নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কলাবাগান১

বিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা দেশপ্রেমের ই অংশ

কলাবাগান১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভেন্টিলেটর নাকি অক্সিমিটার

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:০৭


বাংলাদেশের কয়েকটা ইলেক্ট্রনিস্ক কোম্পানী দেখলাম যে আমেরিকার মেডট্রোনিক কোম্পানীর (বাংলাদেশী সিইও) পেটেন্ট করা ডিজাইন বিনামূল্যে অবমুক্ত করার পর এখন সেই ডিজাইন ব্যবহার করে ভেন্টিলেটর বানানো আরম্ভ করেছেন করোনার রোগীদের জন্য। তবে ভেন্টিলেটর এর সাথে যখন কাউকে সংযুক্ত করা লাগে তার বেশীর ভাগ লোকই আর ভাল হয়ে ফিরে আসে না ৭০-৮০% ই রোগীই মৃত্যু বরন করে থাকেন...কিন্তু যখন প্রচন্ড শ্বাস কস্ট হয়, ভেন্টিলেটর কিছুটা হলেও অনেক কে বাচিয়ে তুলে...তবে একেকটা ভেন্টিলেটর এর দাম ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলার (৮ লক্ষ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা- ট্যাক্স ছাড়া)....এত টাকা দামের ভেন্টিলেটর পৃথিবীর অনেক দেশের হাসপাতালেই পর্যাপ্ত পরিমানে নাই....বাংলাদেশে তো নাই ই ....(এটা পড়ে আবার মন্ত্রীর কথাকে টিটকারী করার ব্লগার এর অভাব নাই এই ব্লগে)

করোনাতে আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকস্ট হওয়ার সাথে সাথে সবাই চেস্টা করে হাসপাতালে যেতে কিন্তু অনেক রোগীই ঘরে বসে ব্রিদিং এর ব্যায়াম করেই হাসপাতালে না যেয়ে ঘরে বসেই চিকিৎসা নিচ্ছেন..এতে হাসপাতালের উপর যেমন চাপ কমছে, সেই ভাবে রোগীর কাছ থেকে চিকিৎসা করা ডাক্তার নার্স রা বিপদ থেকে মুক্ত থাকছেন... তবে কিভাবে বুঝবেন যে আপনার হাসপাতালে যাওয়া দরকার.....এটার প্রধান মার্কার ই হল আপনার শরীরে অক্সিজেন এর মাত্রা জানা....এটা না জানাতে সবাই তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে ভিড় জমায় ..তবে বাসায় বসে যদি অক্সিমিটার ইউজ করে আপনার শরীরের রক্তে অক্সিজেন এর মাত্রা মাপা যায় তাহলে আপনার মানসিক শক্তিও বাড়বে আর আপানকে অস্হির ও হতে হবে না হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য যদি অক্সমিটার বলে যে
Normal pulse oximeter readings usually range from 95 to 100 percent. Values under 90 percent are considered low।

বাজারে যদিও এখন অক্সিমিটার এর আকাল যাচ্ছে (আমি অর্ডার করেছি ৩ সপ্তাহ আগে..এখনও পাই নাই), একেকটা অক্সিমিটার এর দাম মাত্র ২০-৩০ ডলার আর এটা আপনার আংগুলের মাথায় ধরলেই আপানের রক্তে অক্সিজেন এর পরিমান বলে দেয় (উপরের ছবি)...

