নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https:/facebook.com/ar.kabir.79

কবির ইয়াহু

সদা সর্বদা সত্যের পক্ষে ।

কবির ইয়াহু › বিস্তারিত পোস্টঃ

No VAT, গুলি কর।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৪

ন্যয্যতার প্রশ্নে তারুণ্যের ঔদ্ধত্ব!ঠিক এমনটিই হয়েছিল ’৫২, ‘৭১, কিংবা ‘৯০ তে। গুলি চলেছে।
তবুও বিজয় হয়েছে তারুণ্যের, বুলেটের না।
আফসোস,
সববার-ই সরকারগুলোই তারুণ্যের বিপক্ষে ভিলেন সেজে শেষে হেরে গেছে।
আজকের দাবি শিক্ষার উপর VAT নয়, শিক্ষা কোন পণ্য নয়।
একদিকে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের বেতন দ্বিগুন বৃদ্ধি আর অন্যদিকে শিক্ষার উপর ভ্যাটের বোঝা,মনে হয় এ এক দারুন তামাশা।
আমরা এমন একটা দেশে বসবাস করি যে দেশের নেতা মন্ত্রীদের গাড়ী আমদানিতে ভ্যাট দিতে হয়না,অথচ শিক্ষার জন্য ভ্যাট দিতে হবে।।
মননীয় মন্ত্রী মহাদয়,একবার ভেবে দেখুন আমাদের দেশের জনসংখ্যা কত?আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কত?একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা কত,আর ভর্তি জন্য আবেদন করছে কত?
সরকারি ভাবে যদি এদেশে শিক্ষা ব্যাবস্থা ভালো থাকতো তাহলে সবাই সরকারিতেই পড়তো এত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠত না।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু ধনির দুলাল,আর দুলালিরাই পড়ে না,এখানে সাধারন পরিবারের সন্তানও পড়ালেখা করে।
এখানে এমন ছাত্র-ছাত্রীও পড়ালেখা করে যার খরচ চলে বাবার জমি,মায়ের,বোনের গহনা বিক্রির টাকা দিয়ে।
আশা থাকে একটাই যেন তারা তারি পড়ালেখাটা শেষ করে,একটা চাকুরি করবে,সংসারের হাল ধরবে।আবার ঘূষ ছড়া তো চাকুরির আশা করাই পাপ!এ জন্য তাদের ঘুষের টাকাটাও যোগার করতে হয়।
আমাদের নেতা মন্ত্রী যারা আছেন ওনারা চলাফেরা করেন অর্থের মাপকাঠিতে যারা ওনাদের সমান আছেন তাদের সাথে,বিধায় ওনারা মনেই করেন না যে দেশে এখনো মানুষ না খেয়ে থাকে।
দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লোটপাট হয়েছে আরও হচ্ছে সেদিকে দিকে খেয়াল করেনা সরকার,কারন যারা লোটপাট করছে তারা সবাই সরকারি দলের নেতা মন্ত্রীদের ভাগ দিয়ে টাকা গুলো হালাল করেন নেয়।
বিশ্বে এমন আর কোন দেশ আছে কি না আমার জানা নাই,যে দেশে পড়ালেখা করতে সরকার কে ভ্যাট দিতে হয়।

আমি খুব অবাক হইনা যখন দেখি আমাদের সমসাময়িক শিক্ষার কান্ডারীগণ শীত আসার আগেই শীতনিদ্রায় গেছেন। এমনই হয়। তারপর একদিন দেখা যাবে মঞ্চে কিছু চুল দাড়ি সাদা করা লোক মুখ ঝুলিয়ে বসে আছে জ্ঞান বিতরণের লক্ষ্যে...জ্ঞানগুলো এমন- ‘দাবি আদায়ে তরুণদের সাহসী হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে’ !! আর নিজেরা সেই সামনে এগিয়ে যাবার সময় শীতনিদ্রায় চলে যান। বাহবা।
যা হোক, এসব জড়মস্তিষ্কপিন্ড পেরিয়ে বলতে চাই, তারুণ্যের জয় হোক।

কবীর সুমনের ভাষায়, “হাল ছেড়োনা বন্ধু বরং কন্ঠ ছাড়ো জোরে...”

