![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আহ! কত রং ! রং এ রঙ্গীন এই জীবনলীলা সাজাই, জীবনের মাঝে রং এর ভীড়ে তোমায় খুঁজে বেড়াই। তুমি আছ কিংবা তুমি নেই, রং এর শিল্পী আমি, তোমায় খুঁজে যাই।
১
সকাল থেকে একটা কাগজ খুঁজে পাচ্ছে না নওরীন। নিজের আলমারির ড্রয়ার খুঁজলো। ডেস্কের ড্রয়ার, পড়ার টেবিল এমনকি শাড়ি-কাপড়ের নিচে কোথাও বাদ দিলো না। কিন্তু, খুঁজেই পাচ্ছেনা! খুঁজতে খুঁজতে মাথা পাগল অবস্থা! কোথায় রেখেছে?!
মা বললেন, "যখন যেটা খুঁজতে চাও সেটা পাওয়া যায় না। চুপ করে বসে থাকো।"
“হ্যাঁ, ছাতার এক কথা পাইছো! যখন যা খুঁজো, তা পাবো না! আমারতো এখনি লাগবে।“ ...বলে নওরীন গজগজ করতে করতে মায়ের আলমারির ড্রয়ার খুলতে হাত দিলো।
“আমার ওইখানে অনেক জরুরী কাগজ আছে। তুমি উলটপালট করে ফেলবা!”- বলে উঠলেন মা।
“হু, উল্টাপাল্টা হলে গুছায় দিবোনে!” বলে নওরীন পুরো ড্রয়ারটাই খুলে নিয়ে বিছানায় বসলো আয়েশ করে। এই এক জায়গাতেই খোঁজা বাকি।
ড্রয়ারে অনেককিছু রেখেছে মা। টুকটাক গয়নার বাক্স। কলম। পেনসিল। টেলিফোনের বিলের কাগজ। পানির বিলের কাগজ। আর রেখেছে অনেকগুলো প্যাকেট। প্যাকেটগুলো সব বিছানার ওপরে পাশে পাশে রেখে একটা একটা করে খুলে দেখছে কাগজটা পাওয়া যায় কিনা। যদিও জানে বেকার খুঁজছে। মায়ের ড্রয়ারে ওর সেই কাগজ পাওয়া যাওয়ার কথাই না।
একটি মোটা প্যাকেট হাতে নিলো। চওড়া খাম আরকি। মোটামুটি অন্য খামগুলো থেকে ভারী। উঁকি দিতেই দেখে অনেক ছবিসহ কাগজ। “কি ব্যাপার? এগুলো আবার কি?” বিড়বিড় করতে করতে সবগুলো কাগজ খুলে দেখতে লাগলো। কিছু ছেলের বায়োডাটা। কিছু মেয়ের। “এগুলো আবার কবে কে আনলো? আমাকে তো কেউ জানায়নি!” এর পরে বাকি যে কয়টি বায়োডাটা ছিল সবই মনোযোগ দিয়ে দেখতে লাগলো।
একটি বায়োডাটা হাতে নিয়ে নামটা দেখেই অবাক হয়ে গেলো নওরীন! “আরেহ, এই কাগজ কি করে এলো আমাদের বাসায়?” মাকে জিজ্ঞেস করার জন্য খুঁজলো। মাকে ঘরে পেলো না।
ঐ কাগজটি হাতে নিয়ে বাকি কাগজগুলো ড্রয়ারে খামে ভরে যেভাবে ছিল রেখে দিয়ে নিজের ঘরে চলে এলো। নাম থেকে শুরু করে ইমেইল এড্রেস, মোবাইল নাম্বার সবই একই। আরো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে অনেক কিছুই মিলিয়ে দেখে নিশ্চিত হয়ে গেলো এই লোক আর তৌফিক আসিফ একই ব্যক্তি।
তৌফিক এর বায়োডাটা এখানে কিভাবে এলো? নিজের প্রয়োজনীয় কাগজটা তো খুঁজে পেলোই না তার উপর আরেক ভাবনা জুটেছে।
২
মাকে তৌফিক আসিফের কথা বলে জানতে পেরেছে, এর সাথে ওর বিয়ের কথা হয়েছিলো। প্রথমে খুব আগ্রহ দেখিয়েছিলো। ওর ক্যামেরা ফেস ভালো নয় বলে মা প্রথমে ছবি দেখাতে আগ্রহী ছিলেন না। শুধু বায়োডাটা পাঠাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, ওনাদের অনেক চাপাচাপিতে ছবি সহই ইমেইল করেন। কিন্তু- এর পরে আর কোন খবর আসেনি। যেহেতু ওরা ‘ওকে’ করেনি তাই মা আর মেয়েকে কিছু জানাননি।
কথাগুলো শুনে অনেকটা সময় নওরীন থম ধরে বসেই আছে। জীবনে এতখানি অপমান বোধহয় আর কোথাও হয়নি। এটা কিভাবে সম্ভব হলো? যে ছেলেকে ও এত্ত পছন্দ করে নিজেই অনেক চেষ্টার পরে যোগাযোগের লাইন জোগাড় করে কথা বলেছে, তার নির্লিপ্ততার কারণটা এখন ক্লিয়ার হয়ে গেলো।
- “ধ্যেত! ছেলেটা আগে থেকেই আমাকে চিনতো! অথচ, বুঝতেই দেয়নি!”
- “আমি যখন বলেছিলাম, ‘ফেসবুক এ ঈশিতা নওরীন একজনই আছে’ তখনো লোকটা মনে মনে কি জোরে জোরে উচ্চস্বরে নিশ্চয়ই হেসেছে!”
