নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কলাবাগান১

বিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা দেশপ্রেমের ই অংশ

কলাবাগান১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাঁদ দুরে সরে যাচ্ছে: ধর্মান্ধদের উল্লম্ফন

০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২৫


এ্যাপোলো অভিযানে যখন চাদে যায়, তখন নভোচারীরা চাদের মাঠিতে এই রিফ্লেক্টর রেখে আসে। আর এখন পাওয়ারফুল লেজার লাইটকে এই রিফ্লেক্টর দ্বারা প্রতিফলিত করে, যত সময় লাগে পৃথিবী তে ফিরে আসতে, তা দ্বারা পৃথিবী থেকে চাদের দুরত্ত্ব মাপা হয় একেবারে আনবিক মান অনুসারে (আবার অনেকেই আছেন যে মানুষের চাদে যাওয়া বিশ্বাস করেন না)। এই রিফ্লেক্টর তাদের মুখ বন্ধ করতেই যথেস্ট।

এনিওয়ে বিজ্ঞানীরাএই দুরত্ত্ব মেপে বুঝছেন যে চাদ পৃথিবী থেকে প্রতি বছর ৩ সেমি করে দুরে সরে যাচ্ছে যেটা অনেক প্রাচীন বিজ্ঞানী রা বলে গেছেন (যেমন হ্যালি ~১৬৬৫ সাল)। নিচের ছবিতে লেজার দ্বারা চাদের দুরত্ত্ব মাপা হচ্ছে।

কেন চাদ দুরে সরে যাচ্ছে তা বুঝতে হলে আমাদের জানতে হবে what is Tidal Braking
পৃথিবী তার অক্ষে খুবই দ্রুত ঘুরে (২৪ ঘন্টায়) আর চাদের লাগে ২৯-৩০ দিন পৃথিবী চারদিকে ঘুরতে। এই দ্রুত ঘুরার জন্য চাদের গ্রাভিটি ফোর্স যেটার কারনে জোয়ার/ভাটা ঘটে সেটা Tidal Bulge তৈরী করে। ছবি দুটি দেখুন



চাদের গ্রাভিটি যদিও স্ট্রেইট লাইনে সরাসরি জোয়ার তৈরি করে, কিন্তু পৃথিবীর দ্রুত ঘুর্নন জোয়ার কে চাদের গ্রাভিটি 'লাইনের" থেকে সামনে নিয়ে যায় কিন্তু পৃথিবীর সমুদ্র তলদেশের উচুনীচু ভুমির সাথে ফ্রিকশান এর জন্য পৃথিবীর ঘূর্নন টা স্লো হয়ে যায়। ইন ফ্যাক্ট ৬৪০ মিলিয়ন বছর আগে একদিনে ছিল প্রায় ২২ ঘন্টা (৪০০ দিনে বছর ছিল) আবার কয়েকশ মিলিয়ন বছর পরে একদিনে ২৬ ঘন্টা হবে।

আর এই টাইডাল বাল্জ চাদ কে তার অরবিটে জোরে টান দেয় তাতে তার গতি বৃদ্ধি পেয়ে তার অরবিট থেকে দুরে সরে যাচ্ছে (৩ সেমি: প্রতি বছরে)

বাইবেলে নাকি বলা আছে পৃথিবীর বয়স ৬০০০ বছর কিন্তু বিজ্ঞানী রা বলছে যে ~৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী এবং পরে চাদ তৈরী হয়েছে। বাইবেল 'বিজ্ঞানীরা' রিভার্স এক্সট্রাপ্লোরেশন করে হিসাব করে দেখায় যে ৩ সেমি প্রতি বছর হলে (যেটা তারা জীবনেও জানত না যদি না বিজ্ঞানীরা সেটা ক্যালকুলেট না করত), ১.২ বিলিয়ন (ম্যাক্সিমাম) বছর আগে চাদ আর পৃথিবীর মাঝে কোন দূরত্ত্ব ছিল না..চাদ পৃথিবীর সাথে লেগে ছিল।সুতারাং চাদের বয়স ৪ বিলিয়ন হতে পারে না..তাদের মতে এটা হবে ৬০০০ বছর!!!!!!!!!!!!!!

