![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও বাঙ্গালী সংস্কৃতি যেটাই বলি না কেন এটা আমাদের সংস্কৃতি। বাংলাদেশী হিসাবে আমাদের সংস্কৃতি কি? আজ আমরা যা দেখছি তা কি আমাদের সংস্কৃতি? না আমরা অপ সংস্কৃতি মাঝে ডুবে আছি?
আমাদের সংস্কৃতি গুলো আমরা একটু খুঁজতে চেষ্টা করলে সব ই বের করতে পারবো কোনটা আমাদের সংস্কৃতি আর কোনটা অপ সংস্কৃতি।
আমাদের সংস্কৃতি হলঃ
পহেলা বৈশাখ পালন, নিয়ম টা পান্তা ভাত আর ইলিশ দিয়েই শুরু। সেখানে আছে একটা পারিবারিক আনন্দ, বিনেদন, ভালবাসা, যার মধ্যে নাই কোন অশ্লীলতা, বেহাইয়াপানা । আমাদের সমাজে পহেলা বৈশাখ নামে যা চলছে তা আমাদের সংস্কৃতি নয়।
পহেলা বৈশাখে নাচ গানের যে সংস্কৃতি তা মূলত হিন্দু ধর্মের একটা সংস্কৃতি। রাঁধা কৃষ্ণের সংস্কৃতি। উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী তাদের লাভের আশাই এটাকে আমাদের সংস্কৃতির অংশ হিসাবে প্রকাশ করে। নাচে গানে রঙ্গিন সাজে সাজিয়ে বাংলাদেশী / বাঙ্গালী ললনাকে ঘরের বাহির করেছে।
আজ পহেলা বৈশাখে সবাই যেন মেতেছে নিজেকে অপরের হাতে উজার করে দেওয়ার জন্য। পুরুষরা যেমন ঘর থেকে বের হয় চল মাল দেখে আসি বলে, তেমনি মেয়েরাও বের হয় মাল দেখিয়ে আসি বলে।
কেউ কেউ নিজেদের প্রেমিকাকে প্রেম নিবেদনের উপযুক্ত সময় মনে করে থাকেন। আর তাই নিজেদের প্রেমিকাকে সাজিয়ে হাজির হন রমনার বটমূলে।
আজ সকালে ফজরের নামাজে যত না মানুষ দেখলাম তার থেকে বেশি মানুষ গেছে বৈশাখ উদযাপন করতে। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ? রসিকতা ছাড়া আর কিছুই না। নামাজ পড়ি না অথচ আমরা মুসলমান।
যে কথা বলছিলাম আমাদের সংস্কৃতির নাম দিয়ে সংস্কৃতিকে গলা টিপে ধরেছে উদীচী নামক শিল্পী গোষ্ঠী। তাদের অসুবিধা হয় বলে তারা দেশে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করে দিতে চায়, সংস্কৃতি নামে অপসংস্কৃতি প্রচারে করে চলেছে।
আজ সময় আসেছে আমাদের সংস্কৃতিকে চিনে নেওয়ার। নবান্নের অনুষ্ঠান, দেশীও খেলা, দেশীও পোশাক, দেশীও খাদ্য এসব আমাদের সংস্কৃতি।
আজ লাফালাফি করে প্রেম নিবেদন করে যা করা হচ্ছে তা আমাদের না। এইসব বন্ধ করতে হবে। বিপদে পাশে দাঁড়ানো আমাদের বাঙ্গালী আচরন। এইটাও আমাদের সংস্কৃতি। কোথাই আছে আমাদের নৈতিকতা? কোথাই গেল অপরের প্রতি আমাদের ভালবাসা? কোথাই গেল আমাদের বড়দের প্রতি সম্মান প্রদর্শন? কোথাই?????
আসুন একসাথে শপথ করি, শিখল ভাঙ্গার। মেলে ধরব আমাদের সংস্কৃতি। টাকা কে অপচয় না করে আসুন আমরা ১০ জন ২০ জন মিলে দল গঠন করে তাদের পাশে দাড়াই যাদের পাশে আমাদের দাঁড়ানো প্রয়োজন। যারা মুখ ফুটে বলতে পারে না, গলা ফাটিয়ে চাইতে পারে না। আসহায়ের মত দারিয়ে দেখে কিভাবে মানুষ ৫০০ টাকা দিয়ে ১০০০ টাকা দিয়ে রমনার বটমূলে মাটির পাত্রে পান্তা ইলিশ কিনে খাচ্ছে। আবার অনেকে ছবি তুলে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে পাত্রটি।
হ্যাঁ আমাদের সমাজে এমন টাই হয়, কেউ খাবার নষ্ট করে আর কেউ ডাস্টবিন থেকে খাবার তুলে খায়। কষ্ট লাগে।
আমরা পারি আমরাই পারবো।
©somewhere in net ltd.