- “উহ খোদা এত অপমান কেন রেখেছিলে আমার জন্যে! নাহয় লোকটাকে আমি পেলামই না এই জীবনে!”
“অথচ তৌফিক যখন আমার ছবি দেখতে চেয়েছিলো, আমিতো দেখাতে চাইনি। সে কি তখন ভেবেছিলো আমি ওর সাথে চিটিং করছি?” হয়তো ভেবেছিলো। ভাবাটাই তো স্বাভাবিক, তাইনা?” নিজেকে নানাভাবে আগের পরের সবকিছু নিয়ে নিজের মনে বিশ্লেষণ করতে লাগলো।
“ইস, আমি কেন আগে একবারও জানতে পারিনি?” নওরীন এর পরবর্তী সময়গুলো অসহ্য হয়ে উঠলো। একদিকে না পাওয়ার বেদনা। আরেকদিকে অপমান!
৩
নওরীন কয়েকদিন ধরে ইয়াহুতে বসলে তৌফিককে দেখেও কথা বলতো না। কথা বলা নিজে থেকেই ছেড়ে দিয়েছিলো। মাসখানেক কোন কথা হয়নি।
তৌফিকই নিজে থেকে একদিন কথা বলে “কেমন আছেন?” জানতে চাওয়ায় আবার শুরু হয়েছিলো কথা। তারপর থেকে দুজনের কেউ না কেউ প্রথমে কথা শুরু করেছে। এমনকি অফিসের কাজে ইউএসএ যাওয়ার পরেও নওরীনের সাথে যোগাযোগ করেছে। আর নওরীন ভেবে নিয়েছিলো তৌফিক হয়তো ওকে পছন্দ করতে শুরু করেছে। কিন্তু সেই ভাবনাও ভুল মনে হলো, একদিনের কথায়। ঠিক একদিন না! কয়েকদিন!
নওরীন কথা বলতে চায়। কেমন আছে জানতে চায়। কিন্তু উত্তর আসে, “ভালো আছি।“ পাল্টা কোন প্রশ্ন আসেনা, “ও কেমন আছে”। লোকটা এমন অদ্ভূত কেন?
একদিন ইয়াহুতে কথা জিজ্ঞেস করেছে নওরীন, “আচ্ছা আমার প্রশ্নের উত্তর এত দেরীতে দেন কেন?”
- “আমিতো আপনার সাথে চ্যাট করছিনা!”
- “ওহ, সরি!”
নওরীনের খুব গায়ে লেগেছিলো। তাইতো। আমিই তো সব সময়, অথবা বেশিরভাগ সময়ে তৌফিক এর সাথে কথা বলতে চাই। ও তো চায় না! আগ্রহ নেই বলেই চায়না। তবু ও কেন এত আগ্রহ দেখাতে চায়? আর করবেনা। এভাবে পায়ে পরে কারো ভালোবাসা কি আদায় করা যায়!
৪
- “আপনিতো বলেছিলেন, আপনার ছবি দেখে আমার আকর্ষণ হবেনা!” বললো তৌফিক।
নওরীন মুচকি হাসলো। “হ্যা, আমার মায়ের ধারনা, আমাকে সামনাসামনি ছবির চেয়ে দেখতে ভালো। তাই আমি ছবি না দেখিয়ে সামনাসামনি দেখা করতে আগ্রহী ছিলাম।“
- “‘আপনার প্রোফাইলে বেগুনী জামা পরা যে ছবিটা ঘাড় ঘুরিয়ে দেখছেন ক্যামেরার দিকে’ সেই ছবিটা কে তুলেছে?”
- “আমিই। কেন?”
- “ভালোইতো ছবি তুলেন আপনি। ওখানে আপনাকে প্রিটি লাগছে।“
- “ও তাই? থ্যাংক্স!” (নওরীন জানে সে কথা! তবুও লজ্জা পেয়ে একথা বলে উঠলো।)
- “তো, বলুন কবে আপনার বাসায় আমরা আসবো?”
- “আমরা বলতে?” নওরীন অবাক!
- “আমার পরিবার তাদের ছেলের বউ দেখতে আসবে তো!”
- “ও রিয়েলি?” বলে নওরীন হ্যান্ড ব্যাগ থেকে একটি ভাঁজ করা কাগজ বের করে টেবিলের উপরে এগিয়ে দিলো।
- “কী এটা?”
- “খুলে দেখুন। আশা করি চিনতে পারবেন।“
হাত বাড়িয়ে তৌফিক খুলে নিয়ে বলে উঠলো, “এ তো আমার বায়োডাটা। আপনি কিভাবে পেলেন?”
- “ওহ আপনি অভিনয় ছাড়ুন না!”
- “কি বলছেন?”
- “এই কাগজটি ইমেইলে এসেছিলো আমার বাসায় গত মার্চ মাসে। আর, আপনার সাথে আমার কথা শুরু হয়েছিলো কোন মাসে? মে তে। তার মানে আপনি আমাকে আগে থেকেই চিনতেন। তাই না?” – এক নাগাড়ে অনেক কথা বলে থামলো একটু। “অথচ, আপনি এমন ভাব করেছেন, আমাকে মাত্র জানলেন!“
- “ঘটনা ঠিক এইরকম না!”
- “ঘটনা যেরকমই হোক মিস্টার তৌফিক, আপনি আমাকে অলরেডি অনেক আগেই রিজেক্ট করেছেন।“ এবার কণ্ঠে রাগ প্রকাশ পেল নওরীনের। অথবা, অন্তর্জ্বালা! কষ্ট! ওর এত সাধের পুরুষ ওকে আপন করে নিতে রাজী। অথচ, ব্যাপারটাই কেমন হয়ে গেছে, যেন তৌফিক নিজে নয়, ওর নিজের জোরাজুরিতেই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। কিন্তু এতো এখন আর সম্ভব নয়।
তৌফিকের পরিবারের মানুষগুলোর কাছে ওর মাথা হেঁট হয়ে যাবে যে!
