নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিরোনাম নাই

[email protected]

কাজরী...

কিছু বলার নাই তবে মন্তব্য নয়, পোষ্ট পড়ে মন্তব্য করুন।

কাজরী... › বিস্তারিত পোস্টঃ

কওমি মহিলা মাদ্রাসার অন্দরে…(৮)

০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৩১

কওমি মহিলা মাদ্রাসায় “বান্ধবী” ব্যপারটায় একটু আপত্তি আছে। এক মেয়ের সাথে আরেক মেয়ের বেশী মেশা পছন্দীয় নয় নানা কারনে।

গল্পের মাধ্যমে বাইরের জগতের কথা আসবে , যেমন পোশাক , সিনেমা, গান ইত্যাদি বেশরিয়াতিক থা বার্তা আসতে পারে গল্প গুজুবের মাধ্যমে। এবং এতে ইমান হালকা এমনকি নষ্ট হওয়ারও সম্ভবনা থাকে। ।

এ ব্যপারে এক ছাত্রী থেকে জানতে পারলাম :



"বেশী মিশলে বেশী গল্প হবে, গল্পের মধ্যে নিজেদের ফ্যামিলির কথা আসবে, ফ্যমিলিতে ভাই-কাজিনদের কথা আসবে, অন্য মেয়ে সেই ভাই বা কাজিনের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে এবং এতে সেই মেয়ের তাকওয়া নষ্ট হবে। "



অতএব, এক জন আরেকজনের সাথে গল্প করা নিষেধ। উল্লেখ্য যে, এসব মাদ্রাসায় অবসর সময় বলতে আসর নামাযের পর থেকে মাগরিব নামাযের আগ পর্যন্ত।



এর মধ্যে না আছে খেলা ধুলার ব্যবস্থা, না গল্প-উপন্যাসের বই পড়া না অন্য মেয়ের সাথে গল্প করা। এক সাথে কয়েকজন বসে গল্প করা যাবেনা। কোন বন্ধুত্ব করা যাবেনা। ফাতেমা বলতে পারবেনা যে হাজেরা আমার বান্ধবী।



পাঠ্য পূস্তক ব্যতিত অন্য কোন বই পড়ার কোনো ব্যবস্থা এবং অনুমতিও নেই। এদের কোন লাইব্রেরী নেই। ছাত্রীরা নিজের ব্যববস্থায়ও কোন বাড়তি বই পরতে পারেনা। মাদ্রাসায় গল্প-উপন্যাসের বই পড়া নিষেধ।

কারন হিসেবে বলা হয় সময় নষ্ট এবং নাস্তিকদের বই পড়লে সেই আছর (প্রভাব) পরার একটা সম্ভবানা থেকে। আল্লাহর থেকে মন সরে যায়।







নেই কোন দৈনিক পত্রিকা বা ম্যগজিন পড়ার ব্যবস্থা। রুমের বাইরের জগতটা সম্পর্কে একটা মেয়ের আর কোন ধারনাই থাকেনা। মাদ্রাসায় ঢোকার সাথে সাথে এক অজানা শহরে এসে পরে যেনো সবাই। গেইটে ২৪ ঘন্টা তালা লাগানো। কোন কোন মেয়ে ৬-৭ এমন কি ১ বছর পরেও বাড়ি যায়। এদের অনুভুতি গুলো ভোঁতা হয়ে যায় যেনো। ছোট বেলা থেকে এভাবে থাকতে থাকতে।



এসব মাদ্রাসা থেকে দাওড়া (মাওলানা বলা হয় দাওড়া পাশ করার পর)

পাস করার পর মেধাবী ছাত্রীদের সেই মাদ্রাসাতেই শিক্ষিকা হিসেবে রাখা হয়। অথবা কেউ কেউ বিয়ে করে ঠিক এরকমই নতুন আরেকটা মাদ্রাসা শুরু করে অথবা শুধু মাত্র স্বামী সেবাই নিযুক্ত থাকে।



এদের মধ্যে ২০০ জনে ১ জন এর পর আলিয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল এবং আলিম দিয়ে থাকে। যারা কওমি থেকে পাশ করে আলিয়াতে পড়া শোনা করে তাদের প্রতি তাদের কওমি শিক্ষক-শিক্ষিরা খুব অসন্তষ্ট হন। তাদের মতে আলিয়াতে পড়লে আমল নষ্ট হয়ে যায়। তাকওয়ার ঘাটতি ঘটে। ৯৯.৯% কওমি হজুর আলিয়া বা কলেজ-ইউনিতে পড়ার জন্য অনুৎসাহিত করে থাকেন এবং অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে থাকেন।



