সিঁড়ি বানাচ্ছি,কেউ পরিবার তথা একনায়কত্ব করছি।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৮
তাহের বলেছেন: আমার আল্লাহর উপর পূর্ন আস্হা ও বিস্বাস আছে।
কিন্তু আমি গনতন্ত্রে বিশ্বাসী।
৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৩
নুর3ডিইডি বলেছেন: * সবকিছু পর্যালোচনা করে কি বলা যায় না ইসলামী আইনে গনতন্ত্র হারাম?
না বলা যায়না। সবকিছু পর্যালোচনা করে বলা যায় গনতন্ত্রের সঠিক চর্চা হলে, মুসলিম বিশ্বে গনতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩০
তাহের বলেছেন: মুসলিম বিশ্বে গনতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
তাহলে মুসলিম বিশ্ব এটা করছেনা কেন?
উঃ কারন তারা জানে, দুইটা এক সাথে চলতে পারে না।
১০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৮
হুমায়ুন_কবির_হাকিম বলেছেন: লেখক বলেছেন: আরব দেশের আইনই তো ইসলামী আইন।
আপনাকে বেকুব এবং পক্ষপাতদূষ্ট আখ্যায়িত করে আপনার সাথে কথা না বাড়ানোই শ্রেয় বলে মনে হচ্ছে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০০
তাহের বলেছেন: তাহলে ইসলামী আইন বলতে আপনি কি বুঝাইতে চাচ্ছেন?
আপনি শুধু ইসলামী না কোন আইন সম্পর্কেই অভিত নয়।
১১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৪
শামীম দ্যা রক্ বলেছেন: আমার এখানে ইসলামী জ্ঞান ঝাড়ার কোন ইচ্ছাই নাই। আপনি জেনে নিয়েন।
১২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৬
শামীম দ্যা রক্ বলেছেন: লেখক বলেছেন: কিন্তু সিদ্ধান্ত নেয়ার একক মালিক খলিফা।
_____________
ঠিকাছে! কিন্তু এর আগের ব্যপার গুলো ভেবে দেখেন। খলিফা কি সব সিদ্ধান্ত নিজেই নিত? সব সিদ্ধান্ত সবার উপর চাপিয়ে দিত?
দয়া করে ভাল করে পড়ে তারপর পোস্ট দিন।
১৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৪
দাম বলেছেন: গনতন্ত্র মানে কি নির্বাচন না কি মানব রচিত শাষন ব্যাবস্হা?? জামাতি ভাইগো কাছে প্রশ্ন
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১০ ভোর ৫:৪৭
তাহের বলেছেন: ইসলামী আইন নাকি গনতন্ত্র জামাতিরা কি চায় তা তারা নিজেরাও জানে না।
১৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:১৫
নীলপদ্দ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আরব দেশের আইনই তো ইসলামী আইন।
আপনার ধারনা ভুল। আরবের কোন দেশেই প্রকৃত ইসলামী আইন দিয়ে শাষন হয় না। আরবের প্রায় সব দেশই রাজাদের দ্বারা শাষিত, যেটা ইসলামের পরিপন্থি।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:১৬
তাহের বলেছেন: আরব দেশের আইনই তো ইসলামী আইন বলতে আমি বোঝাতে চেয়েছি, যেমন ইসলামী আইন আমাদের দেশের ইসলামী রাজনীতিবিদরা চায়।,
* তারপরও আরবরা গনতন্ত্র বিরোধী।
১৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৩২
বিপ্লব৯৮৪২ বলেছেন: লেখক বলেছেন: * সবকিছু পর্যালোচনা করে কি বলা যায় না ইসলামী আইনে গনতন্ত্র হারাম?
..................................................................................................
আপনার এই প্রশ্নের উওর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে উল্টোভাবে বলা যায় ,
গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ইসলামী আইন হারাম বা অবৈধ ।
কিন্তু আমাদের সংবিধানে আছে
১ক) সর্বশক্তিমান আল্লাহের উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসই হইবে যাবতীয় কার্যাবলীর ভিত্তি৷]
৫[ ২ক৷ প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম,
১১৷ প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র,
আর আপনার যুক্তি ধরে নিলে পুরো ব্যপারটা সাংঘর্ষিক ।ইসলাম ও গনতন্ত্র একসাথে থাকতে পারে না।
দয়া করে হাইকোর্টে ১ টা রিট করুন । আমরা দেশের বিজ্ঞ আইনজীবিদের যুক্তিগুলো শুনতে চাই , তারা কি বলে।আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে , জিয়াঊর রহমান ও এরশাদ ঊপরোক্ত সংশোধনী
আনায় এ সাংঘর্ষিক ব্যাপারটা আপনার মতো অনেকের নজরে আসে । আপনি না হলেও অদুর ভবিষ্যতে কোন মেধাবী ছাত্র এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করবেই ।