নওরীন উঠে দাঁড়ায়। ওর এই কাজটুকুই বাকি ছিল। এ জন্যেই ও দেখা করতে রাজী হয়েছিলো। নইলে মাস চারেক আগেই ও তো যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলো।
.
.
.
.
.
.
এরকম স্বপ্ন সে প্রায়ই দেখে। প্রায়ই তাঁর মাঝ রাতে এই স্বপ্নটা দেখে ঘুম ভেঙ্গে যায়! কিন্তু আসিফ আর ওর হয়তো বাস্তবে, কোনদিনই আর দেখা হবেনা।
৫
মাস চারেক পর...
আসিফের সাথে দেখা হবার জন্য, ওকে সবকিছু বলে ঝাড়ি দেবার প্রবল আকাঙ্ক্ষার সময়টাও এক সময় ফিকে হয়ে আসে। তারও...
এক মাস রোজার পরে আজ পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর।
ঈদ এর দুপুর বেলা। ঘুম ঘুম পাচ্ছে। নওরীন বসে আছে নিজের ঘরে। এবার ফেসবুক স্ট্যাটাস দেয়ার সময় পায়নি। রোজার মধ্যে অনেক ব্যস্ততা গিয়েছে ওর। এখন বেড়ানো শেষ আপাতত। কি করা যায়? ইন্টারনেট কানেক্ট করবে?
কিন্তু ঘুম ঘুম পাচ্ছে যে! এখন অনলাইনে না বসে বরং ঘুমানোই ভালো। বিকেলে কেউ আসলে ওর চেহারায় ক্লান্তি থাকবেনা। দেখতে ভালো লাগবে।
ওর ভাবনায় ছেদ পরলো মোবাইলের ম্যাসেজ আসার টুনটুন আওয়াজে, “তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা...তুমি আমার সাধেরও সাধনা...”
মোবাইল হাতে নিয়ে অবাক হয়ে গেলো নওরীন। তৌসিফ আসিফ এর নাম দেখাচ্ছে। ওয়াও!!! ও আবার কি লিখে পাঠালো?? ...ম্যাসেজটা ছোট্ট। ‘ঈদ মুবারাক’ লেখা। একটু স্টাইল করে। ম্যাসেজ এর শেষে নাম দেয়া আছে।
খুশিতে মোবাইলটা অনেকক্ষণ হাতে নিয়ে বসে রইলো ও। কিন্তু, নাহ...কিছুক্ষণ পরে মনটা ততটা খুশি থাকতে পারলো না।
আসিফ যদি ওকে পছন্দ করতো যথেষ্ট; যদি ওকে বিয়ের জন্য পছন্দ করতো, ও নিশ্চয়ই নিজে থেকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানাতো। ওই ম্যাসেজটা নিশ্চয়ই অন্য কাউকে দিতে গিয়ে হতে পারে এক সাথে অনেকজনকে পাঠাতে গিয়ে ওর নাম্বারটাও ইনক্লুড হয়ে গেছে। আর তাই ওর নাম্বারে ম্যাসেজ এসে গেছে। নওরীন যদি পালটা শুভেচ্ছা জানাতে যায়, হয়তো দেখা যাবে ওপাশ থেকে কোন পাত্তা তো পাওয়া যাবেইনা। বরং ছেলেটা বিরক্ত হতে পারে। তৌফিক তো ওকে ইগনোর করতেই চায়।
সারাদিনে অনেকবার মনে হলো, শুভেচ্ছা জানাবে কি জানাবেনা। যে যোগাযোগ সে নিজে থেকে বন্ধ করে দিয়েছিলো তা আবার নতুন করে চালু করে লাভ কি!
শেষে অনেক রাতে ঘুমাতে যাবার সময়, অর্থাৎ ঈদের দিন পার হয়ে যাচ্ছে তখন ওর মনে হলো, একটা ম্যাসেজ কি পাঠাবে? কোন ম্যাসেজটা পাঠাবে ভাবতে ভাবতে ঈদের পরদিন চলে আসলো। তবু ম্যাসেজ পাঠালো ও।
কিন্তু, যে কারনে খুঁতখুঁত করছিলো মনটা, সেটাই হলো শেষ পর্যন্ত। মোবাইলে ম্যাসেজটা ডেলিভার্ড হলো ঠিকই। কিন্তু ওপাশ থেকে আর কোন প্রতি উত্তর এলো না। এমনকি তার পরের কয়েকদিনেও কোন খবর এলো না।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৯
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: অনেক গল্পই জীবনের বাস্তবতা থেকে আসে। অথবা, অনেক গল্পই পড়ে মনে হয়, এটা লেখকের নিজের জীবন থেকে নেয়া...
এনি ওয়ে... তোমার কমেন্ট এর কথাগুলোও খুব সত্য। কিছু পুরুষ মানুষ অথবা, কোন কোন মেয়ে মানুষও অন্যকে কষ্ট দিয়ে মজা পায়। অথবা, "কেউ একজন আমাকে খুব ভালোবাসে" এই ফিলিংসটা ধরে রেখে মজা পায়। এটা উচিত নয়, তা বুঝে না!
গল্পের সাথের পেইন্টিংটা আমার নিজের আঁকা পেইন্টিং।
ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য ও প্রথম কমেন্ট করার জন্যেও।
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৩
তেরো বলেছেন: আ......শেষ !!! এইটা কি হলো...