কিন্তু তারা তো জানে না যে Roche Limit বলে একটা কথা আছে যার মতে (The Roche limit is the minimum distance to which a large satellite can approach its primary body without being torn apart by tidal forces)

চাদ আর পৃথিবী কোনভাবে এক সাথে থাকতে পারবে না..আর তারা চাদ কিভাবে পৃথিবীর সাথে এ্যাস্টোরয়েডের সংঘর্ষে তৈরী হয়েছে তার ক্যালকুলেশন ইগনোর করে যাচ্ছে...আর বাইবেল বিজ্ঞানী রা তাদের ক্যালকুলেশনে বিলিয়ন বিলিয়ন বছর ধরে ৩ সেমি: করে সরে যাচ্ছে এই এজাম্পশান নিয়ে হিসাব করেছেন। ....প্রাচীন পৃথিবীর সাথে এই পৃথিবীর জিয়োগ্রাফি অনেক অনেক ডিফারেন্ট যার জন্য ফ্রিকশান এর পরিমান ও ভিন্ন ছিল সুতারাং ৩ সেমি করে বিলিয়ন বিলিয়ন বছর ধরে হয়ে আসছে যেটা ধরে বাইবেল বিজ্ঞানীরা হিসাব করেছেন সেটা ঠিক না। যখন পৃথিবীর জিয়োগ্রাফি ভিন্ন ছিল, তখন টাইডাল বাল্জ এত বড় হত না, তাই চাদ ও ৩ সেমি করে দুরে সরে যেত না। বর্তমান সময়ে ৩ সেমি করে সরে যাচ্ছে পরে আরো বেড়ে যেতে পারে..

যারা এখনও মনে করেন যে পৃথিবী ৬০০০ বছর পুরানো......তাদের জন্য একটিই জবাব....কার্বন পরমানু মিথ্যা বলে না.....শত সহস্রবার পরীক্ষা করে ও দেখা গিয়েছে কার্বন ডেটিং কিভাবে লক্ষ লক্ষ বছর পুরানো বস্তুর বয়স কে সনাক্ত করতে পারে।

মন্তব্য ৬৯ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৬৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮

কানিজ রিনা বলেছেন: অজানা জানা হোল ধন্যবাদ।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

কলাবাগান১ বলেছেন: আমাদের দেশে ধর্ম নিয়ে ই অনেকে পড়ে আছেন কিন্তু বিজ্ঞান না জানলে দেশ আগাবে না ...

মাথায় পাগড়ি পড়ে অন্তত কেউ যেন আমার দাতের অপারেশন না করে। আমি চাই দাতের ডাক্তার প্রফেশনাল হবেন। উনি যদি মাথায় পাগড়ি বেধেই থাকতে পছন্দ করেন তখন উনার উচিত ইমাম হওয়া ডাক্তার না.....

কথা গুলি অপ্রাসংগিক মনে হবে কিন্তু যাকে উদ্দেশ্য করে বলা সে ঠিক ই বুঝবে

২| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫০

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: যারা এখনও মনে করেন যে পৃথিবী ৬০০০ বছর পুরানো.
এটা একটা খ্রীস্টিয় কল্পকথা। চার্চে শোনানো হয়। যেমন মুসলমান মৌলবীরা মসজিদে জ্বীন আর পরী নিয়ে গল্প শোনান তেমনি।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

কলাবাগান১ বলেছেন: জ্বীন/পরী নিয়ে কত পোস্ট এই ব্লগে...

৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩

শায়মা বলেছেন: চাঁদ এইভাবে সরতে সরতে সরেই গেলে কি হবে ভাইয়া!
আর কি পৃথিবীতে জ্যোস্না হবে না! :(

০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭

কলাবাগান১ বলেছেন: এখন চাদ টাইডালি লকড- তার ২৮ দিন লাগে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে আবার ২৮ দিন লাগে তার নিজের অক্ষে ঘুরতে ..ফলাফল আমরা সব সময় চাদের এক সাইড কে দেখতে পাই।
বিলিয়ন বিলিয়ন বছর পরে পৃথিবী তার অক্ষে ঘুরতে লাগবে ৪৭ দিন (এখন লাগে ২৪ ঘন্টা) আর চাদের ও লাগবে ৪৭ দিন..।লকড...।তখন চাদ শুধু দেখা যাবে পৃথিবীর এক সাইড থেকে......অন্য সাইড চাদ কে দেখতে পারবে না.

