![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথমেই মানবাধিকার নিয়ে কথা বলি।
মানবাধিকার শব্দটিকে ভাঙ্গলে দু'টি শব্দ পাওয়া যাবে।
একটি মানব, অন্যটি অধিকার।
অর্থাৎ মানবাধিকার শব্দের মাধ্যমে বুঝানো হয়েছে মানুষের অধিকারকে। তাহলে মানবাধিকার হলো মানুষ হিসেবে তার মৌলিক অধিকার গুলোকে বুঝায়।
এবার বলি মানবাধিকার কেন এবং কার জন্য ?
উপরে বলেছি মানবাধিকার হলো মানুষের অধিকার। কিন্তু কোন ধরনের মানুষের জন্য।
তার আগে একটা কথা, আইনের দৃষ্টিকোন হতে পাগলকে দেউলিয়া হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ পাগল আইনের আওতামুক্ত।
কথায় বলে,"ছাগলে কি-না খায়, আর পাগলে কি-না করে।" আমাদের দেশের সন্ত্রসীদের অবস্থাও ঠিক পাগলের মত। অবশ্য এতে করে পাগলকে অপমান করা হবে। কারণ পাগল নিজের অজান্তে কিছু ভালো কাজও করে থাকে। কিন্তু সন্ত্রাসীরা করে না এমন কোন অপরাধ নেই।
একবার গ্রামের বাড়ীতে গিয়ে দেখি, পৌরসভার সব কুকুর ধরেই মেরে ফেলেছে। নো যাচাই, পাগলা না ভালো।
ঠিক সে রকম না হলেও, তার কাছাকাছি নিয়মে জোট সরকারের সময়ে শুরু হয় সন্ত্রাসী নিধন কার্যক্রম। সাধারণ জনগনের মাঝে একটা স্বস্তি আসে। অন্যদিকে তৎকালীন বিরোধীদল সহ মানবাধিকার সংস্থাগুলো সাথে সাথে আন্দোলনে নামে। এতে মানবাধিকার লঙ্গিত হচ্ছে। হয়তঃ হচ্ছে। কিন্তু এসব সন্ত্রাসীরাই তো সাধারণ বা অসাধারণ জনগনকে ধরে বিচার ছাড়াই খুন করছে। তাহলে তাদের জন্য কিসের বিচার।
এক মোল্লার কাছে শুনেছি, যারা একবার ঈমান এনে কালিমা পড়েছে তাদেরকে শেষ পর্যন্ত বেহেশত দেয়া হবে। এটা কতটা সত্য তা ধর্মীয় পন্ডিতরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে ইসলাম ধর্মের মত মানুষ রূপী সন্ত্রাসীরা মানুষ হিসেবে জন্ম নেয়ায় তার জন্যও শেষ পর্যন্ত মানবাধিকার রক্ষা করা উচিৎ। হয়তঃ সে জন্যই আমিও সে আন্দোলনে যোগ দেই।
তৎকালীন বিরোধীদল বর্তমানে সরকার গঠন করেছে। কিন্তু এখনো একই অবস্থা বিরাজ করছে। তৎকালীন সরকারী দল এখন বিরোধীদলের ভূমিকায় আছে। তখন 'রেব' গঠন এবং একে সমর্থন করলেও এখন তারা মানবাধিকার রক্ষার কথা বলছে।
এক সময় আমি সন্ত্রাসীর মানবাধিকার প্রদানের বিরোধী ছিলাম। পরে পক্ষ নিলাম। অবশ্য পুরোপুরি নয়। এখন বুঝতে পারছি না, আসলে ব্যাপারটা কি হলো, কি হচ্ছে আর কি হবে ?
২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:২৭
বলাই বলেছেন: সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য।
৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৪১
তিসা১ বলেছেন: আমি ভাইয়া রাজনিতি টা বুঝিনা ।
তাই কোন মন্তব্য করলাম না।
৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:১২
ত্রিশোনকু বলেছেন: আপনি একটা অতি জটিল বিষয়ের অবতারনা করেছেন। সন্ত্রাসীদের জন্য যদি মানবাধিকার নিশ্চিত করা হয়, তা হ'লে সন্ত্রাসীদের ধরার পরই আদালত থেকে তারা ছাড়া পায়- সাক্ষীর অভাবে। তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে কেউই এগিয়ে আসার সাহস পায়না। ছাড়া পেয়ে সন্ত্রাসীরা তাদের ধরার ব্যাপারে যারা জড়িত তাদের হত্যা করে।
আবার বিনা বিচারে সন্ত্রাসী নিধনে নিরাপরাধ লোকের মারা পরারও সমুহ সম্ভাবনা। কিছুদিন আগে ঢাকার তেজগাঁও পলিটেকনিকের দুজন ছাত্র আসাদ গেটের কাছে ক্রসফায়ারে মারা যায়। যাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কোন থানাতেই কোন মামলা ছিলনা। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের বিরুদ্ধে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে বিপুল পরিমান অর্থ আদায়েরও গুরুতর অভিযোগ আছে। তা ছাড়া নাম বিভ্রাটে নিরীহ লোককে ক্রস ফায়ারে ফেলাও হয়েছে।
সব মিলিয়ে আপনার উত্থাপিত বিষয়ে কোন সদুত্তোর আসলেই দেয়া কঠিন।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৪৪
কাজী জেসমিন আরা বলেছেন: জনাব আপনার জ্ঞাতার্থে বলতে চাই,
এই পৃথিবীর যত আবিষ্কার সবই মানুষের কল্যানের জন্যই আবিষ্কৃত হয়েছে। পরবর্তীতে সবই মানুষের অকল্যানে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটা আবিষ্কারকের দোষ না, আমারা যারা অকল্যানে ব্যবহার করছি, দোষ তাদের।
দোষটা ক্রসফায়ারের নয়, দোষ আমরা যারা ক্রসফায়ারকে নিজ উদ্দেশ্য হাসিলের রাস্তা বানাচ্ছি
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:২৪
মিনকা বলেছেন: আন্দোলন ভোটের জন্য।