নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ফিজিক্সের লোক না.......আশা করছি পাঠকের কাছ থেকে ভালো আলোচনা আসবে.......উদাসী স্বপ্ন ভাই এর কমেন্ট আশা করছি...।
China's answer to Einstein
গত সপ্তাহে চীন যে সাইন্টেফিক রেজাল্ট প্রকাশ করেছে, তা আইন্সটাইনের ১৯৩৫ সনের বিখ্যাত EPR (Einstein–Podolsky–Rosen paradox) পেপার এর মূল ফাইন্ডিং কে খুব বড় ভাবে 'খন্ডন' করেছে....যদিও এটাই প্রথম না কিন্তু এই রেজাল্ট আইন্সটাইনের বিখ্যাত রেলিটিভিটি ত্বত্ত আর কোয়ান্টাম মেকানিস্কের (বোর আর হাইজেনবার্গ এর) মাঝে যে 'দ্বন্ধ' চলে আসছিল, কোয়ান্টাম মেকানিস্ক ই যে কারেক্ট সেটা প্রমান করছে। এটা যে কত বড় ব্যাপার সেটা সারা বিশ্বের ফিজিক্স বিজ্ঞানীদের মাঝে হইচই দেখেই বুঝা যায়। .....মিডিয়াও এই সাইন্টিফিক ফিটের কথা ফলাও ভাবে প্রকাশ করছে। কিন্তু এটা চীন কিভাবে করল!!!!! কেন আমেরিকা না.... কেন ইউরোপ না.......আস্তে আস্তে পুরো পৃথিবীর বিজ্ঞান/টেকনোলজি কি চীন ই লিড দিবে???
এই রেজাল্ট কোয়ান্টাম ইন্টারনেট কে অনেক কাছে নিয়ে এসেছে যার গতি হবে আলোর গতির চেয়েও বেশী যেটা আইন্সটাইনের তত্ত্বের মতে সম্ভব না (nothing can travel faster than light)। এখনও মংগল গ্রহ থেকে কোন ছবি/ইনফরমেশন আসতে যেতে ৮-১০ মিনিট লাগে কিন্তু এই রেজাল্ট বলছে যে থিয়োরিটিক্যালি ইনফরমেশন আদান প্রদান হবে ইনস্টেনসিয়াসলি (instantaneously).... আর কেউ হ্যাক করতে পারবে না কোন সিক্রেট কমিনিকিউশন কে..কেননা ফোটন entanglement এর কোড দিয়ে সিক্রেট কমিনিউকেশন হবে। এই কোড কেউ সিক্রেটলি হ্যাক করেছে কিনা তা বুঝা যাবে সাথে সাথে.......কিভাবে?
কোয়ান্টাম মেকানিস্ক এর বিখ্যাত তত্ত্ব- কোয়ান্টাম entanglement ইজ bizarre. আলোক কনিকার entanglement এর উদাহরন দেওয়া যাক... এই মতে আলোক কনিকা (ফোটন) কে বিশেষ ক্রিস্টাল এর মাঝে দিয়ে প্রবাহিত করে split করে entangled pair of photon তৈরী করা যায় .....এই দুইটা ফোটনের বৈশিস্ট হল যে একটা যদি ডান দিকে ঘুরে আরেক টা অবশ্যই বাম দিকে ঘুরবে...এখন এই photon pair এর একটা যদি বেইজিং এ ডিটেক্ট করা হয় আর আরেক টা ১২০০ মাইল দুরে আরেকটা ডিটেক্টরে ধরা হয়। তাহলে শুধু বেইজিং এর ফোটন টার ঘুরা টা (বাম অথবা ডান দিকে) দেখেই instantly আপনি বলতে পারবেন ১২০০ মাইল দুরের ফোটন টা কোন দিকে ঘুরছে। ১২০০ মাইল দুরের ইনফরমেশন আপনি সেখানে না গিয়েই না দেখেই বলতে পারছেন। The information has moved instantly (faster than light- Einstein's Theory of Relativity breaks)। আর চাইনিজ রা স্যটেলাইট থেকে ফোটন পেয়ার কে ১২০০ মাইল সেপারেটেড ডিটেক্টরে ডিটেক্ট করতে পেরেছে যেটা এখন পর্যন্ত্য শুধু অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে ৬০-৭০ কিমি পর্যন্ত্য করা গিয়েছিল।
সোজা করে বললে ..হাতের গ্লাভস দুইটার এর একটা আপনি প্যারিসে রাখলেন আর আরেক টা ঢাকায়। প্যারিসের টা যদি বাম হাতের গ্লাভস হয় আপনি instantly বলতে পারছেন যে ঢাকার গ্লাভস টা ডান হাতের। ইনফরমেশন ট্রান্সমিট হল আলোর গতির চেয়েই বেশী!!!!!!!!!! এটা অনেক সিম্পল উদাহরন...এর বিরূদ্ধে ও অনেক খন্ডন করা হয়েছে কিন্তু entanglement বুঝার জন্য এর থেকে সহজ কোন উপায় নাই..এর সব শুরু বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্রোডিংগার এর ক্যাট থট এক্সপেরিমেন্ট এর দ্বারা..ইউ টিউবে অনেক ভিডিও আছে স্রোডিংগার এর ক্যাট থট এক্সপেরিমেন্ট এর উপর।
Quantum Entanglement on YouTube
LA Times News on Chinese Achievement
Sorry that I could not explain it better way as Quantum mechanics is still a 'difficult' subject even for physics people.