আপু অনেক দিন পর তোমার লেখা...কেমন আছো?
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪২
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: আহারে...ছোট গল্প আর কত বড় হবে?? বেশি টানলে বড় গল্প হয়ে যাবে তো!!
আমি তো ভালো আছি। তোমার খবর কি??
লেখার সময় পাইনা খুব একটা। তাই এত দেরী। আবার লিখবো নিয়মিত।
ভালো থেকো।
৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০৭
অচিন রুপকথা বলেছেন: কিছু কিছু মানুষ আছে যারা অন্যের ফিলিংসগুলো নিয়ে খেলতে মজা পায়...
কি মজা পায় জানি না...
ভালো লাগলো আপু...কেমন আছো?
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৮
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: অনেক দিন পরে তোমার ব্লগে ঘুরে এলাম। অনেক লেখা জমিয়ে ফেলেছো, পড়তে হবে একে একে...
হুম, ভালোই আছি। তুমি কেমন আছ??
৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪৫
পৃথিলা আফনান বলেছেন: apu,eita kmn ending hoilo?? :O
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:০০
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: কেন?? কি হইছে?? গল্পের নায়িকা জানেনা এর পরে কি হবে!!! তাই এভাবেই শেষ হলো...
কেমন আছ আপু?
৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:০৩
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: গল্প ভালো লাগলো মাষ্টার আপু
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৭
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: এই ডেমন, গল্প ভালো লাগার কথাটা কি মিথ্যেমিথ্যি বললে? তা না হলে, 'ভালো লাগলো'-তে ক্লিক করোনি কেন??
৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫১
ত্রাতুল বলেছেন:
লেখাটা গল্পের চেয়ে বাস্তবই বেশি মনে হল।
এমনটা দেখেছি আমিও। একতরফা আগ্রহগুলো যখন নিদারুণ নির্লিপ্ততায় অথবা খেয়ালীতে পরে পরে অবহেলিত হয় সত্যি অনেক কষ্টও লাগে আবার কিছু করারও থাকে না। অনেকসময় এমন হয় যে অবচেতন মন অনেক কিছু ভেবে বা প্রত্যাশা করে বসে থাকে। বা ঐপাশ থেকে যেটা স্বাভাবিক সেটাই হয় কিন্তু নিজের মধ্যে ভাবনা কাজ করে যে কেন এমন হচ্ছে!! কেন এতটুকু আগ্রহ আমি পাচ্ছি না!! কেন আমাকেই কষ্ট পেতে হবে!!
আমি কিন্তু "ভালো লাগলো"-তে ক্লিক করেছি!!
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৩
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: কমেন্টটা এত সুন্দর!!! জবাবে কি লিখবো বুঝতে পারছিনা।
ভালো থেকো।
৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩১
অলস রাজা বলেছেন: ছবিটা আমি নিমু ।তারাতারি অনুমতি দেন। অপেক্ষা করতে পারছিনা । আলসেমি লাগে।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৯
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: ছবিটা কিয়ে কিসে লাগাবেন সেটা আগে বলুন। যদি নিজের প্রোফাইলে ব্যবহার করতে চান, অথবা নিজের কোন লেখায় ব্যবহার করতে চান- অনুমতি দেয়া যাবে।
কি জন্য চেয়েছেন বলে যায়েন।
৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২২
সরলতা বলেছেন: আপু,আসলেই এরকম হয়। কেউ ইগনোর করলে খুব খারাপ লাগে। অনেকের আবার জেদ চেপে যায়,মেয়েকে বা ছেলেটাকে পেতেই হবে টাইপ জিদ। ভালোবাসা হয়ত সেই জিদের মধ্যে থাকেনা।
বাস্তবের গল্প,সুন্দর।
ভাল লাগা নিয়ে মজা পেলাম। কিছুক্ষণ আগেই আমার একটা কমেন্টে ভাল লাগা নিয়ে কথা বলে এখানে এসে দেখি তোমার কমেন্ট। ব্যাপুক মজা পেলাম।
আমি ও কিন্তু ভাল লাগা দিয়েছি ইষ্টি আপু।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:০৯
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: ভালো লাগে বলেইতো নিজের করে পেতে ইচ্ছে করে। আর আমার মতে, যার নিজের দিক থেকে কোন আগ্রহ নেই; সে যখন জেনেছে যে মেয়েটি কেন ওর সাথে কথা বলতে আগ্রহী, তখন নিজের দিকের আগ্রহ সেই একই কারনে না থাকলে একেবারেই যোগাযোগ করা উচিত নয়।
অথচ, এখানে তৌফিক ...নওরীনের সাথে এটাই করেছে। আর এতেই নওরীনের খারাপ লেগেছে।
------
নিজের কোন লেখা সৃষ্টি হলে, সেখানে 'ভালো লেগেছে' জানানোর আলাদা করে অপশন আছে বলেই... শুধু মুখে 'ভালো লেগেছে' দেখার চেয়ে ঐ ভালো লাগার ঘরের সংখ্যা পরিবর্তন হতে দেখলে বেশ আনন্দ হয়।
আর যদি ঐ ঘরের সংখ্যা পরিবর্তন না হয়, তখন মনে হয়, পরিচিত মুখ এসে আমার লেখাটা পড়েছে ঠিকই; আমাকে সন্তুষ্ট করার জন্য এমনি এমনি অমন করে বলে গিয়েছে "ভালো লেগেছে"। কিন্তু- ঐ ঘরে ক্লিক করার অর্থটা অনেকটা ভোট দেবার মতন। এর মধ্যে হয়তো একটু পাগলামী থাকে। তবুও ... ভাবতে ভালই লাগে।
আর, কারো কারো কমেন্ট লেখার মান ভালো করার জন্য কিছুটা হলেও কাজ করে বৈকি!! যাদের মধ্যে তুমিও আমার একজন প্রিয় লেখিকা ব্লগার।
৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২৩
তেরো বলেছেন: আমারো কিন্তু ভালো লেগেছিলো...কিন্তু আমি ভালো লাগা দিতে ভুলে যাই প্রায়ই...আবার তোমার গল্পটা দেখতে ইচ্ছে করলো আসলাম...এসে দেখি যে ভালো লাগা নিয়ে কথাবার্তা...আর দেখলাম যে আবার দিতে ভুলে গেছি...তাই দিয়ে দিলাম......