কিন্তু তার আগেই আমাদের সুর্য্য 'ফটাস' হয়ে যাবে আর আমরা ও ..'ফটাস'

৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: কলাবাগান১ ,




আগেরটার মতোই বিজ্ঞান বিষয়ক চমৎকার পোস্ট ।
তবে একটু দ্বিধায় পড়ে গেলুম ------
" এনিওয়ে বিজ্ঞানীরাএই দুরত্ত্ব মেপে বুঝছেন যে চাদ পৃথিবী থেকে প্রতি বছর ৩ সেমি করে দুরে সরে যাচ্ছে..........."
বলেছেন ।
অথচ এখানে লিখেছেন ---- প্রাচীন পৃথিবীর সাথে এই পৃথিবীর জিয়োগ্রাফি অনেক অনেক ডিফারেন্ট যার জন্য ফ্রিকশান এর পরিমান ও ভিন্ন ছিল সুতারাং ৩ সেমি করে সব সময়ই সরে যাচ্ছে সে হিসাব ধোপে টিকে না.........

না কি আমার বুঝতে কোথাও ভুল হয়েছে ?

০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:১০

কলাবাগান১ বলেছেন: বিলিয়ন বিলিয়ন বছর আগে ৩ সেমি করে সরে যাচ্ছিল সেটা ঠিক না। বর্তমান মাপে ৩ সেমি করে সরে যাচ্ছে কিন্তু বিলিয়ন বছর পরে তা বাড়তে ও পারে।

বাইবেল বিজ্ঞানী দের ক্যালকুলেশনে ইউনিফর্ম ভাবে ৩ সেমি করে হিসাব করা হয়েছিল।

৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:১০

শায়মা বলেছেন: যাক বাবা ততদিন তো আর আমরা থাকবো না! পৃথিবীর এই রূপ দেখতেও হবে না!

০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:১১

কলাবাগান১ বলেছেন: বড়ই স্বার্থপর চিন্তা!!!!!!!!

৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:১৩

শায়মা বলেছেন: স্বার্থপর কেনো!

পৃথিবীই তো থাকবেনা ! :(

০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:১৫

কলাবাগান১ বলেছেন: পৃথিবীর না থাকার আগের মুহুর্তে তো লোক জন থাকবে..। তাদের জন্য হলেও ......।

৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

শায়মা বলেছেন: :(

৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:২০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: চাঁদ নিয়ে অনেক মিথলজি, গাল/ গল্প আছে। আমাদের দেশে চাঁদের বুড়ি মিথলজি বাঙ্গালির হাজার বছরের ঐতিহ্য! বাইবেলে যেটা লিখা আছে সেটা মনে হয়, অনুরুপ কোন মিথলজি হতে পারে।

আপনার পোষ্টে দুই ধরণের বক্তব্য পাওয়া যায়, যেটা আহমেদ জি এস ভাই উল্লেখ করেছেন।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০

কলাবাগান১ বলেছেন: এডিট করে দিলাম আপনার মন্তব্যের পরে। ধন্যবাদ

০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭

কলাবাগান১ বলেছেন: নতুন থিয়োরী শুনেন নাই...নাসা নাকি চাদে এলিয়েন এর বসবাস আছে জানতে পারার পর থেকে আর চাদে যাচ্ছে না.....
প্রায় ৪০০,০০০ লোক নাসার সাথে জড়িত....তার মধ্যে থেকে কি একজনও ফেমাস হওয়ার জন্য এই দলিল গুলিকে সামনে আনতে পারে না...অবশ্য এমন দলিল যদি থেকে থাকে...।

৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: কলাবাগান১ ,




আলাদা প্যারা করে লিখেছেন বলে এবং সেখানে "বাইবেল" এর কথা উল্লেখ ছিলোনা বলে ঐ প্যারার অর্থ অন্যরকম ভাবে হয়তো আমার কাছে ধরা দিয়েছে ।

প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।

১০| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:২১

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: লেখক বলেছেন: জ্বীন/পরী নিয়ে কত পোস্ট এই ব্লগে...
ভাইয়া, ওটা না মানলে মোল্লারা আপনাকে কাফের ঘোষণা করবে। আপনার লেখা সুন্দর, তবে বিজ্ঞান বোঝে এদেশে কয়জন? অনেক অদ্ভুত প্রশ্ন আসতে দেখছি।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

কলাবাগান১ বলেছেন: Science Rules

১১| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:২৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো জেনে। সুন্দর পোষ্টে কৃতজ্ঞতা।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪

কলাবাগান১ বলেছেন: Thank you

১২| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬

স্বতু সাঁই বলেছেন: এটাও কি বাইবেলের মত কল্পকাহিনী?