এসব মেয়েদের মধ্যে কিছু দাখিল-আলিম পাশ করে থাকে। এদের মধ্যে আরো কম কিছু মেয়ে ফাজিল (ডিগ্রি) পাশ করে। এবং .০০০০১ জন আলিয়া মাদ্রসা থেকে এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি সম মানের (দাখিল, আলিম ) পরীক্ষা দিয়ে সাধরন ইউনিতে স্নাতক অথবা ডিগ্রি পড়ে থাকে।



এ পর্যন্ত আসতে প্রয়োজন হয় সেই মেয়ের চরম ইচ্ছা , সাহস এবং পরিবার থেকে স হযোগিতা। কিন্তু ইচ্ছা থাকা সত্বেও সাহস ও পরিবারের স হযোগিতার অভাবে এরা আর বেড়ে উঠতে পারেনা।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১১/-৬

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৩৭

সরপ বলেছেন: -

০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৪১

কাজরী... বলেছেন: গেলি.......

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৫৩

রাত্রী বলেছেন: ভয়াবহ ব্যাপার।

৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:১০

পারভেজ বলেছেন: কিছু কিছু তথ্য কি আগের পোস্টে ছিল?
এই পর্বটা একটু অগোছালো লাগলো।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:২৩

কাজরী... বলেছেন: হুম

০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:২৮

কাজরী... বলেছেন: এডিট করা হলো।
পোষট দেওয়ার পর পরে দেখা হয়নি, তাই চোখে পরেনি:)

৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:২৪

ভাইরাস! বলেছেন: +

০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:২৯

কাজরী... বলেছেন: :)

৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৫৬

নূহান বলেছেন: +

০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২৬

কাজরী... বলেছেন: ধন্যবাদ নূহান

৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:০৭

আপেল বলেছেন: সকলকেই এই অবস্থা হতে উত্তরনের পথ খুজতে হবে তা না হলে এই
সমাজে অন্ধকার নেম আসবে.......

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:১২

কাজরী... বলেছেন: উত্তরনের কি উপায় থাকতে পারে বলতে পারেন?।

৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:১৭

বেয়াকুফ বলেছেন: কওমি মাদ্রাসার মেয়েদের নিয়া দেখাযায় ভালো ডকুমেন্টারি ফিলম তৈরি করা যাইবে। লালদরজা ভাইয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করতেসি এই পুস্টে।

৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:২৮

লাবিব বলেছেন: কথাগুলো

৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:৩১

লাবিব বলেছেন: কথাগুলো একেবারে খাটি

১০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:১৩

সাদা কাগজ বলেছেন: আসুন কওমি মাদ্রাসা বন্ধ করে দেই
++++++++++++++++++++++++++++++

১১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:২৯

কাজরী... বলেছেন: ইসলাম থেকে শিক্ষা নিতে হবে কিভাবে জীবন সুন্দর এবং সৎ ভাবে কাটানো যাবে আর এ জন্য মাদ্রাসায় পরার কোন দরকার নেই। ধর্মের উপর উচ্চ শিক্ষা নিতে চাইলে পাবলিন কলেজ-ইউনি ই যথেস্ঠ।

প্রতিবছর মাদ্রাসা থেকে বিশাল সংখ্যায় আন স্কিলড ছেলে-মেয়ে বের হচ্ছে। দেশে কয়টা ইমাম বা ধর্ম টিচার লাগে বলতে পারেন? বাকি ছেলে-মেয়েগুলো যাস্ট বেকার হয়ে অন্যের উপর ডিপেনডেনট হয়ে থাকে।

শুধু মাত্র আরবি েবং উর্দু পরে কওমি মাদ্রাসার মেয়ে-ছেলে গুলো কি করবে সেই সমাধান না দিতে পারলে কওমি মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়াই উচিত।

আর যদি পাশা-পাশি বিজ্ঞান, কমার্স ইত্যাদি পড়ায় যাতে পরবর্তিতে জীবন ধারনের জন্য কিছু একটা করে খেতে পারে তাহলে মাদ্রাসা থাকুক আপত্তি নেই।

১২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:২৫

খলিলুন নাস বলেছেন: আমি ঢাকা সাভারে অবস্থিত একটি মহিলা কওমি মাদরাসার মুহতামিম কে চিনি যিনি ঢাকা আলিয়া হতে দাখিল হতে কামিল পর্যন্ত পড়েছেন, পাশা-পাশি ঢাকা কলেজে ইংরেজীতে অনার্স, ফাযিলে পড়াকালীন সময়ে সাভারের মহিলা মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন, তখন তিনি অবিবাহিত ছিলেন, এর কিছুদিন পর বিবাহ করলেন, এখন উনি মাদরাসার মুহতামিম ।
উল্লেখ্য, তিনি ঢাকার জামেয়া রহমানিয়া মাদরাসা হতে দাওরা পাশ করা একজন মাওলানা । একজন রাজনিতি বিদও বটে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.