![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনটা ভালো নেই দুরবিন, তো তুমি কী করতে পারো!
তোমার কাছে কী আছে এমন যে এই জাল এই অন্ধকার ভেদ করে
আলোর ইশারা দিতে পারো!
দুরবিন, তুমি কি দূর দিগন্ত দেখতে পাও?
না কি ঘরের কাছে পড়ে থাকা মরা ঘাস, শ্বাস, লতাপাতা দেখতে পাও?
একটুকু খড়কুটাও যদি দেখতে পাও,
যারা তোমার চোখের দৃষ্টির হালকা-পাতলা-ঝাপসা সীমানায়ও ঢুকে পড়ে,
তাদের জন্য তোমার অঙ্গীকার কী আমায় খোলাশা করতে পারো?
যদি পারো, তবে তোমার দুরবিন সম্প্রসারিত করো,
যদি পারো, তবে তোমার মনের-গেহের-চেতনার সবকটা জানালা খুলে দাও!
একপেশে বিচারের ভার নিও না তুমি,
বদ্ধ ঘরে জব্দ অন্তরাত্মা ছড়িয়ে দিও না,
যেখানে লক্কর-ঝক্কর সড়কে বেহাল গাড়িচাপায় প্রতিদিন গন্ডায় গন্ডায় মানুষ মরে,
যেখানে প্রতিদিন ধুলো-বালি-ময়লা-আবর্জনা আর দুর্গন্ধে মানুষের পেট ফুলে ফেঁপে ওঠে,
সেখানে তোমার অন্তশ্চক্ষুকে খোলশ থেকে মুক্তি দাও,
দুরবিন করো তারে!
আকাশে-বাতাসে-শূন্যে ওঠা হাহাকার নির্বাপিত করো।
যদিও সব কালে সব যুগে ওঠা আহবান হয় বিমর্ষ বিলাপ আর
সময়ের গভীর সমুদ্রে প্রতিবারই হারিয়ে যায়!
হারিয়ে যায় লোভ, হিংসা, দ্বেষ, প্রতিহিংসা, অহংকার আর আত্মগরিমার অন্ধকারে।
হারিয়ে যায় নর্দমার পুঁতিগন্ধময় সময়ের অতল সমুদ্রে।
তবু তুমি আগাও দুরবিন!
হতাশার চাঁদ রাত্রির আলোককে করতলগত করে
অথবা অন্ধকারের গহন বন্দর থেকে পাচার করে দেয় দূর দিগন্তে।
দিকভ্রান্ত করে দেয় চারদিক থেকে ঘিরে আসা অর্থগৃধ্নু পিশাচ!
এ সমস্তই পরাজয় আর হতাশার বাণী,
আশার আলোও কখনো মধুময় বাণী হয়ে ফোটে!
দুরবিন সহযোগে যদি আবিষ্কৃত হয় ছোট-বড়, ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র পাপের পেয়ালা,
চোখ যদি ক্রমশ আলোকজ্জ্বল হয়ে ওঠে!
আমরা অপেক্ষায় আছি,
একদিন মাটি-আকাশ-সমুদ্র-জলাশয় স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ হয়ে আসবে,
জবাবদিহিতায় উষ্ণ বিশ্বাসের ভিত্তিমূলে অমরতায় নোঙর ফেলবে!
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৫৭
সাকিব ইফতেখার বলেছেন: চিঠি নাকি কবিতা?