০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮

কলাবাগান১ বলেছেন: বিজ্ঞান প্রমান ছাড়া কথা বলে না

১৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার লেগেছে।








ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯

কলাবাগান১ বলেছেন: এটাই নিরন্তর সত্য

১৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১

জীবন সাগর বলেছেন: জটিল বিষয়, ভালো বুঝিয়েছেন। ভালো লাগলো জানতে পেরে।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৮

কলাবাগান১ বলেছেন: প্রাচীন কালে জোয়ার ভাটার উচ্চতা এখানকার চেয়েও কয়েকগুন বেশী ছিল

১৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভালো যে, বাইবেলের লোকেরা কিছু অংক জানেন; আমাদের মাদ্রাসাগুলোতে আরেকটু উঁচু লেভেলের অংক পড়ালে, তারাও চেস্টা করে বুঝতে পারতেন, চাঁদ কখন কোথায়!

০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১

কলাবাগান১ বলেছেন: মাদ্রাসা এখন লাগে না...ডেন্টাল স্কুলে কি শিখায় তা ব্লগ পড়লেই বুঝা যায়

১৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পোষ্ট খুব ভাল লেগেছে।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

কলাবাগান১ বলেছেন: বিজ্ঞানময় জীবন ফুলফিলিং

১৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৯

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সবকিছুতে অন্যদের দোষ খুজতে যাওয়া আপনার একটা অভ্যাসে পরিনত হয়েছে।

চাদ কেন, সবকিছুই দূরে সরে যাচ্ছে। বিশ্ব বাড়ছে। এবং এটা ইসলামের সাথে সংগতিপূর্ন।

And it is We Who have constructed the heaven with might, and verily, it is We Who are steadily expanding it. (Qur'an, 51:47)

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪১

কলাবাগান১ বলেছেন: এখানে রিলেটিভ দুরত্ত্ব এর কথা বলা হচ্ছে...দোষ তো প্রথম বাইবেল বিজ্ঞানী রা খুজে পেয়েছে, আর আপনাকে ও ভাল ভাবে চিনি

১৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫

পারভেজ রশীদ বলেছেন: খুব ত্বত্ত্ব বহুল লেখা।ধন্যবাদ।

১৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: শিরোনাম দেখে ভাবছিলাম, চাঁদের সরে যাওয়ার ব্যাপারে সম্প্রতি আবার কী আবিষ্কার হলো, ধর্মান্ধরা নতুন কী উল্লম্ফন শুরু করলো, আর আপনিই বা কীভাবে বৈজ্ঞানিক যুযুৎসুর প্যাঁচে তাদের ধরাশায়ী করে দিচ্ছেন। বাস্তবে আমরা পেলাম বিক্ষিপ্ত একটি লেখা যাতে প্রচুর বানান ভুল, প্রমিত বাংলা শব্দ থাকা সত্ত্বেও অনেক ইংরেজি শব্দের দৃষ্টিকটু ও পাঠকটু সমাহার এবং কিছু ভুল তথ্য ও যুক্তি, যেমন "তখন টাইডাল বাল্জ এত বড় হত না, তাই চাদ ও ৩ সেমি করে দুরে সরে যেত না। বর্তমান সময়ে ৩ সেমি করে সরে যাচ্ছে পরে আরো বেড়ে যেতে পারে.."। অতীতে চাঁদ যদি পৃথিবীর আরও কাছে থেকে থাকে, জোয়ারের স্ফীতি কী ছোট না বড় হওয়ার কথা, মহাকর্ষ কী বলে?

তবে বাজি মাত করে দিয়েছেন শেষ অনুচ্ছেদে: "শত সহস্রবার পরীক্ষা করে ও দেখা গিয়েছে কার্বন ডেটিং কিভাবে লক্ষ লক্ষ বছর পুরানো বস্তুর বয়স কে সনাক্ত করতে পারে।" ধর্মান্ধদের প্রতিহত করতে গিয়ে তেজস্ক্রিয়তার একেবারে প্রাথমিক ধারণায় গুবলেট করে দিয়েছেন। কার্বনের অর্ধ-জীবন নিয়ে আরেকটু পড়াশোনা করে পোস্টটি গুছিয়ে লিখলে ভালো দেখাবে।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০৯

