নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কলাবাগান১

বিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা দেশপ্রেমের ই অংশ

কলাবাগান১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিউটন বনাম আইন্সটাইন: Nothing outruns photons

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩৪

কোন ব্লগার ভাই/বোন কি নিচের এই প্রবলেমের উত্তর সোজা ভাষায় দিতে পারবেন?? উদাসী স্বপ্ন ভাই কি আশেপাশে আছেন??



নিউটনের গ্রাভিটি থিয়োরি সার্বজনিন.. এর কোন ব্যতিক্রম নাই.... এই নিয়ম, যেটা ভর ও বস্তুর মাঝখানের ডিসট্যান্সের উপর নির্ভর করে- প্রকৃতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করে থাকে। এই নিয়ম মেনেই পৃথিবী সূর্যের অক্ষপথে ঘুরছে... এই নিয়ম মেনেই বিজ্ঞানীরা প্রিডিক্ট করতে পারছে গ্রহ/নক্ষত্রের মোশান, রকেট পাঠাচ্ছে মহাশূন্যে। যখনই কোন দুইটা বস্তুর মধ্যে ভর বা ডিসট্যান্স চেন্জ হয়, এর সংগে সংগে (IMMEDIATELY) গ্রাভিটিশনাল ফোর্স ও চেন্জ হয়।



অন্যদিকে আইন্সটাইনর স্পেশাল থিয়োরি অফ রিলিটিভিটির মতে Nothing outruns photons মানে আলোর গতির চেয়ে বেশী গতিতে কোন কিছুই চলতে পারে না.... এমনকি কোন তথ্য, ঘটনা ও আলোর গতির চেয়ে দ্রুত ট্রান্সমিট হবে না। প্রকৃতিও এই নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে পালন করে থাকে- এর কোন ব্যতিক্রম নাই... sub-atomic particle -Muon ও যদি আলোর গতির ৯৯.৯৯৯৯৯৯৯৯% গতিতে ট্রাভেল করে, এটার ভর স্হির অবস্হানে থাকার ভরের চেয়ে ৭০,০০০ গুন বেশী বেড়ে যাবে- এতে এটা আলোর গতিবেগকে অতিক্রম করতে পারবে না শত চেস্টা করলেও।



Now here is the Incompatibility between the two theories:



ধরুন হঠাৎ সূর্য এক্সপ্লোড করল। কিন্তু সূর্য পৃথিবী থেকে ৯৩ মিলিয়ন মাইল দুরে.... আলোর গতিতে (৬৬৭ মিলিয়ন মাইলস প্রতি ঘন্টায়) এই ইনফরমেশন পৃথিবীতে পৌছতে সময় লাগবে ৮ মিনিট, তার মানে পৃথিবী তার অক্ষপথে থাকবে ৮ মিনিট পর্যন্ত্য সূর্য ধ্বংস হওয়ার পরও (আইন্সটাইনের থিয়োরির মতে) কিন্তু নিউটনের মতে যেই মুহুর্ত্তে সূর্য ধ্বংস হবে, ইন্সট্যান্টলি পৃথিবীও তার গ্রাভিটাশিনাল ফোর্স হারাবে আর তাতেই পৃথিবী সাথে সাথে অক্ষচ্যূত হবে



আমি জানি যে আইন্সটাইন এই প্যারাডক্স সমাধান করতে প্রায় ৫-৬ বছর কাজ করেন এবং একটা সমাধান দেন কিন্তু আমার মত খুদ্র বুদ্ধির মাথায় তা বুঝতে পারছি না



আছেন কি কোন ভাই এর সমাধানটা সহজ ভাষায় বুঝিয়ে বলবেন???

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৯

মেহেদী পরাগ বলেছেন: ব্রায়ান গ্রীন এর ''দি এলিগ্যান্ট ইউনিভার্স'' বইটিতে এই সমস্যাটি উল্লেখ করা আছে।

ব্রায়ান গ্রীন এর এই কথাগুলোয় একটি মারাত্মক ভুল আছে। সেটা হল আইনস্টাইন এর সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্ব অনুযায়ী সূর্য বিষ্ফোরিত হলেও সেটার মহাকর্ষিয় প্রভাব পৃথিবীতে আসতে ৮ মিনিট নয় বরং ২২ ঘন্টা লাগবে। ৮ মিনিট পর চাক্ষুষ ভাবে সূর্য্যের বিষ্ফোরণ এর খবর জানা যাবে তবে তখনো পৃথিবী কক্ষচ্যূত হবেনা। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে আইনস্টাইন এর তত্ত্বে তো বলা আছে মহাকর্ষ বলের পরিবর্তন আলোর গতিতে প্রোপাগেট করে, তাহলে ৮ মিনিটের জায়গায় ২২ ঘন্টা লাগবে কেন? এর উত্তর জানতে হলে আপনাকে এম্পিরিক্যালি প্রমাণিত বিরকহফের (Birkhoff) থিওরী বুঝতে, আপাতত সেদিকে গেলাম না।