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১৭
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: আমি আবার যেকোন লেখা ভালো লাগলেই আগে 'ভালো লাগা'তে ক্লিক করি। তারপরে নিচে নামি, কমেন্ট দেবার জন্য। আর লেখাটা যদি খুব বেশি ভালো লাগে তাহলে ভালো লাগা-তে ক্লিক করার পরপরই প্রিয়তে নেয়ার জন্য স্টারে চাপ দেই।
রাগ করোনি তো?? :!>
১০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:০৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: তৌফিক'রা এমন বদ কেন আর নওরীনরাই বা এমন বোকা কেন
ভাল লাগা রেখে গেলাম
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২১
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: তৌফিকরা এমন বদই!!
কিন্তু, ভালোবাসা/ ভালোলাগা যখন কারো মধ্যে ভর করে তখন, মনের বোধটাই অমন দূর্বল থাকে! তখন ঐরকমই লাগে। আর সামান্য পরিমাণ ভালো কথা, ভালো ব্যবহারে তখন মন আরো দূর্বল হয়ে পরে। আর, পুরুষটি কি জন্য মেয়েটির সাথে প্রেমানুভূতি নিয়ে কথা বলছে তা মেয়েটির পক্ষে বোঝা তখন আর সম্ভব হয়না কিছুতেই। তখন সবকিছুকেই পজিটিভ দিকেই নেয়ার ইচ্ছেটা বেশি কাজ করে। ...কিছু কি ভুল বললাম আপু??
১১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩১
অচিন রুপকথা বলেছেন: আমি ভালোই আছি আপু।
শেষ পর্বটা দিয়ে দিয়েছি...সময় করে পড়ে এসো...
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩২
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: হুম! অনেক ছেলেই এরকম করে। যেমন আমার গল্পের তৌফিক আসিফের ব্যবহার এরকম।
তবে, মেয়েরাও কখনো কখনো এরকম করে। কাল দুপুরে একটা টেলিফিল্ম দেখেছিলাম- শখ আর শুভ ছিল। শুভর সাথে শখের ব্যবহার ছিল এরকম। ...এসব আসলে মেনে নেয়া যায়না। তবুও কেউ না কেউ করেই এরকম।
গল্পটা খুব পছন্দ হয়েছে। কারন তোমার গল্পের একটা ফিলিংস আছে। +++
১২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩৭
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: তৌফিকের উচিত ছিল একেবারেই যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া। তা সে করে নি। বরং যখন তার কিছুই করার থাকে না, অলস সময় তখন সে নওরীনের সাথে সময় কাটায় কিছুক্ষণ। তারপর আবার ভুলে যায়। আর নওরীন যেহেতু অপেক্ষা করে থাকে, সে বেচারা ওই তিলটাকেই তাল বানায়। ব্যাটা আস্ত শয়তান!
ভাল লাগল আপু।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৫
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: একেবারে সঠিক কথা বলেছ আপু।
ভালো লাগাতে পেরে আনন্দ হচ্ছে।
ঈদ কেমন কাটলো??
১৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৪০
প্রচেত্য বলেছেন: প্রশংসা পাবার মত পেইন্টিং !
সুন্দর !
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৬
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রচেত্য।
ঈদ কেমন কাটলো??
১৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৪৫
নীল-দর্পণ বলেছেন: ভুল বলেননাই আপু....
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৯
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: মন খারাপ করেনা। গল্পের নায়িকার জন্য মন খারাপ করে লাভ কি??
ঈদ কেমন কাটলো??
১৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৭
জয় রাজ খান বলেছেন: গল্পটা কেমন জানি লাগলো
লেখাটা পড়ে একটা কোটেশন দিতে ইচ্ছে করলো, নিচে দিলামঃ-
যে চলে যেতে চায় তাকে চলে যেতে দাও ,
যদি ফিরে আসে তবে সে তোমার , আর যদি ফিরে না আসে তবে মন খারাপ কোরোনা ,
লুকিয়ে লুকিয়ে কেঁদোনা
মনে রেখ ,
প্রকৃতি তার চেয়েও অসাধারণ কাউকে সৃষ্টি করে রেখেছেন তোমার জন্ন্য
পোষ্টে লাইক বাটনে ক্লিক দিলাম
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪১
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: কোটেশনটা দারুন!! এরকম আমার কাছেও একটা আছে। প্রায় একই ধরনের কথা!!!
এনি ওয়ে, ভালোলাগার জন্য আমারো ভালো লাগলো।
ঈদ কেমন কাটলো??
১৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৮
জয় রাজ খান বলেছেন: জী আল্লাহর রহমতে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ঈদ ভালই কেটেছে :-<
এখনো ঘুমের গোর কাটেনি :-<
আপনার ঈদ কেমন কাটলো??
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩৯
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: আল্লাহর রহমতে আমার ঈদ এবার অনেক ভালো কেটেছে। মাশাল্লাহ!!!