তাই আমার মতে বাংলাদেশের ওয়ালটন কোম্পানী ভেন্টিলেটর মত কমপ্লেস্ক যন্ত্র না বানিয়ে কয়েক লক্ষ খুবই সিম্পল যন্ত্র- অক্সিমিটার বানালেই দেশের এই সংকট কালে অনেক উপকার হবে অন্তত হাসপাতালের উপর কিছু চাপ কমবে বলে আমার বিশ্বাস...আর মানুষ জন ও অস্হির হয়ে করোনা রোগকে আরো বাড়িয়ে তুলবে না। ব্যায়াম আর ডায়েট দিয়েই অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে শ্বাসকস্ট কে ম্যানেজ করা চেস্টা করা উচিত। তবে অক্সিজেন এর পরিমান কমে গেলে ই হাসপাতালে যাওয়া উচিত বলে মনে করি....সবার ঘরে ঘরে একটা করে অক্সিমিটার থাকা উচিত...একজনের থাকলে আরেকজন কে লোন দিলেও করোনা রোগীর উপকার হবে...

এখানে দেখুন এর উপকারিতা

Oximeter used to foretell severity of coronavirus

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৩১

রাফা বলেছেন: কোথায় অর্ডার করছেন ?

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৩৩

কলাবাগান১ বলেছেন: অনলাইনে শয়ে শয়ে কোম্পানী বিক্রি করছে... আর আমেরিকান CVS/Walgreen এর ওয়াব সাইটে ও আছে কিন্তু ডেলিভারী দিতে সময় নিবে

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৪২

কলাবাগান১ বলেছেন: সুসংবাদ আসছে সহসাই ...Remdesivir ঔষুধ এর ট্রায়াল শুনা যাচ্ছে যে চরম ভাবে সাকসেসফুল... ৬ দিন এই ঔষুধ দিয়ে ট্রিটমেন্ট করে প্রায় সবাই সুস্হ হয়েছেন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় এর ডাক্তার এর ট্রায়ালে
"Covid-19 patients who are getting an experimental drug called remdesivir have been recovering quickly, with most going home in days, "
আজকের সিএনএন এর খবর

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৪৪

রাফা বলেছেন: রিয়েলি..। গুড নিউজ ।

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৫৯

বিজন রয় বলেছেন: "Covid-19 patients who are getting an experimental drug called remdesivir have been recovering quickly, with most going home in days, "................ এটা সত্যিই।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:০৬

কলাবাগান১ বলেছেন: Click This Link

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:১০

রাফা বলেছেন: এ্যনিওয়ে ,জাপান যেনো কোনটা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতেছিলো ?

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:১২

কলাবাগান১ বলেছেন: এভিগান

৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: Good news

১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০৩

কলাবাগান১ বলেছেন: In deed......

৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫

বিষাদ সময় বলেছেন: শুনছি এনড্রয়েড ফোনে অক্সিমিটারের একটা আ্যপ পাওয়া যায় যা দিয়ে নাকি ঠেকার কাজ চালানো যায়।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০৫

কলাবাগান১ বলেছেন: Yes...
https://www.androidcentral.com/how-measure-oxygen-saturation-using-samsung-health

৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।

৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৫৭

মা.হাসান বলেছেন: অক্সিমিটারের দাম ২০-৩০ ডলার হবার কথা না , আরো কম হবার কথা - বাংলাদেশে কয়েক বছর আগেও এটা ২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখেছি, তবে করোনা পরিস্থিতির কারনে এখন সবাই ব্যবসা করছে। অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪% এর নিচে নেমে গেলে খারাপ, সাধারনত ৮৮% এর নিচে নেমে গেল অক্সিজেন দেয়ার দরকার হয়। সমস্যা হয় যখন নিজে থেকে টিউবের অক্সিজেন ও নিতে পারে না তখন । এঅবস্থায় ইনটিউবেশন (ট্রাকিওস্টোমি) এবং প্রয়োজনে ভেন্টিলেটর দরকার হয়। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আমেরিকা বা ইউরোপের হাসপাতালে ভেন্টলেটরের এত চাহিদা থাকে না , এখন বিশেষ পরিস্থিতিতে এমন হয়েছে যে ডাক্তাররা জাজ করে দেখছেন কার বাঁচার সম্ভাবনা বেশি, তাকে ভেন্টিলেটর দিয়ে আরেকজনের মৃত্যুর দিকে চলে যাওয়া দেখছেন অসহায়ের মতো ।
অক্সিমিটারদিয়ে ডায়াগনোসিস করা যায়, চিকিৎসা করা যায় না। অভিজ্ঞ ডাক্তাররা পেশেন্টের চেহারা দেখে ক্লিনিকালিই বলে দিতে পারেন অক্সিজেনের অভাব কি না। করোনাতে সাধারনত ৮০% পেশেন্টেরই অক্সিজেন দিতে হয় না বা লাগলেও এমনি নলে দিলেই চলে। ১০% বা এর কিছু বেশি রোগির লাইফ সাপোর্ট বা ভেন্টিলেটর লাগে।
বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির ইঞ্জিনিয়াররা কিছু বিকল্প ভেন্টিলেটর তৈরি করেছেন, এগুলো সিএমএইচে প্রথম পর্যায়ে সাকসেসফুলি ট্রায়াল দেয়া হয়েছে। ওনারা সপ্তাহে এক হাজার ভেন্টেলটর তৈরি করতে পারবেন।
ইত্তেফাকের অনলাইন এডিশনে আছে।





