![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে মাস্টার্স করছি। জানার জন্য পড়ি। পজেটিভ সমালোচনা করা পছন্দ করি।
দুইটা টুর্নামেন্টই শেষ হলো। খেলার মানের কথা বলতে গেলে অনেক সময়ের প্রয়োজন তবে এবার এই দুই টুর্নামেন্টের দর্শক চাহিদা, দর্শক প্রিয়তা, আবেগ এবং উত্তেজনার উপরে ভিত্তি করে দর্শকদের একটা আশ্চর্য শ্রেনীবিভাগ চোখে পড়েছে। তাদের পরিচয়ই সংক্ষেপে বলা যাক।
প্রথম শ্রেনীঃ এই দর্শকদের কথা সবাই জানেনা কারন এরা অত্যন্ত চুপচাপ থাকেন। এরা ফুটবল খেলাটা দেখেন। অনেকে জানেই না এরা কোন দল সাপোর্ট করেন। প্রতি বছরের বেশিরভাগ ক্লাব লীগগুলো সহ টুর্নামেন্টের খেলাগুলো প্রায় সবই এরা দেখেন এবং উপভোগ করেন। উত্তেজনাকে পাশ কাটিয়ে ফুটবলের সৌন্দর্যকে উপভোগ করেন এই শ্রেনীর দর্শকেরা। মাঝে মাঝে বিশ্লেষণ ধর্মী আলোচনা করতে দেখা যায় তাদের।
দ্বিতীয় শ্রেনীঃ এই শ্রেনীর দর্শকরা কিছু দল এবং কয়েকটা ক্লাবের নাম জানেন। বিশ্বকাপ বা উপমহাদেশীয় টুর্নামেন্টে শুধুমাত্র এই পছন্দের দলগুলোর খেলা দেখেন এবং জয়ে আনন্দ পান ও পরাজয়ে খুব দুঃখও পান। এদের মধ্যে উত্তেজনা থাকলেও তেমন একটা ঝগড়া বা তর্কে জড়াননা, সুযোগ পেলে বা প্রয়োজন পড়লে দুই চারটে কথা এরা প্রিয় দল এবং খেলোয়ারকে নিয়ে বলে থাকেন।
তৃতীয় শ্রেনীঃ এই শ্রেণীর দর্শকেরা মাত্র দুইটি দল চেনেন যার মধ্যে একটি দলের সাপোর্ট করেন, খেলা দেখেন এবং ঐ দলের কিছু বা দুইজন বা একজন খেলোয়ারকে চেনেন। পছন্দের দল ছাড়া যে আরেকটি দলকে চেনেন তার সাপোর্টারদেরকে খুজে বেড়ান এবং তাদের প্রতি প্রচুর ঘৃনা প্রকাশ করেন। সুযোগ পেলে তাদের একহাত নিতে ছাড়েন না। ঝগড়া ও তর্ক করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য এবং পরিসংখ্যান সংগ্রহ করতে থাকেন এবং ক্রমাগত নিজের দলকে বড় করে দেখানোর জন্য এবং ঝগড়ায় জেতার জন্য বেশিরভাগ সময়েই মিথ্যা বা আংশিক মিথ্যা বা অপ্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপন করে অন্য দলটিকে ছোট করবার তীব্র চেষ্টা চালাতে থাকেন। খেলায় হারলে আইডি ডিএক্টিভেট করা সহ অন্ধকার গর্তে লুকান এবং জিতলে যারা গর্তে লুকিয়েছেন তাদের খুজে খুজে তীব্র অপমান করার সুযোগ হারান না।
চতুর্থ শ্রেনীঃ এই শ্রেনীর দর্শকদের সম্পর্কে বলা কঠিন। তারা কি করবে কখন করবে তা অনুমান করা সাধ্যের বাইরে। এরা অবশ্যই মাত্র দুইটি দল সম্পর্কে জানেন এবং দুই দলের দুইজনের নাম জানেন। এই শ্রেনীর বেশিরভাগ মানুষ নিজের পছন্দের দলের খেলাও দেখেন না, শুধু ঘুম থেকে উঠে নিকটস্থ কাউকে খেলার স্কোর জিজ্ঞেস করেই এরা ঝগড়ায় এবং অপমানের খেলায় লিপ্ত হয়ে যান। নিজের পছন্দের দলের প্রধান খেলোয়ারকে ঈশ্বরের সাথে তুলনা করা সহ অপর দলের প্রধান খেলোয়ারকে গরু গাধা ছাগল মনে করেন ও মাঝে মাঝে তার মৃত্যুও কামনা করেন। নিজের প্রিয় দলের খেলোয়াড়েরা কেউ একটু মাটিতে পড়ে গেলেই প্রচন্ড কষ্টে হৃদয়ে তীব্র ব্যাথা অনুভব করলেও অপর দলের কেউ আহত হয়ে ভাঙ্গা মেরুদন্ড নিয়ে মাঠে অসহায়ের মত কাতরালেও তীব্র আনন্দে হাসতে হাসতে বলেন “উচিত শিক্ষা হইছে”। এহেনো নিচু মানসিকতা নিয়ে বেশিরভাগ সময়েই তারা ঝগড়াঝাটি, অশ্লীলতর্ক এবং প্রয়োজন হলে অপর পক্ষের সাপোর্টারদের মা বাপ তুলে গালাগালি করে মনের ঝাল জুড়ান। কিছু কিছু সময় তো মারামারি করে নাক মুখ থোতা ফাটিয়ে এদের স্থান হয় হাসপাতালে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে। এরা কত নিচে নামতে পারে তা বোঝা এবং বলা অত্যন্ত কঠিন ও কষ্টসাধ্য। অপর দলের কোন সাপোর্টার ফেসবুকে কোন পোষ্ট করলেই এরা কমেন্ট বাক্সে ঝাপিয়ে পড়েন বলে এই শ্রেনীর দর্শকদের চিনে নেওয়া খুবই সহজ। নিজের অজান্তেই এরা নিজেদের পরিচয় দিতে থাকেন।
সকল শ্রেনীর দর্শকদের জন্যই ভালবাসা থাকবে আমার। পৃথিবীর সকল প্রাণী সুখী হোক।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:১৮
মোঃ নুরউদ্দিন কবির বলেছেন: হা হা হা.
২| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৩৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পৃথিবীর সকল মানুষ সুখি হোক সকলে মঙ্গল লাভ করে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২৪
কামাল১৮ বলেছেন: এরা কারা,কোথা থেকে আসে এরা।