নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেমন করে বাঁজাও বাঁশি সুর যেন গো সর্বনাশী থাকতে আমায় দেয়না গৃহ কোনে , ওঝা যেমন বীনের টানে গর্ত থেকে সর্প আনে তেমনি করে টানছো তোমার পানে।
কষ্টখানি চুঁইয়ে পড়ে, থরে থরে
হচ্ছে জমা প্রতিদিনই এ অন্তরে।
কান্না-স্বরে বাতাস ভারি হচ্ছে নিতি,
লাশের মিছিল শোকের মাতম করুণ গীতি।
আর কতোকাল চলবে এমন মৃত্যু খেলা?
জীবন নিয়ে ছিনিমিনি অবহেলা!
যাদের ঘামে ঐ মালিকের মেদ বেড়ে যায়,
তাদের জীবন কাটছে বড়ো অন্ধ-কারায়।
‘লবন আনতে পান্তা ফুরায়’ জীবন খেলা-
চলছে নিতি কষ্টধারার অবহেলা।
মৃত্যু গুহার হাতছানিতে নিত্য চলে,
তাদের কথা- করুণ গাঁথা কেউ না বলে।
এই সকালের চঞ্চলতা হঠাৎ করে,
স্থবির হলো এক নিমেষেই চিরতরে।
আসবে না আর হাস্য করে ক্লান্ত দেহে
কর্ম শেষে ঘর্ম মেখে সারি সারি;
তারা এখন রয় ঘুমিয়ে অচিন দেশে,
বস্ত্র-বালক আর বালিকা- পুরুষ নারী।
অন্ধকারের মৃত্যু গুহায় চিরতরে
ক্লান্ত দেহ পড়ে আছে অনাদরে।
ওই যে পাপীর লোভের তরে এই বালিকার
আশা মাখা জীবনখানি চুপ করে যায়,
তাহার বিচার হয়নি কখন, হবে কি আর?
মৃত্যু দেশের আত্মা এসে প্রশ্ন জিগায়।
লাশের মিছিল বন্ধ করো সমাজপতি!
লাভের তরে লোভীরা সব অন্ধ থাকো?
তারা যদি রক্ত ঘামে সিক্ত না হয়-
তোমার দেহের চর্বিখানি বাড়বে নাকো।
করুণ গাঁথার জীবনখানি কেমন করে,
মরন থাবায় অকাল বেলায় পড়ছে ঝরে!
হায়রে মরন! রক্ত ক্ষরণ, দুঃখ জ্বালা-
শীতল ছোঁয়ায় বন্ধ করিস মন-উতলা।
হে রহমান! এই মিনতি পরিশেষে-
রেখো তাদের যতন করে স্বর্গ-দেশে।
২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬
ওবায়দুল হক মাহমুদ বলেছেন: রানা প্লাজার সামনে :
Click This Link
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর আবেগময় পোস্ট।