![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুবৃত্ত, ভ্রষ্ট নাগরিক,
আজ এই মুহূর্ত হতে সংযত হও,
এইখানে এই শহিদের বেদিতে দাঁড়িয়ে
তোমার কুপ্রবৃত্তিতে এখনি ফুলস্টপ দাও!
যে দেশ লাখো শহিদের রক্তে ভেজা,
যে দেশ লাখো মা-বোনের ইজ্জতে পাওয়া,
সেই দেশে দাঁড়িয়ে আর একটাও ছুঁয়ো না
যা তোমার প্রাপ্য নয়, গরিব কৃষকের পকেট থেকে
আর একটা কড়িও ছুঁয়ো না!
যে দেশের জন্য লালন ছেড়েছিল ঘর,
যে দেশের জন্য নজরুল জীবনের সবটুকু দিয়ে
আমৃত্যু জীবন বাজি রেখে বিদ্রোহ করেছিল,
যে দেশের জন্য ভুল করে
অনুশোচনায় কেঁদেছিল মাইকেল,
সেই দেশ এবার সামনে বাড়ুক,
দুবৃত্ত, ভ্রষ্ট নাগরিক,
এবার তোমার দুর্নীতির লাগামখানি
শক্ত হাতে টানো!
মাটির বুকে অঙ্কুরিত হয়ে
সেই মাটিকে লাঞ্ছিত করা ঘৃণিত কাজ!
যে কৃষক বাবা একদিন
জমিনে লাঙল দিতে গিয়ে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন
চিরনিদ্রায়, তোমার পড়ার খরচ দেবেন বলে,
সেই পিতার পয়সায় মানুষ তুমি,
সেই পিতার টাকায় রোজগার তোমার,
দোহাই তোমার, তার পকেট কেটো না!
তারই সেবায় তুমি নিবেদিত হও!
ঘুচাও তোমার দুর্বৃত্তপনা, ঘুচাও এ কলঙ্ক দাগ
লাল-নীল-হলুদ-কালো,
যা কিছু তোমাকে অন্ধ করেছে।
দুর্বৃত্ত, ভ্রষ্ট নাগরিক,
এইখানে এই শহিদের বেদিতে দাঁড়িয়ে,
এইখানে তোমার প্রিয় পিতার নামে
পবিত্র কবরের সামনে দাঁড়িয়ে,
তোমার পবিত্র মাতার নামে শপথ করো,
জনমের তরে ছাড়ো দুর্বৃত্তপনা,
একটা দেশ গড়ি সোনার বাংলা,
একটা দেশ গড়ি পিতার স্বপ্নের সমান,
যে দেশের জন্য অকাতরে
বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেন পিতা,
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে
কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি বন্ধু,
অর্থনীতির চাকাটি রেখেছেন সচল,
তাকে শোষণের পথ হতে সরে দাঁড়াও আজই এখনি!
এদেশ হবে সোনার বাংলা।
বর্গীরা গেছে বর্গী সেজ না,
বেনিয়া গেছে অহিংস পথে,
বুলেটে ঝাঁঝরা করেছে নিপীড়িতের মুখ,
লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে তারা!
হানাদার গেছে রক্তাক্ত পথে
মাটির ক্ষত শুকোয়নি এখনো,
সেই দেশ আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াক,
দুর্বৃত্ত, তোমার লাগাম আজি এখনি
জন্মের মতো ধরো টেনে আর
সংযত করো, হয়ো না উন্মত্ত ,
আমরা সামনে যাব, অনেক দূরে,
আমরা বহুদূর যাব, আমরা শপথ নেব,
ব্রত নেব, তুমিও নাও!
এদেশ তো তোমার! এদেশ আমার!
এদেশ তো সকলেরই ভাই,
এসো পণ করি,
দুর্নীতি, দুর্বৃত্তপনা, হত্যা, ঘুষ, রাহাজানি,
রুখে দেব প্রদীপ্ত শপথে।
তুমি আর যেও না ও পথে!
তুমি আর যেও না কুপথে!
দৃর্বৃত্ত, তোমার নষ্ট-ভ্রষ্ট লাগামখানি
এবার আজই এখনি ধরো টেনে!
দেখবে, প্রিয় মাতৃভূমি আকাশ ছুঁয়েছে!
সে পৌঁছে গেছে আমাদের স্বপ্নের সমান উঁচুতে।
ভণ্ডামির ভেকধারী সরকারি-বেসরকারি চাকরগণ,
সেবাপ্রার্থীর মুখখানি দেখে লজ্জিত হও,
তোমার অশুচি, নিকৃষ্ট লাগামখানি ধরো টেনে,
সংযত হও! ছাড়ো ভণ্ডামি, প্রতারণার বেশ!
২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর কবিতা, তবে মনে হচ্ছে অরণ্যর রোদন!
টাইপোঃ ঘৃণীত <ঘৃণিত হবে।
৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার নিজের টাইপোঃ
অরণ্যর রোদন! <অরণ্যে রোদন! হবে।
৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১২
কাজী জাকির হোসেন বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা। আপনি পুরোটাই পড়েন এ যে ভাবা যায় না। স্যালুট, আপনাকে.
৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৪
কাজী জাকির হোসেন বলেছেন: জনাব, খায়রুল আহসান, অশেষ কৃতজ্ঞতা। আপনি পুরোটাই পড়েন এ যে ভাবা যায় না। স্যালুট, আপনাকে.
৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭
ধ্রুবক আলো বলেছেন: সেই দেশ এবার সামনে বাড়ুক ++++
লেখাটা অত্যন্ত ভালো মানের লেখা, খুব ভালো লাগলো,
তবে যাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন কথাগুলো তারা তো কানে নিবে না!!
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
"ভণ্ডামির ভেকধারী সরকারি-বেসরকারি চাকরগণ,
সেবাপ্রার্থীর মুখখানি দেখে লজ্জিত হও,
তোমার অশুচি, নিকৃষ্ট লাগামখানি ধরো টেনে,
সংযত হও! ছাড়ো ভণ্ডামি, প্রতারণার বেশ! "
- নামে সরকার, আসলে এরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর লোক