১৮ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০
কলাবাগান১ বলেছেন: একদিন এই আবিস্কারের ফলে টেলিপোর্টেশন সম্ভব হবে।
১৯ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:০২
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনি যদি ওয়ার্ম হোলের কথা চিন্তা করে অতীতে ভ্রমনের কথা বলে থাকেন তাহলে ঠিক আছে ....।এই আবিস্কার কোন বস্তুর আলোর চেয়ে বেশী গতি চলা কে ডিটেক্ট করে নাই....।ইনফরমেশন আলোর গতির চেয়ে বেশী গতিতে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পাঠানো হয়েছে।
২| ১৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আরো বিস্তৃত বিবরণ না পড়লে বুঝা যাবে না, চীনারা নতুন কি যোগ করলো! আইনস্টাইনের ধারণাকে পোষণ করে মানুষ আজ অবধি আলোর গতিকে সর্বোচ্চ গতি হিসেবে হিসেব করছে; এর থেকে বেশী গতিসম্পন্ন পার্টিকেল থাকলে, সেটা সম্পুরক হিসেবে আইনস্টাইনের থিওরীকে প্রসারিত করবে; মুল ফরমুলাগুলো একই থাকছে, গতি বদলানোর কারণে "আউটপুট" বদলে যাবে।
১৮ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯
কলাবাগান১ বলেছেন: এটা আলোর চেয়ে গতিসম্পন্ন পার্টিকেল আবিস্কার না......। এটা বোর আর হাইজেনবার্গের কোয়ান্টাম মেকানিস্কের থিয়োরি এর প্রিডিকশান অনুযায়ী ইউনিভার্স যে 'রিয়েল' না সেটা কেই প্রতিস্টিত করার দিকে আগিয়ে নিবে। একটা জিনিস বাস্তব হয় যখনই আপনি তাকে মেজার করার জন্য অবযার্ব করবেন। আইনস্টাইন তার বাকী জীবন কোয়ান্টাম মেকানিস্ক যে অসম্পুর্ন তত্ত্ব এবং এই থিয়োরী যে উনার রিলেটিভিটি তত্ত্বের সাথে সাংঘর্ষিক সেটা কাটিয়ে উঠার জন্য একটা কম্প্রহেনসিভ তত্ত্ব বের করার জন্য উনার মত্যৃর আগ পর্যন্ত্য চেস্টা চালিয়েছিলেন কিন্তু তিনি পারেননি। একটা ভুল ধারনা নিয়েই তিনি মত্যৃ বরন করেন। এই আবিস্কার উনি যে ভুল ছিলেন তা খুব বড় ভাবে প্রতিস্টিত করল।
আরো পড়ার জন্য আপনাকে যে লিং গুলি দিয়েছে পড়ে দেখুন কেমন যুগান্তরী আবিস্কার ...হয়ত একদিন এই আবিস্কারের ফলে টেলিপোর্টেশন ও সম্ভব হবে।
৩| ১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো ব্যাপারটা জেনে। আমি এই বিষয়ে কিছুই জানিনা। তবে নতুন কিছু জানতে পারলাম পোষ্ট পড়ে, ভালো লাগলো। অবাক করা ঘটনা হতে যাচ্ছে তবে।
১৮ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১
কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ১৮ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: "কেন আমেরিকা না.... কেন ইউরোপ না.......আস্তে আস্তে পুরো পৃথিবীর বিজ্ঞান/টেকনোলজি কি চীন ই লিড দিবে???"
এটাইতো মনে হয় সত্যি হতে যাচ্ছে..............। গ্যালারীতে বসলাম, দেখি আলোচনাটা আরও জম্পেস হোক............
১৮ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০০
কলাবাগান১ বলেছেন: ইউরোপ আমেরিকা ব্যস্ত যুদ্ধ করতে আর চীনারা ব্যস্ত টাকা আয়ে.... আর এই টাকা দিয়ে জ্ঞানে বিজ্ঞানে এগিয়ে যেতে
৫| ১৮ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯
নতুন বলেছেন: পড়তে হবে এই বিষয়টা নিয়ে...
