নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কলাবাগান১

বিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা দেশপ্রেমের ই অংশ

কলাবাগান১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আশার কথা করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০৭


বিশ্বের প্রায় ২০-৩০ টা কোম্পানী, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষনাগার যে ভাবে গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছে ....হয়ত খুব সহসাই সুখবর আসবে যে মানুষের শরীরের করোনা ভ্যাকসিন পরীক্ষার পর স্ট্রং ইমিউন রেসপন্স পাওয়া গেছে...। ওয়াশিংটন অন্গরাজ্য ভ্যাকসিন গবেষনা সবচেয়ে এগিয়ে আছে..।অলরেডি প্রথম সাইকেলে ইনজেকশন করা হয়েছে, প্রথম সাইকেল এর পর, দ্বিতীয় বার বুস্টার শট দেওয়া হয়েছে গত সপ্তাহে (অবশ্য বুস্টার শট দেওয়াতে আমার একটু সন্দেহ হচ্ছে যে প্রথম সাইকেলে হয়ত এত স্ট্রং রেসপন্স পাওয়া যায় নি যাতে বুস্টার দিতে হচ্ছে অথবা এন্টিবডি তৈরী হচ্ছে কিন্তু স্হিতিশীল না)...তবে আরো অনেক ভ্যাকসিন এ বুস্টার শট লাগে...টিটেনাস প্রতি ১০ বছর পর পর বুস্টার শট দিতে হয়..।
ইফেক্টিভ ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তৈরী করেছে পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীর যেটা একটা স্কিন প্যাচ এর মাধ্যমে দেওয়া হবে...উনারা ইদুরে প্রয়োগ করে সফল হয়েছেন.....আশা করছি ইমার্জেন্সী বিবেচনায় সব ভ্যাকসিন গুলি কম রেগুলেশন এর মাধ্যমে তাড়াতাড়ি অনুমোদন পাবে...
আশার কথা হল করোনা ভ্যাকসিন তৈরী হলে, সেটা তার জিনোম বিন্যাস (single strand plus RNA) এর ফলে, খুব সহজেই মিউটেট হয়ে ভ্যাকসিনকে পরাজিত করতে পারবে না যেটা ফ্লু ভাইরাস করে থাকে যার জন্য প্রতি বছর ফ্লু ভ্যাকসিন নিতে হয় তাতেও ১০০% কাজ করে না..।যেমন এ বছরের ফ্লু ভ্যাকসিন মাত্র ২৮% ইফেক্টিভ...তার কারন ফ্লু ভাইরাস এর জিনোম হল -segmented genome। আট টা ডিফারেন্ট সেগমেন্টে সে তার জিন গুলিকে বিন্যাস করে রাখে....কারো শরীরে যখন দুইটা ফ্লু ভাইরাস ঢুকে, তখন দুজনেই মহা আনন্দে তাদের সেগমেন্ট গুলিকে নিজেদের মধ্যে অদল বদল করে নতুন বিন্যাস নিয়ে বের হয়ে আরেক জন কে এটাক করে তখন সেই ফ্লু ভাইরাস প্রায় সম্পুর্ন ডিফারেন্ট ...হয়ত ভ্যাকসিন বানানো হয়েছিল তার আগের বিন্যাস এর বিরূদ্ধে...নতুন বিন্যাস এর ফ্লুকে ভ্যাকসিন দ্বারা তৈরী এন্টিবডি চিনতেই পারে না....অনেকটা পুলিশ এর কাছএ চোর ধরার জন্য ক্রিমিনালের ছবি আছে কিন্ত ক্রিমিনাল মাথা কামিয়ে, দাড়ি/গোফ, প্লাস্টিক সার্জারী করে নিজের চেহারাই বদলায়ে ফেলল...।পুলিশ আর চোর ধরবে কিভাবে...চিনতেই পারে না!!!!!