ঘুমের ঘোর আমারো এখনও কাটেনি... প্রতিদিন বেশ বেলা করে ঘুম থেকে উঠছি... মজাতেই আছি!!!
১৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫৯
অলস রাজা বলেছেন: ছবি এফ বি প্রফাইলে ইউচ করবার মন চায়।অনুমতি কি পাউয়া গেল।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৮
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: অনুমতি দেওয়া হইলো। এবার খুশি??
১৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:০২
মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: লেখাটা নিয়ে কিছু লেখার ইচ্ছে আছে, আবার আসবো,
ভালো লেগেছে খুব
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৪
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: কি লেখার ইচ্ছে আছে?? সেটা যে জানতে ইচ্ছে করছে... অপেক্ষায় রইলাম কিন্তু!
১৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:২৭
জলমেঘ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো, অনুভূতিগুলো যেন একেবারে বাস্তব। ভালবাসার মানুষের উপেক্ষা সহ্য করার মতো নয়।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৬
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: ভালোবাসার মানুষের উপেক্ষা সহ্য করা যায় না।
ভালো থেকো।
২০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:৫৭
রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: আরো কিছু বাকি রইলো মনে হয়....
+++++
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৯
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: ছোটগল্পের সংজ্ঞাতেই যে এরকমটি হয়ে থাকে; শেষ হইয়াও হইলো না শেষ!
২১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২১
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: আপু গল্পটা যেমন অসমাপ্ত হবার কথা ছিল তেমন টাই হয়েছে। কিন্তু পেইন্টিং দেখে আমি মুগ্ধ। সত্যিই মুগ্ধ।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪১
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: আমি অতিশয় আনন্দিত মাহী। এরকম পেইন্টিং আরো আছে। করেছিলাম কয়েকটা একসাথে। এই লেখাটার সাথে এটা মিলে গেলো বলে দিয়ে দিলাম।
২২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২৮
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: গল্প বাস্তব থেকেই আসে। আর এই গল্পের কাহিনী বাস্তবে অনেক অনেক দেখা যায়। গল্পটা ভালো লেগেছে। জেদ করে ভালোবাসা অথবা নিজে ঠিক না জেনেই অন্ধের মত কোন সম্পর্ক কিংবা অনুভূতিকে ভালোবাসা ভেবে নেয়া এসব বোকামী, সেইসাথে চরিত্রের খারাপ/দূর্বল দিকটাও প্রকাশ করে। জেনে বুঝে কারো সাথে সম্পর্কে যাওয়া উচিত অথবা ভালোবাসা উচিত, যদিও অনেকে বলে যদি জানি কেন ভালোবাসি তাহলে সেটা আর যাই হোক ভালোবাসা হয়না।
শেষটা ভালোলেগেছে। এরকম অসমাপ্ত থাকার দরকার ছিলো। এইসব ফালতু কাহিনী অনেকেই শেষ করতে পারেনা, বুঝে শুনে আবার নতুন করে শুরু করে।
ভালোলেগেছে গল্পটা। ভালো থাকবেন।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৮
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: বাব্বাহ অনেক বড় কমেন্ট!! ভালো লাগলো। যুক্তিসংগত কথাগুলোই বলেছেন।
গল্প লেখার পরে গল্প লেখকের প্রত্যাশা থাকেই যে তার লেখাটি পাঠকের ভালো লাগবে। কিন্তু, তারপরেও পাঠকের গ্রহণযোগ্যতা একটা ভিন্ন ব্যাপার। আর তাই, আপনি সহ আরো কয়েকজনের কাছ থেকে "ভালো লেগেছে" শুনতে ভালোই লাগছে।
আপনিও ভালো থাকবেন।
২৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: ঈদ কেটেছে ভালই, আপনার কেমন কাটলো?
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫৫
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: আমার ঈদ তো ভালো কাটবে এমন আশা ছিল না। কিন্তু, আল্লাহর রহমতেই এবারের ঈদ অনেক ভালো কেটেছে; খুশিতে কেটেছে।
২৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৭
মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন:
আপনার গল্পের শেষে একটা আকাংক্ষা থেকে গেল, আমার মন্তব্যের থাকবেনা কেন?তাই উপরের মন্তব্যটা
গল্পটা জীবন থেকে নেয়া, এতটা সত্য ভাষন সাধারনত গল্পে আসেনা, আপনি এনেছেন, যতই জীবন থেকে নিয়ে লিখুকনা কেন কোন লেখক নিজের অজান্তে অথবা গল্পের স্বার্থে কিছুটা সংযোজন বা বিয়োজন বা পরিবর্তন এসেই যায়, আমার মনে হলো এখানে ঠিক যা ঘটেছিলো তাই তুলে ধরা হয়েছে,
আপনি একজন সৎ লেখক
আমি এই যাবৎ যত গুলো গল্প লিখেছি, এই নামে ঐ নামে, ব্লগে বা বাইরে সব গুলোই ছিলো আমার জীবন বা কোনো না কোন জীবন থেকে নেয়া, যেখানে আমি পরিবর্তন এনেছিলাম কিন্তু একটা গল্পে পারিনি, সেটা হলো মুন্নি আমার গুরু " গল্পে।
আপনি জাত লেখিকা
আপনার ব্লগে আগে কখনো আসিনি, এখন থেকে নিয়মিত হলাম, মন্তব্য করি আর না করি, আপনার ব্লগ বিচরণ থাকবে।
ভালো থাকা হোক কুটুম
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৪০
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: "আমি জাত লেখক" এই কথাটা মনে হয় ঠিক নয়। কারন জাত লেখক হতে হলে চাপার জোরটা বেশি থাকতে হয়। আমার গল্পগুলো পড়লে বেশিরভাগ সময়েই আমার নিজের জীবনের গল্প বলে মনে হয়। পাঠকের দৃঢ় ধারনা হয় যে, গল্পটা আসলে আমারই।
আমি খুবই তাড়াহুড়ার লেখক। হঠাত একটা কথা, একটু কিছু মাথায় ঢুকলেই আমি সেটা দিয়ে গল্প বাঁ কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আর সাথে সাথেই লিখে প্রকাশ করার পক্ষপাতী। জানি তাতে অনেক ভুল থেকে যায়। তবুও, এটাই যে স্বভাব!!