১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:২৮
কলাবাগান১ বলেছেন: পড়ার পর মন্তব্য করতে ভুলবেন না
৬| ১৮ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
"পদার্থের টেলিপোর্রটেশন" একটা প্রচলিত ফিকশান।
১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:১৮
কলাবাগান১ বলেছেন: ফিকশান থেকে আবার রিয়ালিটি তৈরী হয়
৭| ১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:২৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ গুরুত্বপুর্ণ একটি বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরার জন্য । আমি উৎসাহ দিব এ ধরনের আরো বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার জন্য । কি কারণে entanglement ঘটে তার পরিস্কার ব্যখ্যা বিজ্ঞানীরা এখনো দিতে পারেন নি বলেই জানা গেল । তবে চায়নীজ বিজ্ঞানীরা আইনস্টাইনের মুল বিষয়টিকে পুরাপুরি অনুধাবনে নিয়ে Quantum computing এ বিস্ময়করভাবে বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়েছেন তাতে কোন সন্দেহ নাই ।
একটা বিষয় পরিস্কার যে অন্যান্য দেশ যখন বিজ্ঞানের নব আবিস্কারে মগ্ন সেখানে আমিরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার কংগ্রেসম্যনেরা scientific developments কে পুর্ণ গতিতে পিছনের দিকে টেনে নিয়ে পৃথিবী ধ্বংস যজ্ঞের জন্য মারনাস্র তৈরীতে বেশ মেতে উঠেছে । অপরদিকে ট্রাম্প প্রসাসন বৈজ্ঞানিক গবেষনার জন্য যেখানে বাজেট কর্তন করছে চীন সেখানে এই খাতে বাজেট বরাদ্ধ বৃদ্ধি করে চলেছে দারুন ভাবে ।
Quantum mechanics বিজ্ঞানের জন্য একটা বিরাট অগ্রগতি তাতে কোন সন্দেহ নেই , তবে এটার কোন military application আছে কিনা সেটাও এখন একটা বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে ।
একটি বিষয় মনে হচ্ছে চায়নার সাথে আমিরিকার প্রযুত্তি যুদ্ধ আসন্ন প্রায় , এবং এ ক্ষেত্রে it will be harder for United States to decry-pt their communications। এছাড়া আরো একটি গুরুত্বপুর্ণ দিক হল বিষয়টি নিয়ে মার্কিন মিডিয়ায় যেভাবে ফলাও করে সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে তাতে করে ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য হতে পারে time to invest in some anti-satellite missiles rather than scientific development for human security and welfare!!!!
১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১:৫১
কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ আলি আপনার সুচিন্তিত বিশদ মন্তব্যের জন্য......।আমেরিকার বিজ্ঞানীদের মধ্যে এমন হইচই উঠেছে সেটা ট্রাম্পকে বুঝানোর জন্য ই যে যেটা আমেরিকার করার কথা সেটা সঠিক পলিসি দিয়ে চীন করছে।
এই প্রজেক্টের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অস্ট্রিয়াতে পিএইচডি করার সময়ই এই বিষয় নিজে কাজ করেন। তার প্রফেসর ইউরোপিয়ান স্পেস সেন্টার কে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের জন্য প্রোপোজাল জমা দেয় আর ছাত্র চীনের কাছে প্রপোজাল জমা দেয় একই কাজের জন্য। যেখানে ইউরোপিয়ান স্পেস সেন্টার কোন পদক্ষেপই নেয় নাই সেখানে চীন তড়িঘড়ি করে গত বছর এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করে এখন প্রফেসর ছাত্রের প্রজেক্টে সহকারী হিসাবে কোলাবরেট করছে।
১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ২:২৩
কলাবাগান১ বলেছেন: এই ধারনাও অমুলুক না....যে আমেরিকা অলরেডি এর চেয়েও বেশী এগিয়ে আছে এই কোয়ান্টাম কমিনিকিউশনে.....মিলিটারী এপ্লিকেশন থাকাতে তারা সেটা সিক্রেট রেখে দিতে চাচ্ছে....কয়েক বছর আগেও লস এলামস ল্যাব থেকে অনেক পেপার পাবলিশ হত এই বিষয়ের উপর কিন্তু হঠাৎ করেই আমেরিকার সরকারী ল্যাবের এই বিষয়ের বিজ্ঞানীরা অনেক দিন ধরেই কোন পাবলিকেশন করছেন না।
৮| ১৯ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৫:৪০
রিফাত হোসেন বলেছেন: লেখক বলেছেন: একদিন এই আবিস্কারের ফলে টেলিপোর্টেশন সম্ভব হবে।
যাক, বিজ্ঞান এক ধাপ এগিয়ে গেল। আরেক ধাপের অপেক্ষায় আছি...
ওয়ার্ম হোল, অতীতের ভ্রমণেন ব্যাপারে যা বলেছেন, তখন কি আরেকটি ডাইমেনশনে আসবে না ব্যাপারটা? তখন যদি কিছু পরিবর্তন করতে চাই তাহলে নিশ্চয়ই আমার বতর্মান মাত্রাতে ফিরতে আসলে ভিন্ন নিশ্চয়ই পাব না। ঐ পরিবর্তন শুধু ঐ জগতের জন্য প্রযোজ্য হবে, তাই নয় কি?
লেখক বলেছেন: ফিকশান থেকে আবার রিয়ালিটি তৈরী হয়।
এই কথাও মনে ধরেছে।
এই বিষয়ে আগ্রহ, তাই সামান্য আলোচনা আর কি।
১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৫১
কলাবাগান১ বলেছেন: "ওয়ার্ম হোল, অতীতের ভ্রমণেন ব্যাপারে যা বলেছেন, তখন কি আরেকটি ডাইমেনশনে আসবে না ব্যাপারটা? তখন যদি কিছু পরিবর্তন করতে চাই তাহলে নিশ্চয়ই আমার বতর্মান মাত্রাতে ফিরতে আসলে ভিন্ন নিশ্চয়ই পাব না। ঐ পরিবর্তন শুধু ঐ জগতের জন্য প্রযোজ্য হবে, তাই নয় কি?"