কিন্তু করোনা ভাইরাস এর একটা মাত্র সেগমেন্ট জিনোমের....।সো নো অদল বদল...সামান্য কিছু পরিবর্তন হতে পারে তবে সেটা ফ্লু এর মত ব্যাপক না ...তাই একবার ভ্যাকসিন তৈরী হলে..।সেটা দীর্ঘস্হায়ী হবার সম্ভাবনাই বেশি.... করোনা তার চেহারা বদল করতে পারে না ফ্লু ভাইরাসের মত এত ইফিসিয়েন্টলি...
ফ্লু এর জিনোম আকা আছে ৮ টা পাতায়....যখন পাশাপাশি দুইটা ফ্লু ভাইরাস তার জিনোম কপি করতে যায় এই আট পাতা প্রায় mix (assortment) হয়ে নতুন স্ট্রেইন র ফ্লু হয়ে যায় কিন্তু করোনার জিনোম আকা আছে মাত্র একটা পাতায় ...পাশাপাশি দুটা করোনা ভাইরাস থাকলেও পাতায় পাতায় অদল বদল হওয়ার চান্স নাই বললেই চলে....যদিও হয় সেটা হতে হবে খুব সুক্ষ ভাবে ..। এক পাতার অংশ ছি্ড়ে, অন্য পাতাকে ঠিক সেই অংশই ছিড়ে অদল বদল করতে হবে যাতে জোড়া দেওয়ার পর আবার একটা পাতাই হয় আর সেটা হ্ওয়ার কোন সম্ভাবনাই নাই...তাই এক সেগম্যান্টের মাঝে কিছু মিউটেশন হয়ে থাকে কিন্তু সেটা ভ্যাকসিন কে অকার্যকর করতে অপরাগ বহুাংশে.....।
এখানে দেখুন কিভাবে সোয়াইন, বার্ড, মানুষের ফ্লু সেগমেন্ট অদল বদল করে, নতুন প্রজাতির ফ্লু তে পরিনত হল


এর অপজিটে দেখুন করোনার ভিতরে একটা সেগম্যান্টে জিনোম (আরএনএ)

অবশ্য আরেকটা প্রবলেম আছে এখনও...যদি এইডস রোগের ভাইরাস এইচআইভি এর মত মানুষের শরীরে যদি কোন স্ট্রং ইমিউন রেসপন্স না করে, তাহলে এইচআইভি তে যেমন এখনও কোন ভ্যাকসিন বের হয় নাই...করোনার ভ্যাকসিন ও অধরাই রয়ে যাবে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: গত ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন মৃত্যু ২ মোট মৃত্যু ৮, নতুন আক্রান্ত ৯ মোট সুস্থ ৩০, মোট আক্রান্ত ৭০ - স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১৮

রাফা বলেছেন: হোপ ফর দ্যা বেস্ট। ভ্যাকসিন আসতে আরো মিনিমাম এক বছর লাগতে পারে।এটা প্রায় সব গবেষনা স্থান থেকেই বলা হোচ্ছে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৪২

কলাবাগান১ বলেছেন: দেরী হলেই যক্ষার মত সারা জীবন স্হায়ী ভ্যাকসিন ই এই মহামারী থেকে মানব জাতিকে বাচাতে পারে....নাহলে এমন ছোয়াচে রোগে সারা পৃথিবী স্হবির হয়ে যাবে

৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৪৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ভ্যাকসিন সময় নিয়েই আসবে বাজারে। একটি ভুল ভ্যাকসিন করোনাকে আরো শক্তিশালী করে দিবে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৪৪

কলাবাগান১ বলেছেন: ভুল ভ্যাকসিন এখন আর হয় না...তাই বিজ্ঞানীরা শত ভাগ সিওর না হয়ে বাজারে ছাড়বে না....রেগুলেটরি অথোরিটিও নিশ্চিত না হয়ে ছাড়বে না যদিও হয়ত ১-২% কেইসে হয়ত ভুল হয়

৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:২৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বের হলেই বিশ্ব বাঁচে

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৪৪

কলাবাগান১ বলেছেন: তাই...আপনার মন্তব্য তো ছবি দিয়ে হয়!!!!!

৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০৪

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার লেখা।



তবে আমার মনে হয় ম্যাস স্কেলে ভ্যাকসিন প্রয়োগ এত সহজ হবে না। আমার নিজেরও সন্দেহ আছে এইচআইভি ভাইরাসের মতো এর ভ্যাকসিন তৈরিতে না কোনো ঝামেলা হয়। কারণ শুনতেছি এটি অলরেডি চীনের জিনোমের সাথে ইউরোপের, ব্রাজিলের, ভারতের জিনোমের সামান্য কিছু পার্থক্য। এলাকাভেদে এটি নিজেকে অভিযোজন করে ফেলছে। এটা করলে মহাবিপদ। এই আবিষ্কার সম্ভব হলেও ভ্যাকসিনের বিশ্বব্যাপী প্রয়োগেও দু-তিন বছর লেগে যাবে, ততদিনে...।

আমার কাছে কার্যকরী একটি সমাধান মনে হচ্ছে ভাইরাসের স্পাইক গ্লাইকোপ্রোটিন যে রিসেপ্টরটিতে (অ্যানজিওটেনসিন কনভার্টিং এনজাইম-২) বাইন্ড করে সেলের সর্বনাশ করছে সেই বাইন্ডিংটার কার্যকারিতাকে যদি নষ্ট করা যায়। কানাডা, সুইডেন ও স্পেনের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে নাকি কাছাকাছি একটি ড্রাগের ট্রায়াল শুরু করেছে। উনারা হিউম্যান রিকম্বিন্যান্ট সলিউবল এসিই-২'র মাধ্যমে স্পাইক প্রোটিনটির রিসেপ্টরে বাইন্ড করার কার্যকারীতাকে বহুলাংশে বাধা প্রদানের চেষ্টা করছে।

এছাড়া ভারতসহ অনেক দেশেই মাইক্রোবিয়াল কোটিং এর মাধ্যমে স্পাইক প্রোটিনটিকে সিজ করার চেষ্টা করছে। আমার মনে হয় অতি দ্রুত এইরকম কিছু অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ বের হলে কোভিড-১৯'কে মোকাবেলা করা সম্ভব। দীর্ঘমেয়াদী ভ্যাকসিনের প্রয়োগই যদি এই সার্স-কোভ-২'র শেষ চিকিৎসা হয়, তাহলে বিশ্বের কপালে মহাদুর্ভোগ অপেক্ষা করছে। কারণ ততদিনে বিশ্বের অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে যাবে। আমাদের মতো গরীব দেশের টিকে থাকায় ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০১

কলাবাগান১ বলেছেন: সামান্য জিনোম চেন্জ এর জন্য ভ্যাকসিন অকার্যকর হয়ে যাবে না...আমি সেটাই বলতে চেয়েছি...ফ্লুতে ব্যাপক পরিবর্তন হয়....তাই ভ্যাকসিন প্রায়ই চেন্জ করতে হয়....৬ মাস লাগে ডিমের মধ্যে ফ্লু ভ্যাকসিন বানাতে...এই ৬ মাসেই অনেক চেন্জ হয়ে যায় ফ্লু ভাইরাস।

ড্রাগ দিয়ে ভাইরাস কে ইলিমিনেট করা সহজ নয়....হয়ত একটা স্মল মলিকুল পাওয়া যাবে যেটা দিয়ে এস প্রোটিন এর রিসেপ্টর এর host বাইন্ডিং সাইট কে বাধা দেওয়া যাবে....তবে সেটা দিয়ে হয়ত বছর খানিক কাজ করবে ...তারপর এই সাইট মিউটেট হয়ে এন্টিভাইরাল ড্রাগ এর ইফেক্টিভনেস টা, অন্যান্য এন্টিভাইরাল ড্রাগের মতই' কমে প্রায় শুন্যে নেমে আসবে....

তাই আমরা চেস্টা করছি one drug one virus model থেকে বের হয়ে আসতে....হোস্টের একটা প্রোটিন যেটা বিভিন্ন ভাইরাস ইউজ করে replication করে সেই প্রোটিন কে ইনহিবিট করার টার্গেট করে ড্রাগ ডেভেলোপমেন্ট এ। যদিও সাইড ইফেক্ট হবে হোস্টের প্রোটিন কে ইনহিবিট করলে...।তবে if benefits outweigh risks, then it is worthy....

