![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মনে মনে ভেবে নিয়েছিলাম জাতীয় নির্বাচন ২০১৯ এর আগে প্রতিমাসে অন্ততঃ একবার হলেও এ কলমটা লিখব। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি মাসে বইমেলায় অনেক সময় দেওয়ার কারণে লেখাটা হয়নি। যাহোক এখন থেকে নিয়মিত লেখার চেষ্টা করব। চায়ের কাপে ঝড়-১ এ শরীয়তপুর-২ আসনে কে পাবে নৌকা প্রতীক তার সম্ভাব্যতা যাচাই করেছিলাম। আসলে এটা আমার কথা নয়। উক্ত আসনে চায়ের স্টলগুলির সমালোচনা। আমার অনেক বন্ধু এসব আলোচনায় নাখোশ হন। কিন্তু এটা হলো মুক্তমনা সমালোচনা। কোন তোয়াজ নয় - কোন চাটুকারিতা নয়। আমার কথায় কেউ আবার অসন্তুষ্ট হতে পারেন। কিন্তু কাউকে দুঃখ দেয়ার জন্য এ লেখা নয়। প্রকৃত গণমুখি নেতাদের আরো উদ্যোমী ও উদ্যোগী হয়ে সেবামূলক কাজে ঝাপিয়ে পরার জন্যই এ লেখা।
প্রথম লেখার পর প্রায় ২ মাসের অধিক কেটে গেছে। এতে প্রতীক পাওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা এদিক সেদিক হয়েছে। তবে নৌকার দাবীদার সে ৩ জনই আছেন। নতুন কোন মুখের সম্ভাবনা এখনও দেখা যাচ্ছে না। তবে অনেকে দলাদলি মারামারি করে ইমেজ ক্ষুন্ন করেছেন। এতে আপনাদের জনপ্রিয়তা বাড়বে না। ভালবাসা দিয়েই তা অর্জন করতে হয়। আপনারা বিজ্ঞ নেতা এ ব্যাপারটা আপনারা অনেক ভাল বোঝেন। তাই আশা করব অনুগত কর্মীদের এসব থেকে বিরত রাখতে সচেষ্ট হবেন। কারণ এখনকার শত্রু প্রতীক বরাদ্দের পর আপনার কর্মী হয়ে যেতে পারে।
এবার মূল আলোচনায় আসি। আমি এখন আছি এমন একটি চায়ের স্টলে যেখানে তেমন ব্যস্ততা নেই। তবে চায়ের দোকানি অনেক রাজনীতি সচেতন। আমার লেখার মাঝে আমি তার সাথেও কিছুটা শেয়ার করেছি।
প্রথমতঃ এডঃ সুলতান মাহমুদ সীমন। সজ্জন ব্যক্তি। প্রথম পর্বে চায়ের স্টলগুলোতে তার আলোচনা অনেক কম ছিল। এবার কিন্তু তিনি, তার ভক্তবৃন্দ এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন। এলাকার বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। অনেকের মন রক্ষার জন্য এত কষ্ট সত্যেও ছোট খাট পারিবারিক অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন। এতা সব করতে যেয়ে উপর মহেলে যোগাযোগরে ক্ষেত্রে একটু পিছিয়ে যাচ্ছেন। তবুও সার্বিক বিবেচনায় এবার তার প্রতীক পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়েছে। সম্ভাবনা প্রায় ৩০%।
দ্বীতিয়তঃ ডাঃ খালেদ শওকত আলী। নড়িয়ার রাজনীতিতে নতুন হলেও ইদানিং নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। ভোটারদের ভালবাসা পাওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্ট করছেন। যদিও উত্তরাধিকার সূত্রে রাজনীতিতে এসেছেন কিন্তু ইতোমধ্যেই এলাকায় নিজস্ব ইমেজ তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে সাম্প্রতিক একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনায় তার কর্মীরা জড়িয়ে পরায় তার সম্ভাবনা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তার ভাবমূর্তী উজ্জল করার দায়িত্ব কর্মীদের উপর ছেড়ে না দিয়ে নিজের হাতে তুলে নিতে হবে। বর্তমানে তার সম্ভবনা ২৫%।
তৃতীয়তঃ এনামুল হক শামীম। এক সময়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি। এতদিন যার নাম আনাচে কানাচে প্রতিটি চায়ের স্টলে শোনাগেলেও এখন কিন্তু কিছুটা হলেও ভাটা পরেছে। তিনি কেন্দ্রীয় নেতা এ জন্য হয়ত এলাকায় সময় দিতে পারছেন না। তবে তার কর্মী বাহীনিদের আরও একটু দক্ষ সচেতন ও পরমত সহিষ্ণু হতে হবে। যেহেতু তিনি কেন্দ্রীয় নেতা এমনকি উপর মহলের একজন সদস্য তাই তার অবস্থান বরাবরই ভাল। একটু সচেষ্ট হলেই তিনি অত্র এলাকার সবচেয়ে বড় সমস্যা সমাধানের কাজটি (বেড়িবাঁধ) শুরু করিয়ে দিতে পারেন। স্টলগুলো ঘুরে তার প্রতীক পাওয়ার সম্ভানা ৪৫% দেখা যায়।
১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯
কবির সরদার বলেছেন: ধন্যবাদ, এটা আগামী নির্বাচনে শরীয়তপুর-২ আসনে নৌকা প্রতীক বরাদ্দের দৌড়ে কে কতটুকু এগিয়ে তার জরিপ।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: কিছু বুঝলাম না।