According to the parallel universe approach to the grandfather paradox, this is correct but it will not be a genuine "time travel" as your current universe will not change by your act.
There are many other theories that counter against the time travel to the past. if you go back time to kill your grandfather so that your own existence will never be a reality......the very act of killing your grandfather removes the need in the present to go back in time to kill your grandfather!!!
পড়ালেখা কেমন চলছে...... এখন তো সামার ভেকেশন.....।
৯| ১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: কলাবাগান১ ,
পাঠকদের কাছ থেকে ভালো আলোচনার আশা করেছেন । নিদেন পক্ষে কোয়ান্টাম মেকানিক্স আর পার্টিকেল ফিজিক্সে জ্ঞান রাখেন এমন পাঠকই তা দিতে পারবেন ভালো । কারন বিষয়টি প্রচন্ড রকমের জটিল । আমার মতো বকলমের পক্ষে এমন বৈজ্ঞানিক আলোচনা “মোল্লার দৌঁড় মসজিদ পর্যন্ত” এর মতো হবে ।
শিরোনামে “চীনের কাছে আইন্সটাইনের 'পরাজয়….“ বলাটা ঠিক হবে কি ?
বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন সাইটে গেলে দেখতে পাবেন শত বিজ্ঞানীদের নিজেদের মধ্যে তথ্য ও তত্ত্ব নিয়ে বাহাসের শেষ নেই ।একজন যদি আরেকজনের মতামতকে বেঠিক বলেন, তাতে যাকে বেঠিক বলা হলো তিনি পরাজিত হন না । কারন, যিনি বেঠিক বলেছেন তার দেয়া তত্ত্ব ও তথ্য প্রমান সাপেক্ষ ব্যাপার । বিজ্ঞানীদের জগতে এটা হরহামেশাই ঘটছে । মহাবিশ্ব স্পেস টাইমে বক্র না সমতল , এ নিয়েও তর্কের শেষ নেই ।
যাই হোক আমার বক্তব্যটি এই রেশ ধরেই ।
কোয়ান্টাম মেকানিক্স ই যে কারেক্ট সেটা এখনও প্রমানিত নয় । শ্রোডিংগারের বেড়ালের মতোই রহস্যময় । তবে কোয়ান্টাম মেকানিক্স নয়, কোয়ান্টাম ইন্টারনেট হয়তো সম্ভাবনাময় । কারন বিশেষজ্ঞরা ধারনা করছেন , চীনের বিজ্ঞানীদের এই কোয়ান্টাম ইন্টারনেট সফলতার ফল পেতে আমাদেরকে আরো একটা যুগ অপেক্ষা করতে হবে ।
কোয়ান্টাম ইন্টারনেট কে অনেক কাছে নিয়ে এসেছে যার গতি হবে আলোর গতির চেয়েও বেশী যেটা আইন্সটাইনের তত্ত্বের মতে সম্ভব না ।
এটা নিয়ে একটু বলি । আলো কি ? ফোটন কণা । ফোটন একটি এলিমেন্টারী পার্টিকেল । কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই জানেন , ফোটনের চেয়েও দ্রুতগতি সম্পন্ন কণার কথা বলা হয়েছিলো “নিউট্রিনো” কে । ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ ( CERN ) ২০১১ সালে OPERA experiment নামের পরীক্ষায় তাদের লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার নামের পার্টিকেল এক্সিলারেটরে যে পার্টিকেল এক্সিলারেট করছিলেন তাতে নিউট্রিনোকে দেখা গিয়েছিলো আলোর চেয়ে দ্রুত চলতে । কিন্তু এই ফলাফল এসেছিলো কিছু ভুলের কারনে । ভুলের কারনগুলো না হয় নাইবা বললুম কিন্তু যেটা বলতে চাই সেটা হলো, এরকমের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার অনেক ফলাফলই প্রথমে একরকম থাকে পরে বাতিল হয়ে যায় বা সংশোধিত হয়। যেহেতু মানুষের জ্ঞান এখনও সীমিত তাই বৈজ্ঞানিক অনেক কিছুর সত্যটা জানতে আমাদের কে অপেক্ষা করতে হবে আরও অনেক অনেক কাল অবধি।