আরেকটা কথা অপ্রিয় হলেও সত্য যে , বর্তমানে কোন দেশে ইসলামি শাসন নেই,যদিওজনগনকে ধোকা দেয়ার জন্য সংবিধানে দরদ দেখানো কিছু ইসলামি কথা লেখা আছে ।
আপনাকে + ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:০৪
তাহের বলেছেন: ইসলাম এবং গনতন্ত্র পুরো ব্যপারটা সাংঘর্ষিক ।ইসলামী আইন ও গনতন্ত্র একসাথে থাকতে পারে না। আমি এটাই বলতে চেয়েছি আমার পোষ্টের মাধ্যমে।
আমি আল্লাহর উপর পূর্ন আস্হা ও বিস্বাস রাখি কিন্তু ৮৮% মুসলমানের বাংলাদেশে কোন ভাবেই ইসলামী আইন বাস্তবায়নের রাজনীতি সমর্থন করি না।
১৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৩১
ঈবলিশ বলেছেন: ।ইসলামী আইন ও গনতন্ত্র একসাথে থাকতে পারে না। যে কোন একটা।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:২৯
তাহের বলেছেন: একমত।
১৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৪৪
পারভেজ আলম বলেছেন: লেখক বলেছেন: গণতন্ত্রের জন্মদাতা হলেন এ্যরিষ্টটল এবং তিনি প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এ ব্যবস্থাপনা তৈরী করেছেন।[/sb
উরি আল্লা! ইমুন তথ্য কইত্যে পাইলেন। এ্যরিষ্টটল বাঁইচ্চা থাকলে থাপরায়া আপনের দাঁত ফালায়া দিতো। এ্যরিষ্টটলতো মহা গণতন্ত্র বিরোধী লোক ছিলেন। প্লেটো আর তার সাগরেদ এ্যরিষ্টটল, দুইজনই ছিলেন গণতন্ত্রের কঠিন সমালোচক। দুইজনই অভিজাততন্ত্র পছন্দ করতেন, গণতন্ত্র না। এ্যরিষ্টটলের মতে গণতন্ত্র হইলো দুর্বল আর মূর্খ লোকের শাস।
মিয়া, না জাইনা আন্তাজে উল্টা পাল্টা কথা লেখেন। পোস্টের শুরুতেই এত্তবড় মিথ্যা কথা। বাকিটুকু পড়াতো অর্থহীন।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:১১
তাহের বলেছেন: প্রশ্ন : রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে?
উত্তর : এরিস্টেটল।
*প্রশ্ন : এরিস্টেটলের মতে সর্বাপেক্ষা উত্তম সরকার ব্যবস্থা কী? উত্তর : গণতন্ত্র।
এ্যরিষ্টটলতো মহা গণতন্ত্র বিরোধী লোক ছিলেন,এইডা কেমনে সম্ভব?
নিচের লিংকটা পইরেন কাজে লাগবো।
ঐ মিয়া এসএসসি পাস করছেন কিনা সন্দেহ হইতেছে, বেশী পন্ডিতগিরী করেন।
Click This Link
১৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:০৬
পারভেজ আলম বলেছেন: লেখক বলেছেন: প্রশ্ন : রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে?
উত্তর : এরিস্টেটল।
*প্রশ্ন : এরিস্টেটলের মতে সর্বাপেক্ষা উত্তম সরকার ব্যবস্থা কী? উত্তর : গণতন্ত্র।
ভাইজান কি দৈনিক সংবাদএ চাকরে করেন না কি। এই পাতাটা কি আপনেই লেখছেন। জিগাইলাম, কারন সমাজ বিজ্ঞান সম্বন্ধে নুন্যতম ধারণা ওয়ালা কোন লোক এরিস্টটলের মতে সর্বাপেক্ষা উত্তম সরকার ব্যবস্থা গণতন্ত্র বলবেনা। ভালো কথা, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক আর গণতন্ত্রের জনক এক হইল কেমনে?
এই নেন, এরিস্টটল আর গণতন্ত্র নিয়া কিছু সত্যিকারের তথ্যওয়ালা লিংক দিলাম।
Click This Link
Click This Link
এছাড়াও বাংলায় অনেক রাষ্ট্রবিজ্ঞান/সমাজবিজ্ঞানের বই আছে। অগুলা দেখেন। এসএসসির বই এই মুহুর্তে হাতের কাছে নাই। যতদুর মনে পরে এসএসসিতেও এই বিষয়ে কিছু আছে।
আর এই কাহিনী এইখানেই শেষ না, এইটা মনে রাইখেন। এর আগে ব্যাপারটা ছিলো ব্লগের ভিতরে তর্কের ব্যাপার, কিন্তু এখন ছোট পোলাপানের শিক্ষা দিক্ষার ব্যাপার। ভূল তথ্য দেয়ার জন্য "দৈনিক সংবাদ"রে জবাবদিহিতা করতে হবে। আর যদি এর সাথে আপনার জরিত থাকার কোন প্রমান পাওয়া যায়, তাইলে আপনেরও খবর আছে। হাজার হোউক, পোলাপানের লেখাপড়ার বিষয়।
১৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৩২
দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: লেখকের সঙ্গ ১০০% একমত। আমারও একটি পোষ্ট ছিল এরকম
ইসলাম ও গণতন্ত্রের সরাসরি সংঘর্ষ : 'ইসলামী গণতন্ত্র' ধারনাটি একটি ধোকা
২০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৩৬
দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত, এক প্লাটফর্মে কাজ করা দরকার।
-ইবনে হাবীবঃ 01920-293466
কমেন্ট টা মুছে দিয়েন
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:০৭
হুমায়ুন_কবির_হাকিম বলেছেন: কে বলছে ইসলামী আইনে গনতন্ত্র হারাম!!!??? ইসলাম গণতন্ত্রের শিক্ষা দেয়।