আমার লেখা "তরুনীর বিবাহ সমাচার" গল্পটি লিখেছিলাম কিভাবে জানেন?? একদিন বাসায় বসে, ঐ গল্পের একটি লাইন আউড়েছিলাম। বিবাহ আসন্ন।
তরুণীর পিতা-মাতা ব্যস্ত হইয়া উঠিয়াছে। গৃহের কোথায় কি লাগাইয়া গৃহকে আরও সজ্জিত করিবেন তাহা নিয়া তরুণীর পিতার আগ্রহ ও চিন্তার কমতি নাই। লোকজন নিযুক্ত করিয়া সারাদিন রাত্র ধরিয়া তিনি তাহাই সম্পন্ন করিতেছেন।
...এই লাইন কয়টি একদিন মাথায় গজিয়ে উঠার পরে, আমি গল্পের প্রথম পর্বটা লিখি। তারও কয়েক মাস পরে ব্লগে দেই।
আমার বেশিরভাগ গল্পই বাস্তবতা থেকে নেয়া। তবে, সেগুলো কাছের মানুষদের জীবনী থেকে তুলে নেয়া। নিজের ঘটনা যেগুলো আছে সেগুলো গল্প শিরোনাম না দিয়ে বাস্তব ঘটনা হিসেবেই উল্লেখ করা আছে।
আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। লেখাগুলোতে আপনার উপযুক্ত মন্তব্য জানালে অত্যন্ত আনন্দিত হবো। :#> :#>
২৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪৮
বাল্যবন্ধু বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৪৯
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: কেমন ঈদ হলো, বাল্যবন্ধু??
২৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৪৬
শুভ্রতা বলেছেন: অ:ট: পোষ্টে মন্তব্য পড়ে দেব । আমি আপু না
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:৩৬
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: ওহ!! 'আপু' নয় জেনে দৌড়ে গেলাম, আপনার ব্লগের সেই জায়গায় যেখানে অনেক অনেক বকরবকর করে এসেছিলাম। চরি!!!
কি মিস্টেক!!! 'আপু' না হয় কেমনে?? মাথাতেই আসেনি!! সবসময় আপু'ই ভেবেছি!!! এখনতো আমিই হা-হা-প-গে!!!
যাই হোক, ভালো ও শুভ্র থাকুন সবসময়।
২৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩২
অলস রাজা বলেছেন: ছবি নিলাম । চরম খুশি । থ্যাঙ্কু আপু
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২০
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: আমরা গুগল থেকে কত ছবি নেই। সেগুলোও তো কারো না কারো আঁকা পেইন্টিং। আমিও এখন তাদের কাতারে পরে গেলাম?? আমার ছবিও কেউ কেউ নিতে চায় প্রোফাইলে ব্যবহারের জন্য।
ভাই তোমাকেও অনেক ধন্যবাদ। আমিও খুশি।
২৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩২
শোশমিতা বলেছেন: গল্পটা একেবারে বাস্তব মনে হচ্ছে।
অনেক ভালো লাগলো!
আর পেইন্টিং তো অসাধারণ!
আপু তুমি এতো কিছু পারো, আমি কিচ্ছু পারিনা কেনো?
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২৪
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: আপুনি, তোমার বলার ধরন দেখে আমি কিন্তু লজ্জা পাচ্ছি। আমি এত্তকিছু পারিনা।
আমার লেখা গল্প পড়ে যখন তোমরা খুব খুশি হও; তখন নিজেরই অবাক লাগে।
আঁকা ছবি দেখে যখন মুগ্ধ হও তখন মনে হয়, আরো ভালো আঁকতে হবে! :!> :!>
--- তুমি কই কিছু পারোনা?? তুমি এত্ত সুন্দর করে লিখতে পারো। এত্ত ভালো ছবি তুলতে পারো। ...তোমার ব্লগের সব তো পড়া হয়নি। তাই এখনো জানিনা আরো কি কি পারো তুমি। তোমারও নিশ্চয়ই অনেক অনেক গুণ আছে!!
২৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:১৫
ইহতিশাম আহমদ বলেছেন: বহুদিন আসা হয় না আপনার এখানে।গল্পের নামটা দেখেই ঢুকলাম। তবে এখন ব্যস্ত। রাতে পড়ব। ভাল থাকবেন।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩২
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: আমি না গল্প লিখে গল্পের নামকরনের বেলায় একটু চিন্তিত হয়ে যাই। আপনার গল্পটি পড়ার পরেই আমার ঐ নামটি খুব পছন্দ হয়ে গিয়েছিলো। তাই দেয়া হয়ে গেলো।
৩০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৭
ইহতিশাম আহমদ বলেছেন: ছবিটা চমৎকার। গল্পটাও ভাল। আচ্ছা আপনি বিয়ে নিয়ে এত গল্প লেখেন কেন? লোকজন তো বেশী বেশী প্রেমের গল্প লেখে। যা হোক ইগনর করা নিয়ে আমার খুবই ছোট্ট একটা লেখা আছে। হয়ত ভাল লাগতেও পারে আপনার।
View this link
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৬
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: আমি আমার চারপাশে যা ঘটতে দেখি তা থেকেই গল্প বেরিয়ে আসে। আরেকটি সাধু ভাষার গল্প লিখতে শুরু করেছিলাম; অবশ্য তা সামাজিকতা নিয়ে- প্রেম, বিরহ, রাগ, সংঘাত সবই থাকার কথা সেখানে। শেষ করতে পারলে ব্লগে শেয়ার দেবার ইচ্ছে আছে।
আপনার লেখাটি পড়ে আসলাম। ভালো লেগেছে। আপনিতো গল্পের রাজা। ভালো না লেগে উপায় কি!