ফোটনের ( আলোর ) চেয়ে দ্রুতগতির কিছু নেই আইনেষ্টাইনের এই কথা ত্বাত্তিক ভাবে এখনও বহাল আছে বলে আমার ধারনা। কোয়ান্টাম ইন্টারনেট যে আলোর চেয়ে দ্রুত সেখানে কিন্তু “কোয়ান্টাম” কোনও পার্টিকেল নয় । ম্যাক্স প্লাঙ্ক কোয়ান্টামকে সংজ্ঞায়িত করেছেন কোন বস্তুর (কণা) ভৌত গুনাবলীর (physical property ) সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম আলাদা একক, এই বলে । যেমন বস্তুর অন্তর্নিহিত শক্তি । অর্থাৎ কোনও কনাকে যদি “বিশেষ্য” হিসেবে ধরি তবে কোয়ান্টাম হলো তার “ বিশেষণ” । তাই আমরা ফোটন বা আলোর কণাকে বলতে পারি , “আ সিঙ্গেল কোয়ান্টাম অব লাইট” । আবার তাকে ইলেক্টোম্যাগনেটিক শক্তির কোয়ান্টাম ও বলা যাবে ।
তাই মনে হয় কোয়ান্টাম গতিবেগকে পার্টিকেল গতিবেগের ( আলো ) সাথে তুলনা করা ঠিক হবেনা । যেমন আপনার শরীর দৌঁড়ায় ঘন্টায় ৮ মাইল আর আপনার শরীরের ভেতরে থাকা “মন”টা তো সেকেন্ডেই তেত্রিশ গ্যালাক্সি পেড়িয়ে যায় । শরীরের সাথে মনের এই গতির তুলনা চলবে কি ? অথচ দু’টো জিনিষই একই বস্তুতে বিদ্যমান ।
তত্ত্বগুলো আগের মতোই আছে পরাজিত হয়নি নতুন কোনও আবিষ্কারের কাছে । চীনের বিজ্ঞানীরা কোয়ান্টাম “সুপারপজিশান” করেছেন মাত্র। এটা একধরনের এনট্যাঙ্গেলমেন্ট ( যেটা আপনিও বলেছেন ) যা আবার তারা করেছেন ইলেকট্রন আর ফোটন পার্টিকেলের সাথে । এই এনট্যাঙ্গেলমেন্টের কারনেই একই পার্টিকেলের কোয়ান্টাম প্রোপার্টিজগুলো শ্রোডিঙ্গারের বেড়ালের মতো একই সাথে জীবিত বা মৃত অবস্থায় থাকে। অর্থাৎ কোয়ান্টাম প্রোপার্টিজগুলো একই সাথে বিভিন্ন অবস্থায় থাকতে পারে । কোয়ান্টাম মেকানিক্সে পদার্থের ভৌত ( ফিজিক্যাল ) চরিত্রকে পদার্থের মলিক্যিউলার, এ্যাটোমিক আর সাব-এ্যাটোমিক স্তরে ব্যাখ্যা করা হয় ।
যেহেতু শুধু “কোয়ান্টাম” ভৌত গুনাবলীর আলাদা একক এবং একই সাথে তা বিভিন্ন জায়গাতে থাকতে পারে তাই আইনেষ্টাইনও এধরনের থিওরীটিক্যাল ফলাফলকে অপ্রত্যাশিত বা প্রচলিত ধারনার বাইরের বলেই ঠাট্টা করে বলেছিলেন -- “ স্পুকি এ্যাকশান এ্যাট আ ডিসট্যান্স ” । অস্বীকার করেন নি । চীনের বিজ্ঞানীরা এই কোয়ান্টাম প্রোপার্টিজগুলোকেই বাস্তবে প্রমান করেছেন মাত্র । এটা মৌলিক কোনও আবিষ্কার না হয়ে আমার মনে হয়, কোয়ান্টাম তত্ত্বের প্রযুক্তিগত প্রয়োগে তারা সফল হয়েছেন যা আগে কেউ পারেন নি , এমনটা বলাই সঙ্গত। নিঃসন্দেহে এই সফলতা অনেক কিছুকেই সহজ করে দেবে ।
যদিও ওখানেও প্রশ্ন (?) আছে ।
চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিসিষ্ট জিয়ান উই প্যান সম্প্রতি যে পরীক্ষাগুলো করেছেন তাতে প্রথম পরীক্ষায় ভূমি থেকে “মিসিয়াস” স্যাটেলাইটে রাখা একটি আলোক পরিবর্তনকারী ক্রিষ্টালে লেজার বীম প্রক্ষেপন করা হয় । ক্রিষ্টালটি তখন একজোড়া ফোটনকে এনট্যাঙ্গেলড অবস্থায় নিঃসরণ করে এমন ভাবে যাতে একটাকে মেপে দেখতে গেলে অন্যটিকে বিপরীত পোলারাইজেশান অবস্থায় পাওয়া গেল । এই জোড়াটিকে ভেঙে ফোটনগুলিকে প্যানের দল ১২০০ কিলোমিটার দূরের দু’টি আলাদা রিসিভিং ষ্টেশনে পাঠান যেখানে দু’টি স্থানে একই সাথে দুই বিপরীত মেরুর ফোটনকে আলাদা আলাদা ভাবে রিসিভ করা হয়। এখানেই তাদের সাফল্য । আইনেষ্টাইনের স্পুকি ( ভৌতিক ) এ্যাকশান