নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেমন করে বাঁজাও বাঁশি সুর যেন গো সর্বনাশী থাকতে আমায় দেয়না গৃহ কোনে , ওঝা যেমন বীনের টানে গর্ত থেকে সর্প আনে তেমনি করে টানছো তোমার পানে।
গাঁয়ের পন্থে দাঁড়িয়ে রইছে নিটোল শ্যামল মেয়ে,
নীলাঞ্জনার অপরূপ রূপে প্রকৃতি রহিছে চেয়ে।
বিশাল আকাশ চাঁদোয়া স্বরূপ ঢাকিয়া রেখেছে তারে,
জলাঙ্গী-জল ভুলে গিয়ে ঢেউ, থির রয় একেবারে।
জলাধার যেনো নিখুঁত আরশী জমিনেতে শুয়ে রয়,
শত বরষের বিরহের কথা আকাশের সাথে কয়।
সবুজ জলের আরশীতে আজ আকাশ ঝুঁকিয়া আছে,
মেঘের পিছনে মেঘ ছুটে যায়, পরস্পর রয় কাছে।
আকাশে ও জলে গভীর বন্ধন তবু তারা থাকে দূরে,
মাঝখানে শুধু শূন্য বাতাস কাঁদিছে বেহাগ সুরে।
পথের পাশের নল-খাগড়ারা বাতাসে উড়িতে চায়,
সবুজ ঘাসের গালিচা মাড়ায়ে পথিকেরা হেঁটে যায়।
শ্যামল মেয়ের তনুলতাখানি ফেলিয়াছে ছায়া জলে,
জলের তলের মীনেরা আজিকে চঞ্চল তাই বলে।
দূর পথে কোন পথিক চলেছে বারবার ফিরে চায়,
মায়াবী চোখের চকিত চাহনী পরাণ যে উছলায়।
রঞ্জিত ঠোঁটে হাসির মাধুরী ছলকে ছলকে উঠে,
ইচ্ছা জাগিছে দূর-পথিকের তুলে নিতে করপুটে।
কর্ণে দুলিছে অপরাজিতার মনোরম নীল দুল,
কৃষ্ণ কেশেতে শোভিতেছে আহা! শুভ্র শেফালী ফুল।
দুই ধারে দুই বিনুনী তাহার প্রবল বায়ুর তোড়ে,
চিলা ঘুড্ডির লেজের মতন শূন্যেতে যেনো উড়ে।
কাজল বরণ নয়ন তাহার মনোহরা এক ছবি,
পথের পথিক বিমুগ্ধতায় হলো বুঝি আজ কবি।
৩০/০৯/২০১৬
মিরপুর, ঢাকা।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩২
কবীর হুমায়ূন বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু। এটা কবিতা নয়; এটা পদ্য।
কবিতা হলো তা',
যেখানে আছে উপমার উৎপ্রেক্ষা।
ভালো থাকুন সব সময়।
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫১
কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: ভালো লাগলো । এগিয়ে যান কবি , শুভাশিস রইল।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩
কবীর হুমায়ূন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ কবি হাফেজ আহমেদ।
শুভ কামনা নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:২০
নেক্সাস বলেছেন: কবিতা খুব সুন্দর। আমার ভাল লেগেছে। জসীম উদ্দিন, রবিন্দ্রনাথ যুগের কথা ভাবলে নিঃসন্দেহে চমতকার কবিতা।
তবে সময়ের সাথে সাথে সব কিছু বদলায়। কবিতার ধারাপাতেও বদল এসেছে যথা নিয়মে। এই ধারার কবিতা এখন অনেকটাই অতীত। কবিতায় সময় কে ধারণ করতে হয়। শব্দ, উপমা ও বাক্য বিন্যাসে আধুনিকতা থাকতে হবে।
কবির জন্য শুভকামনা।