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০৩

কলাবাগান১ বলেছেন: কমেন্টে লাইক

৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২৮

মা.হাসান বলেছেন: ইবোলা বা সার্সের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীর এভাবে উঠে পড়ে লাগেন নি, এবারে একযোগে গোটা দুনিয়া কাজ করছে, এটা অভূতপূর্ব। চিন জিনোমের বিষয়ে তথ্য গোপন না করায় কাজ কয়েক সপ্তাহ এগিয়ে গেছে। জিয়োগ্রাফিকাল রেস্ট্রিকশন না থাকলে বিজ্ঞানীরা আরো ভালো ভাবে কাজ করতে পারতো সম্ভবত।

আখেনাটেন ভাই যেমন বলেছেন, সেই ভয় আছে, আপনিও শেষ প্যারায় কিছুটা অনিশ্চয়তার কথা বলেছেন। তবে আমি আশা করতে চাই। কিন্তু, বিজ্ঞানীরা তাদের কাজ শেষ করবেন , তারপর? যদি ভ্যাকসিনের দাম ৫০ বা ১০০ ডলার হয় তবে তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশেই মানুষ ভ্যাকসিন কিনতে পারবে না। এছাড় ডানো অলরেডি জার্মানির একটা কোম্পানিকে বলে প্রত্যাক্ষাত হয়েছে- ঐ কোম্পানি বলে দিয়েছে যে আমেরিকাকে প্রায়োরিটি দিয়ে তারা ভ্যাকসিন বানাবে না। কিন্তু অন্য কোম্পানি গুলো? WHO এর উচিৎ হবে এখনি পদক্ষেপ নেয়া যাতে দরিদ্র দেশ গুলো এই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পায় বা এর ফর্মুলেশন উম্মুক্ত করে দেয়া হয়।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪৬

কলাবাগান১ বলেছেন: ভ্যাকসিন নিয়ে ব্যবসা হবে না...।কেননা এটা বিশ্ব বুঝে গিয়েছে যে শুধু নিজে বাচলে হবে না অন্যরাও যদি না বাচে সেটা আবার তার দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে...এটা নিয়ে ব্যবসা করার মানসিকতা কোন সরকার এর হবে না বলেই বিশ্বাস....তবে যেভাবে আমেরিকা তিনগুন ক্যাশ ডলার দিয়ে ফ্রান্সে যাওয়ার প্লেন ভর্তি মাস্ক কিনে নিয়েছে চীনের বিক্রেতা থেকে...সেটা তে একটা ভয় ই লাগছে যে এটা নিয়ে দেশে দেশে ভবিষ্যতে যুদ্ধ না লেগে যায়।

৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২৬

এলিয়ানা সিম্পসন বলেছেন: Nice post, comments and replies.

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪৫

কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ০৪ ঠা মে, ২০২০ ভোর ৫:৫৮

মা.হাসান বলেছেন: ইজরায়েলি কিছু বিজ্ঞানি স্টেম সেল দিয়ে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় সফল হয়েছে। স্টেম সেল কে প্রোগ্রাম করে কিভাবে? ফ্রাঙ্কেনস্টাইন হবে নাতো ? পারলে এ বিষয়ে একটা পোস্ট দিলে নতুন কিছু জানার সুযোগ হবে।

আপনার আরেকটা পোস্টে মোস্তাক বিন আয়ুব সাহেবের যে আর্টিকেলের কথা বলেছিলেন, কষ্ট করে কিছুটা পড়ার চেস্টা করেছি। উনি যে কম্প্যারিজন করেছেন তাতে বাংলাদেশের কোনো ডাটা নেই। বাংলাদেশে কি জেনেটিক সিকোয়েন্সিং করার কোনো ব্যবস্থা নেই?
দেশে কয়েক লক্ষ কোটিপতি আছেন যারা চিকিৎসার জন্য নিয়মিত বাইরে যান। আধুনিক মেশিন দিয়ে শুনেছি দুদিনের মধ্যে মানুষের জেনেটিক সিকোয়েন্সিং করা যায় । বানিজ্যিক ভাবে কি এ রকম মেশিন প্রইভেট সেক্টরে এনে ব্যবসা করা সম্ভব না? কি রকম দাম মেশিন গুলোর?