কে তারা সত্যে পরিনত করে ছেড়েছেন । অবশ্য এ জন্যে চীনা বিজ্ঞানীদের ১০০০ ফোটন জোড়া মেপে দেখতে হয় । সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফিজিসিষ্ট আলেক্সান্দর লিং এই পরীক্ষাটি সম্পর্কে বলেছেন , ব্যাপারটি নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক কিন্তু এ জন্যে জিয়ান উই প্যানের দলকে একটি ফোটন কনাকে ধরার জন্যে প্রতিবার স্যাটেলাইট থেকে ৬ মিলিয়ন ফোটন পাঠাতে হয়েছে । এটা বাস্তবে কোয়ান্টাম কমিউনিকেশানের জন্যে সুদূরের পথ ।
এই অতীব জটিল বিষয়ে আর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই তাই শেষমেশ এটা বলি, নিজের বিদ্যাবুদ্ধিতে এটুকু আলোচনায় আনলুম । হয়তো অনেকেই দ্বিমত করবেন । করলে আমারও কিছু শেখা হবে । পাশাপাশি এটাও বলি , আমেরিকার তাত্ত্বিক ফিজিসিষ্ট রিচার্ড ফেইনম্যান কোয়ান্টাম থিওরী সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন , কোনও একটি “সিস্টেম” এর পেছনে শুধুমাত্র একটিই ইতিহাস থাকেনা , থাকে সম্ভাব্য সকল ইতিহাস । ইতিহাস আমাদের তৈরী করেনা বরং আমরা আমাদের পর্যবেক্ষন দিয়েই ইতিহাস তৈরী করি ।
তাই আমাদের পর্যবেক্ষন, পরীক্ষন, নিরীক্ষন, অনুধাবনে পার্থক্য থাকবেই ।
২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৩৩
কলাবাগান১ বলেছেন: লেখক বলেছেন: " কারন বিষয়টি প্রচন্ড রকমের জটিল । "
আপনার দৌঁড় মসজিদ পর্যন্ত আর আমার দৌঁড় ঘরের ভিতর পর্যন্ত
আপনার কথা সঠিক যে টাইটেলে পরাজয় শব্দ টা সঠিক নয় ...শব্দটা কোটেশনের মধ্যে রেখেছি শুধু মাত্র আবিস্কার টাকে ড্রামাটাইজেশন এর জন্য... এখানে কেউ পরাজিত নন...আইন্সটাইন এসে নিউটনের গ্রাভিটি থিয়োরীকে সম্পূর্ন ভাবে উল্টায়ে দিলেn....এখন আইন্সটাইনের থিয়োরীকে অন্যরা ''অন্যভাবে' ইন্টারপ্রেট করছে।
আপনার বিশদ মন্তব্য ই পুরা টপিক টাকে অনেক পূর্নতা দিল। ধন্যবাদ
"এরকমের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার অনেক ফলাফলই প্রথমে একরকম থাকে পরে বাতিল হয়ে যায় বা সংশোধিত হয়। "
আমার মতে: এখানে ফোটন এর গতি মাপা হয় নাই...
ইনস্ট্যান্ট ইনফরমেশন রিসিভ করা হয়েছে বলে কমপেয়ার করার জন্য আলোর গতি সাথে তুলনা টা তুলে ধরেছিলাম...... এখানে আলোক কনিকার entanglement ইউজ করা হয়েছে কিন্তু আরো অন্যান্য কনিকার entanglement করে কোয়ান্টাম entanglement এর পরীক্ষা করা হয়
আমি 'পরাজিত' বলতে আপনার কথা টাই বলছিলাম:
আইন্সটাইন ইপিআর পেপারে ই বললেন প্রমান সহ যে কোয়ান্টাম entanglement "স্পুকি এ্যাকশান এ্যাট আ ডিসট্যান্স ” সো এটা সম্ভব নয় সুতারাং কোয়ান্টাম মেকানিস্ক অসম্পূর্ন একটা থিয়োরী...উনি তার শেষ জীবন পযর্ন্ত্য চেস্টা করেছিলেন all encompassing theory এর জন্য কিন্তু হোপ জাগিয়েও পারেন নাই ..কিন্ত চাইনিজ দের মত এরকম অনেক এক্ক্সপেরিমেন্ট দ্বারা দেখানো হয়েছে যে- আইন্সটাইন যখন বলেন যে কোয়ান্টাম মেকানিস্ক একটা অসম্পূর্ন থিয়োরী..কিন্তু অন্যরা দেখালেন যে এটা একটা সম্পূর্ন থিয়োরী (বেল এক্সপেরিমেন্ট)
আইন্সটাইন যখন বলেন যে "God does not play dice" This Chinese experiment and others have shown that
God indeed plays dice................