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার মত বিজ্ঞানীর জন্যই অপেক্ষা করছি... আসল কথায় না এসে কিভাবে একটা সহজ বিষয় কে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায় তা করার জন্য আগডুম বাগডুম খুত ধরে নিন তাহলে আসলে বিষয় থেকে সরে আসবে...আপনার মত লোকেরাই বিশ্বাস করত যে পৃথিবীর চারদিকে সব কিছুই ঘুরে (ইভেন সূর্য্য ও ঘুরে- আবার ইংরেজী শব্দ বাংলায় লিখলাম)। যখন বিজ্ঞানী রা উল্টা দেখালো তখন নাকে ক্ষত দিয়ে রোমান ক্যাথলিক চার্চ সেটা মেনে নিল।

এখানে যদি সহজ ভাষায় না লিখে আমি কার্বন ডেটিং এর অনু/পরমানুর কার্যপ্রনালী/14C/12C ratio ইত্যাদি বুঝাতে যাই তাহলে আসল বিষয় এর মর্ম থাকে না। সবাই মোটামুটি কার্বন ডেটিং এর নাম শুনেছেন কিন্তু সেটা দিয়ে ৫০,০০০ বছর এর পুরানো রক/মেটেরিয়ালস এর বয়স নির্ধারন হয় কিন্তু মিলিয়ন মিলিয়ন বছর পুরানো জিনিসের বয়স মাপার আরো অনেক টেকনিক আছে-Uranium-lead radiometric dating কিন্তু সেটা না বলে পরিচিত কার্বন ডেটিং এর কথা বলা হল।

আপনার আসল উদ্দেশ্য ই হল প্রশ্নবিদ্ধ করা।
কিন্তু সাইন্স রুলস...আবার বাংলায় ইংলিশ লিখলাম

২০| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সব কিছুই সম্প্রসারনশীল, কোন কিছুই স্থির নয়।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১৪

কলাবাগান১ বলেছেন: বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সব কিছুই সম্প্রসারনশীল চাদরের মত যেটা হিন্দু ধর্ম থেকে জিউস/মুসলিম/খ্রস্টান সবাই বলে । চাদর তো সমতল.... কয়দিন পরে আবার না বিশ্বাস করবেন যে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড সমতল না...যেমন আগে বলা হত যে পৃথিবীর চার দিকে সবাই ঘুরে।

এখানে রিলেটিভ দূরত্ত্ব এর কথা বলা হচ্ছে (চাদ আর পৃথিবীর মাঝে)

২১| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৭

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: জ্বি, বুঝতে পারলাম, আপনি প্রশ্ন করাকে ভয় পান এবং প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন আপনার যুক্তি বা পোস্টকে প্রশ্নবিদ্ধ করলে আপনি জ্ঞানের রাজা-উজির শিকার করে থাকেন, এবং আসল কথায় না থেকে আগডুম-বাগডুমে যাওয়ার বিচারের ভার পোস্ট ও মন্তব্যের পাঠকদের উপর ছেড়ে না দিয়ে নিজেই নিয়ে নেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

কলাবাগান১ বলেছেন: আগডুম-বাগডুম প্রশ্ন কে আরম্ভ করেছে সেটা পাঠকদের বিবেচনার উপর ছেড়ে দিলাম

২২| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০৭

মেটাফেজ বলেছেন: X( চান্দের মায়েরে বাপ।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১৪

কলাবাগান১ বলেছেন: খুবই যুক্তিপূর্ন মন্তব্য!!!!!

২৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:২১

নীলপরি বলেছেন: তথ্যপূর্ণ পোষ্ট ভালো লাগলো ।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ।
এর ই প্রভাবে ইন প্রতি একশ বছরে ২৪ ঘন্টা এর সাথে ১/৫০০ সেকেন্ড যোগ করতে হয়....। এক ট্টিলিয়ন বছর পরে (যদি পৃথিবী বেচে থাকে) এক দিন হবে ১০০০ ঘন্টার ও বেশী...

২৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫২

তাতিয়ানা পোর্ট বলেছেন: মাথায় পাগড়ি পড়ে অন্তত কেউ যেন আমার দাতের অপারেশন না করে। আমি চাই দাতের ডাক্তার প্রফেশনাল হবেন। উনি যদি মাথায় পাগড়ি বেধেই থাকতে পছন্দ করেন তখন উনার উচিত ইমাম হওয়া ডাক্তার না.....

