নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় জেগে উঠুক আগুনের পরশমনি

জীবনের প্রত্যেক প্রবাহ অমৃত চায়।

কবীর হুমায়ূন

কেমন করে বাঁজাও বাঁশি সুর যেন গো সর্বনাশী থাকতে আমায় দেয়না গৃহ কোনে , ওঝা যেমন বীনের টানে গর্ত থেকে সর্প আনে তেমনি করে টানছো তোমার পানে।

কবীর হুমায়ূন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেষ বেলার ডাক

১৩ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭

ভাবছি বসে বসে-
রমজানের ঐ চাঁদখানি যে আবার এলো হেসে।
কৈশোরে এই চাঁদটি এসে বলতো কানে কানে,
'আসছে রে তোর আনন্দ দিন মাতবি গানে গানে'।
কয়টি গেলো, কয়টি আছে, হিসেব করি রোজ,
রোজার থেকে বড় হতো ঈদের দিনের খোঁজ।
ভাবছি বসে বসে-
রমজানের ঐ চাঁদখানি যে আবার এলো হেসে।

বসন্তের সেই সুর-
কাঁপিয়ে যেতো চঞ্চলতায়, সে কি সুমধুর!
রমজানের ঐ চাঁদের সাথে হাসতো যুবক প্রাণ,
রোজার সুধা পান করিতাম নিত্য অফুরান।
পবিত্রতার পরশ পেয়ে উঠতো এ মন নেচে,
চেতন মাঝে আনন্দতা ছড়িয়ে দিতো কে যে?
ভাবছি বসে বসে-
রমজানের ঐ চাঁদখানি যে আবার এলো হেসে।

শেষ বেলারই ডাক-
স্তব্ধ হলো উথাল-পাথাল খরস্রোতার বাঁক।
শেষের দিনের বাঁশি বাজে দূরের গহীন বনে,
আর পাবো কি এমন রোজা, ভাবছি মনে মনে।
রোজা পেয়ে পাপের রাশি করছে না যে দূর,
আখেরাতের জীবন যে তার দূঃখে ভরপুর।
ভাবছি বসে বসে-
রমজানের ঐ চাঁদখানি যে আবার এলো হেসে।

ওরে, মুমিন ভাই!
শুদ্ধ হতে সিয়াম থেকে বড়ো কিছুই নাই।।
এমন দিবস পেয়ে যে জন করলো না পাপ নাশ,
ত্রিভুবনে সেইতো দুঃখী, তারই সর্বনাশ।
সিয়াম দিনের পবিত্রতা এসো রাখি ঘরে,
চোখে-মুখে-হস্তে-পদে বিনীত অন্তরে।
ভাবছি বসে বসে-
রমজানের ঐ চাঁদখানি যে আবার এলো হেসে।

০৭/০৬/২০১৫
মিরপুর, ঢাকা।
০১ রমজান, ১৪৩৭।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

বিজন রয় বলেছেন: রমজানুল মোবারক।

সুন্দর কবিতা।

শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

১৪ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:০০

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব বিজন রয়। অসংখ্য শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন।

২| ১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:০১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: চমৎকার! দ্বিতীয় স্তবকের চার নাম্বার লাইনে করিতাম এর জায়গায় করতাম লিখে দিন । পুরো কবিতা যেহেতু চলিত ভাষায়, একটা সাধু ভাষার শব্দ বেখাপ্পা লাগছে!

১৪ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:০৫

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জনাব রূপক বিধৌত সাধু মনযোগ দিয়ে কবিতাটি পড়ার জন্য। আমিও ভেবেছি; কিন্তু ছন্দের মাত্রাগত কারনে তা পারছি না। পুরো কবিতাটি মূলতঃ স্বরবৃ্‌ত্ত ছন্দে লিখা। প্রতি পূর্ণ পর্ব চার মাত্রার। এখানে করতাম লিখলে 'পান করতাম' তিন মাত্রার কারনে আবৃত্তি করতে স্বরবৃত্ত ছন্দের তাল কেটে যাবে; তাই করা সঙ্গত হবে না। তাছাড়া, ছন্দের প্রয়োজনে কবিতায় সাধু চলিত মিশ্রণ তেমনটি গদ্যের মতো দুষণীয় নয়।

এ ভাবে পাশে থাকলে খুবই আনন্দিত হবো। ভালো থাকুন সব সময়।

৩| ১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:১০

মানুষ বলেছেন: "কৈশোরে এই চাঁদটি এসে বলতো কানে কানে,
'আসছে রে তোর আনন্দ দিন মাতবি গানে গানে'।"

রোজা রমজানের দিন আপনি গান গেয়ে বেড়াতেন? অস্তাগফিরুল্লাহ!

১৪ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:০৯

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: কিশোর কালে রমাদানের চেয়ে্‌ ঈদের প্রতিই আকর্ষণ থাকতো বেশি। নতুন জামার লোভটা আনন্দকে চাঙা করিয়ে দিতো; তাই, ...

ভালো থাকুন ভাই মানুষ।

৪| ১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৭

ৈতয়ব খান বলেছেন: বহু দিন পর এমন সুন্দর একটি কবিতা পড়তে পেরে খুব ভাল লাগছে। কবিভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৪ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:১১

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: আমার লেখা পড়ে আপনার ভালো লেগেছে, শুনে আমারও ভালো লাগছে। আপনার উৎসাহ ব্যঞ্জক মন্তব্য আমার পাথেয়। ভালো থাকবেন সব সময় জনাব ৈতয়ব খান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.