এটা ও সত্য মাত্র ১২ মিনিট ধরে স্যাটেলাইট টা রাতের বেলায় চায়নার উপর দিয়ে যায়..এই বার মিনিটের প্রতি মিনিটে ৬ মিলিয়ন ফোটন 'জোড়া' পাঠাতে হয়েছে মাত্র এক পেয়ার কে ডিটেক্ট করতে ..খুবই ইনএফিসিয়েন্ট আউটকাম.. দিনের বেলায় হলে তো জীবনে ও ডিটেক্ট করতে পারত না...কিন্ত I, like others, accept the findings as a great "proof of concept"
ধন্যবাদ আবার পোস্ট টাকে সমৃদ্ধ করার জন্য।
১০| ১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪১
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। মানুষ সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কেউ থেমে থাকলে কেউ এগিয়ে যাচ্ছে। আর এভাবেই মানুষের উন্নত ভাবনা সভ্যতাকে এরা উন্নত করবে। কিন্তু জলবায়ুর কি হবে? সে ভাবনা কেউ ভেবে দ্রুত সমস্যা সমাধান করতে পারলে একটা ভীষণ ভালোকাজ হতো।
১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫২
কলাবাগান১ বলেছেন: পৃথিবীতে একটা সাবমেরিন কম থাকলে ও মানব বা নন-মানবজাতির কিছু আসে যায় না কিন্তু একটা (শুধুমাত্র একটা) বৈজ্ঞানিক এক্সপেরিমেন্ট ও যদি ফান্ডের অভাবে কম হয়, তাতে মানব এবং নন-মানবজাতির অনেক ক্ষতি হয়।
১১| ২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৩
তাতিয়ানা পোর্ট বলেছেন: Trump wants to cut funding for science and medical research.
২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৬
কলাবাগান১ বলেছেন: that worries me a lot
১২| ২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: কলাবাগান১
ভালো লাগলো আপনার সুলিখিত ব্যাখ্যাটুকু । লোভ সামলাতে পারছিনে এই পোস্টের জন্যে যোগ্য কিছু বলতে ।
কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গেলমেন্ট এখন প্রমানিত চৈনিক বিজ্ঞানীদের কল্যানে ।এটা নিয়ে কথা নেই আসলে আমি বলতে চাইছি, কসমোলোজি আর এস্ট্রোনমী বিষয়ক সকল সমস্যার “এ্যাবসোলিউট” সমাধান কি আমরা করতে পেরেছি ? এখনও শত সমস্যার, মানে কসমোলোজিক্যাল বা এস্ট্রোনমীক্যাল অনেক অনেক পাজল এর কোন সমাধান মেলেনি । কেউ একক মহাবিশ্বের কথা বলেন , কেউ বা বলেন মাল্টিভার্সের কথা । প্যারালাল বিশ্বের কথাও বাদ যায়না । সৃষ্টির রহস্য নিয়েও আছে মতভেদ । বিগব্যাং এর ব্যাখ্যায় বেশিরভাগই এই মতবাদে বিশ্বাসী যে , এ্যাবসোলিউট সিঙ্গুলারিটি থেকেই মহাবিশ্বের সৃষ্টি যা ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে প্রায় ১৪ বিলিয়ন বছর ধরে । এ্যাস্ট্রোনোমারদের কাছে এমন কোনও যন্ত্র নেই যা দিয়ে পিছন ফিরে তারা দেখতে পারেন কি করে শূণ্য থেকে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হলো । এই বিগব্যাং থিওরী তারা দাঁড় করেছেন ম্যাথেমেটিক্যাল সূত্র আর তার মডেল বানিয়ে বানিয়ে । শেষে আইনষ্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদে দেয়া “কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড” ফেনোমেনন এর সূত্র ধরে তারা এর ‘ইকো” ধারন করে এই বিগব্যাং থিওরীতে পৌঁছেছেন । কিছু সংখ্যক এ্যাস্ট্রোনোমার আছেন যারা আবার এই থিওরী মানতে রাজী নন । তারা বলছেন, মহাবিশ্বের কোনও শুরু বা শেষ নেই । “কন্টিনিউয়াস ক্রিয়েশান অব ম্যাটারস” এর কারনেই বিশ্ব ক্ষুদ্র থেকে প্রসারিত হয়ে চলছে । চলবে ইনফিনিট কাল ধরে । কেউ আবার অসিলেটিং ( কম্পমান) মহাবিশ্বের কথাও বলেন ।
এতোদিন ধরে “কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড” ফেনোমেনন ছিলো একটা হাইপোথিসিস । এই অতি সম্প্রতি তা আর হাইপোথিসিস হয়ে নেই বাস্তবে প্রমানিত হয়েছে । ২০১৭-র ৪ঠা জানুয়ারিতে আমেরিকার ওয়াশিংটনের হ্যানফোর্ড আর লুইজিয়ানার লিভিংস্টোনে বসানো “লাইগো” ডিটেক্টরের চোখে ৩০০ কোটি আলোকবর্ষ আগে দু’টি ব্লাক হোলের মধ্যেকার সংঘর্ষের মহাকর্ষীয় তরঙ্গ ধরা পড়েছে । ধরা পড়েছিলো এর আগেও দু’বার, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর আর ডিসেম্বরে । ২০১৫ সালের ধরা পড়া তরঙ্গ যে-দূরত্বে ব্ল্যাক হোল জোড়াদের সংঘর্ষের জেরে এসেছিলো, ৪ঠা জানুয়ারিতে ধরা পড়া তরঙ্গ এসেছিলো তার দ্বিগুণ দূরত্ব থেকে। যার মানে, বিগ ব্যাং-এর সময়ের আরও অনেকটা কাছাকাছি ওই সংঘর্ষের ঘটনাটা ঘটেছিল ব্রহ্মাণ্ডে। এই ঘটনায় আইনষ্টাইনের মহাকর্ষীয় তরঙ্গ প্রমানিত হলো বটে কিন্তু আগামী দিনে আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদকে যে আরও কঠিন পরীক্ষায় বসতে হবে, তার সম্ভাবনাকে আরও সুনিশ্চিত করে দিয়ে গেলো হয়তো ।