This is prejudice.

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০০

কলাবাগান১ বলেছেন: এটা প্রিজুডিস হত না যদি না উনি ডাক্তার হয়ে মেডিক্যাল উপদেশ দিতেন...উনি ব্লগে এসে জ্বীন/ভুত নিয়ে পোস্ট দেন।

২৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০১

তাতিয়ানা পোর্ট বলেছেন: Hahahahaha.

২৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০২

তাতিয়ানা পোর্ট বলেছেন: Jakir Nayek o to bole, "Evolution is just a "theory.""

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

কলাবাগান১ বলেছেন: উনার উচিত আমার এই পোস্ট টা কে পড়া
http://www.somewhereinblog.net/blog/kalabagan1/30173033

২৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মুল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট ।
সময় করে আবর আসতে হবে পড়তে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২৩

কলাবাগান১ বলেছেন: ঠিক তার উল্টা ই ঘটছে মংগল গ্রহের দুটি চাদের ছোট টাকে নিয়ে। ফোবোস নামের চাদ টা মংগল গ্রহের নিজের অক্ষের উপরে ঘুরার সময় এর চাইতে কম সময় এই চাদ মংগল গ্রহ কে পরিভ্রমগন করে তাই এটা এখন মংগল গ্রহের দিকে চলে আসছে।প্রতি একশ বছরে প্রায় দুই কিমি কমে আসছে। ৫০ মিলিয়ন বছর পরে দুরত্ত্ব হবে জিরো। তবে ৫০০০ কিমি দুরে থাকতেই ধ্বংস হয়ে যাবে Roche Limit এর কারনে।

২৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ভালো বিজ্ঞানময় পোস্ট ।

০৩ রা জুলাই, ২০১৭ ভোর ৬:০০

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

২৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একদিন পৃথিবীই থাকবেনা, সত্য।
কিন্তু মানুষ থাকবে।
শনির চাঁদে বা ভিন্ন গ্রহে কিছু হলেও মানব সভ্যতা বেচে থাকবে। থাকতেই হবে।

০৩ রা জুলাই, ২০১৭ ভোর ৬:০১

কলাবাগান১ বলেছেন: আমাদের লাইফ টাইমে হয়ত আমরা অন্যগ্রহে কোন বায়োলজিক্যাল ক্রিয়েচারের সন্ধান পাব।

৩০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:০১

পুলক ঢালী বলেছেন: ভাল বিজ্ঞান ভিত্তিক পোষ্ট। ধরে নিলাম ৬৬ কোটি বৎসর পর ২৬ ঘন্টায় দিন হবে ৭০ বৎসর গড় আয়ু হলে প্রায় ৯কোটি ৪৬ লক্ষ জেনারেশন পর হুম!!! আবার এক ট্রিলিয়ন বৎসর পর প্রায় ৪২ দিনে এক দিন হবে,?? মানুষ এত লম্বা দিন নিয়ে কি করবে!!! অবশ্য সাবজেক্ট টু পৃথিবীর বেঁচে থাকা। পৃথিবী শুনেছি সেকেন্ডে সাড়ে আঠারো মাইল দৌড়ায় চাঁদ কত দৌড়ায় জানতে ইচ্ছা করছে, দুইটির গতি পার্থক্য চুম্বকীয় শক্তির ভারসাম্য নষ্ট করে কোন ঝড় তোলে কিনা? তুললে কি হয়? ঝড় টর্নেডোর সাথে এর কোনো সম্পর্ক আছে কি?(যদিও এগুলো তাপের কারনে তৈরী হয়) :)
প্রতি বৎসর হোক আর বিলিয়ন বৎসর হোক চাঁদের ৩ সেঃমিঃ সরে যাওয়া বাইবেল আলারা কিভাবে জানলো এটা চমকপ্রদ মনে হচ্ছে। আমরা তো কত আল্ট্রা হাই মর্ডান ইকুইপমেন্ট, স্যাটেলাইট, রকেট ব্যবহার করে জানতে পারছি।
কবে জানতে পারবো মানুষ, জীবজন্তু, পাখী, ফলফলাদি, গাছপালা কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে!!!! যতদিন জানতে না পারবো ততদিন ধর্ম পালন করাটা মনে হয় সঠিক।
এমনও তো হতে পারে আমরা কোন এলিয়েনের ল্যাব প্রজেক্টে আছি!!!! ;) :D :)

