নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্ম উপলব্ধি

কুবের মাঝী

আমি একজন মানুষ

কুবের মাঝী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ হরতাল ও নাশকতা

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৪

আমাদের দেশে আজ কাল ভালই হরতাল চলছে। হরতাল শেষে সরকারী দল আর বিরোধী দল আমাদের অভিনন্দন জানান হরতাল কে যথাক্রমে পরিহার ও সমর্থন দেওয়ার জন্য। আমরা সাধারণ জনতা আর উনারা অসাধারণ জনতা! যারা সক্রিও ভাবে রাজনীতি করেন তারা তো আর সাধারণ হতে পারেন না। দেশ ও দশ / দোষ নিয়ে কাজ করেন।

একদল আছেন যারা ককটেল ফোটাতে ব্যাস্ত, তারা নাশকতা সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের হরতাল পালনে বাধ্য করার চেষ্টা করে থাকে। রাস্তাঘাট বন্ধ করে আমাদের চলাচলে বাধা দেন যেন বলতে পারে সাধারণ মানুষ হরতাল পালন করেছে। রাস্তাই গাড়ি পোড়ান, টায়ার পোড়ান, রিক্সাকে সাধারণ মানুষ সহ ধাক্কা দিয়ে ফেলে মানুষের মনে আতংক সৃষ্টি করেন।

আরেকটা দল আছে যারা ক্যামেরার সামনে ও পিছনে ক্যামেরা নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন। তারা খুব ই ভালো কাজ করেন। পক্ষপাত দৃষ্টি নিয়ে কাজ করেন। সব খবর সমান ভাবে তুলে ধরেন না। এই মানুষ গুলো কে খারাপ করার পেছনে যারা কাজ করেন তাদের ধন্যবাদ পাওয়া উচিৎ। তারা যথার্থই সাফল্য দেখিয়েছেন।

দুইটি দল আছে যারা আমাদের সমাজের মুখোশ উম্মচন করতে পারেন।

এক> সংবাদ নিয়ে যারা কাজ করেন

দুই> বিচার কর্য নিয়ে কাজ করেন।

অথচ আমাদের দেশে এই দুটিতেই ঘুণে ধরা কাঠের মত। আসিফ মহিউদ্দিনের মত ইসলাম বিদ্বেষীর আইন বিষয়ে সহযোগিতা করছেন একজন মুসলিম। হায়রে টাকা! সময় মত কেন তুমি আস না?

আসল কোথাই আসি। যারা নাশকতা করে আমাদের কাছ থেকে হরতালের সফলতা আদায় করতে চায় আর যারা মানুষকে ব্যাবসায়কে নিজের অনিচ্ছার শর্তে দোকান খুলতে, মাঠে গাড়ি নামাতে বাধ্য করেন, তাদেরকে বলছি হরতালকে উন্মুক্ত করে দেন। যার ইচ্ছা সে পালন করবে আর যার ইচ্ছা হয় না সে তা করবে না। আমাদেরকে হরতাল পালনের জন্য জোরজারি করবেন না।

সরকারে কাছে আবেদন সারা দেশে সি সি ক্যামেরা লাগান। কোথাই ক্রাইম হচ্ছে আর কোথাই হচ্ছেনা তা সহজে বের করা যাবে। তাই বলে শাহবাগের সি সি ক্যামেরা অপারেটরের মত কাউকে গায়েব করা যাবে না। কে করছে কে সহযোগিতা করছে তা আর রিমান্ডে নিয়ে বের করা লাগবে না। আপনি করলে আপনি ধরা খাবেন আর বিরোধীরা করলে বিরোধীরা ধরা খাবে। দেশ ও দশের স্বার্থে এগিয়ে আসুন।

যারা নাশকতা সৃষ্টি করছে তাদের ধরে চরম ধলাই দেওয়ার দরকার। কিছু জামাত সমর্থনকারীকে রাস্তাই গাড়ি পোড়ানোকে সমর্থন দিতে দেখে অবাক হয়েছি। তারা তো বলেন আদর্শের ধারক বাহক! এইটা কি ধরনের আদর্শ?

কেন গাড়িতে আগুন দিতে হবে?

জনগনের মনে ভয় দেখাতে হবে না! তারা যেন রাস্তাই না আসে।

খুব সুন্দর। এমন ই কথা শুনেছি আমি। বাহবা জানানোর দরকার তাদের যারা জালাও পোড়াও কে সমর্থন দেয়।

যারা গাড়ি ভাংচুর করে, মানুষের জান মালের ক্ষতি করে তাদের কে পরিহার করি। তাদের রাজনীতিকে সমর্থন দেওয়া বন্ধ করি। সর্ব ক্ষেত্রে তাদের কে যদি আমরা সাধারণ জনগন সমর্থন না দেয় তাহলে কারার কোন কিছু করার সামর্থ্য নেই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.