এমনি আছে অসংখ্য প্যারাডক্স । ম্যাটার, এন্টি ম্যাটার , কোয়ার্ক, গ্লুয়ন , টাইম স্পেস র্যা প, ইশ্বর কণা “বোসন” ইত্যাদি ইত্যাদি। আসলে মহাবিশ্বে ছড়িয়ে আছে অগণন রহস্য । মানুষ কোনদিন কি পারবে সব রহস্যের জট খুলতে ? সেই বিদ্যা বা জ্ঞান অর্জন কি মানুষের শেষ হয়েছে নাকি আগামীর মানুষ আরো উন্নত জ্ঞান নিয়ে সৃষ্টি রহস্যের অনেক জটই খুলে ফেলতে সক্ষম হবে ! আশার কথা, মানুষ মাত্র একশো বছরের কিছু বেশি সময় আগে উড়তে শিখেছে । এই একশো বছরের মধ্যেই আজ মানুষ সৌর জগৎ পরিভ্রমন করছে । যদিও সৌরজগৎ বিশ্বব্রহ্মান্ডের তুলনায় সমুদ্র সৈকতের একটা বালুকনা মাত্র ।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের লোক হয়ে আমি শুধু মাত্র ৭০/৮০ কেজি ওজনের একটি মানুষের ১০০ ট্রিলিয়ন কোষের এক একটি কোষে ( যা আবার খালি চোখে দেখা যায়না ) যে সব কান্ডকারখানা ঘটে তাতেই বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ হয়ে যাই । আর এ তো বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ! কি অদ্ভুত আর বিশাল এই সৃষ্ট জগৎ , তাইনা ?
ধন্যবাদান্তে ।
২১ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৭:৫৫
কলাবাগান১ বলেছেন: এক্সিলেন্ট কমেন্ট........পোস্ট টি আরো ইনফরমেশনে প্রান্জল হল।
"এমনি আছে অসংখ্য প্যারাডক্স । ম্যাটার, এন্টি ম্যাটার , কোয়ার্ক, গ্লুয়ন , টাইম স্পেস র্যা প, ইশ্বর কণা “বোসন” ইত্যাদি ইত্যাদি। আসলে মহাবিশ্বে ছড়িয়ে আছে অগণন রহস্য । মানুষ কোনদিন কি পারবে সব রহস্যের জট খুলতে ? "
কিন্তু মানবজাতি যেভাবে আগাচ্ছে..আস্তে আস্তে এসব প্যারাডক্স খুলে যাবে......এক সময় তার বিহীন বিদ্যুত ই ছিল ফিকশান এখন তা রিয়েলিটি....
Science Rules..............
আমি বায়োলজির লোক হয়ে যখন একটা সেলের ডিএনএ /প্রোটিন কে ম্যানিপুলেট করি......তারা সে ভাবে ই কাজ করে। There is no Miracle.....all follow natural laws. It is now time to ignore any miracle based life concept.
১৩| ২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:৫৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: কলাবাগান১ ,
২৫ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:৪৮
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা...ইদের নয়
১৪| ২৭ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:২৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
২৭ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪
কলাবাগান১ বলেছেন: delayed Eid Mubarak to you as well
১৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮
গরল বলেছেন: আলোর গতিতো আসলে ফোটনের গতি, এখানে প্রেরিত ফোটন যে আলোর গতির চেয়ে কম সময়ে ঐ দুরত্বে গৃহীত হয়েছে তা তো আর বলে নাই। আপনার উদাহরণ থেকেই বলি যে ডান হাতের গ্লাভসটা অন্যপ্রান্তে পৌছানর পরেইতো আপনি বুঝবেন যে অন্যটা বাম হাতের। এখানে স্পীডটা মূখ্য না, মুখ্য হচ্ছে ডেটার ইন্টিগ্রিটি। যাই হোক আমি যেটা বুঝেছি সেটাই বললাম, আসলে বোধ হয় কিছুই বুঝি নাই।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:২৮
কলাবাগান১ বলেছেন: স্পীড এর কথা বলা হচ্ছে যে এনটেংগেলমেন্ট দিয়ে 'ইনস্ট্যান্টলি' ইনফরমেশন 'ট্রান্সমিট' হওয়াতে আইনস্টাইনের থিয়োরী কে কিছুটা হলে প্রশ্নের মুখামুখি করছে
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ব্যাপারটা যদি এরকমই হয়, তাহলে মানুষ অতীতে ভ্রমণ করতে পারবে বলে মনে হয়।