৩১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

রেজা এম বলেছেন: চমৎকার হেডিং B-) B-) । বুঝলাম আপুনি বই পড়া বিজ্ঞানি :P

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫১

কলাবাগান১ বলেছেন: গুহা থেকে কবে বের হলেন??? আবার ফিরে যান, এসব বুঝা গুহাবাসীদের জন্য সম্ভব নয়।

৩২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: বিজ্ঞানকে বিজ্ঞানের জায়গায় , ধর্মকে ধর্মের জায়গায় রাখুন না ! একটা দিয়া আরেকটা বড় বা ছোট বানানোর কি দরকার ! নাকি ধর্মরে খোঁচা না দিলে পোস্ট হিট হয় না !

@তাতিয়ানা ! পাগড়ি মাথার ডেন্টিস্ট আপনি না গেলেই খুশি হবেন ! উনার চেম্বার যথার্থই ভরপুর থাকে !

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫২

কলাবাগান১ বলেছেন: বাইবেল বিজ্ঞানীরা ই তো বিজ্ঞান কে টেনে নিয়ে আসলেন ধর্মের কাছে। আপনি উল্টা বুঝেছেন

৩৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৪

স্বতু সাঁই বলেছেন: লেখক বলেছেন: বিজ্ঞান প্রমান ছাড়া কথা বলে না

তথ্য কোন প্রমাণযোগ্য উপাত্ত নয়।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১০

কলাবাগান১ বলেছেন: এখানে কোনটা তথ্য?? লেজার দিয়ে চাদের দূরত্ত্ব মাপা কি তথ্য???

৩৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৯

নাজমুস সাকিব অর্ক বলেছেন: উরে জ্বালাতল!

ভাই মহাবিশ্ব যে সম্প্রসারণশীল তা তো কোর'আনেই বলা আছে!

আর বাইবেলও ঐশি গ্রন্থ বলে আমরা বিশ্বাস করি তবে তা পরিবর্তন করা হয়েছে ব্যাপক ভাবে!!


আপনি ডাক্তারের উপর ক্ষ্যাপা কারন যে ধর্মের কাহিনি বলে!!
আরে ভাই ডাক্তার যদি সাহিত্যও বলে আর তা যদি উপযুক্ত হয় তাইলে পড়বেন না ক্যান!


আপনাকেও চেনাই আছে :)

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ২:২৪

কলাবাগান১ বলেছেন: মহাবিশ্ব যে সম্প্রসারণশীল সেটা কোরানের আগেই বাইবেলে/হিন্দু ধর্মে/ ইহুদী ধর্মে বলা হয়েছে কিন্তু তারা তো সেটাকে বলেছে সমতল চাদরের মত!!!
আর এখানে বলা হচ্ছে রিলেটিভ দুরত্ত্ব...আপনাদের বুঝার ক্ষমতা নাই তাই এসব কথা বলছেন। মহাবিশ্ব যে সম্প্রসারণশীল সেটা হলেও মহাকর্ষের টানে যে মংগল গ্রহের চাদ ফোবস তার দুরত্ত্ব কে না বাড়িয়ে ধীরে ধীরে তার গ্রহের দিকে আগিয়ে আসছে যেটা ৫০ মিলিয়ন বছর পরে দুরত্ত্ব জিরো হবে। সেটা কি জানেন?????

আপনাদের মত গুহাবাসীদের মতে সেটা বুঝা সম্ভব নয়।

৩৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২৫

স্বতু সাঁই বলেছেন: লেজার কি আর্মস্ট্রং লাগিয়ে এসেছিলো?

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ২:২৫

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনি লাগিয়েছিলেন মনে হয়

৩৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২৮

তাতিয়ানা পোর্ট বলেছেন: Comment na bujhe lafalafi @টারজান০০০০৭

৩৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫২

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: বিশ্বাসে'র সাথে ধর্ম সম্পর্কিত, আর যু্ক্তি'র সাথে বিজ্ঞান সম্পর্কিত। দুটো'র পথ ভিন্ন, গন্তব্য আলাদা............

০৭ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:০২

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনি কোন গন্তব্যে যাবেন সেটাই কথা। বিজ্ঞানের সাথে যদি ধর্ম মিলাতে চায়, তাহলে পুরা বিজ্ঞান কেই বিশ্বাস করতে হয় খন্ডিত অংশ নয়। জীববিজ্ঞানের মূল বিষয় হল বিবর্তনবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.