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩২

ফাহাদ মুরতাযা বলেছেন:


বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাট দিতেই হবে বলে জানিয়েছেন সজিব ওয়াজেদ জয়। উনি বলেছেন, "দেশের ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়া লেখা করে সরকার তাদের জন্য কোন ধরেন ভর্তুকি দিবে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকি দিলে এটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেয়ার হোল্ডারদের পকেটে চলে যাবে। শিক্ষার্থীদের কোনো লাভ হবে না।"
উনি তো দেখি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কোন ধারণাই রাখেন না, অথবা না জেনে-শুনে সবাইকে বিভ্রান্ত করতে ভুল তথ্য দিয়েছেন। সঠিক তথ্য হচ্ছে, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার কোন ভর্তুকি দেয় না। বরং শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর যে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে- তার পূর্ন নাম 'Value-Added Tax' বা 'মূল্য সংযোজন কর'। ২০টাকা কেজি আলু কিনে তা ১১০টাকা কেজি সয়াবিন তেলে ভেজে ফার্স্টফুডের দোকানে যখন সেই পটেটো চিপস ১২০০টাকা কেজি দরে বিক্রী করা হয় তখন এই সযোজিত মূল্যের ওপর ভ্যাট ধার্য করা হয়। শিক্ষা কী পটেটো চিপসের মত পন্য? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কী ফার্স্টফুডের দোকান? এখানে মিথ্যা ভর্তুকির দোহাই দিয়ে উনি কেমন করে ভ্যাট বসানোকে বাধ্যতামূলক করে দিচ্ছেন?
উনি না আমাদের তরুন প্রজন্মকে নিয়ে 'ইয়ং বাংলা' গড়েছেন? এই তার আসল চেহারা? যেহেতু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সরকারী ভর্তুকী দেয়া হয় না, তাই তার লাভের ভাগ তো কখনোই শিক্ষার্থীদের পকেটে আসার সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু উনার আরোপ করা এই ভ্যাটের টাকা তো আমাদের মত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পকেট থেকেই দিতে হবে। উনি আমাদের লাভ না দেখলেও লোকসানটা ঠিকই বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। ৮৩টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭৫টিই মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্তদের উচ্চ শিক্ষার বিকল্প প্রতিষ্ঠান। এখানকার প্রায় ৭৫% শিক্ষার্থী প্রাইভেট ট্যুশনি করে বা খণ্ডকালীন চাকরী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ জোগাড় করে। তাদের ওপর বছরে আরো ৩০/৪০ হাজার টাকার বোঝা চাপিয়ে দিয়ে উনি কেমন কাজ করলেন?
উনি কী তাহলে আমাদের পকেট কাটা জবরদস্তি ভ্যাটের টাকা দিয়ে উনার 'ইয়ং বাংলা' চালাবেন? সেইক্ষেত্রে উনার ইয়ং বাংলায় বাংলাদেশের ৯৫% তরুণের কোন অংশদারিত্ব থাকবে না।
-ড. সাকিল আল মামুন।
১. সরকার কোনদিনই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা এর শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকি দেবে না জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আর এটা ভোরের কাগজের লিঙ্ক।
এতো গেল ‘রাজপুত্রের’ কথা, আর চেতনাবাদী মিডিয়া, তার অবস্থান কি?
শাহবাগে চিল্লাচিল্লি আর বিরিয়ানি খাওয়া টেলিকাস্ট করতে লাইন লেগে যায় চেতনা মাখা সকল মিডিয়ার! আর আজকে ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনরে " জন-দূর্ভোগ" হিসেবে দেখাচ্ছে। মনে হয় যেন জীবনে , রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করে দাবী আদায় এই প্রথম দেখছে।
আজ দেশের ছাত্র সমাজের এই ভ্যাট বাতিলের জোয়ার কে কেন তারা টেলিকাস্ট করছে না?
দেখাচ্ছে " সড়ক অবরোধের কারনে যানজটে নগরবাসীর অবস্থা নাকাল " জাতীয় রিপোর্ট ।
কোথায় আজ মুন্নি সাহা?
কোথায় আজ রুপার সরাসরি সম্প্রচার?
কোথায় আজ নবনিতার টকশো?কোথায় ?
জাফর নামক ষাঁড় টা কই? তাঁর বিবেক কি বলে???
এই দেশের রন্ধে রন্ধে দালালে দালালে ভরে গেছে আর সব দালালের বড় দালাল হচ্ছে এই সাংবাদিক আর মিডিয়া । যাদের কাছে বিরিয়ানি খাওয়া মানেই আন্দোলন আর লক্ষ লক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের লাঠি পেটা খাওয়ার নাম হচ্ছে সন্ত্রাসী দমন।
থু থু থু
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ‘চেতনাবাদীদের’ কমেন্ট ........



চটি পিয়াল ও তাঁর অনুসারীদের কমেন্ট-

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.