ব্যায়াম আর ডায়েটের কথা সত্য। আমাদের উচিৎ নিজেদের খাদ্যাভ্যাস বদলানো, নিজেদের ইমিউন সিস্টেম ডেভেলাপ করা। এটাই শেষ ভাইরাস না। আরো আসবে। প্রথম ধাক্কাটা তাদের উপর দিয়েই যাবে যাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা দূর্বল।

যাহোক, আমলাতন্ত্রের অবস্থা দেখেন--
এটা ইয়ের আলোতে আজকের অনলাইন এডিশনে আছে:



তবে আরো ভালো খবর আছে---
ইত্তেফাকে--আজকেের অনলাইন এডিশনেঃ


সতর্ক থাকবেন। ভালো থাকবেন।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:০৪

কলাবাগান১ বলেছেন: ভালো সংবাদ কম খরচে ভেন্টিলেটর বাংলাদেশে..।ধন্যবাদ

১০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৫১

এলিয়ানা সিম্পসন বলেছেন: Glad you are okay.

১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:১৩

কলাবাগান১ বলেছেন: থ্যান্কস...আপনি ও ভাল আছেন জেনে খুশী হলাম

১১| ১০ ই মে, ২০২০ রাত ১২:১২

আমি সাজিদ বলেছেন: হুজুগে ভেন্টিলেটর বানাইসে। ভেন্টিলেটর অনেকাংশে বরং কার্ডিয়াক ফাংশন কম্প্রোমাইজ লোকদের টেনশন নিউমো এবং আরও কার্ডিয়াক আনস্টাবিলিটি বাড়াতে পারে। আমি ব্রিটেনের NHS এর একজন আইসিইউ স্পেশালিস্ট এর বক্তব্য শুনলাম সেদিন বিবিসির ইনসাইড হেলথ এ। তারা এখন নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনের দিকে যাচ্ছে। C- PAP ভেন্টিলেশন ব্যবহার করে ২/৩ আইসিইউ রোগীকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠাইসে তারা। আমি তবুও ওয়ালটনের এই কাজকে সাধুবাদ জানাই। আমি আশা করি ওয়াল্টন স্মার্টফোন না বানিয়ে মেডিকেল সেকটরের নতুন নতুন টেকনোলজি গুলো নিয়ে কাজ করবে এবং আমরাই অন্য দেশগুলোর জন্য এই সেকটরে রোল মডেল হবো। আমি আশাবাদী।

১৩ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:৫৪

কলাবাগান১ বলেছেন: "ভেন্টিলেটর অনেকাংশে বরং কার্ডিয়াক ফাংশন কম্প্রোমাইজ লোকদের টেনশন নিউমো এবং আরও কার্ডিয়াক আনস্টাবিলিটি বাড়াতে পারে"
সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.