গত কালের আনন্দবাজার পত্রিকায় এসেছে, ভারত ভাইরাসটার জেনেটিক পরিবর্তন পরীক্ষা করে দেখছে ।
লিংক : https://www.anandabazar.com/national/coronavirus-in-india-icmr-to-study-whether-there-are-any-changes-in-covid-19-strain-1.1144668?ref=home-more-news-pq-stry-small-image-1
আমাদের অক্ষমতা কোথায়? লোক বল? যন্ত্র ? মানসিকতা? নাকি আসলে কাজ হচ্ছে, আমি খবর রাখি না?

আপনার আরেক লেখায় হার্ড ইমিউনিটির কথা বলেছিলেন। হু এখন যেটা বলছে, কোভিড-১৯ একবারের বেশি আক্রমন করতে পারে, এটা সত্য হলে কি হার্ড ইমিউনিটি আসা সম্ভব?

যেটা কেউ কেউ বলছেন- কোভিড-১৯ পেশেন্টের রক্তে অ্যান্টি বডি অনেক ক্ষেত্রেই খুব কম (যার কারনেই নাকি ২য় বার অ্যাটাক হতে পারে)। ফলে প্লাজমা থেরাপি খুব সফল হচ্ছে না। যদি অ্যান্টি বডি আইডেন্টিফাই করতে পারি, তবে পিসিআর মেশিনে প্রোটিনটাকে রিপ্লিকেট করে শরীরে ইনজেক্ট করা কি সম্ভব?

সময়াভাবে পোস্ট গুলো পড়ে আলাদা ভাবে মন্তব্য করার সুযোগ হয় না বলে এখানে মন্তব্য করলাম, দুঃখিত। টেকনিকাল টার্ম গুলো ব্যবহারে ভুল হতে পারে, এই সাবজেক্ট সম্পর্কে আমার ধারণা খুব কম, সে কারনেও দুঃখিত।

০৬ ই মে, ২০২০ রাত ৩:৪৯

কলাবাগান১ বলেছেন: -স্টেম সেল কে 'প্রোগ্রাম' করা যায় স্পেসিফিক কিছু জিনকে এক্টিভেট করে
- পুরা জিনোম সিকিয়েন্স না করেও শুধু মাত্র স্পাইক জিন টা (বাংলাদেশের ভাইরাস) কে সিকোয়েন্স করা খুবই দরকার দেখার জন্য কোন পরিবর্তন আছে কিনা.....উদ্দোমী লোকের খুবই অভাব বাংলাদেশে...ভারতে অলরেডী ৩০-৩১ টা ভাইরাস এর হোল জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে...বাংলাদেশে ক্রাইম ল্যাবে ডিএনএ সিকোয়েন্সার আছে কিন্তু মনে হয় তালা দিয়ে রাখা আছে নস্ট হয়ে যাওয়ার ভয়...আমার দু:খ লাগে বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্ট আছে কিন্তু একটা ডিপার্টমেন্টকে ও দেখলাম না যে এই দু:সময়ে এগিয়ে আসতে...।তাহলে তাদের পড়ালিখার দরকার কি যদি মানুষের উপকারেই না লাগে...ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা ভাইরাস ডিটেকশান এর জন্য পিসিআর ল্যাব এর আরম্ভ হওয়ার জন্য বিরাট 'অনুস্টান' লাগবে কেন..প্রধান অথিতি, বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের 'নামকরা' বিজ্ঞান এর শিক্ষক/শিক্ষিকা জড় হয়েছিলেন এই অনুস্টানে....আমরা আনুস্টিকতায় বন্ধি.....

-এই ভাইরাস এর ইফেক্ট একেক জনের মাঝে একেক রকম তাই ইমিউনিটি রেসপন্স ও ভেরী করছে....কম এন্টিবদি থাকলে, আবার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়
- পিসিআর দিয়ে শুধু ডিএনএ কে কপি করা যায়....তবে অন্যভাবে ও এন্টিবডি উৎপাদন করে সরাসরি ভাইরাস এর বিরূধে ইউজ করা যায় যেমন হেপাটাইটিস সি তে হচ্ছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.