৩১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫১
ইহতিশাম আহমদ বলেছেন: আপনার শেষের মন্তব্যে লজ্জা পেলাম। ভাল লিখবার চেষ্টা করি এবং করে যাব।বাকিটা উপর ওয়ালার হাতে।
তবে আতংকিত হলাম আবারও সাধু ভাষায় লিখবেন শুনে। না, আপনার লেখায় কোন সমস্যা নেই। সমস্যা হল আপনার সাধু ভাষা পড়ার পরে আমার মাথায় তা সারাক্ষণ ঘুরতে থাকে। আমার লেখার চরিত্রের মুখের ভাষাগুলোর উপর আর আমার নিয়ন্ত্রণ থাকে না। যাহোক শেয়ার করেন আপনার গল্প। যা হয় দেখা যাবে। ভাল থাকবেন।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৩
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: আমি ভাই কাউকে 'তেল' দিতে পারিনা; অভ্যাসে নেই। আপনার লেখনী প্রতিভা নিয়ে যা বলেছি, বাড়িয়ে বলিনি।
দেখি কতটা শেষ হয়, কবে শেষ হয়! আগে শেষ করে নিয়ে তারপরে ব্লগে দেবো। পুরোটা শেষ না করে ব্লগে দিলে তাড়াহুড়ার রেশ এসে যায়, পরের পর্বগুলো ভালো করা অসম্ভব হয়ে যায়! :#>
৩২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:২৮
কথক পলাশ বলেছেন: শেষ হইয়াও হইলো না শেষ।
দারুণ ছোট গল্প। সবচে বড় কথা, এই পৃথিবীর সবখানেই কেউ না কেউ এরকম কারো প্রতিউত্তরের জন্য অপেক্ষা করে আছে।
পেইন্টিং এর থিমটা দারুণ লাগলো। ছবিটাও।
আপনার আঁকার হাত অসাম।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৮
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: আপনার কমেন্টের প্রত্যেকটা কথাই এত এত ভালো লাগলো যে আর কি বলবো!!! বলার কোন অবকাশ নেই!!! :!> :#>
৩৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৪
নীরব 009 বলেছেন: ১৬ তম ভাল লাগা রইলো। পরে এসে পরে যাব। একটু কাজে যাচ্ছি
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫৫
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: না পড়েই ভালোলাগা??
৩৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৩:২৯
নীরব 009 বলেছেন: হুম, গল্প ভাল লেগেছে। ভাল লাগা দেয়া তাই সার্থক।
আমার মনে হয় ছেলেটাও অপেক্ষা করে ছিল যেন মেয়েটা মেসেজ ব্যাক করে!!! কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেল। যাই হোক, যা হয়েছে ভালই হয়েছে এবং যা হবে তা ভালই হবে।
শুভ রাত্রি।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৬
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: "যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে, এবং যা হবে তা ভালই হবে।"... কথাটা যতটা সুন্দর, ততটা কি সত্যি?? ...কে জানে!!!!
মন্তব্যটা ভীষণ সুন্দর!
৩৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৫
ৈহমনতী বলেছেন: মানুষ মানুষের অনুভুতিগুলোকে নিয়ে এভাবে খেলে কেন???আমি বুঝে পাই না।এইসব মানুষগুলোকে ঘৃণা হয় আমার।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৪
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: হুম। এইসব মানুষ আসলেই নিজে কখন ঐ জায়গায় না দাঁড়ালে বুঝতে পারবেনা কতখানি কষ্ট হয়!
ভালো আছ তো আপুমনি??
৩৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৭
ৈহমনতী বলেছেন: আছি আপুমণি.....মাঝে মাঝে হারিয়ে যেতে মন চায়।তাই এখন আর ব্লগে আসা হয় না।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৩
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: হারাতেও পারছিনা। কোথাও লুকাতেও পারছিনা। চিন্তিত!! ইষ্টিকুটুম ভীষণ চিন্তিত ও অস্থির আজকে!!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৮
নীল কষ্ট বলেছেন: গল্পটা এখানেই শেষ করলেন কেন?
আমার মনে হচ্ছে( না মনে হচ্ছে না আমি নিশ্চিত) বাস্তবের ঘটনা লিখেছেন, কোন কাল্পনিক গল্প নয়।
জীবনে এই কষ্টগুলো সহ্য করতে পারিনা। ছেলেটা জানে মেয়েটা কত ভালোবাসে। ছেলেটা যদি বিয়ে না করবে ভালো না বাসবে তাহলে এমন খাপছাড়া সম্পর্ক রাখার মানে কি। মানুষকে আশায় রাখা স্বপ্ন দেখানো। এটা ভাবতে মজা লাগে বোধহয় যে কেউ তাকে খুব ভালোবাসে।
ঐসব ছেলেদের আমি প্রচন্ড ঘৃণা করি। এরা কারো ভালোবাসা পাবার যোগ্য না।