এবার আসা যাক নিউটনের থিউরীতে। এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে যে সূর্যটি কিভাবে বিষ্ফোরিত হচ্ছে? যদি এমন হয় যে গোলকীয় প্রতিসাম্য ভাবে (spherical symmetrically) বিষ্ফোরিত হচ্ছে অর্থাৎ বিষ্ফোরিত হয়ে সূর্যটি চতুর্দিকে প্রায় একই মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ছে তাহলে নিউটনীয় থিওরী অনুযায়ীও এই বিষ্ফোরনের প্রভাব পৃথিবীকে কক্ষচ্যূত করতে সময় নেবে ২২ ঘন্টা। কিভাবে? নিউটনের তত্ত্ব অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট ভরের যেকোন আয়তনের গোলক (x) যে মহাকর্ষ বলে অপর কোন বস্তুকে আকর্ষন করে সেই আকর্ষন বলের মান সমান থাকবে যদি সেই গোলকটির (x) সকল ভর তার ভরকেন্দ্রে কন্সান্ট্রেট করে একটি বিন্দুও হয়ে যায়। এর মানে সূর্যটি যেহেতু বিষ্ফোরিত হয়ে আরও বিশালাকার গোলকে পরিণত হচ্ছে তাই যতক্ষন না সেই সূর্য্য গোলক আরও বড় হয়ে পৃথিবীর কক্ষপথ অতিক্রম করে ততক্ষণ পর্যন্ত পৃথিবীর উপর সূর্যের মহাকর্ষ বলের মান পরিবর্তিত হবেনা। সুপারনোভা বিষ্ফোরণে তারকাস্থিত পদার্থ যে গতিতে বিক্ষিপ্ত হয় তাতে বিষ্ফোরিত সুর্য পৃথিবীকে ছুঁতে ২২ ঘন্টা সময় নেবে। দেখা গেল যে নিউটন আর আইনস্টাইন এর প্রেডিকশন এখানে একই রকম।

আর যদি সূর্য্যের বিষ্ফোরন অপ্রতিসাম্য ভাবে ঘটে তাহলে ব্রায়ান গ্রীন যা বলেছেন নিউটনের তত্ত্ব অনুযায়ী তা ঠিকই আছে। অর্থাত বিষ্ফোরণের সাথে সাথেই পৃথিবী কক্ষচ্যূত হয়ে যাবে। বাস্তবে কোন থিউরী সঠিক সেটা জানা প্রায় অসম্ভব, কারণ তারকা সাধারণত অপ্রতিসাম্য ভাবে বিষ্ফোরিত হয়না।

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৫০

কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ উত্তরের জন্য।
"ব্রায়ান গ্রীন এর এই কথাগুলোয় একটি মারাত্মক ভুল আছে। " কিন্তু উনিতো warp দিয়ে ব্যাপারটার একটা সমাধান দিয়েছেন যেটা আমি ভালভাবে বুঝতে পারি নাই.

যাই হোক শেষ কথাটা আপনিই বলে দিয়েছেন:
" বাস্তবে কোন থিউরী সঠিক সেটা জানা প্রায় অসম্ভব"

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই সুন্দর কথা সোজা ভাবে বুঝায় দিছে মেহেদী ভাই।

তয় পার্টিক্যাল ফিজিক্স অনুযায়ী একটা সিম্পল ব্যাপার আছে। সবকিছু ম্যাসকে কিভাবে ধরে রাখা যায় সেটার ওপর নির্ভর করতেছে। আলোর গতিটা বাদ দেন। আলোর গতি তীব্রতা নিয়েও কনসার্ন না। কনসার্ন হলো কক্ষচ্যুত। কক্ষচ্যুতির ব্যাপারটা তখনই ঘটবে যেটা মহাকর্ষ। আর মহাকর্ষের সূত্রে কিন্তু ভরের ব্যাপারটাই আছে। এখন যখন বিস্ফোরিত হবে তখন সূর্যের প্রসারন।

এসব হিসাব মাথায় নিলে কনসেপচুয়ালী সেই সময় আসবার কথা। ব্রায়ান গ্রীন এর বই টা আমার পড়া হয় নাই।

এরকম পোস্ট করার জন্য আপনারে ধন্যবাদ। মানুষ যত বেশী এরকম মৌলিক বিজ্ঞানের প্রশ্ন করবে দেশের চিন্তার মননশীলতা তত অগ্রসর হবে। এক কালে ব্লগে এরকম লেখা অহরহ আসতো, আমরা সেগুলোতে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহন করতাম।

যাই হোক, ভাল থাকুন সব সময়। ব্লগে খুব একটা আসা হয় না। দেরী করে ফেললাম বলে দুঃখিত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.