নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবির এই কিম্ভুতকিমাকার 'প্রানী' টা কি তা নিয়ে সাইন্টিফিক ওয়ার্ল্ডে এর কৌতুহল অনেক দিনের। এটা কি 'এলিয়েন'?? নাসার ওয়েব সাইটে এই ভাবেই এটা কে বর্ননা করা হয়েছে। করবে না কেন? এটা কে ১০০ ডিগ্রি ফুটন্ত পানিতে চড়িয়েও মারা যায় না। এটা কে মাইনাস ৪৬০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে (এবসোলিউট জিরো) তে নিয়ে গেলেও তা কে মারতে পারা যায় না। শুধু কি তাই.. ১০-১২ বছর ধরে কোন খাবার বা পানি ছাড়া ও এটা বেচে থাকতে পারে। তারা সমুদ্রের তলদেশের যে প্রেশার আছে, তাতেও বেচে থাকতে পারে। নাসা এটা কে নিয়ে বেশী কৌতুহলী কেননা ডেন্জারাস লেভেলের রেডিয়েশনে ও এটার কোন ক্ষতি হয় না...তাই ইন্টারন্যাশানাল স্পেস স্টেশনের বাইরে রেখে দেখা গেছে যে (স্পেস স্যাুট ছাড়াই!!!!!) সে দিব্য সুস্হ আছে...রাশান রা কিছুদিন আগে মংগল গ্রহের চাদে এটাকে পাঠাতে চেয়েছিল কিন্তু রকেট মেল ফাংশান করাতে সেই প্রজেক্ট ভেস্তে গেছে...
এটার নাম হল Tardigrade (water bear)
তারা কেন এত রিজিলিয়েন্ট (resilient) ....এটা জানা গেল যে তারা রেডিয়েশনের ফলে সেলের DNA এর যে ক্ষতি হয় তাকে রিপেয়ার করতে পারে এবং নিজের শরীরের পানির পরিমান ২-১% এ নামিয়ে আনতে পারে এবং তাতে তার কোন ক্ষতি হয় না। সাইন্টিস্টরা অনেক ধরেই চেস্টা করছিল যে তাদের মধ্যেকার DNA কে আইডেন্টিফাই করতে যেটা তাদের কে এমন রিজিলিয়েন্ট প্রানীতে পরিনত করেছে...আর সেটা বুঝতে পারলে সেই DNA টা কে অন্য প্রানী/গাছ এর মধ্যে বায়োইন্জিনিয়ার করে তাদের কে ও এমন রিজিলিয়েন্ট প্রানীতে পরিনত করা।
এটা সবাই জানত যে যেহেতু তারা রেডিয়েশনের দ্বারা DNA এর যে ক্ষতি হয় তাকে তারা রিপেয়ার করতে পারে- তাহলে DNA এর সাথে বাইন্ড করা কোন প্রোটিন এই কাজ টা করবে।
গতকাল জাপানিজ সাইন্টিস্টরা সেই প্রোটিন টাকেই আইডেন্টিফাই করে বিশ্বখ্যাত নেচার সাময়িকতে পেপার পাবলিশ করেছে... অভিনন্দন রইল তাদের এই যুগান্তকারী আবিস্কারের জন্য।
Tardigrade protein helps human DNA withstand radiation
জাপানিজ সাইন্টিস্টরা DNA সাথে যে সব প্রোটিন বাইন্ড করে, তার সব গুলিকে আইডেন্টিফাই করে আইসোলেট করেছিল। এর মাঝে এর পুরো জিনোম টাকে ও সিকোয়েন্স করে ফেলে। DNA এর সাথে বাইন্ড করা সব প্রোটিন গুলির জিন সিকোয়েন্স একটা একটা করে মানুষের সেল কালচারে প্রবেশ করানো হয় এবং ভিন্ন ভিন্ন ভাবে উচ্চ মাত্রার এক্সরে রেডিয়েশন দেওয়া হয়। সব সেল কালচার নস্ট হয়ে গেলেও , Tardigrade এর Dsup gene sequence প্রবেশ করানো সেল দিব্য বেচে থাকল। এই জিনটা (Dsup) কে নিয়ে বিশ্ব জুড়ে এখন হইচই....আর বেশীদিন লাগবে না...গাছের মধ্যে এই জিনটা কে ঢুকিয়ে অন্য গ্রহে রেডিয়েশনের মাঝেই গ্রো করানোর চেস্টা হতে পারে। আপনার সান স্কৃিনের ক্রীমের সাথে এই প্রোটিনটাকে মেশানো হতে পারে...ক্যানসারের রেডিয়েশনের থেরাপীর সময় অন্য সেল গুলিকে রক্ষা করতে এই প্রোটিনকে ইউজ করা হতে পারে...।এর এপ্লিকেশন এন্ডলেস....
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪
কলাবাগান১ বলেছেন: 'Hybrid' between bear and caterpillar
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭
কলাবাগান১ বলেছেন: The biggest adults may reach a body length of 1.5 mm (0.059 in), the smallest below 0.1 mm
২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৫
একটি পেন্সিল বলেছেন: খুবই মজার ++++
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯
কলাবাগান১ বলেছেন: মজার না.... এটা ই সাইন্স.... বিজ্ঞান ই সকল অগ্রযাত্রার পথিক। এর মাঝে কোন কুদরতি ব্যাপার নাই!!!!
৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৮
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
১০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস ফুটন্ত পানিতেও মরে না। আবার, -৪৬০ ডিগ্রীর মত শীতল অবস্থায়ও মরে না।
আসলেই তো অদ্ভুত অ্যালিয়েনের মত মনে হচ্ছে।
বাকি তথ্যগুলোও তো বেশ অদ্ভুত। কোন অ্যালিয়েনের পোষা প্রাণী নাকি? ভুলে পৃথিবীতে ফালাইয়া রাইখা গেছে?
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯
কলাবাগান১ বলেছেন: নাসার এই ওয়েব সাইট টা দেখুন
http://apod.nasa.gov/apod/ap130306.html
৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৭
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: প্রাণীটাকে দেখতে সত্যিই অদ্ভুত লাগতেছে।তথ্যগুলাও অবিশ্বাস্য, মনে হয় যেন এলিয়েনের একটা অংশ
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২২
কলাবাগান১ বলেছেন: কিন্তু পুরাটাই সত্যি
৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: যদি তাই হয় তো ভালই হবে।
ছবি দেখে ভেবেছিলাম কোন প্রাণিকে পোষাক পড়িয়ে রেখেছে। কিন্তু বিস্তারিত পড়ে অবাক হয়েছি। খাদ্য ছাড়া প্রাণ কেমনে বাঁচে!
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৮
কলাবাগান১ বলেছেন: খাদ্য এর সঠিক ডেফিনেশন টা জানতে হবে..
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩১
শায়মা বলেছেন: স্টাফি টয়ের মত লাগছে ছবিতে। মনেই হয় না এরা জ্যান্ত কিছু।
কিন্তু বর্ণনা পড়ে আমি তো অবাক।